ব্লু কাট চশমা চেনার উপায়-ব্লু কাট চশমার উপকারিতা
প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা কি ব্লু কাট চশমা চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে আজকের
পোস্টটিতে এসেছেন। তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন, কারণ আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা
ব্লু কাট চশমা চেনার উপায় ও ব্লু কাট চশমার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাই আপনারা যদি ব্লু কাট চশমা
চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শুরু থেকে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃআপনারা যদি ব্লু কাট চশমা চেনার উপায় ও ব্লু কাট চশমার অপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ
সহকারে পড়তে থাকুন।
ভূমিকা
বর্তমানে প্রায় সকল মানুষ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে
আসছে। এমনকি বাচ্চারাও ডিজিটাল ডিভাইস অর্থাৎ মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার ব্যবহার
করছে। দীর্ঘক্ষণ ডিজিটাল ডিভাইস অর্থাৎ মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে আমাদের চোখে
বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ এসব ডিভাইস থেকে এক ধরনের অতিবেগুনি
আলোকরশ্মি বের হয় যা আমাদের চোখের জন্য ক্ষতিকর।
তাছাড়া ও কম্পিউটার স্ক্রিন থেকেও ব্লু লাইট রশ্নি নির্গত হয় যা আমাদের
চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তবে আপনারা চাইলে কিছু নিয়ম মেনে এসব
ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে চোখের ক্ষতি হাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবেন। মোবাইল
ফোন অথবা কম্পিউটার এর ক্ষতিকর আলোক রশি থেকে বাঁচতে আপনারা ব্লু কাট চশমা
ব্যবহার করতে পারেন। এই চশমা গুলো সাধারণত মোবাইল ও কম্পিউটার থেকে নির্গত
ক্ষতিকর রশ্নি গুলোকে বাধা প্রদান করে।
আরো জানুনঃ
এসএসসি রেজাল্ট মোবাইলে দেখার নিয়ম
যার ফলে এ ধরনের রশ্নি আমাদের চোখে কোন ক্ষতি করতে পারে না। তবে আপনাদের
শুধু চশমা পরলেই হবে না সঠিক চশমা যাচাই-বাছাই করে কিনতে হবে। আর এজন্য আপনাদের
জানতে হবে ব্লু কাট চশমা চেনার উপায় সম্পর্কে, এর ফলে আপনারা অরজিনাল চশমা
কিনে নিজের চোখকে নিরাপদে রাখতে পারবেন।
ব্লু কাট চশমা চেনার উপায়
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর ব্লু লাইট রশি থেকে চোখকে রক্ষা করতে হলে অবশ্যই ভালো
মানের ব্লু কাট চশমা ব্যবহার করতে হবে। এজন্যই আপনাদের ব্লু
কাট চশমা কেনার আগে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে অরজিনাল চশমাটি কিনতে হবে। তাই
আপনাদের এখন ব্লু কাট চশমা চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে যা আমরা
আজকের এই অংশে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করব। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন
দোকানদার ব্লু কাট আসল চশমা চেনার জন্য ব্লু লেজার লাইট দিয়ে থাকে।
আরো জানুনঃ
মেয়েদের জন্য কোন ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং ভালো
তাছাড়া বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে যদি আপনি ব্লু কাট চশমা কিনে থাকেন, তাহলে সেই চশমার বক্সে তারা আপনাদের চশমা
