পড়াশোনায় মন বসানোর পাঁচটি উপায় ২০২৪ আপডেট

আমরা এখন পড়াশোনায় মন বসানোর পাঁচটি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত এ টু জেড আলোচনা করব। যারা পড়াশোনায় মনোযোগ বসাতে পারছেন না তারা অবশ্যই পোস্টটি পড়ুন, আশা করি পোস্টটি পড়লে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারবেন। তাই পড়াশোনা মনোযোগ বৃদ্ধি করার জন্য পড়াশোনায় মন বসানোর পাঁচটি উপায় জেনে নিন।
পড়াশোনায় মন বসানোর পাঁচটি উপায়
সূচিপত্র

উপস্থাপনা |পড়াশোনায় মন বসানোর পাঁচটি উপায়

বর্তমান সময়ে এসে ছোট থেকে শুরু করে বড় সবাই পড়াই মনোযোগ বসাতে পারে না। আমরা সবাই পড়ায় মনোযোগ বসানোর বিভিন্ন উপায় খুঁজে বেড়ায়। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে পড়ায় মনোযোগ বসানোর সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই পড়ায় মনোযোগ বসানোর বিভিন্ন উপায় জানতে সম্পন্ন পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো। কারণ পড়াশোনায় মনোযোগ না বসালে আপনার দৈনন্দিন পড়াগুলো মনে থাকবে না।
একমাত্র মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করলেই রেজাল্ট ভালো করা যায়। আপনাদের অনেকে আছে যারা বই পড়েন কিন্তু ভুলে যান, এর অন্যতম কারণ হলো মনোযোগ না দিয়ে পড়া। মনোযোগ না দিয়ে বই পড়লে কখনোই সেই পড়া মুখস্ত হবে না। বইয়ের পড়া গুলো মুখস্ত করার জন্য অবশ্যই আপনাদের মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। এজন্য আপনাদের পড়াশোনায় মন বসানোর পাঁচটি উপায় সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে, যা আমরা আজকের সম্পূর্ণ পোস্টটিতে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।

পড়ায় মন বসে না কেন

পড়ায় মন না বসার প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের পড়াশোনার মনোযোগ নষ্ট করে এমন বস্তু সাথে রাখা। যেমন হচ্ছে আপনার ব্যবহারিত একটি স্মার্টফোন। আপনি পড়তে বসছেন আপনার আশে পাশে ফোন আছে আপনার মনে হবে একটু ফোনটা টিপি। সবথেকে ভয়ংকর যে কারণটি হলো পড়ার সময় মাথার মধ্যে বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা তৈরি করা। আপনারা সাধারণত পড়তে বসলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন যার জন্য আপনার পড়া একদমই মন বসে না।
এক কথায় বলতে গেলে পড়তে বসলে আমাদের মন এইটা সেইটা চিন্তা ভাবনা করে বেড়ায় এবং আমাদের মাথায় বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা ঘুরে বেড়ায় যার কারণে আমরা পড়ায় মন বসাতে পারি না। যার কারণে আমাদের পড়তে মন চায় না পড়তে ভালো লাগে না ইত্যাদি। এছাড়াও আমরা পড়ার সময় আমাদের ব্যবহারকৃত স্মার্টফোনটি সাথে রাখে যার কারণে আমরা পড়াই মনোযোগী হতে পারি না। তাই আপনাদের পড়াশোনায় মন বসানোর পাঁচটি উপায় গুলো ভালোভাবে জেনে পড়াশোনা করতে হবে।

দেখা যাচ্ছে আমরা পড়তে পড়তে ফোন ব্যবহার করতেছি যার কারণে আমাদের পড়ায় একদম মন বসে না। তাই পড়ার সময় কোন কিছু চিন্তা ভাবনা করবেন না এবং নির্দিষ্ট একটি পড়ার সময় বেছে নিন যে সময় আপনার পড়তে ভালো লাগে।

