মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম বিস্তারিত জেনে নিন
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নামঃএই পোস্টটিতে আপনি মাথাব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। তাছাড়াও মাথা ব্যথা কমানোর উপায় সহ মাথা ব্যাথা কমানোর ১০ টি ওষুধের নাম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি মাথাব্যথা সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বর্তমানে মাথা ব্যথার সমস্যা প্রায় সকলেরই কম বেশি হয়ে থাকছে। তবে আপনি যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে আশা করি মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
সূচিপত্র
ভূমিকা ।মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম
এই সময়ে এসে আমাদের মাথা ব্যাথা এতই বেড়ে গেছে যে প্রতি 100 জন মানুষের মধ্যে ৮০% মানুষের মাথাব্যথার প্রবলেম দেখা দিচ্ছে। বর্তমানে মাথা ব্যথায় ভোগেন না এমন কোন মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই সম্পূর্ণ পোস্টটিতে আমি মাথাব্যথা কমানোর উপায় ও মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। তাই মাথাব্যথা কমানোর নানান উপায় সম্পর্কে জানতে সম্পন্ন পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।
মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম
আপনার অনেকেই মাথা ব্যথা কমানোর দশটি ওষুধের নাম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাদের জন্যই আমরা আজকের এই পাঠে মাথা ব্যাথা কমানোর ১০ টি ওষুধের নাম বা ট্যাবলেটের সম্পর্কে আলোচনা করব। মাথাব্যথা হয়ে থাকলে আপনারা কিছু ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন যার ফলে মাথা ব্যাথা কমানো যায়। বর্তমানে মাথাব্যথা সমস্যাটি প্রায় সকলেরই হয়ে থাকে। এই মাথাব্যথা হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে যা আপনারা পরের অংশে জানতে পারবেন। তবে এখন আর কথা না বাড়িয়ে মাথা ব্যাথা কমানোর ঔষুধের নাম জেনে নেই।
- Tufnil (200 mg Tablet)
- Fevanol Plus
- Migratol (200 mg Tablet)
- Namitol (200 mg Tablet)
- Rizatriptan
- Paracetamol
- Mygan
- Tolfi (200 mg Tablet)
- Namitol
- Lograin
আপনারা তাইলে উপরে মাথা ব্যথা কমানোর ১০টি ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতে পারলেন। আপনার অবশ্যই উক্ত ওষুধ গুলো গ্রহণ করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন রকম ওষুধ গ্রহণ করা ঠিক নয়। কারণ ডাক্তার আপনার মাথা ব্যথার ধরন ও কারণ বুঝে ওষুধ দিয়ে থাকবে। এজন্য মাথাব্যথা হলে আপনারা ডাক্তারের নিকট চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং উপরোক্ত ওষুধগুলো ডাক্তারকে দেখিয়ে গ্রহণ করতে পারেন।
মাথা যন্ত্রণা কেন হয়
মাথা ব্যথায় আমরা কম বেশি সবাই ভোগে থাকি। এমন কোন মানুষ নাই যে বলতে পারবে না তার জীবনে কোনদিন তার মাথাব্যথা হয় নাই। মাথা ব্যাথা সাধারণত দুই ভাবে হয়। প্রথম হচ্ছে আমাদের ব্রেনের বিভিন্ন সমস্যার জন্য। আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে আমাদের ব্রেনের কোন সমস্যা ছাড়াই মাথাব্যথা হয়। আমাদের বেশিরভাগ মাথা ব্যাথার কারণ হচ্ছে ব্রেনের কোন সমস্যা ছাড়াই। আমাদের ব্রেনের সমস্যা ছাড়া মাথা ব্যাথার কারণ হচ্ছে খুবই পরিমাণ টেনশন করা।
প্রচুর পরিমাণে টেনশন করলে আমাদের মাথাব্যথা অনেক আকারে বেড়ে যায়। কোন ধরনের দুশ্চিন্তা, অস্থিরতা এবং চিন্তাভাবনার কারণে আমাদের মাথা ব্যাথা তৈরি হয়। দুশ্চিন্তা, অস্থিরতা এবং চিন্তাভাবনার কারণে মাথাব্যথার পার্সেন্টেজ সবচেয়ে বেশি। প্রায় ৬৯ পার্সেন্ট মাথাব্যথা হয় এই তিনটা কারণে। মাথাব্যথা হয় আরেকটি কারণে সেটা হল আমাদের মাথার বিভিন্ন প্রবলেমের জন্য। যেমন, ব্রেনে কোনো ইনফেকশন থাকলে আমাদের মাথা ব্যাথার উৎপত্তি হয়।