টেস্ট করার জন্য একটি নীল রঙের লেজার লাইট দিয়ে দিবে। যার মাধ্যমে আপনি
পরীক্ষা করতে পারবেন যে আপনার চশমাটি অরজিনাল নাকি নকল।ব্লু কাট অরিজিনাল চশমা চেনার জন্য আপনাকে প্রথমেই লেজার লাইটটি চশমার
লেন্সের ওপর ধরতে হবে অর্থাৎ নীল লেজার লাইটটি অন করে চশমার লেন্সের উপর
ধরবেন।
এখন ভালোভাবে চশমার দিকে লক্ষ্য রাখুন। নীল লেজার লাইটের ক্ষতিকর আলোক রশ্নি
যদি চশমার লেন্স ভেদ করতে পারে তাহলে বুঝবেন এটি নকল ব্লু কাট চশমা। আর যদি চশমার লেন্স বা কাচের মধ্য দিয়ে নীল লেজার লাইটের
আলোক রশ্নি ভেদ না করতে পারে তাহলে বুঝবেন আপনার চশমাটি অরজিনাল ব্লু কাট চশমা।
মূলত এখানে যদি ব্লু লাইটের আলোক রশ্নি চশমার লেন্সটি যদি বাধা প্রদান করতে পারে
তাহলে এটি আসল চশমা। আশা করছি আপনারা এখন ব্লু কাট চশমা অরিজিনাল চিনতে
পারবেন। বর্তমানে প্রায়ই ব্লু কাট চশমা চেনার জন্য এ ধরনের ব্লু লেজার
লাইট দেওয়া হয়ে থাকে।
বিশেষ করে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে কিনলে বক্সেই ব্লু লেজার লাইট দেওয়া থাকে
যাতে আপনি চশমা পরীক্ষা করে দেখে নিতে পারেন। এভাবে আপনি সঠিক অরিজিনাল চশমা কিনে
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর নীল রশ্নি থেকে চোখকে রক্ষা করতে পারবেন। মোবাইল ফোন
বা কম্পিউটার থেকে নির্গত ব্লু লাইট আমাদের চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি
করতে পারে। বিশেষ করে চোখ অন্ধ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। তাছাড়াও চোখের ছানি
পড়া রোগ হতে পারে। তাই আপনাদের ব্লু কাট চশমা চেনার উপায় সম্পর্কে জেনে
সঠিক ব্লু কাট চশমা কিনে চোখকে রক্ষা করতে হবে।
ব্লু কাট চশমার উপকারিতা
আপনার অনেকেই ব্লু কাট চশমার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। এজন্য আমরা আজকের
এই অংশে ব্লু কাট চশমার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনারা হয়তো জানেন
মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে একপ্রকার ক্ষতিকর নীল আলোক রশ্মি নির্গত
হয়। এসব আলোক রশ্নি যদি আমাদের চোখে সরাসরি প্রবেশ করে তাহলে চোখের বিভিন্ন
ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে চোখে না দেখা অথবা চোখে দূরের
জিনিস কম দেখা এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।
এ ধরনের ক্ষতিকর আলোকরশ্মি বাধা প্রদান করার জন্য আমাদের অবশ্যই ব্লু কাট চশমা
ব্যবহার করতে হবে।ব্লু কাট চশমা ব্যবহার করার মাধ্যমেই আপনারা মোবাইল ফোনের নীল
আলোক রশ্নি থেকে চোখকে নিরাপদে রাখতে পারবেন। কারণ ব্লু কাট চশমার লেন্স এ ধরনের
আলোক রশ্নি ভেদ করতে বাধা প্রদান করে। চশমার লেন্সের মধ্য দিয়ে নীল আলোক রশ্নি
প্রবেশ করতে পারে না অর্থাৎ ভেদ করতে পারেনা। যার ফলে আমাদের চোখ অনেকটা নিরাপদে
থাকে।
বর্তমানে প্রায় সকলেই ছোট থেকে বড় সকল ধরনের বয়সের মানুষেরা দিনরাত ২৪ ঘন্টা
মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে। এর ফলে তাদের চোখে নানা ধরনের সমস্যা
হতে শুরু করে। কম্পিউটার স্কিনে একটা না তাকিয়ে থাকার ফলে চোখ ঝাপসা হয়ে যায়,
চোখের পানি শুকিয়ে যায়, চোখ চুলকাতে থাকে ইত্যাদি সহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা
দেয়। তাছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে এভাবে কোন ধরনের প্রটেকশন ছাড়া মোবাইল ফোন অথবা