পড়াশোনায় মন বসানোর পাঁচটি উপায়

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি পড়াশোনায় মনোযোগ বসানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে অবশ্যই এই অংশটি ভালো করে পড়ুন। কারন আজকের এই অংশে পড়াশোনায় মন বসানোর উপায় গুলো সম্পর্কে তুলে ধরা হবে।

এই উপায় গুলো অবলম্বন করলে আপনারা খুব সহজেই মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করতে পারবেন। আর মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করলে পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো করতে পারবেন এবং আপনার ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণ হবে।পড়তে বসার সময় অবশ্যই আপনার স্মার্টফোনটি দূরে রাখুন।

আপনি পড়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি সময় খুঁজে বের করুন। অর্থাৎ যে সময়টিতে আপনার পড়তে ভালো লাগে।বিছানায় পড়তে বসা থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন।কখনো পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না।বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করুন। প্রতিদিনের রুটিন তৈরি করুন।

তাহলে আশা করছি আপনারা উপরের লিস্টে পড়াশোনায় মন বসানোর পাঁচটি উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে এখন আমরা নিম্নে পড়াশোনায় মনোযোগ বসানোর উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে আসি।

১. পড়ার জন্য সঠিক সময় নির্বাচন করা

আমরা অনেকেই মনে করি যে সারাদিন সারারাত পড়লেই নাকি পড়া বেশি মনে থাকে। এটা নিতান্তই সবার ভুল ধারণা। কারণ সবসময়ই সবার ব্রেইন একইভাবে কাজ করতে পারে না। আমাদের ব্রেইন নির্দিষ্ট সময়ে ভালো কাজ করে। সেই সময়ে পড়লে পড়া অতি সহজে মনে রাখা যায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে বিকালের পর আমাদের ব্রেইন এর কার্যকর ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই বিকালে বা সন্ধ্যায় পড়াশোনা করলে পড়া বেশি মনে থাকে অর্থাৎ পড়া বেশি কার্যকর হয়।

তবে আরেকটি সময় রয়েছে যে সময় পড়লে সবচেয়ে বেশি পড়া মনে থাকে। সেটি হল সকালে অর্থাৎ ভোর সকালে। সকালে ৫-৬ টার সময় ঘুম থেকে উঠলে আমাদের ব্রেইন অধিক কার্যকরী হয় অর্থাৎ সেই সময়টাই আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক ফ্রেশ থাকে। এই সময় যদি আপনার মনে থাকে না এমন পড়াও যদি পড়েন তাহলে সেটি মনে থাকবে। কারণ ভোর সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আমাদের ব্রেইন একেবারে ফ্রেশ এবং ব্রেনের কার্যকারিতা সচল থাকে। তাই আপনারা ভোর সকালে পড়ার চেষ্টা করবেন।

২. নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুমানো

পড়া মনে রাখার জন্য অবশ্যই আমাদের নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুমাতে হবে। একদল বিজ্ঞানীর গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের মানব মস্তিষ্ক বা ব্রেইন কোন তথ্য,ইনফরমেশন আমাদের স্মৃতিতে বা মস্তিষ্কের মেমোরিতে ধরে রাখে ঘুমানোর সময়। তাই পড়ালেখা মনে রাখার জন্য পড়ালেখার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুমানো উচিত।

সাধারণত একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। যদি এর কম ঘুমান তাহলে আপনার পড়া মনে রাখার ক্ষমতা কমে আসবে। তাই আপনারা সব সময় চেষ্টা করবেন রাত ৯ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া এবং সকাল পাঁচটা বা ছয়টায় উঠে পড়তে বসা।

