Telegram group

ordinarybdgnews

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে, এই উপায় গুলোর মাধ্যমে আপনারা অতি সহজেই মাসে ত্রিশ হাজার টাকা আয় করে ফেলতে পারবেন। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা তেমন একটা কঠিন ব্যাপার নয়। শুধু আপনাদের মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে যা আমরা আজকে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
আর্টিকেল সূচিপত্রঃমাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করা কিন্তু কঠিন বিষয় নয়, আপনারা শুধু বুদ্ধি খাটিয়ে পরিশ্রম করার মাধ্যমেই অনলাইন ও অফলাইন দুই মাধ্যমেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে কিভাবে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায় তার উপায় সমূহ আমরা আজকের পোস্টটিতে তুলে ধরব।

উপস্থাপনা | Monthly 30k income

আপনারা কি মাসে ৩০০০০ টাকার বেশি আয় করতে চান, তাহলে নিশ্চয়ই মাসে ত্রিশ হাজার টাকা আয় করার উপায় সমূহ জানতে আজকের পোস্টটি পড়বেন। বর্তমানে 30 হাজার টাকা আয় করার বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে। যেই উপায়গুলো জানলে আপনারা অতি সহজেই অনলাইনে অথবা অফলাইনে দুই মাধ্যমেই প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা করে আয় করতে পারবেন। 
৩০ হাজার টাকা আয় করা তেমন একটা কঠিন ব্যাপার নয়, শুধুমাত্র ইনকাম করার পদ্ধতি গুলো জানতে হয় তাহলেই মাসে ৩০ হাজার টাকা সহজে আয় করা যায়। বাংলাদেশের এমন অনেকে রয়েছে যারা প্রতি মাসে বিভিন্ন উপায়ে ঘরে বসেই ত্রিশ হাজার টাকা ইনকাম করছে। তাছাড়া অনেকে ঘরের বাইরে থেকেও কাজ করে খুব সহজে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। 
আপনারা চাইলে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন, সেজন্য আপনাদের অবশ্যই মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। যা আমরা আজকের এই পুরো পোস্টটিতে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাই উপায় গুলো জানতে ভালোভাবে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করুন।

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় (অনলাইন পদ্ধতি) 

বর্তমানে এই আধুনিক যুগে অনলাইনের মাধ্যমেই ঘরে বসে খুব সহজেই প্রতি মাসে ত্রিশ হাজার টাকার বেশি আয় করা সম্ভব হচ্ছে। আপনারা হয়তো জানেন বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে অনেকেই সফলতা অর্জন করছে। তাছাড়াও ফ্রিল্যান্সিংকে অনেকেই পেশা হিসেবে নিয়ে নিয়েছে। 

আপনারা চাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর যে কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে অতি সহজে অনলাইন থেকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন অংশ রয়েছে, আপনারা যেকোন একটি বিভাগে অভিজ্ঞতা অর্জন করলেই অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। অনলাইন থেকে আয় করা তেমন একটা কঠিন বিষয় নয়, 
শুধুমাত্র বুদ্ধি ও পরিশ্রম দিয়ে কাজ করে গেলেই অনলাইনে ঘরে বসেই লক্ষ টাকার উপরে আয় করা যায়। আমরা এখন নিম্নে অনলাইন থেকে মাসে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব। নিম্নে অনলাইন থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার পদ্ধতি গুলো তুলে ধরা হলোঃ 

