ন্যাড়া মাথায় চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে ও কত বয়স পর্যন্ত চুল গজায় জানুন
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা নিশ্চয়ই ন্যাড়া মাথায় চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে এ
বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্যই আজকের পোস্টটিতে এসেছেন। তবে আপনাদের চিন্তিত
হওয়ার কোন কারণ নেই, আজকের এই আর্টিকেলটিতে ন্যাড়া মাথায় চুল গজাতে কতদিন সময়
লাগে ও কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায় এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে
ধরা হবে।
আর্টিকেলসূচিপত্রঃপ্রিয় পাঠক আপনারা যদি ন্যাড়া মাথায় চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে সম্পর্কে
বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে
থাকুন। কারণ আজকের পোস্টে মাথা ন্যাড়া করলে চুল গজাতে কত সময় লাগে ইত্যাদি
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ভূমিকা
আমরা অনেকে আছি যারা বিভিন্ন কারণে মাথার সকল চুল চেঁছে ফেলি। আর মাথার সকল
চুল একবারে ছোট করে চেঁছে ফেলাকে ন্যাড়া বলা হয়ে থাকে। ন্যাড়া বলতে
সাধারণত মাথায় যত চুল রয়েছে সেটুকু গোড়া থেকে ফেলাকে বোঝায়। বিভিন্ন কারণে
অনেকেই মাথার চুল একেবারে চেঁছে ফেলে। তার মধ্যে রয়েছে গরম আবহাওয়া অর্থাৎ
এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা গ্রীষ্মকালে মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য ন্যাড়া হয়ে
থাকে। তারা প্রায় গরমকালে মাথার চুল সব কেটে ফেলে। আবার অনেকেই আছে যারা মনে করে
মাথা ন্যাড়া করলে চুল দ্রুত গজায়। এজন্য তারা অনেক সময় মাথা ন্যাড়া করে
ফেলে।
এছাড়াও চুল ঘন ও কালো রাখার জন্য অনেক ব্যক্তি মাথার চুল ন্যাড়া করে থাকে। তবে
মাথা ন্যাড়া করার পর কতদিন পর চুল গজাতে পারে এ বিষয়টি নিয়ে অনেকেরই মনে সংশয়
থাকে। তাদের কথা চিন্তা করেই আমরা আজকে আর্টিকেলে ন্যাড়া মাথায় চুল গজাতে কতদিন
সময় লাগে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য আলোচনা করার চেষ্টা করব।
তাছাড়াও কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায় সেই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
তুলে ধরা হবে। তাই সকল কিছু বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন।
ন্যাড়া মাথায় চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে
আপনারা অনেকেই আছেন যারা বাচ্চাদের মাথা ন্যাড়া করে থাকেন। অনেকেই মনে করে
বাচ্চাদের মাথার চুল কেটে ফেললে বা ন্যাড়া করলে দ্রুত চুল গজায়। তবে এই ধারণাটি
সম্পূর্ণ ভুল। মাথার চুল ন্যাড়া করলে যে বেশি ঘন চুল বের হয় এর কোন বৈজ্ঞানিক
প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সমাজ এটি একটি কুসংস্কার। সাধারণত একটা মানব শিশু জন্মের
সময় এক লক্ষ বিশ হাজার পর্যন্ত চুলের ফলিকল ও চুলের বীজ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে
থাকে।
জন্মের সময়ে শিশুদের সাধারণত চুল কম গজিয়ে থাকে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে
শিশুদের চুল ঘন হতে থাকে এবং চুলের পরিমাণ বাড়তে থাকে। আর বলে রাখা ভালো শিশু
জন্মের পর নতুন করে আর কোন ধরনের চুলের বীজ তৈরি হয় না। তাই বলা যায় নতুন করে
আর চুল গজাতে পারে না। জন্মের সময় শিশু যেই পরিমাণ চুলের ফলিকল নিয়ে জন্মগ্রহণ
করেছিল সেই পরিমাণ চুল গজাতে থাকবে।