৩. পড়তে বসার পূর্বে ১০ মিনিট হাটা

পড়তে বসার পূর্বে 10 মিনিট হাঁটলে বা সাধারণ ব্যায়াম করলে আমাদের মস্তিষ্কে কার্যকর ক্ষমতা অর্থাৎ মস্তিষ্কের ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে পড়া মনে রাখতে খুব সহজ হয়। গবেষণায় দেখা গেছে পড়ার পূর্বে 10 মিনিট হাঁটলে বা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে কার্যক্ষমতা প্রায় ১০% পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই পড়ার পূর্বে দশ মিনিট হাঁটবেন বা ব্যায়াম করবেন।

৪. পড়ার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ

পড়ার প্রতি অবশ্যই মনোযোগ থাকতে হবে। আপনি যে বিষয়ে পড়বেন অবশ্যই সেই বিষয়টি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকবেন তাহলে দেখবেন অতি সহজে পড়া আপনার মস্তিষ্কে গেথে যাবে অর্থাৎ পড়া মনে থাকবে। পড়ার সময় পড়ার টেবিল থেকে মোবাইল ফোন সবসময় দূরে রাখবেন। মোবাইল ফোনের নোটিফিকেশন বা সাউন্ড অফ করে রাখবেন।

পড়ার টেবিলে কখনো মোবাইল ফোন রাখবেন না। কারণ মোবাইল ফোন আপনার পড়ার মনোযোগ নষ্ট করতে পারে। আর আরেকটা বিষয় হলো প্রতি এক ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ মিনিট করে বিরতি নিয়ে পড়বেন। কখনোই একটানা ২ থেকে ৩ ঘন্টা পড়বেন না মাঝে মাঝে বিরতি নিয়ে পড়বেন। এভাবে পড়লে আপনার মস্তিষ্ক ফ্রেশ থাকবে এবং পড়া অতি সহজে মনে থাকবে।

৫. বেশি বেশি পড়া ও অনুশীলন করা

মানব মস্তিষ্ক ক্ষণস্থায়ী স্মৃতিগুলোকে তখনি দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে পরিণত করবে যখন আপনি সেই কাজটি বারবার করবেন। আপনি যে কাজই করুন না কেন আপনি যদি সেই কাজে পারদর্শী হতে চান তাহলে সেই কাজটি আপনাকে বারবার প্র্যাকটিস বা করতে হয়, তেমনি পড়া মনে রাখার ক্ষেত্রেও আপনি যে বিষয়টি মনে রাখতে চান সে বিষয়টি বারবার পড়তে হবে এবং প্র্যাকটিস করতে হবে।

তাই বেশি বেশি পড়বেন, অনুশীলন করবেন এবং পড়া খাতায় লেখার চেষ্টা করবেন। কারণ পড়া খাতায় লিখলে বা প্র্যাকটিস করলে বেশি মনে থাকে যা আপনারা সকলেই জানেন। তাই বেশি বেশি পড়া এবং অনুশীলন করা পড়া মনে রাখার অন্যতম উপায়।

মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়

পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর জন্য প্রথমে অর্থাৎ দিনের শুরুতে একটি রুটিন তৈরি করে ফেলুন। যে আপনি সারাদিন কি কি করবেন। যেমন, খাওয়া-দাওয়া, গোসল, খেলাধুলা এবং পড়াশোনা ইত্যাদি কাজগুলোর জন্য একটি নির্দিষ্ট রুটিন বানিয়ে নিন। আর হ্যাঁ মনে রাখবেন প্রতিদিনের রুটিন প্রতিদিন তৈরি করে ফেলুন। আপনি আগে পড়াশোনার জন্য সেই টাইমে খুঁজে বের করুন যেই সময়টিতে আপনার পড়তে ভালো লাগে।

অর্থাৎ এমন কোন সময় বের করবেন না যে সময়টিতে আপনার পড়তে একদম ভালো লাগেনা। অর্থাৎ এমন একটি সময় বের করুন যে সময়টিতে আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন। পড়াশোনায় মনোযোগের ক্ষেত্রে ব্যায়াম এবং খেলাধুলা করুন।ব্যায়াম এবং খেলাধুলা করলে শরীর ওমন দুইটি ভালো থাকে। আর পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে মন ভালো থাকাটা খুবই জরুরী। পড়ার জন্য সঠিক জায়গা নির্বাচন করুন।