ব্লগিং করে আয় ৩০ হাজার টাকা

আপনারা যারা স্টুডেন্ট রয়েছেন তারা পড়াশোনার পাশাপাশি ব্লগিং করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে খুব সহজেই প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। যাদের লেখালেখি করার অভ্যাস রয়েছে তারা চাইলে ব্লগিং ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে আয় করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইন থেকে আয় করার জনপ্রিয় ও সহজ উপায় হলো ব্লগিং করা। এই ব্লগিং করার মাধ্যমে বর্তমানে অনেকেই প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। 
আপনারা নিজের ওয়েবসাইটে অথবা অন্যজনের ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি নিজের ওয়েবসাইট খুলে সেখানে আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে ব্লগিং করে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। আপনারা ব্লগিং করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট অথবা ব্লগার ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। ওয়েবসাইট খোলার পর সেখানে প্রতিদিন আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করতে থাকবেন। 
এভাবে এক সময় গুগলের অ্যাডসেন্স মনিটাইজেশন পেয়ে গেলে আপনারা খুব সহজেই অনলাইন থেকে ব্লগিং করে আয় করতে পারবেন। আপনারা যেই আর্টিকেলটি পড়তেছেন, আমি সেই ব্লগিং করে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় করে থাকি। আপনারা চাইলে আমার মত ব্লগিং করে প্রতি মাসেই ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। অনলাইন ইনকাম এর সোর্স হিসাবে এটি হতে পারে আপনার সবচেয়ে সেরা উপায়। 

ইউটিউব থেকে প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা আয়  

ইউটিউব থেকে প্রতিমাসে ফ্রিল্যান্সাররা লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। আপনারাও চাইলে ইউটিউব থেকে প্রতি মাসেই ত্রিশ হাজার টাকা করে আয় করতে পারবেন। আপনারা হয়তো জানেন বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হল ইউটিউব। এখানে কমবেশি প্রায় সকলেই বিভিন্ন ধরনের ভিডিও প্রতিনিয়ত আপলোড করে থাকে। আর সেই আপলোডের ভিডিও থেকে তারা প্রতিদিন অনলাইন থেকে ইনকাম করতে। 

ইউটিউব থেকে আপনারা দুটি উপায়ে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। প্রথমত আপনারা গুগল এডসেন্স থেকে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। আর দ্বিতীয় স্পন্চরশীপ ও প্রমোশন করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। আপনারা চাইলে নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে প্রতিদিন ভিডিও আপলোড করে মাসে ত্রিশ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারেন। ইউটিউব চ্যানেলে মনিটাইজেশন পেয়ে গেলেই আপনারা অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। 

এজন্য আপনাদের প্রতিদিন ইউনিক ভিডিও আপলোড করতে হবে। আমাদের জানামতে এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা নিত্যদিনের ভিডিও আপলোড করে ইউটিউব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। তাহলে আপনারা বসে আছেন কেন, আপনারাও ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ার মাধ্যমে আয় করা শুরু করুন। এই ইউটিউব প্লাটফর্মটি হতে পারে আপনার জন্য মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার অন্যতম উপায়। 

ফেসবুক থেকে প্রতিমাসে ৩০ হাজারে ইনকাম 

আপনার হয়তো অনেকে জানেন ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে। এই উপায় গুলো অবলম্বন করলে আপনারা খুব সহজেই ফেসবুক থেকে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তার মধ্যে একটি অন্যতম উপায় হল ভিডিও আপলোড করা। ফেসবুকে আপনি বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

তাছাড়া ফেসবুকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার সুযোগ সুবিধা রয়েছে। অনেকেই বর্তমানে ফেসবুকে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে মনিটাইজেশন অন করে মাসে অতি সহজেই ত্রিশ হাজার টাকার বেশি আয় করা যায়। তাছাড়াও ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা করে , কনটেন্ট তৈরি করে , প্রমোশন করে আয় করা যায়। মূলত ফেসবুক থেকে আয় করার অনেক সোর্স রয়েছে। 

যার ফলে আপনি ফেসবুক থেকে যেকোন উপায়েই আয় করতে সক্ষম হবেন। ফেসবুকে কাজে লাগিয়ে আপনারা খুব সহজে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আমরা কিন্তু অন্য এক পোস্টে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় আলোচনা করে এসেছি, সেই পোস্টটি আপনারা পড়ে দেখতে পারেন। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা করা রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম

বর্তমানে এই যুগে সকলেই ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরগুলো অনেক বড় যেখানে কাজের অভাব নেই। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রথম অবস্থায় আপনি খুব সহজে প্রতি মাসে ত্রিশ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং বিষয়গুলোতে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। 

আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের যেকোনো একটি বিষয়ে স্কিল থাকলেই সেটিকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রচুর কাজ রয়েছে, এখানে কোন কাজের অভাব হয় না। আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর যেকোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করে সহজেই প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। 

ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে কন্টেন্ট রাইটিং , লোগো ডিজাইন ,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট , গ্রাফিক্স ডিজাইন , ভিডিও এডিটিং , এনিমেশন ডিজাইন , অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সহ আরো অনেক কাজ রয়েছে। আপনাদের যদি ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়গুলোর যেকোন একটিতে দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে আপনি সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসাবে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরকে সবাই বেছে নিতে পারেন।

কনটেন্ট রাইটিং করে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় 

আপনারা হয়তো আগে জেনেছেন ব্লগিং করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা যায়, আর ব্লগিং করার জন্য কনটেন্ট রাইটিং করতে হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন কনটেন্ট রাইটিং করেই প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আপনারা চাইলে নিজের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট রাইটিং করে অথবা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কন্টেন্ট রাইটিং করে আয় করতে পারবেন। 

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে ইংলিশ রাইটার এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই আমরা বলবো আপনারা যারা ইংলিশে ভালো রয়েছেন তারা ইংলিশ কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন। কারণ ইংলিশ কনটেন্ট রাইটিং করে আপনারা প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। 

পাশাপাশি বাংলা কনটেন্ট লিখেও বর্তমানে আয় করা যায়। অনেক বাংলাদেশী ক্লাইন্ট বাংলা কনটেন্ট রাইটার নিয়োগ দিয়ে থাকে। সেখানে আপনি তাদের সাথে কাজ করে 20 থেকে 30 হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আর ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে বিদেশি ক্লায়েন্টের কাছে কনটেন্ট বিক্রি করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে ৩০ হাজার টাকা খুব সহজে আয় করা সম্ভব। আপনারা বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ঘরে বসেই অনলাইন থেকে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে বিক্রয় করে দেওয়া। 

আপনি যদি কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট আপনার বানানো অ্যাফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে বিক্রি করে দিতে পারেন তাহলে আপনারা সেই কোম্পানির কাছ থেকে নির্দিষ্ট টাকার কমিশন পেতে পারেন। মূলত আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে যত বেশি ব্যক্তি পণ্যটি ক্রয় করতে থাকবে তত আপনার ইনকাম বাড়তে থাকবে। 

এটি একটি প্যাসিভ ইনকাম সোর্স। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে পুনাঙ্গ ধারণা না থাকলে আপনারা কাজ করতে পারবেন না। তাই প্রথমেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় এটি শিখে আসবেন। মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং হতে পারে সবচেয়ে সেরা পদ্ধতি।

অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকা আয় 

আপনারা চাইলে অনলাইন প্লাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের কোর্স বিক্রি করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ৩০ হাজার টাকার বেশি প্রতি মাসে আয় করতে পারবেন। বিশেষ করে আপনারা যারা বিভিন্ন পড়ালেখার বিষয় অথবা ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে এক্সপার্ট রয়েছেন তারা চাইলে ভিডিও বানিয়ে অনলাইনে কোর্স হিসেবে বিক্রি করতে পারেন। তাছাড়াও সরাসরি অনলাইনে পড়ালেখা সহ বিভিন্ন বিষয়ে টিউশন ও ক্লাস করাতে পারেন। 

এভাবেই অনলাইনে কোর্স করিয়ে অনেকে এই মাসে ত্রিশ হাজার টাকার বেশি আয় করছে। আপনার যেই বিষয়টিতে স্কিল রয়েছে সেটি আপনি ফেসবুক বা ইউটিউব এর মাধ্যমে কোর্স করাতে পারেন। এভাবে কোর্স করিয়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। যেমন ধরুন বর্তমানে ইউটিউবে টেন মিনিট স্কুল পড়াশোনার বিষয়ে কোর্স করিয়েই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।

