Telegram group

ordinarybdgnews

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে জানতে চান , তাহলে একদম সঠিক পোস্টটিতে রয়েছেন। কারণ আজকের পোস্টটিতে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করা হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যে কাজগুলোর মার্কেটপ্লেসে চাহিদা বেশি রয়েছে। এ ধরনের কাজ করলে আপনারা খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি
আর্টিকেল সূচিপত্রঃবর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে সফলতা অর্জন করতে হলে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এর এত বড় সেক্টরে সকল কাজ করে সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। 

সহজ ও চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলো করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সফল হওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি হয়ে থাকে সেই সম্পর্কে আমরা আজকের এই পোস্টটিতে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করব।

উপস্থাপনা

ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার জন্য আপনাদের অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি হয়ে থাকে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। আর অবশ্য আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং করার পূর্বে কোন কাজ করবেন সেই বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যেকোনো কাজ করে সহজেই ইনকাম করা যায় না। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর অনেক বড় আকার ধারণ করেছে। 
এখানে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং থেকে ইনকাম করার জন্য আপনাদের অবশ্যই লক্ষ্য নির্ধারণ করে এবং ফ্রিল্যান্সিং কাজ নির্বাচন করে ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রবেশ করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং থেকে সফলতা পাওয়ার একমাত্র কৌশল হলো ফ্রিল্যান্সিং বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা। আপনি একমাত্র ফ্রিল্যান্সিং বিষয়গুলো জানার মাধ্যমেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। 
আর কাজের প্রতি মনোযোগ ও পরিশ্রম দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। শুধু ফ্রিল্যান্সিং বিষয় সম্পর্কে জানলে হবে না, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো ভালোমতো শিখতে হবে। তাই আপনারা ফ্রিল্যান্সিং করার পূর্বে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং স্কিল গুলো ডেভেলপমেন্ট করবেন। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং বিষয়গুলো শিখে তারপরে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করবেন। 
আপনারা যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজ না শিখেই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে প্রবেশ করেন তাহলে কখনোই এখান থেকে সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। আর কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এ সম্পর্কে জেনে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

আপনারা যদি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার চিন্তা করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনাদের ফ্রিল্যান্সিং বিষয়গুলো বাছাই করে কাজ করতে হবে। আর আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি এখান থেকে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। আর অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করার পূর্ব শর্ত হলো ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। 
মূলত আপনি যে বিষয়টি সম্পর্কে ভালোমতো জানেন এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে সেই বিষয়টি নিয়ে ফিন্যান্সিং কাজ করলে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তবে আপনারা চাইলে  ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি হয়ে থাকে সেগুলো শিখে তারপর থেকে কাজ করা শুরু করতে পারেন। কিন্তু আপনাদের এক্ষেত্রে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। আর পোস্টটিতে আমরা ফ্রিল্যান্সিং এর যে কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি তা তুলে ধরার চেষ্টা করব।
  • ডাটা এন্ট্রি
  • অ্যাপ ডেভেলপার
  • ভিডিও এডিটিং
  • ভয়েস ওভার
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • ওয়েব ডিজাইনার
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
সাধারণত উপরের দেওয়া দশটি কাজ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে। ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হল ফ্রিল্যান্সিং। প্রতিনিয়ত ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা বেরিয়ে চলেছে, আর মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। 
তার সাথে সাথে ক্লায়েন্টদের সংখ্যা ও কাজের পরিমাণ বাড়ছে। যেকারণে প্রতিনিয়ত ফ্রিল্যান্সিংয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা বেড়ে চলেছে। উপরে উল্লেখিত ১০ টি কাজের চাহিদা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি। তবে চলুন কাজগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

১। ডাটা এন্ট্রিঃ নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সবচেয়ে সহজ কাজ হলো ডাটা এন্ট্রি। আর এই কাজটি চাহিদা বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সবচেয়ে সহজ কাজ হল ডাটা এন্ট্রির কাজ। এই কাজটি যেকোনো ব্যক্তি করতে পারবে। ডাটা এন্টির কাজে আপনার অভিজ্ঞতা থাকলেও কিছু বিষয়ে সামান্য পরিমাণ দক্ষতা থাকতে হবে। 