কম্পিউটার দীর্ঘ সময় ব্যবহার করলে চোখে সানি পরা সমস্যা সহ চোখ নষ্ট হয়ে
যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এক্ষেত্রে আপনারা কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় ব্লু কাট চশমা
ব্যবহার করতে পারেন। এ ধরনের চশমা ব্যবহার করলে যে কোন ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস থেকে
ক্ষতিকর আলো প্রশ্নে চশমা ভেদ করে প্রবেশ করতে পারে না। যার ফলে আপনার চোখ
সুরক্ষিত থাকবে। তাহলে বুঝতে পারলেন ব্লু কাট চশমার উপকারিতা হলো মোবাইল ফোন বা
কম্পিউটারের স্কিনের ক্ষতিকর ব্লু রশ্নি থেকে চোখকে রক্ষা করা।
ব্লু কাট চশমার অপকারিতা
ব্লু কাট চশমার তেমন অপকারিতা নেই, বরং উপকারিতাই বেশি রয়েছে। কারণ এই চশমা
ব্যবহার করার ফলে আমাদের চোখ নিরাপদে রাখতে পারি। বর্তমানে স্মার্টফোন থেকে এক
ধরনের ব্লু রশ্নি নির্গত হয় যা চোখের ক্ষতি করতে পারে। এজন্য ব্লু
কাট চশমা ব্যবহার করার ফলে এ ধরনের রশ্নির ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
তবে অনেকেই আছে যারা ব্লু কাট চশমার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে
চান।
তাদেরকে আমরা বলব এই এ চশমা ব্যবহার করে তেমন কোন ধরনের অপকারিতা পাওয়া যায় না।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে ব্লু কাট চশমা পরিধান করে কম্পিউটার বা মোবাইল স্কিন ব্যবহার
করা হলে চোখের নিচে কালো হয়ে যেতে পারে। তবে এটি সবার ক্ষেত্রে হয় না, কিছু
ব্যক্তির ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ও অতিরিক্ত সময় ধরে এই চশমা পড়ে থাকলে চোখের নিচে
কালো দাগ দেখা দিতে পারে। তাছাড়া আর কোন ধরনের অপকারিতা পাওয়া যায় না বা
সমস্যা দেখা যায় না।
চশমা পরিষ্কার করার উপায়
আপনার চশমা যদি দীর্ঘদিন পরিস্কার না করা হয় তাহলে এর উপর তেল তেলে ভাব দেখা
যায় এবং ময়লার স্তর জমে যায়। যার ফলে চশমার লেন্স ব্যবহার করতে সমস্যা হয়।
চশমা পরিধান করলে সামনে ভালোমতো কোন কিছু দেখা যায় না। এজন্য আপনাদের অবশ্যই সব
সময় চশমার লেন্স অথবা কাচ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তাই আপনাদের সঠিক
নিয়মে চশমা পরিস্কার করার জন্য চশমা পরিস্কার করার উপায় সম্পর্কে ধারণা রাখতে
হবে। আর এ সম্পর্কে আমরা আজকের এই অংশে আলোচনা করব। চলুন নিম্নে চশমা পরিস্কার
করার উপায় গুলো জেনে নেই।
- প্রথমে আপনারা এক চা চামচ বেকিং সোডা কিছু পরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে নিবেন। এরপর উক্ত মিশ্রণটি নরম পরিষ্কার কাপড়ে লাগিয়ে চশমাটির লেন্সে ধীরে ধীরে ঘষে পরিষ্কার করুন। এভাবে চশমা পরিস্কার রাখতে পারবেন।
-
তাছাড়া আপনারা চাইলে মোবাইল স্কিন ক্লিনার অথবা গ্লাস ক্লিনার ব্যবহার করেও
চশমা পরিষ্কার রাখতে পারেন। সামান্য পরিমাণ গ্লাস ক্লিনার নিয়ে চশমার লেন্সে
হালকাভাবে নরম কাপড় দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করবেন।
-
টুথপেস্ট ব্যবহার করেও চশমার কাচ পরিষ্কার করতে পারবেন। পরিষ্কার কাপড় অথবা
হাতের আঙ্গুলের সাথে সামান্য পরিমাণ টুথপেস্ট লাগিয়ে চশমার ফ্রেম সহ লেন্সে
ঘোষে পরিষ্কার করুন।
-
আর একটা কথা মনে রাখবেন চশমা সব সময়ই পরিষ্কার এবং নরম সুতি কাপড় দিয়ে