অফলাইনে প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

আপনারা সকলেই এতক্ষণে অনলাইন থেকে মাসে ত্রিশ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে আমরা এখন অনলাইন ছাড়াও অফলাইন থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব। আপনারা চাইলে ঘরের বাইরে গিয়েও কাজ করে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। 

সেজন্য আপনাদের উপায় গুলো সম্পর্কে অবশ্যই অবগত থাকতে হবে। তাই আমরা এখন আজকের এই অংশে অফলাইন থেকে প্রতি মাসে 30000 টাকা আয় করার উপায় সমূহ সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করব। নিম্নে অফলাইন থেকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় তুলে ধরা হলোঃ

 ইনভেস্টমেন্ট করে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম

আপনাদের কাছে যদি ইনভেস্ট করার মত টাকা থাকে তাহলে আপনারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারেন। বিশেষ করে আপনারা জমিতে , রিয়েল এস্টেট , স্টক মার্কেট সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ইনভেস্ট করে প্রতি মাসে ত্রিশ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। বর্তমানে জমিগুলোতে ইনভেস্টমেন্ট করলে বেশি লাভবান হওয়া যায়। 

কারণ জমিগুলোর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে এবং জমির দাম গুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনারা যদি জমিতে ইনভেস্ট করেন তাহলে নিশ্চয়ই লাভবান হতে পারবেন। তাছাড়া স্টক মার্কেটগুলোতে ইনভেস্টমেন্ট করতে পারেন সেখান থেকেও প্রচুর লাভ করা যায়। এভাবে আপনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সতর্কতার সহিত ইনভেস্টমেন্ট করে প্রতি মাসে 30000 টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।

মুদিখানার দোকান দিয়ে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম

বর্তমানে অনেকেই মুদিখানা দোকান দিয়ে মাসে ত্রিশ হাজার টাকা অতি সহজে ইনকাম করে ফেলছে। আপনারাও কিন্তু বাসার আশেপাশে অথবা জনসমাগম এলাকাগুলোতে মুদিখানার দোকান দিয়ে মাসে ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় করে ফেলতে পারেন। অনেকেই লেখাপড়া করে ভালোমতো চাকরি পাচ্ছে না, যার কারণে অনেক ব্যক্তিরা মুদিখানার দোকান দিয়ে অতি সহজেই মাসে ত্রিশ হাজার টাকা ইনকাম করছে। 

মুদির দোকান দিতে হলে প্রথমে আপনাকে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। কারণ মুদিখানার দোকানে প্রয়োজনীয় পণ্য ও মালামাল কিনতে হয়। মুদিখানার দোকানে যেহেতু আপনারা পণ্য বিক্রি করে ব্যবসা করবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে ভেবে চিনতে কাজ করতে হবে। মুদিখানার দোকানে অবশ্যই সকল প্রয়োজনীয় জিনিস সরঞ্জাম রাখতে হবে।

শিক্ষকতা করে মাসে ত্রিশ হাজার টাকার বেশি আয়

আপনারা কিন্তু চাইলে শিক্ষকতা করেও মাসে ত্রিশ হাজার টাকার বেশি করতে পারেন। যারা ভালো স্টুডেন্ট রয়েছেন তারা বাসা বাড়িতে গিয়ে ছাত্রদের পড়াতে পারেন। কারণ বর্তমানে অনেক অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের জন্য ভালো শিক্ষক খুজে থাকে। অনেকেই বাসা বাড়িতে সন্তানদের পড়াশোনা করানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে থাকে। 

আপনারা যারা ভাল ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন তারা চাইলে শিক্ষকতার কাজ করে অনায়াসে এই মাসে ত্রিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। তাছাড়া অনলাইন প্লাটফর্মেও টিউশনি করে আয় করতে পারেন। ছাত্রদের জন্য মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে শিক্ষকতা সেরা পদ্ধতি হতে পারে।