মূলত ডাটা এন্টি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে জানতে হবে এবং আপনারা টাইপিং স্পিড ভালো হতে হবে। তাছাড়াও মাইক্রোসফট অফিস , ওয়ার্ড এক্সেল সহ বিভিন্ন সফটওয়্যার এ দক্ষতা থাকা উচিত। তাহলে আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ করে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনারা যারা কম দক্ষতা নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে চান তাদের জন্য ডাটা এন্টির কাজ ভালো হবে। 

তবে এই কাজে চাহিদা বর্তমানে বেশি হওয়ার কারণে আপনি মার্কেটপ্লেসে খুব সহজে কাজ নাও পেতে পারেন। আপনি যদি নতুন ফ্রিলেন্সার হয়ে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনাকে কাজ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কারণ যেহেতু ডাটা এন্টির কাজটি অনেক প্রতিযোগিতামূলক হয়ে গিয়েছে সে কারণে নতুনদের জন্য কাজ পাওয়া বর্তমানে মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২। অ্যাপ ডেভেলপারঃ অনলাইন থেকে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে চাইলে আপনাদের অবশ্যই অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকতে হবে। এই কাজটি করে খুব সহজেই প্রচুর টাকা আয় করা যায়।অ্যাপ ডেভলপারের কাজ হল মূলত অ্যাপস তৈরি করা এবং সেটি ডেভেলপমেন্ট করা। বর্তমানে অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা নিজেদের পণ্য ও সার্ভিস সমূহ পরিচালনা করার জন্য অ্যাপস তৈরি করার কাজ দিয়ে থাকে। 
বেশিরভাগ কোম্পানিগুলো তাদের নিজেদের অ্যাপস তৈরি করে থাকে। আর এই অ্যাপস তৈরি করার জন্য তারা ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে। বিভিন্ন রকম কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস এর প্রয়োজন হয়। তাহলে বুঝতে পারছেন বর্তমানে সবচেয়ে অ্যাপ ডেভেলাপারদের কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে ডিমান্ডোবেল কাজ হল অ্যাপস তৈরি করা। তাই ফ্রিল্যান্সিং করার পূর্বে অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট শিখে নেবেন।

৩। ভিডিও এডিটিংঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে ভিডিও এডিটিং কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এর ভিডিও এডিটিং করে সহজেই প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমানে কমবেশি সকল কোম্পানির ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে, তারা youtube চ্যানেলে ভিডিও তৈরি করে থাকে এবং সেই ভিডিও এডিট করার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের খুঁজে থাকে। 

আপনি যদি ভিডিও এডিটিং জেনে থাকেন তাহলে তাদের ভিডিও এডিট করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। তারা ভিডিও এডিটিং করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ স্যালারি দিয়ে থাকে। আজকাল প্রায় সকল কোম্পানিগুলোর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। 

তাদের চ্যানেলগুলোতে পণ্যর প্রচার পরিচালনা করার জন্য ভিডিও বানিয়ে থাকে। সেই ভিডিওগুলো এডিট করার প্রয়োজন পড়ে। তাই তারা ভিডিও এডিট করার জন্য ভিডিও এডিটিং ফ্রিল্যান্সারদের খুঁজে থাকে। আপনারা তাদের সাথে কাজ করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। 

৪। ভয়েস ওভারঃ আপনি একজন ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে বিদেশি ক্লায়েন্টরা তাদের ভিডিওতে ভয়েস ওভার করার জন্য ভয়েস আর্টিস্ট খুঁজে থাকে। আপনারা যারা ভয়েস ওভার করতে পারেন তারা চাইলে ক্লাইন্টেরদের জন্য নিজের ভয়েস দিয়ে অডিও কনটেন্ট বানাতে পারেন। 

বর্তমানে এই কাজটিতে প্রতিযোগিতা অনেক কম রয়েছে। তবে বিদেশীদের ক্লাইন্টের জন্য এই কাজের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। বিদেশী ক্লায়েন্টরা তাদের ভিডিওগুলোতে ভয়েস ওভার করে থাকে। তাছাড়া তারা বিভিন্ন ধরনের মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট তৈরি করার জন্য ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে থাকে। আপনারা চাইলে এই কাজটি করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।