পরিষ্কার করবেন। কারণ শক্ত কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করলে চশমার লেন্সের ক্ষতি
হতে পারে এবং দাগ পড়ে যেতে পারে।
-
এছাড়াও আপনারা সাধারণ পরিস্কার সুতি কাপড় পানিতে ভিজিয়ে চশমার লেন্স
পরিষ্কার করতে পারেন।
আশা করছি আপনারা তাহলে চশমা পরিস্কার করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানতে
পারলেন। সঠিক নিয়মে চশমা পরিষ্কার রাখুন। তাহলে আপনারা সেই চশমাটি দীর্ঘদিন
ব্যবহার করতে পারবেন।
ব্লু কাট চশমার দাম
বর্তমানে বাজারে ব্লু কাট চশমা বিভিন্ন দামের পাওয়া যায়। কারণ চশমার ফ্রেম
অনুযায়ী এর দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। চশমার ফ্রেম যত উন্নত হবে তত এর দাম
বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়াও চশমার লেন্স ও চশমার ফ্রেম এর কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে
বিভিন্ন দামের হয়ে থাকে। এ ধরনের ব্লু কাট চশমা গুলো সাধারণত সাধারণত চশমা থেকে
বেশি দামের হয়ে থাকে।
আরো জানুনঃ
ফ্রী লটারি খেলে টাকা ইনকাম
আপনারা ব্লু কাট চশমা ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন কোয়ালিটির পেয়ে
যাবেন। সুতরাং বলা যায় ব্লু কাট চশমার দাম সাধারণত ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে দুই
হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনারা চাইলে চশমার ফ্রেমের কোয়ালিটি অনুযায়ী
৫০০ টাকাতেও ব্লু কাট কিনতে পারবেন।
চশমার গ্লাস কত প্রকার
চশমা আমাদের চোখের জন্য অতি প্রয়োজনীয় জিনিস। বিশেষ করে যাদের বয়স বেশি হয়ে
থাকে তাদের অনেক সময় চোখের সমস্যা দেখা যায় সেই সময়ে চশমার প্রয়োজন হয়।
তাছাড়াও চোখকে ব্লু লাইট থেকে রক্ষা করার জন্য ব্লু কাট ব্যবহার করা হয়। তবে
আপনাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা চশমা গ্লাস কত প্রকার এ সম্পর্কে জানে না। চশমার
গ্লাস প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
- হোয়াইট আ্যন্টি রিফ্লেক্ট
- হোয়াইট লেন্স
- অটো লেন্স
তাছাড়াও চশমার গ্লাস আরো অনেক প্রকারের হয়ে থাকে।সাধারণভাবে চশমার গ্লাসকে
বিভিন্ন কাজের উপর ভিত্তি করে ভাগ করা হয়ে থাকে। তা নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
প্রেসক্রিপশন চশমাঃ এই চশমা গুলো সাধারণত ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশন করে
থাকে। অর্থাৎ যাদের চোখে সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের চশমা দেওয়া
হয়ে থাকে। বিশেষ করে যেসব ব্যক্তিরা দূরের অথবা কাছের জিনিস দেখতে পায় না
তাদের জন্য ডাক্তাররা এ ধরনের প্রেসক্রিপশন চশমা দিয়ে থাকে। প্রেসক্রিপশন চশমা
সাধারণত বিভিন্ন পাওয়ারের হয়ে থাকে।চশমার লেন্সের পাওয়ার সাধারণত চোখের
সমস্যার উপর নির্ভর করে দেওয়া হয়ে থাকে।
পড়ার চশমাঃ সাধারণত এ ধরনের চশমা গুলো নিকটবর্তী কোন বস্তু দেখার জন্য
পড়া হয়ে থাকে। যেসব ব্যক্তিরা কাছে জিনিস কম দেখে তাদের জন্য এসব চশমা দেওয়া
হয়। তাহলে বলা যায় কাছের জিনিস ভালো করে দেখার জন্য পড়ার চশমা ব্যবহার করা
হয়।
কম্পিউটার চশমাঃ আপনার হয়তো এই চশমা সম্পর্কে আগেই জেনেছেন। চোখকে
কম্পিউটার বা মোবাইল স্কিনের ক্ষতিকর নীল আলো থেকে রক্ষা করার জন্য এ ধরনের
কম্পিউটার চশমা বা ব্লু কাট চশমা ব্যবহার করা হয়।