ই-কমার্স ব্যবসা থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়

আপনারা কিন্তু ই-কমার্স ব্যবসা করেই প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। অনলাইনে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম খুলে সেখানে ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। ই-কমার্স ব্যবসা করার জন্য টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। আর যেকোনো ধরনের ব্যবসা করতে হলেই ভাবনা চিন্তা করে কাজ করতে হয়। বিশেষ করে বর্তমানে বাজারে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি রয়েছে তার ওপর নির্ভর করে ব্যবসা টার্গেট ঠিক করতে হয়। 
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
আর এ ধরনের ব্যবসা করতে হলে প্রচুর পরিশ্রম ও মেধা শক্তি খাটিয়ে কাজ করতে হয়। বর্তমান সময়ে ই-কমার্স ব্যবসাটি খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করছে। প্রায় বেশিরভাগই এখন অনলাইনে এ ই -কমার্স ব্যবসা শুরু করেছে। আপনারা চাইলে সঠিক পণ্য বা সঠিক নিস সিলেকশন এর মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

মুরগির খামার থেকে মাসে ত্রিশ হাজার টাকা আয়

সকলে হয়তো জানেন বর্তমানে বাজারে মুরগির চাহিদা অধিক রয়েছে। যার কারণে অনেকেই বর্তমানে বাসা বাড়িতে বা গ্রামের বাড়িতে মুরগির খামার গড়ে তুলছে। মুরগির খামার গড়ে তুলে অনেকেই লাভজনক ব্যবসা শুরু করছে। এই মুরগির খামার গড়ে তুলেই প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকার বেশি আয় করা সম্ভব। যারা নতুন মুরগির খামার করে তুলবেন তারা হয়তো প্রথম মাসেই ত্রিশ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন। ধীরে ধীরে আপনাদের ইনকাম বৃদ্ধি হতে থাকবে। 

মূলত আপনি মুরগির খামার যত বড় করতে থাকবেন অর্থাৎ আমারে মুরগির সংখ্যা বৃদ্ধি হতে থাকলেই সেখান থেকে আপনি বেশি লাভ করতে পারবেন। পাশাপাশি মুরগির ডিমের ব্যবসা করতে পারেন। ডিমের প্রচুর চাহিদা রয়েছে, যার কারণে বর্তমানে বেশিরভাগ মুরগি ব্যবসায়ীরা ডিমের ব্যবসা করে আসছে। মুরগির খামার গড়ে তুলে লাভজনকভাবে ব্যবসা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই মুরগি সম্পর্কে জানতে হবে। সকল কিছু মাথায় রেখে তারপরে ব্যবসা শুরু করতে হবে।

ফাস্টফুড এর দোকান দিয়ে মাসে ত্রিশ হাজার টাকা ইনকাম

বর্তমানে ফাস্ট ফুড খাবারের অধিক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে ভ্রমণ প্রিয় মানুষেরা ও স্টুডেন্টরা এই ধরনের খাবার গুলো বেশি পছন্দ করে থাকে। আপনারা চাইলে বাড়ির আশেপাশে অথবা জনসমাগম এলাকাগুলোতে ফাস্টফুডের দোকান দিয়ে খুব সহজে মাসে ত্রিশ হাজার টাকা বেশি আয় করতে পারবেন। তাছাড়া আপনারা চাইলে পর্যটক এলাকা গুলোতে ফাস্টফুডের দোকান দিতে পারেন। 

কারণ পর্যটকরা ফাস্ট ফুড খেতে বেশি পছন্দ করে। এই ফাস্ট ফুডের এর ব্যবসায় কোন ধরনের লস হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে মনে রাখবেন আপনার খাবারের কোয়ালিটি অবশ্যই ভালো হতে হবে। খাবারের কোয়ালিটি ভালো হলেই আপনার খাবার বিক্রির হার বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে আপনার এখান থেকেই সহজেই অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

নিজের ব্যবসা দাঁড় করিয়ে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়

আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন তাহলে নিজেই নিজের ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। বর্তমানে অনেকেই উদ্যোক্তা হয়ে নিজের ব্যবসা দাঁড় করাচ্ছে। বেশিরভাগ উদ্যোক্তারা অনলাইনেই তাদের ব্যবসা দাঁড় করাচ্ছে। আপনারা চাইলে অনলাইনে অথবা অফলাইনে নিজের ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন। ব্যবসা করার জন্য টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। 

