শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষধ খেতে হবে-শ্বাসকষ্টের হোমিও ঔষধের নাম 2024

আপনাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগে থাকেন। তাদের কথা চিন্তা করে আমরা আজকের আর্টিকেলটিতে শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষধ খেতে হবে ও শ্বাসকষ্ট দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনার যদি শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে এবং আপনি শ্বাসকষ্ট দূর করার ট্যাবলেটের নাম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষধ খেতে হবে
পোস্টসূচিপত্রঃপ্রিয় বন্ধুরা আপনারা যদি শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় ও শ্বাসকষ্ট হলে কি ট্যাবলেট খেতে হবে এ সম্পর্কে জানতে পোস্টটি শুরু থেকে পড়তে থাকুন। কারণ আজকের পুরো পোস্টে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার সমাধান তুলে ধরা হবে।

ভূমিকা

বর্তমানে আমাদের দেশে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা বেড়েই চলেছে। শ্বাসকষ্ট হওয়ার বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা। শ্বাসতন্ত্র বা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। তাছাড়াও যাদের এজমা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও শ্বাসকষ্ট জড়িত সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। অনেকের আবার ঠান্ডা লাগার কারণে শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। 

ধুলাবালিযুক্ত স্থানে দীর্ঘদিন বসবাস করলে এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তবে আপনারা চাইলে শ্বাসকষ্ট সাময়িকভাবে দূর করার জন্য কিছু ওষুধ গ্রহণ করতে পারবেন। শ্বাসকষ্ট স্থায়ীভাবে দূর করা যায় না। কিন্তু শ্বাসকষ্ট কমানো যায়। শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির জন্য আপনাদের অবশ্যই সঠিক নিয়ম কানুন মেনে জীবন যাপন করতে হবে। 

আপনাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা শ্বাসকষ্ট হলে কি ওষুধ খেতে হয় এ বিষয়টি জানতে আগ্রহী তাদের জন্য আমরা এখন শ্বাসকষ্ট দূর করার ঔষধের নাম সম্পর্কে আলোচনা করব। শ্বাসকষ্ট রোগে আপনি যদি ভোগে থাকেন। তাহলে এখনই আর্টিকেলটি ভালো করে পড়ুন, কারণ আমরা এই পুরো আর্টিকেলটিতে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা সম্পর্কে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।

শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষধ খেতে হবে

শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকলে আপনারা কিছু ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে শ্বাসকষ্ট কমাতে পারেন এবং শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। আপনারা হয়তো জানেন একবার শ্বাসকষ্ট রোগ হয়ে থাকলে সেটি আর পুরোপুরি একবারে কমানো যায় না অর্থাৎ শ্বাসকষ্ট সমস্যা দীর্ঘস্থায়ীভাবে দূর করা যায় না। 

তাহলে বুঝতে পারছেন একবার শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকলে, আপনি যেকোনো সময়ই যে কোন কারনে শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগতে পারেন। এজন্য আপনাদের অবশ্যই সব সময়ই সতর্ক থাকতে হবে। শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকলে আপনারা বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন। তার মধ্যে থেকে আমরা কিছু ভালো ট্যাবলেট ও ঔষধের নাম তুলে ধরলাম।
  • ফেনাডিন ১২০ ট্যাবলেট
  • স্যালমোলিন (ইনহেলার) 
  • মোনাস টেন
  • ডেক্সোভেন ২০০
  • ডক্সিভা ২০০
উপরের লিস্টে আমরা কিছু শ্বাসকষ্টের ওষুধের নাম সম্পর্কে তুলে ধরেছি। এখানে প্রথম ওষুধটির নাম হল ফেনাডিন ১২০ ট্যাবলেট। এই ওষুধটি মূলত রেনেটা লিমিটেড কোম্পানি প্রস্তুত করেছে। উক্ত ওষুধ শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নেই খাওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়াও যাদের ঠান্ডা কাশি ও সর্দি হয়ে থাকে তারা চাইলে এই ওষুধটি সেবন করতে পারেন। 
ঠান্ডা জনিত কারণে যদি আপনার শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে তাহলে এই ওষুধটি ভালো কাজ করে থাকে।ফেনাডিন ১২০ ওষুধটি দিনে ১টি করে খেতে হয় অর্থাৎ প্রতিদিন একটি করে খাবেন। আর মনে রাখবেন এই ওষুধটি রাতের খাবার খাওয়ার পর খেতে হয়। রাতে খাবার খাওয়ার পর ভরা পেটে এই ট্যাবলেট খাবেন। প্রতি পিস এই ট্যাবলেটটির নাম ১০ টাকা। 