অর্থাৎ যে জায়গাটিতে পড়তে আপনার ভালো লাগে সেই জায়গাটি বাছাই করুন। এমন জায়গায় পড়তে বসুন যে জায়গাগুলোতে আপনার পরিবারের কথাবার্তা অথবা বিভিন্ন সাউন্ড না থাকে। পরিমাণ মতো খাবার খাবার চেষ্টা করেন। বেশি পরিমাণে খাবার খাবেন না এতে আপনার অস্বস্তি ফিল হবে আর পড়তে ভালো লাগবে না। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনি যখন যেই কাজটি করবেন সেই কাজটির উপরে ফোকাস রাখুন।

সেই কাজটি করতে করতে অন্য কোন কাজের চিন্তা মাথায় আনবেন না। আশা করি এই বিষয়গুলো ফলো করলে আপনার মনোযোগ পড়াশোনায় অনেকটাই বেড়ে যাবে। এগুলার সাথে সাথে পারলে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করুন । এতে কি হবে এতে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং আপনার মনোবল বাড়বে।

মনোযোগ দিয়ে পড়ার উপায়

মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনি উজ্জ্বল আলোতে পড়তে বসতে পারেন। দিনের বেলা হলে আপনার ঘরের দরজা-জানলা খুলে পড়তে বসুন। এতে করে আপনার বলার মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে। আর যদি রাতে পড়তে বসেন তাহলে অবশ্যই টেবিল ল্যাম্প ব্যবহার করুন। এক কথায় বলতে গেলে কখনোই কম আলোতে পড়তে বসবেন না। এতে করে আপনার পড়ার মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাবে। পড়ার আগে পড়ার জন্য নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করে ফেলুন।

অর্থাৎ কতক্ষণ ধরে কোন সাবজেক্টে পড়বেন, কোন সাবজেক্টের কোন অধ্যায়টি করবেন সবগুলো ঠিক করে রাখুন। আর একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন পড়ার সময় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হাতের নাগালেই রাখুন। যাতে বারবার সে জিনিসগুলো আনতে না হয়। বারবার জিনিস গুলো আনতে গেলে পড়া থেকে মনোযোগ চলে যেতে পারে। পাড়ায় মনোযোগ বসানোর ক্ষেত্রে আপনার ব্যবহারকৃত স্মার্টফোনটি দূরে রাখুন।

কারণ ব্যবহারকৃত ফোনটি আপনার পাড়ায় মনোযোগ নষ্ট করতে পারে। একেবারেই খুবই দরকার না হলে ফোন ব্যবহার করবেন না। দীর্ঘমেয়াদী পড়া মনে রাখতে অন্য কাউকে পড়াতে পারেন। অন্য কাউকে পড়ালে কি হবে আপনার ওই বিষয়টির রিভিশন হয়ে যাবে। আর সেই পড়াগুলো আপনার অনেকদিন ধরে মনে থাকবে। পড়ার সময় অবশ্যই হাতের নাগালে পানির বোতল রাখবেন। যাতে আপনার ঘুম আসলে একটু পানি খেতে পারেন।

যদি আপনার ঘুম আসে তাহলে মনে মনে না পড়ে শব্দ করে পড়তে পারেন। এতে কি হবে শব্দ করে পড়ার কারণে আপনার ঘুম চলে যাবে। অবশ্যই পড়ার সময় টেবিলে পড়ার চেষ্টা করবেন। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হলো পড়ার সময় দাগিয়ে দাগিয়ে করার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো খুঁজে পেতে সহজ হবে। পড়া মুখস্ত না করে বুঝে বুঝে পড়ুন এতে আপনার পড়া অনেকদিন যাবত মনে থাকবে।