আর আপনি যেহেতু নিজের ব্যবসা করবেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই কোন ব্যবসাটি আপনার জন্য লাভজনক হবে সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করবেন। অবশ্যই মাথায় রাখবেন কোন বিষয়টি আপনি ভালো পারেন তার ওপর নির্ভর করে ব্যবসা নিস সিলেকশন করবেন। আর ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে হলে অনেক পরিশ্রম ও ধৈর্য সহকারে কাজ করতে হয়। 

নিজের ব্যবসা করে তুলে অনায়াসে এই মাসে লক্ষ টাকার উপরে আয় করা সম্ভব। মনে রাখবেন ব্যবসাতে লস ও লাভ দুটোই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই লসের চিন্তা করে ব্যবসা না করার চিন্তা ভাবনা করবেন না। কারণ ব্যবসাতে সামান্য লস থাকেই। তবে আপনি যদি সঠিক উপায়ে ব্যবসা করেন তাহলে লস হওয়ার থেকে লাভ হওয়া সম্ভবনা বেশি।

ফার্মেসির দোকান থেকে মাসে ত্রিশ হাজার টাকা আয়

আপনাকে কিন্তু চাইলে ছোট আকারের ফার্মেসির দোকান দিয়েই মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন। তবে সেক্ষেত্রে ফার্মেসির দোকানটি ভালো অবস্থানে থাকতে হবে। যেমন ফার্মেসির দোকান বাজারের এলাকায় থাকলে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে। আর ফার্মেসির দোকানে সকল ধরনের ওষুধ থাকতে হবে। ভালো মানের ওষুধ বিক্রি করলে খুব সহজেই ফার্মেসির দোকান থেকে ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় করা সম্ভব। 

বর্তমানে অনেকেই ফার্মেসির দোকান দিয়ে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করছে। ফার্মেসির দোকানগুলো অবশ্যই জনসমাগম এলাকায় থাকতে হবে। আর দোকানে অবশ্যই সকল ধরনের ভালো কোয়ালিটির ঔষধ মজুদ রাখতে হবে। আপনারা জানেন মানুষ অসুস্থ হলেই ফার্মেসিতে গিয়ে থাকে। আর ফার্মেসিতে ভালো মনের ওষুধ ক্রয় করতে চাই। ফার্মেসির দোকান থেকে লাভবান হতে হলে আপনাদের অবশ্যই কিছু বিষয় চিন্তা ভাবনা করে কাজ করতে হবে।

 যেমনঃ ওষুধের কোয়ালিটি ভালো হতে হবে, গ্রাহক সেবা উন্নত রাখতে হবে , দোকানটি ভালো অবস্থানে থাকতে হবে , দোকানের প্রচার প্রচারণা করতে হবে। এভাবে সকল বিষয়গুলো মেনে চলে কাজ করলেই ফার্মেসীর দোকান থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তাই এখনই মাসে ত্রিশ হাজার টাকা আয় করার উপায় হিসেবে ফার্মেসির দোকান দিয়ে কাজ শুরু করুন।

শেষ কথা 

আশা করছি প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টটিতে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। তাছাড়াও পোস্টটিতে অনলাইন ও অফলাইন দুইটি উপায়ের মাধ্যমে আয় করার পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে। আপনাদের মনে রাখতে হবে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে হলে অবশ্যই পরিশ্রম ও ধৈর্য সহকারে কাজ করতে হবে। তবে মনে রাখবেন মাসে ত্রিশ হাজার টাকা আয় করা তেমন একটা কঠিন ও সহজ বিষয় নয়। 

আজকের আলোচনায় উপায় গুলো অবশ্যই ভালো করে পড়বেন এবং কোনটি আপনার পছন্দ হয় সেটি নির্বাচন করে ব্যবসা করা শুরু করুন। দেখবেন আপনি প্রথম মাস থেকেই ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় করতে শুরু করেছেন। মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url