৫। কন্টেন্ট রাইটিংঃ ফ্রিল্যান্সিং বিভিন্ন কাজের মধ্যে কন্টেন রাইটিং সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যাদের কন্টেন রাইটিং সম্পর্কে ধারণা রয়েছে তারা চাইলে কন্টেন রাইটিং করে ফ্রিল্যান্সিং পেশাটি বেছে নিতে পারেন। বিশ্বব্যাপী কন্টেন রাইটিং এর চাহিদা প্রচুর রয়েছে, যার কারণে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কন্টেন্ট রাইটিং কাজের জন্য প্রচুর ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। 

এর ফলে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কন্টেন রাইটিং কাজটি পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কনটেন্ট রাইটিং কাজে যদি আপনি এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই বিদেশি অথবা বাংলাদেশের ক্লাইন্টের কাছ থেকে কাজ পাবেন। তবে বিশ্বব্যাপী বর্তমানে ইংরেজি কনটেন্ট রাইটার এর চাহিদা বেশি রয়েছে। এজন্য আপনাদের অবশ্যই ইংরেজি ভাষাতে দক্ষতা থাকতে হবে। 
আর ইংরেজি ভাষাতে কন্টেন্ট রাইটিং এ এক্সপার্ট হতে হবে, তাহলে আপনি কন্টেন রাইটিং পেশা বেছে নিয়ে সফল হতে পারবেন। কনটেন্ট রাইটিং সেক্টরের বিভিন্ন ধরনের কাজ হয়ে থাকে। যেমন কেউ ওয়েবসাইটের জন্য কনটেন্ট রাইটিং করে, আর্টিকেল বা ব্লগ পোষ্ট রাইটিং করে থাকে, তাছাড়াও কপিরাইটিং কাজ রয়েছে। এ ধরনের কাজগুলো কন্টেন্ট রাইটিং সেক্টরে করতে হয়।

৬। ওয়েব ডিজাইনারঃ বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন কাজের চাহিদা ফিন্যান্সিং সেক্টরে রয়েছে। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনিং কাজে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে এর থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। আজকাল প্রত্যেক কোম্পানির নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। তাদের ওয়েবসাইট গুলো পরিচালনা ও তৈরি করার জন্য ওয়েব ডিজাইনারদের খুঁজে থাকে। 

আপনি যদি একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সফল হতে পারবেন। ওয়েব ডিজাইনের কাজগুলো সঠিকভাবে করে দিয়ে ক্লায়েন্টদের খুশি করলে প্রচুর টাকা আয় করা যায়। ওয়েব ডিজাইনিং কাজ শিখার জন্য তেমন কোন দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। আপনি এই কাজটি কমপক্ষে তিন মাসের মধ্যে শিখে ফেলতে পারেন।

৭। গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ ফ্রিল্যান্সিং এ গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনি যেকোন আইটি কোম্পানিতে ভালো বেতনে চাকরি করতে পারবেন। তাছাড়া ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করে প্রচুর অর্থ আয় করতে পারবেন। আর আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কাজটি ফ্রিল্যান্সিং পেশা হিসেবে নিতে পারেন। 

বর্তমানে মার্কেটপ্লেসগুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ প্রচুর পাওয়া যায়। বর্তমানে ছোট-বড় সকল কোম্পানির প্রায় তাদের ব্যান্ড লোগো ডিজাইন ও পণ্যর প্রচার করার জন্য ব্যানার ডিজাইন করে থাকে। আর এই কাজগুলো করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের প্রয়োজন হয়। তাই বর্তমানে দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদা বেড়েই চলেছে। 

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কাজে অনেক ধরনের ক্যাটাগরি রয়েছে। প্রত্যেক ক্যাটাগরি অনুযায়ী আয়ের পরিমাণ ভিন্ন হয়ে থাকে। এই গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু কাজ হলঃ ওয়েবসাইট ডিজাইন , ব্যানার ডিজাইন , লোগো ডিজাইন , ফ্যাশন ডিজাইন , বিজ্ঞাপন ডিজাইন , বিজনেস কার্ড ডিজাইন , পোস্টার ডিজাইন , টি শার্ট ডিজাইন ইত্যাদি।