চুল গজানোর পর প্রতিদিন নির্দিষ্ট চুলের একটি আয়ুষ্কাল থাকে অর্থাৎ নির্দিষ্ট
সময় পর চুলটি পড়ে যাবে। বিশেষ ক্ষেত্রে প্রতিটি চুলের আয়ুষ্কাল সাধারণত ৫ থেকে
৬ বছর সময়কাল হয়ে থাকে। আপনার হয়তো জানেন প্রতিটি প্রাণী বা মানুষের ক্ষেত্রে
বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে, ঠিক তেমনভাবে বয়স বাড়ার সাথে
সাথে চুল দুর্বল হতে থাকে।
তবে আপনার অনেকেই একটি প্রশ্ন করে থাকেন সেটি হল
ন্যাড়া মাথায় চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে। সেই প্রশ্নের উত্তরে আমরা এখন
বিস্তারিত আলোচনা করব। সাধারণত
ন্যাড়া মাথায় চুল গজাতে ১ থেকে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
আবার কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে চুলের গ্রোথ হরমোন বেশি হওয়ায় ৩ থেকে ৪ দিনের
মধ্যেই ছোট ছোট চুল গজাতে শুরু করে। মাথার চুল ন্যাড়া করার পর কিছুদিনের মধ্যেই চুল বের হতে শুরু করে। কারণ
ন্যাড়া করার পর চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে যার ফলে চুল খুব দ্রুত বের হতে থাকে।
আরো অনেক সময় ন্যাড়া হলে চুলের সমস্যাও দূর হয়ে যায়।
কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়
আমাদের মধ্যে চুল নিয়ে প্রায় অনেকেরই সমস্যা রয়েছে। চুলের সমস্যার সমাধান আমরা
অনেক ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি। কিন্তু চুলের সমস্যার সমাধান ঠিকভাবে পাওয়া
যায় না। তবে আপনারা কি জানেন কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়। এ বিষয়টি যদি না
জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই অংশটি ভালো করে পড়বেন। কারণ এই অংশে কত বছর বয়স
পর্যন্ত চুল গজাতে পারে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
আরো জানুনঃ
মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়
প্রতিনিয়ত আমাদের মাথার চুল ঝরে পড়ে যেতে থাকে। নতুন চুল গজানোর চেয়ে ঝরে
পড়তে থাকলে মাথায় টাক দেখা দেয় এবং চুল পাতলা হতে থাকে। সাধারণত নতুন চুল
গজানোর বিষয়টি নির্ভর করে আপনার উপরে। এক গবেষণায় বলা হয়েছে কত বছর বয়স
পর্যন্ত চুল গজাতে পারে এ বিষয়টি নির্ভর করে মূলত মানুষের শারীরিক গঠন ও আকৃতির
ওপর। তাছাড়াও এই বিষয়টি আপনার স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে।
তবে সঠিকভাবে নির্দিষ্ট করে কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজাতে পারে বলা সম্ভব নয়।
অনেক সময় দেখা গেছে স্বাস্থ্য ঠিক থাকলে বৃদ্ধ বয়সেও নতুন করে চুল গজাতে থাকে।
তাহলে বুঝতেই পারতেন আপনার শারীরিক স্বাস্থ্য ও গঠনের উপর নির্ভর করে চুল গজাতে
থাকবে। তাই আপনারা প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করবেন
এবং সঠিক তেলটি চুলে ব্যবহার করবেন।
কোন ভিটামিন চুল গজাতে সাহায্য করে
আপনাদের অনেকেরই চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে। যার কারণে আপনারা চুল পড়া
কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ও তেল ব্যবহার করে থাকেন। তবে আপনারা অনেকেই ভালো
মতো জানেন না যে কোন ভিটামিন চুল গজাতে সাহায্য করে। সেজন্যই আমরা এখন চুল গজানোর
জন্য কোন ভিটামিন প্রয়োজন সে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আমরা প্রতিদিন প্রায় অনেক ধরনের ভিটামিন জাতীয় খাবার খেয়ে থাকি। তবে এর মধ্যে