আর একটা কথা মনে রাখা উচিত উপরোক্ত যেকোন ট্যাবলেট গুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তার অথবা চিকিৎসকের নিকট পরামর্শ করে নিতে হবে। কোন রকম প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ গুলো গ্রহণ করবেন না। কারন আপনার শ্বাসকষ্টের ধরন অনুযায়ী ঔষধ ভিন্ন ধরনের হতে পারে। তাহলে বুঝতেই পারছেন উপরের লিস্টে দেওয়া ওষুধগুলোর মধ্যে কোনটি আপনার শ্বাস কষ্টের সমস্যায় ভালো হবে সেটি একমাত্র ডাক্তার বলতে পারবে।

শ্বাসকষ্টের ট্যাবলেট ঔষধের নাম কি

আপনারা শ্বাসকষ্টের ট্যাবলেট ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকলে আজকের এই অংশের মাধ্যমে ভালোভাবে জেনে নিন। কারণ আজকের এই মাঠে আমরা শ্বাসকষ্টের ট্যাবলেট ওষুধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনাদের যদি শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে তাহলে কিছু ট্যাবলেট খাওয়ার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং শ্বাসকষ্ট কমাতে পারবেন। 
শ্বাসকষ্টের ধরুন অনুযায়ী ওষুধ গুলো খেতে হয়। এজন্য আপনার শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকলে চিকিৎসকের নিকট দেখিয়ে ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন। তবে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শ্বাসকষ্টের ট্যাবলেট এর নাম জেনে নেই।
  • ব্রডিল ৪
  • ফেনাডিন ১২০
  • ডেক্সোভেন ২০০
  • ডক্সিভা ২০০ ট্যাবলেট
  • ভিটারেস্প‌ এম ১০ এমজি 
  • বেক্সিট্রল (ইনহেলার)
উপরোক্ত ট্যাবলেটগুলো আপনারা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় গ্রহণ করতে পারেন। তবে বলে রাখা ভালো ট্যাবলেট গুলো আপনারা চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ করে খাবেন। অযথা কোনো ওষুধ কিনে খাবেন না, এতে আপনার বিপদ হতে পারে। কারণ আপনারা হয়তো জানেন শ্বাসকষ্ট নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে, আর সেই ওষুধগুলো শ্বাসকষ্ট এর লক্ষণ ও ধরুন অনুযায়ী দেওয়া হয়ে থাকে।