পড়াশোনায় ভালো করার উপায়

পড়াশোনায় ভালো করার জন্য আপনি পড়া মুখস্ত না করে পড়া বুঝে বুঝে পড়তে পারেন। তার সাথে সাথে মোটিভেশন শুরু করুন। অর্থাৎ আপনি কি স্বপ্ন নিয়ে পড়ছেন সেটা মাথায় রেখে পড়ুন। পড়াশুনায় ভালো করার জন্য আপনি পড়ার পর কলাম অথবা পেন্সিল দিয়ে প্রয়োজনীয় কথা গুলি দাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে আপনার পরীক্ষার সময় কষ্ট করে আর সম্পন্ন চ্যাপ্টারটি পড়তে হবে না।

আপনি যেগুলো দাগিয়ে রাখছিলেন ওইগুলো পড়ে গেলেই আপনি পড়াশোনা ভালো করতে পারবেন। নির্দিষ্ট সময় বেছে নিন যে সময়টিতে আপনার পড়তে ভালো লাগে। এমন জায়গায় পড়তে বসুন যেখানে একদম শান্ত পরিবেশ। পরিবারের কথাবাত্রা এবং কোলাহল থাকবে না এমন জায়গায় পড়তে বসুন। পড়াশোনা সময় শুধু যে বিষয়টি নিয়ে পড়ছেন ওই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন।

অন্য কোন বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবেন না এতে আপনার পড়ার মনোযোগ চলে যাবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পড়াশোনায় ভালো করার জন্য যখন আপনি পড়তে বসবেন তখন আপনার স্মার্টফোনটি বন্ধ করে রাখুন। একান্তই প্রয়োজন না হলে ফোন ব্যবহার করবেন না। যে বিষয়টি পড়ছেন মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। পড়াশোনায় ভালো করার জন্য উক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই মেনে চলুন।

পড়াশোনা করার নেশা

পড়াশোনা করার নেশা তৈরি করে তুলুন। তৈরি করে তুলতে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় বেছে নিন। ওই সময়টিতে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। শুধুমাত্র যে বিষয়টি নিয়ে পড়ছেন সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন কোন চিন্তা আপনার মাথার মধ্যে আনবেন না। তাহলে আপনার পড়াশোনার যে নেশাটা ওইটা কেটে যাবে। পড়াশোনায় মনোযোগের জন্য অবশ্যই শরীর সুস্থ থাকা দরকার। তার জন্য প্রতিদিন সকালে উঠে ব্যায়াম করো এবং পরিমাণ মতো খাবার খান। আর উপরে দেওয়া পড়াশোনায় মন বসানোর পাঁচটি উপায় জানতে পারলে আপনিও আজ থেকে পড়াশোনা শুরু করে দিবেন।

বেশি পরিমাণে খাবার খেলে আপনার অস্বস্তি লাগবে। যার কারণে আপনার পড়ার পদ্ধতি নেশাটি ছিল সেটি আর থাকবে না। পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট একটি জায়গা বাছাই করুন। আপনি কিসের জন্য পড়তে চান সেই বিষয়টি সবসময় মাথার মধ্যে রাখুন। পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করুন যাতে আপনার পড়ার প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।

শেষ কথা |পড়াশোনায় মন বসানোর পাঁচটি উপায়

এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি পড়ায় মনোযোগ বসানোর উপায় ও পড়াশোনায় মন বসানোর পাঁচটি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। উক্ত কৌশল গুলো ফলো করে পড়াশোনা করবেন। আর মনে রাখবেন ভালো রেজাল্ট করতে হলে আপনাকে ভালো করে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে।

আর আপনার যদি মনোযোগ না বসে তাহলে উপরের দেওয়া কৌশল গুলো ব্যবহার করে পড়াশোনা করবেন। অন্যদের পড়াশোনা মনে রাখার কৌশল জানাতে আর্টিকেল বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং নিত্যপ্রয়োজনে বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

বিজ্ঞাপন