অনেক সময় মাথা ব্যথা হয় আমাদের ব্রেনের যেই শিরা গুলো আছে এগুলা ছিড়ে যাওয়ার মাধ্যমে। কিন্তু এগুলার পরিমাণ খুব কম। এছাড়াও আমাদের দাঁতে যদি কোন পরিমাণ ইনফেকশন থেকে থাকে তাহলে আমাদের মাথা ব্যথা হতে পারে। এমনকি মানুষের চোখের যদি কোন প্রবলেম থাকে তার জন্য মাথাব্যথা হতে পারে।
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে আপনার মাথা ব্যাথা হলেই দুশ্চিন্তা করবেন না যে আমার ব্রেনে টিউমার হয়েছে বা অন্য কিছু হয়েছে। আপনার মাথা ব্যাথা হলেই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং মেডিসিন খান।
মাথা ব্যথা কমানোর উপায়
মাথা ব্যাথা কমানোর জন্য আমরা এখন মাথা ব্যাথা কমানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনার অনেকেই মাথা ব্যাথার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আমরা মাথাব্যথা কমানোর কিছু উপায় এখন তুলে ধরব। আপনারা যদি মাথাব্যথায় ভুলে থাকেন তাহলে উক্ত উপায় গুলো অনুসরণ করে মাথাব্যথা সাময়িকভাবে কমাতে পারবেন।
আরো জানুনঃ টাইগার মুরগি কত টাকা কেজি
তবে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মাথা ব্যথা করে তাহলে ডাক্তারের নিকট পরামর্শ করে মাথা ব্যাথা কমানোর ওষুধ খেতে পারেন। আর আমরা তো উপরে মাথাব্যথা কমানোর ওষুধের নাম তুলে ধরেছি সেগুলো ভালোভাবে জেনে নিবেন। চলুন এবার আমরা মাথাব্যথা কমানোর উপায় ও নিয়ম জেনে নেই।
- আপনার মাথা ব্যথা কমানোর জন্য চায়ের সাথে আদা মিশিয়ে আদা চা খেতে পারেন। এটি মাথা ব্যথা কমাতে অধিক কার্যকরী।
- এছাড়াও মাথাব্যথা দূর করতে বরফ ব্যবহার করতে পারেন। গরমকালে আপনারা একটি কাপড়ে বরফ পেঁচিয়ে মাথার ওপর লাগিয়ে রাখুন তাহলে অনেকটা মাথা ব্যাথা কমানো যায়।
- যে কোন বিষয়ে অতিরিক্ত টেনশন করা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে হাইপার টেনশন করবেন না। টেনশন করলে মাথা ব্যাথা হয়। তাই সবসময় টেনশন মুক্ত থাকুন।
- তাছাড়া আপনারা মাথা ব্যথা কমাতে বেশি বেশি পানি পান করতে পারেন। বিশেষ করে ঠান্ডা পানি পান করলে মাথা ব্যাথা কমানো যায়।
- অনেকে আবার রাতে দেরি করে ঘুমায়। ফলে তাদের মাথা ব্যথার সমস্যাটি বেশি হয়ে থাকে। তাই আপনারা পর্যাপ্ত পরিমাণ রাতে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।
- মাদকদ্রব্য ও অতিরিক্ত নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করা থেকে বিরত থাকুন। এগুলো আপনার শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি করতে পারে এবং মাথাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
- অতিরিক্ত কাজ করা থেকে বিরত থাকতে পারেন। আপনার যদি মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে কিছুদিন অতিরিক্ত কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন এবং বিশ্রাম নিবেন।
- তাছাড়া আপনারা মাথা ব্যথা কমানোর জন্য মাথা ব্যাথা দূর করার ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন। এর ফলে মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যাবে।
তাহলে আশা করছি আপনারা মাথা ব্যাথা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর যদি অতিরিক্ত মাথাব্যথা সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে মাথা ব্যথা কমানোর ওষুধ গ্রহণ করে মাথা ব্যথা কমাতে পারবেন। তবে চেষ্টা করবেন চিকিৎসকের নিকট গিয়ে দেখানো। চিকিৎসক আপনাকে সঠিক ওষুধ দেয়ার মাধ্যমে মাথা ব্যাথার সমস্যার সমাধান করে দেবে।
মাথা যন্ত্রণা কমানোর ঘরোয়া উপায়
সাধারণত আপনার যদি মাথা ব্যথা হয় তাহলে আপনি এক চুমুকে পানি পান করতে পারেন তাহলে কিছু সময়ের মধ্যে আপনার মাথা ব্যাথা অনেকটাই কমে যাবে। আরেকটি উপায় হচ্ছে লবঙ্গ একটি কাপড়ের মধ্যে দিয়ে রেখে তার গন্ধ নাক দিয়ে টানুন তাহলে আপনার মাথা ব্যথা কমে যাবে। আরেকটি উপায় হচ্ছে মাথাব্যথা শুরু হলেই এক টুকরো আদা মুখে নিয়ে ভালো করে চিবোতে শুরু করুন।
আরো জানুনঃ হীলফিট ট্যাবলেট এর উপকারিতা
আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে আপনি কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। তাতে করে খুব তাড়াতাড়ি আপনার মাথা ব্যাথা দূর হতে সাহায্য করবে। যদি আপনার মাথা ব্যথা হয় তাহলে আরেকটি কাজ আপনি করতে পারেন। । মাথাব্যথা হলে আপনার কপালে আর ঘাড়ে গরম অথবা ঠান্ডা পানির সেক দিতে পারেন। তাতে মাথা ব্যাথা নিমিষেই দূর হয়ে যাবে।
মাথা ব্যাথা হলে কি করা উচিত
আপনি যদি দেখছেন যে চা কফি অথবা অন্য কিছু তরল জাতীয় খাবার খেলে আপনার মাথা ব্যাথা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাহলে সেই খাবারগুলো বেশি পরিমাণে খাবেন না। আপনি যে পরিমাণ পানি খাচ্ছেন তার থেকে বেশি পানি যদি শরীর থেকে বের হয়ে যায় তাহলে আপনার মাথা ব্যাথা দিতে পারে। সেই জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এটি আপনার মাথা ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
সেই জন্য আপনি দিনে প্রায় দুই লিটার পানি পান করার চেষ্টা করুন। সাধারণত খাওয়া দাওয়া অনিয়ম করলে মাথা ব্যাথা হতে পারে। যেমন আপনি এক বেলা খাইলেন আর এক বেলা খেলেন না। তার জন্য মাথা ব্যাথা হতে পারে। সেই জন্য আপনি নিয়মিত খাবার খান। আমরা যেই খাবারগুলো খাই সেই খাবারগুলো থেকে এক প্রকার চিনি তৈরি হয় যে চিনি গুলা সাধারণত আমাদের ব্রেনের খাবার।
আর আপনি কম খাবার খেলে ব্রেনের খাবার তৈরি হয় না যার জন্য আপনার মাথা ব্যথা হয়। তাই সবসময় এই বিষয়গুলো এড়িয়ে চলবেন। নিয়মিত খাবার খাবেন। আর প্রধান যেই কারণটি হল আপনি একদমই মানসিক চাপ নেবেন না। মানসিক চাপ নিলে আপনার মাথার ব্যথা একদমই বেড়ে যাবে।
মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ
সঠিক পরিমাণে ঘুম না হলে এবং এলকোহল জাতীয় পদার্থ ও মানসিক চাপের কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। কিন্তু বেশির ভাগ ব্যথায় প্রাণঘাতই হয় না। তবে এমন কিছু কিছু মাথা ব্যথা রয়েছে যা নানান রোগের কারণ হতে পারে যেমন, সাইনাস, কনকষণ, ব্রেন টিউমার এবং স্ট্রোক ইত্যাদি রোগের কারণ হতে পারে। সাধারণত প্রতিটি মাথা ব্যাথার ধরনী আলাদা। বিশেষজ্ঞদের মতে ১৫০ টির বেশিও মাথাব্যথা রয়েছে। যার মধ্যে কিছুটা প্রাথমিক এবং কিছুটা আনুষাঙ্গিক মাথাব্যথা বলে গণ্য করা হয়।
মাথা ব্যাথার খাবার
আপনার যদি মাথা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে কিছু খাবার খাওয়ার মাধ্যমে মাথা ব্যাথা দূর করা যায়। মাথা ব্যাথা সাময়িকভাবে দূর করার জন্য আপনারা ঘরোয়া কিছু খাবার খেতে পারেন। সেই খাবার গুলোর নাম নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
- আদা
- তরমুজ
- দই
- পালং শাক
- পুদিনা পাতার রস
এছাড়াও আরো অনেক ধরনের খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়ার মাধ্যমে সাময়িকভাবে মাথাব্যথা দূর করা যায়। মাথাব্যথা দূর করার জন্য আপনারা আদা চা খেতে পারেন, এর পাশাপাশি লেবু পানীয় পান করতে পারেন।
মাথা ভারী লাগার কারণ
সাধারণত সর্দি, জ্বর এবং বিভিন্ন অসুখের জন্য আমাদের মাথা ভারী হয়ে থাকে। আরো বিশেষ দুটি কারণ হচ্ছে মাইগ্রেন এবং টেনশন।
ঘুমের ঘাটতির জন্য মাথা ভারী হতে পারে ঃসাধারণত ঘুমের ঘাটতি জন্য আমাদের মাথা ভারী হয়ে থাকতে পারে। তার জন্য আপনি চা খেতে পারেন। কিন্তু আপনাকে ঠিকমত ঘুমিয়ে সে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
ঠান্ডা লাগা বা সর্দির জন্য মাথা ভারী হতে পারেঃঠান্ডা লাগলে আপনি শুধুমাত্র আদা দিয়ে চা খেতে পারেন কিন্তু মনে রাখবেন চিনি ছাড়া চা খেতে হবে। আপনি চাইলে চায়ের সাথে আরো কিছু এড করতে পারেন যেমন, লবঙ্গ এবং পুদিনা পাতা।
শেষ কথা ।মাথাব্যথা কমানোর উপায়
আজকের পোস্টটি পড়ে আপনারা মাথা ব্যথা কমানোর উপায় ও মাথা ব্যথা কমানোর দশটি ঔষধের নাম সম্পর্কে জেনে গেছেন।পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাধ্যমে শেয়ার করুন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান জানতে আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ। আর অতিরিক্ত মাথাব্যথা হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে গিয়ে দেখান।