শ্বাসকষ্টের হোমিও ঔষধের নাম

আপনারা হয়তো এতক্ষণে শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির এলোপ্যাথিক ঔষধের নাম সম্পর্কে জেনেছেন। তবে আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা শ্বাসকষ্ট দূর করার জন্য হোমিও ঔষধ খুজে থাকেন। এজন্য আপনারা হোমিও ওষুধ গুলোর নাম জানতে চান। তাই আপনাদের কথা চিন্তা করে আমরা এখন এই অংশে শ্বাসকষ্টের হোমিও ঔষধের নাম সম্পর্কে তুলে ধরব। 
হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের হোমিও ওষুধ রয়েছে যেগুলো খেলে আপনারা শ্বাসকষ্ট সাময়িকভাবে কমাতে পারবেন। আপনার কিন্তু আগে জেনেছেন শ্বাসকষ্ট দীর্ঘস্থায়ীভাবে কমানো যায় না। এটি শুধুমাত্র সাময়িকভাবে কমানো যায় এবং নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শ্বাসকষ্টের হোমিও ঔষধ গুলোর নাম জেনে নেই।
  • অ্যাসপিডোস্পার্মা
  • ব্রায়োনিয়া
  • অ্যাকোনাইট
  • আইপেকাক
  • অ্যান্টিমোনিয়াম আর্স
  • আর্সেনিকাম অ্যালব
  • সেনেগা
  • নেট্রাম সালফিউরিকাম
শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানিজনিত সমস্যায় উপরোক্ত নামের হোমিও ওষুধ গুলো দেওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের হোমিও চিকিৎসায় হোমিও ওষুধ রয়েছে যেগুলো খেলে হাঁপানি দূর হয়ে যায়। আরো বিস্তারিত হোমিও ওষুধের নাম গুলো জানতে আপনারা নিকটবর্তী কোন হোমিও ওষুধের দোকানে গিয়ে খোঁজ নিতে পারেন। 
সেখানে আপনারা শ্বাসকষ্ট সমস্যায় বিভিন্ন ধরনের হোমিও ওষুধ গুলোর নাম সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমরা শুধুমাত্র এখানে কিছু শ্বাসকষ্টের হোমিও ঔষধ গুলোর নাম তুলে ধরেছি। উপরের দেওয়া হোমিও ওষুধ গুলো আপনারা হোমিও চিকিৎসকের নিকট দেখিয়ে খাবেন।

শ্বাসকষ্টের কারণ ও লক্ষণ

শ্বাসকষ্টকে আবার হাঁপানি বা এজমা নামে আমরা অনেকেই চিনে থাকি। সাধারণত অ্যাজমা জনিত সমস্যাই শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। আপনার হয়তো অনেকেই শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে জানেন না। এজন্য আমরা আজকের এই অংশে শ্বাসকষ্টের কারণ ও লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। শ্বাসকষ্ট সাধারণত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তবে সেই কারণগুলো আপনারা জানলে আগে থেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে পারবেন। তবে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণগুলো জেনে নেই।
  • সাধারণত শীতকালে ঠান্ডা ও সর্দি লাগলে শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে।
  • যাদের হাঁপানি ও এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের এ ধরনের শ্বাসকষ্ট সমস্যা দেখা দেয়।
  • বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অ্যাডনয়েড নামক সমস্যা হয়ে থাকলে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
  • তাছাড়াও যেসব ব্যক্তির সাইনোসাইটিস, হার্ট ফেইলিওর, নিউমোনিয়া ইত্যাদির রোগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে।
  • এছাড়াও নাকের কোন সমস্যা হয়ে থাকলে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
  • আবার ফুসফুসে যদি পানি জমে যায় তাহলে শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে।
  • ফুসফুস জনিত বিভিন্ন রোগে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
  • ধুলাবালি যুক্ত বসতি স্থানে দীর্ঘদিন বসবাস করলে এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।
তবে চলুন আমরা এখন শ্বাসকষ্টের লক্ষণ গুলো জেনে নেই। নিম্নে শ্বাসকষ্টের লক্ষণ আলোচনা করা হলোঃ
  • যখন কোন ব্যক্তি দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে থাকে এবং শ্বাস নিতে সমস্যা হয় তখন বুঝবেন তার শ্বাসকষ্ট সমস্যা রয়েছে।
  • নাক দিয়ে শ্বাস নেওয়ার বদলে যদি কেউ মুখ দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নেয়, তাহলে তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে।
  • শ্বাসকষ্ট হলে বুকের মধ্যে শনশন শব্দ হয়। কারণ শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকলে জোরে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার কারণে এ ধরনের শব্দ হয়।
  • শ্বাসকষ্টের রোগীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন ধুলাবালি জনিত স্থানে গেলে কাশি হতে থাকে এবং হাঁপানি শুরু হয়ে যায়।
  • এ সময় রোগীদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয় এবং বুকে চাপ পড়ে, তাছাড়াও শারীরিক অসুস্থ বোধ মনে করে।
আশা করছি আপনারা তাহলে শ্বাসকষ্টের লক্ষণ ও কারণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরে গেছেন।উপরোক্ত লক্ষণগুলো প্রকাশ পেলে বুঝবেন শ্বাসকষ্ট হয়েছে। তারপর সেই অনুযায়ী ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ গ্রহণ করবেন।

শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হবে

আপনার যদি শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে তাহলে আপনি তৎক্ষণাৎ কিছু খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শ্বাসকষ্ট কমাতে পারবেন। যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাদের শ্বাসকষ্ট যেকোনো সময় শুরু হয়ে যেতে পারে। এজন্য শ্বাসকষ্ট যদি হয় তাহলে কি কি খেলে ভালো হবে সে সম্পর্কে আজকে আমরা এখন আলোচনা  করব। আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হবে।
  • কোন সময় যদি হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাহলে আপনারা গরম পানি খেতে পারেন। কুসুম গরম পানি খেলে শ্বাসকষ্ট কিছুটা কমানো যায়। এজন্য হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে হালকা গরম পানি খাবেন।
  • শ্বাসকষ্ট কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায় হিসেবে আপনারা কুসুম গরম পানির সাথে দুই থেকে তিন চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন এতে করে শ্বাসকষ্ট কিছুটা কমে শান্তি পাওয়া যায়।
  • এছাড়াও শ্বাসকষ্ট সাময়িকভাবে কমানোর জন্য ঘরোয়া উপায়ে লেবু চা খেতে পারেন। চায়ের সাথে লেবুর রস, রসুন, দুই পিস লং মিশিয়ে চা তৈরি করুন এবং সেই চা খেলে শ্বাসকষ্ট থেকে কিছুটা উপশম পাওয়া যায়। চায়ের সাথে উপরোক্ত উপাদান গুলো মিশিয়ে শ্বাসকষ্ট কিছুতা কমাতে পারেন।
  • যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তারা সকলের নাস্তার সাথে ওট্‌সের সঙ্গে স্ট্রবেরি মিশিয়ে খেতে পারেন। উপরোক্ত উপাদানগুলোতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফুসফুসের সংক্রমণ দূর করে। আর ফুসফুসের সংক্রমণ দূর হলে শ্বাসকষ্ট কমে যায়।
  • তাছাড়াও আপনারা পালং শাক খেতে পারেন। পালংশাকে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে যেটি খেলে ফুসফুস ভালো থাকে, আর আপনারা জানেন ফুসফুস ভালো থাকলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা থাকে না। এজন্য পালং শাক রান্না করে অথবা পালং শাকের স্মুদি করে খেতে পারেন।
  • আপনারা হয়তো জানেন শাকসবজি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য শাকসবজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও শাকসবজি দিয়ে স্যুপ খেলে শ্বাসকষ্টের উপশম হয়। আপনারা বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে স্যুপ বানিয়ে সেটি রাতে অথবা সকালে খেতে পারেন।
  • এছাড়াও আপনারা চাইলে দুগ্ধ জাতীয় কোন ধরনের খাবার খেতে পারেন। দুধ দিয়ে তৈরি খাবারগুলোতে রয়েছে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দূর হয়ে যায় এবং ফুসফুস ভালো থাকে।
  • অ্যাজমা জনিত সমস্যা থাকলে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাবেন। বিভিন্ন ধরনের খাবারে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবারে ভিটামিন ডি থাকে। তবে যাদের এলার্জি রয়েছে তারা উক্ত খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • আপনারা সকলে জানেন ফুসফুসের সমস্যা হলে শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। আর এই ফুসফুস ভালো রাখতে আপেল খেতে পারেন। আপেল দিয়ে শুধু সুস্বাদু তা কিন্তু নয়, এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান বিদ্যমান রয়েছে যেটি ফুসফুস ঠিক রাখতে সহায়তা করতে পারে। তাই আপনারা দিনের যেকোনো সময়ে আপেল খাবেন।
  • কলা খেলেও লাং সমস্যা ও ফুসফুসে সমস্যা কমানো যায়। ফুসফুসের কাজ ঠিক রাখতে কলা সহায়তা করতে পারে। কারণ কলাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফুসফুসের কাজ ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
তাহলে প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণে শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হবে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে পারলেন। এবার সেই অনুযায়ী খাবারগুলো গ্রহণ করুন ইনশাল্লাহ আপনার শ্বাসকষ্ট সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবে না