সানগ্লাসঃ এ ধরনের চশমাগুলোর সাধারণত সূর্যের আলোর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে
চোখকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়াও ফ্যাশান করার ক্ষেত্রেও এ
ধরনের সানগ্লাস চশমা ব্যবহার করা হয়।
নিরাপত্তা চশমাঃ বিভিন্ন ধরনের গবেষণা কেন্দ্র অথবা কলকারখানায় কাজের
ক্ষেত্রে এ ধরনের চশমা ব্যবহার করা হয়। মূলত কল কারখানায় চোখের নিরাপত্তার জন্য
চশমা গুলো ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে গবেষণা কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের তেজস্ক্রিয়
রশ্নি নিয়ে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে যার কারণে এ ধরনের নিরাপত্তা চশমা
ব্যবহার করা হয়।
গেমিং চশমাঃ সাধারণত যারা গেমিং করতে পছন্দ করেন এবং কম্পিউটার বা মোবাইল
ফোনে অতিরিক্ত গেম খেলে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে চোখের চাপ ও প্রেসার কমাতে এ ধরনের
চশমা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
চশমা কে আবিষ্কার করেন
আপনারা কি জানেন চশমা কে আবিষ্কার করেছে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই অংশটি ভালো
করে পড়ুন। আধুনিক চশমা আবিষ্কারক হলেন গিরোলামো সাভোনারোলা। যিনি একজন ইতালীয়
নাগরিক। তাকে বর্তমানে চশমার আবিষ্কারক বলা হয়ে থাকে। তাছাড়া এক সূত্রে জানা
গেছে আল-হাসান ইবন হায়্যান ইবনু সাব্বাহ নামে বিজ্ঞানী চশমা আবিষ্কার করেছে। এ
নিয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। তবে আমরা উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী বলতে পারি চশমা
গিরোলামো সাভোনারোলা নামক ইতালীয় ব্যক্তি আবিষ্কার করেছেন।
চশমা সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃব্লু কাট চশমা কেন ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ ব্লু কাট চশমা সাধারণত চোখকে মোবাইল অথবা কম্পিউটার স্কিনের নীলরশ্নি
থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃচশমার ব্লু কাট হলে কিভাবে বুঝবো?
উত্তরঃ আপনার চশমাটি ব্লু কাট চশমা কি না তা বোঝার জন্য ব্লু লেজার লাইট
ব্যবহার করতে পারেন। ব্লু লেজার লাইট ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্লু কাট চশমা
চেনা যায়।
প্রশ্নঃব্লু লাইট চশমা কাজ করছে কিনা কিভাবে বুঝবো?
উত্তরঃ ব্লু লেজার লাইট ব্যবহার করে চশমা পরীক্ষা করে দেখে নিতে পারবেন। এই
লাইট ব্যবহার করে আপনার চশমাটি কাজ করছে কিনা সেটি পরীক্ষা করতে পারবেন।
প্রশ্নঃনীল আলোর চশমা কি সত্যিই কাজ করে?
উত্তরঃ হ্যাঁ গবেষণা দেখা গেছে নীল আলো চশমা সাধারণত নীল আলোর পরিমাণ কমাতে
সাহায্য করে অর্থাৎ ক্ষতিকর নীল আলোয় প্রবেশে বাধা প্রদান করে। তাহলে বোঝা
যাচ্ছে নীল আলোর চশমা সত্যিই কাজ করে। এখানে নীল আলোর চশমা বলতে ব্লু
কাট চশমাকে বোঝানো হয়েছে।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা এতক্ষণে পুরো পোস্টে ব্লু কাট চশমা চেনার উপায় ও ব্লু কাট চশমার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে গেছেন। তাছাড়া ও চশমা সম্পর্কিত আরো অনেক ধরনের তথ্য আজকের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। আপনাদের যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন এবং চশমা ব্যবহার করে চোখকে নিরাপদে রাখুন।