৮। ডিজিটাল মার্কেটিংঃ বর্তমানে সবচেয়ে অধিক জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ হলো ডিজিটাল মার্কেটিং, এই কাজের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। অনলাইনে প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রভাব রয়েছে। এই ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ করে ফ্রীল্যান্সিং সেক্টরে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক বিভাগ রয়েছে। যেখানে প্রায় বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। প্রায় প্রতিটি কোম্পানি তাদের পণ্যের প্রচার প্রচারণা করার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। আর এই বিজ্ঞাপন দেয়ার কাজটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। 
ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে আপনার দক্ষতা থাকলে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন শ্রেণীবিভাগ রয়েছে। অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলো করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব।

৯। ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টঃ এটি মূলত ওয়েবসাইট ডিজাইন অথবা ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর কাজ। আপনি ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করে অনলাইনে আয় করতে সক্ষম হবেন। প্রায় প্রতিটি কোম্পানির নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। তাদের ওয়েবসাইট গুলো আপনি পরিচালনা ও ডিজাইন করে দিতে পারেন। 

এতে করে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পেমেন্ট পাবেন। যারা মূলত ওয়েব ডিজাইন কাজে এক্সপার্ট তারাই এই কাজে যোগ দেবেন। ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের স্পিড বাড়াতে হয়। অর্থাৎ ওয়েবসাইট লোডিং স্পিড উন্নতি করা এবং ওয়েবসাইটের সার্বিক উন্নয়ন করতে হয়। এগুলোই মূলত ওয়েব ডেভেলপার এর কাজ।

১০। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারঃ আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়েও টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে প্রায় সকলের কম বেশি সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট রয়েছে। সেগুলো পরিচালনা করার জন্য অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার খুঁজে থাকে। তারা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টগুলোতে পোস্ট করা , কনটেন্ট রাইটিং করা , পেইড মার্কেটিং ইত্যাদি কাজের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার নিয়োগ দিয়ে থাকে। 

আপনারা চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে পারেন। এই কাজের জন্য একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার প্রতি ঘন্টায় সাধারণত 10 থেকে 20 ডলার চার্জ করে থাকে। তাহলে বুঝতে পারছেন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার এর চাহিদা রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে। কারণ সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টগুলো পরিচালনা করে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং করা যায়।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে আরো যে ৫টি কাজের চাহিদা বেশি

ফ্রিল্যান্সিংয়ে আরো বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলোর চাহিদা বেশি রয়েছে। আমরা এখন ফ্রিল্যান্সিং এর যে পাঁচটি কাজের চাহিদা বেশি হয়ে থাকে সেই সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করব। তবে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আরও কোন পাঁচটি কাজের চাহিদা বেশি হয়ে থাকে সেই সম্পর্কে জেনে নেই।

আর্টিকেল রাইটারঃ বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ হলো আর্টিকেল রাইটিং করা। আপনারা যদি ইংরেজিতে আর্টিকেল রাইটিং করতে পারেন তাহলে আর্টিকেল রাইটার হিসেবে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারেন। তাছাড়া ও আর্টিকেল রাইটিং এর দক্ষ হয়ে থাকলে নিজের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল রাইটিং করে আয় করতে পারেন।

ট্রান্সলেটরঃ আপনি ট্রান্সলেটর হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং এর ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। ট্রানসলেশন কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হতে হলে আপনাদের অবশ্যই ট্রান্সলেশন বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। আপনি ট্রানসলেশন পারেন সেটি প্রমাণ করতে হবে। তাহলে আপনি ভালো ট্রান্সলেটর হয়ে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কপি রাইটারঃ কপি রাইটিং কাজ করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কপিরাইটিং কাজ খুবই সহজ। আপনার যদি টাইপিং স্পিড ভালো থাকে তাহলে আপনি কপি রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন। একজন কপির রাইটারের কাজ হল স্ক্রিপ থেকে লেখাগুলো ডকুমেন্টে পুনরায় লেখা এবং সেই লেখাগুলোকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা। এই কাজটি করা খুবই সহজ। তবে আপনার টাইপিং স্পিড ভালো হলে দ্রুত কাজ করতে পারবেন।