আপনারা কিন্তু এতক্ষণে শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাবার খেতে হয় এ সম্পর্কে জানতে পারলেন। তবে আপনাদের অবশ্যই জানতে হবে শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবেনা এ সম্পর্কে। কারণ বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে আপনার শ্বাসকষ্ট আরো বেড়ে যেতে পারে, এসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনারা যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই অংশের মাধ্যমে শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবেনা সে সম্পর্কে জেনে নিন। এবার আর কথা না বাড়িয়ে কি কি খাওয়া যাবেনা সেগুলো জেনে নেই।
  • যেসব ব্যক্তিদের এজমা বা হাঁপানি সমস্যা রয়েছে সেসব ব্যক্তিরা শুষ্ক ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এ ধরনের ফল হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়াও জানা গেছে শুষ্ক ফলে সালফাইট জাতীয় পদার্থ বেশি থাকে। যেটি শ্বাসকষ্ট সমস্যা বাড়ায়।
  • শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকলে অ্যালকোহল ও মাদকদ্রব্য সেবন করা যাবেনা। আপনারা জানেন মাদকদ্রব্য ফুসফুসের সমস্যা বাড়ায় এবং ফুসফুসে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। আর মূল কথা মাদকদ্রব্যের কারণে ফুসফুসে সমস্যা হয় এবং হাঁপানি রোগ হয়ে থাকে। এজন্য মাদকদ্রব্য ও অ্যালকোহল খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন বা বিরত থাকুন।
  • তাছাড়াও যেসব খাবারে পেটে গ্যাস উৎপন্ন হয় এবং গ্যাসের সমস্যা হয় সেসব খাবার পরিত্যাগ করতে হবে। সচরাচর সেসব খাবার বেশি খাওয়া যাবে না। যেমনঃ তেলের আচার, রসুন , তেলে ভাজা খাবার ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • আবার কফি ও চা খেলেও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। আপনারা হয়তো আগে জানতেন না, তবে জেনে নেওয়া ভালো কফি ও চা খেলে অনেক সময় শ্বাসকষ্ট সমস্যা বেড়ে যায়।তাই যাদের হাঁপানি সমস্যা রয়েছে তারা কপি ও চা খাবেন না।
  • ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডযুক্ত মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন অর্থাৎ যেসব মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে সেসব মাছ খেলে অ্যাজমার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
  • কোন ধরনের সাপ্লিমেন্ট অথবা স্টেরোয়েড জাতীয় ওষুধ গুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন খাবেন না।
তাহলে বুঝতে পারছেন উপরোক্ত খাবারগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন, বিশেষ করে যাদের এজমা সমস্যা রয়েছে তারাই এগুলো খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলবেন।

হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়

যাদের হাঁপানি সমস্যা রয়েছে বা শ্বাসকষ্ট রোগ রয়েছে তাদের অনেক সময় হঠাৎ করেই শ্বাসকষ্ট দেখা যায়। হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট হলে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে কিছুটা শ্বাসকষ্ট কমিয়ে এনে শান্তি পাওয়া যায়। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে জানতে আপনারা আগ্রহী হয়ে থাকলে মনোযোগ সহকারে এই অংশ পড়ুন। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে কিছু করনীয় গুলো মেনে চলতে পারেন। সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
  • হঠাৎ করে যদি কারো শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাহলে ভয়ে আতঙ্কিত হবেন না, সোজা হয়ে বসে জোরে জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • আবার যদি হঠাৎ করে যে কোন সময় শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের দেওয়া ইনহেলার ব্যবহার করবেন। তৎক্ষণাৎ ইনহেলার ওষুধ ব্যবহার করলে শ্বাস নিতে সহায়তা পাওয়া যায়। ইনহেলার গ্যাস নিলে শ্বাসকষ্ট কমে যায়।
  • তাছাড়াও হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে বালিশ নিয়ে মাথা উঁচুতে রাখবেন এবং কাত হয়ে শুয়ে পড়বেন।
  • চিকিৎসকের দেওয়া ইনহেলার থাকলে সেটির সাহায্যে পাঁচটি চাপ নিবেন। তাহলে সেই ইনহেলার স্প্রে ওষুধ শ্বাসকষ্ট অনেকটা কমিয়ে দেবে।
এভাবে আপনারা হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে কিছু উপায় মেনে চলতে পারেন। তাহলে কিছুটা শ্বাসকষ্ট কমানো যায়।

শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায়

শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে সবচেয়ে ভালো নিয়ম ও উপায় হল চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা নিয়ে ওষুধগুলো গ্রহণ করা। কারণ ঘরোয়া উপায়ে শ্বাসকষ্ট সহজে দূর করা যায় না। চিকিৎসকরা আপনার শ্বাসকষ্টের ধরন দেখে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও ইনহেলার দিবে সেগুলো ব্যবহার করে আপনারা শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণ ও শ্বাসকষ্ট সমস্যা কমাতে পারবেন। তাছাড়া আমরা পুরো পোস্টে শ্বাসকষ্ট হলে কি ওষুধ খেতে হয় সে সম্পর্কেও আলোচনা করেছি। 
শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায়
যেগুলো পড়লে আপনারা শ্বাসকষ্টের ট্যাবলেট এর নাম ও ওষুধের নাম সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনারা তাহলে শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে ওষুধের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করবেন যেগুলো আমরা পোস্টে আলোচনা করেছি। আপনারা উপরের অংশগুলো ভালো করে পড়ুন তাহলেই শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

শ্বাসকষ্টের ওষুধ সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃশ্বাসকষ্ট হলে কি কি সমস্যা হয়?
উত্তরঃ শ্বাসকষ্ট হলে, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া, বুকে টান টান অনুভব করা, হৃদ স্পন্দন হার বেড়ে যাওয়া , শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃশ্বাসকষ্টের সবচেয়ে ভালো ঔষধ কোনটি?
উত্তরঃ শ্বাসকষ্টের সবচেয়ে ভালো ঔষধ হলো সালবুটামল ও সালমিটারোল। এছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে যেগুলো আমরা পোস্টে তুলে ধরেছি।

প্রশ্নঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ শ্বাস নিতে কষ্ট হলে আতঙ্কিত না হয়ে, সোজা হয়ে বসবেন এবং হালকা গরম পানির সাথে দুই চামচ লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন এতে করে অনেকটা শান্তি পাওয়া যায়।

প্রশ্নঃকি কি খাবার খেলে শ্বাসকষ্ট হয়?
উত্তরঃ শুষ্ক ফল ও গ্যাস জাতীয় খাবার খেলে শ্বাসকষ্ট সমস্যা বেড়ে যায়।

প্রশ্নঃখাওয়ার পর শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণ?
উত্তরঃ খাওয়ার পরে শ্বাসকষ্ট হওয়ার কারণ হলো হাঁপানি ও সিওপিডি সমস্যা। তাছাড়াও এলার্জিজনিত কারণে খাবার খাওয়ার পর শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

আশা করছি প্রিয় পাঠক বিন্দু আপনারা পুরো পোস্টটি পড়ে ভালোভাবেই শ্বাসকষ্ট হলে কি ঔষধ খেতে হবে এ সম্পর্কে জেনে গেছেন। তাছাড়াও শ্বাসকষ্ট দূর করার বিভিন্ন উপায় ও কি খাবার খেলে শ্বাসকষ্ট কমে এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের যদি প্রচন্ড শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং তাদের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

বিজ্ঞাপন