টি-শার্ট ডিজাইনারঃ আপনি যদি টি-শার্ট ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে মার্কেটপ্লেস গুলোতে টি-শার্ট ডিজাইন এর কাজ রয়েছে। গার্মেন্টস কোম্পানিগুলো তাদের নিত্যনতুন টি-শার্ট তৈরি করার জন্য বিভিন্ন রকম ডিজাইনের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে তারা একজন টি শার্ট ডিজাইনার নিয়োগ দিয়ে থাকে। যার ফলে আপনারা যে কোন বড় ধরনের গার্মেন্টস কোম্পানিতে টি শার্ট ডিজাইনারদের কাজ করতে পারবেন।

ব্যানার এড ডিজাইনারঃ বর্তমানে কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যর প্রচার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যানার অ্যাড বানিয়ে থাকে। আর এই ব্যানার অ্যাড বানানোর জন্য ব্যানার অ্যাড ডিজাইনারের প্রয়োজন হয়। তারা প্রায় ব্যানার অ্যাড বানানোর জন্য ব্যানার ডিজাইনারদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। তারা প্রতিটি ব্যানার ডিজাইন করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ পেমেন্ট করে থাকে। আপনি যদি একজন ভালো ও দক্ষ ব্যানার অ্যাড ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করে এই সেক্টরটিতে টিকে থাকতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে যে কাজগুলোর ডিমান্ড সবচেয়ে বেশি

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটি অনেক বড় হওয়ার কারণে এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। প্রচুর কাজ রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে, যেই কাজগুলোর ডিমান্ড বর্তমানে বেশি রয়েছে। আমরা এখন ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে ডিমান্ডেবল কাজগুলোর নাম সম্পর্কে জানব। নিচে ফ্রিল্যান্সিং এর ডিমান্ডেবল কাজগুলোর নাম তুলে ধরা হলোঃ
  • রিজিউম এবং কভার লেটার রাইটার
  • ই বুক রাইটার
  • এডিটর
  • মার্কেট রিসার্চ
  • লিড জেনারেশন
  • ঘোস্ট রাইটার
  • ফিকশন রাইটার
  • বুক ডিজাইনার
  • কার্টুন আর্টিস্ট
  • ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট
  • এসইও কনসালটেন্ট
  • কিওয়ার্ড রিসার্চ
  • ড্রপ শিপিং
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
উপরের লিস্টের দেওয়া কাজগুলোর চাহিদা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কমবেশি রয়েছে। এই কাজগুলো আপনি যদি করতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নিতে পারেন। উপরোক্ত কাজগুলো করে অনলাইনে ঘরে বসে টাকা আয় করা সম্ভব। তাই আপনারা উল্লেখিত কাজগুলো ভালোভাবে শিখে কাজ করার চেষ্টা করবেন। আর অবশ্যই ধৈর্য ও পরিশ্রম দিয়ে কাজ করতে থাকবেন, তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হয়ে উঠতে পারবেন।

FAQs । ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজ কোনটি?
ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজ হল ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং কাজটির চাহিদা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সবচেয়ে বেশি রয়েছে।

বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি?
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর হলোঃ ডিজিটাল মার্কেটিং , ওয়েব ডেভেলপমেন্ট , কন্টেন্ট মার্কেটিং , আর্টিকেল রাইটিং , ওয়েব ডিজাইনার ইত্যাদি।

বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান কোনটি?
বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান Creative IT Institute ,eshikhon ,ordinaryit ,ordinarybd ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি?
ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে Payoneer।

বাংলাদেশে সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার কতজন?
এক সূত্রে জানা গেছে বাংলাদেশের সক্রিয় ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা ১০,৫০,০০০ জন।

নতুনদের জন্য কোন ফ্রিল্যান্সিং ভালো?
নতুনদের জন্য ডাটা এন্ট্রি , ড্রপ শিপিং , আর্টিকেল রাইটিং কাজ গুলো ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ভালো।

শেষ কথা | ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি 

আশা করছি আপনারা আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টটিতে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে পারলেন। তাছাড়াও ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কাজের চাহিদাটি বর্তমানে বেশি রয়েছে সেই সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে। আর ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

আশা করছি আপনারা আজকের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে পেরেছেন। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি, আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। ফ্রিল্যান্সিং এর সফলতা অর্জন করতে হলে অবশ্যই ধৈর্য সহকারে কাজ করে যেতে হবে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url