থেকে কোন ভিটামিনটি চুল গজাতে সাহায্য করতে পারে সে সম্পর্কে আপনাদের ধারণা রাখতে
হবে। আর যেই ভিটামিন নতুন চুল গজাতে সহায়তা করবে সেটি আপনাদের সঠিক পরিমাণে
গ্রহণ করতে হবে। চুল গজানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় ভিটামিন হলো
ভিটামিন বি৭।
এই ভিটামিনটি চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। তাছাড়াও
চুলে কেরাটিন নামক উপাদান তৈরিতে সহায়তা করে থাকে। আর এই কেরাটিন চুলের ফলিকলের
পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও চুলের গঠন মজবুত ও চুল ঘন রাখতে ভালো
কাজ করে থাকে। আবার চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বায়োটিন, ভিটামিন এ,
ভিটামিন ডি ও ভিটামিন ই জাতীয় খাবার খেতে হবে।
তাহলে বুঝতে পারছেন চুল গজাতে আপনারা ভিটামিন বি৭ ব্যবহার করবেন। এর পাশাপাশি
প্রায় সকল ধরনের ভিটামিন জাতীয় খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনার চুল
পড়া কমে আসবে এবং নতুন চুল গজাতে থাকবে। তাই প্রতিনিয়ত খাবারের তালিকায়
ভিটামিন জাতীয় খাবার রাখার চেষ্টা করুন। তাহলেই চুল পড়া সমস্যার সমাধান হয়ে
যাবে।
ন্যাড়া হওয়ার পর করণীয়
মাথার চুল ন্যাড়া করার পর কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তবে বলে রাখা ভালো
ন্যাড়া হওয়ার পর তেমন কোনো করণীয় নেই। কিন্তু আপনারা ন্যাড়া হওয়ার পর চুল
দ্রুত গজাতে মাথায় তেল ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে খাঁটি সরিষার তেল মাথায়
ব্যবহার করবেন। এতে করে মাথার চুলের গোড়ায় পুষ্টি ভাবে এবং চুল দ্রুত বৃদ্ধি
পাবে। মনে রাখবেন মাথা ন্যাড়া হওয়ার ৩ থেকে চার দিন পর তেল ব্যবহার করবেন।
তাছাড়া আপনারা চাইলে সরিষার তেল ব্যবহার না করে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
আর এ সময়ে যথাসম্ভব পুষ্টিকর খাবার খাবেন তাহলে চুলে দ্রুত পুষ্টি পাবে এবং চুল
তাড়াতাড়ি বড় হতে থাকবে। এ ছাড়া আর কোন ধরনের করণীয় নেই। তবে বলে রাখছি
আপনারা চুল ঘন করা অথবা গজানোর জন্য ন্যাড়া হবেন না। মাথা ন্যাড়া হওয়ার পর
আপনারা তীব্র রোদে বের হবেন না। কারণ মাথায় চুল না থাকার কারণে মাথা বেশি গরম
হয়ে যেতে পারে যার ফলে আপনি মাথাব্যথা সমস্যাই ভুগতে পারেন।
ন্যাড়া হলে কি নতুন চুল গজায়
আপনার অনেকে আছেন যারা নতুন চুল গজানোর জন্য ন্যাড়া হয়ে থাকেন।তবে বলে রাখবো
ন্যাড়া হলে নতুন চুল গজায় না। অনেকে আছে যারা মনে করে ন্যাড়া হলে নতুন চুল
গজায়, এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে বলেছেন ন্যাড়া
হলে নতুন করে চুলের বৃদ্ধি হার বাড়ে না। কারণ ন্যাড়া হলে মাথার উপরে সম্পূর্ণ
চুলটুকু চেঁছে ফেলে দেওয়া হয়।মাথার ভেতরের ফলিকল গুলো থেকে চুল গজিয়ে থাকে।
আরো জানুনঃ
চুলের জন্য তিসির উপকারিতা
আর আপনারা হয়তো জানেন এই মানুষ জন্মের সময় মাথায় নির্দিষ্ট পরিমাণ ফলিকল নিয়ে
জন্ম গ্রহণ করে। যার ফলে সে নির্দিষ্ট পরিমাণ চুল গজাতে থাকে। যার ফলে আপনি যতই
মাথা ন্যাড়া করেন নতুন করে কোন ধরনের চুল গজাবে না। তাই আপনারা মাথা ন্যাড়া
করবেন না। এতে অনেক ক্ষেত্রে চুলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে চুল
পাতলা হয়ে যেতে পারে এবং চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে।
মাথা ন্যাড়া করলে কি চুল পড়া বন্ধ হয়
এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা চুল পড়া বন্ধ করার জন্য মাথা ন্যাড়া করে থাকে।
তাদের জন্য বলব মাথা ন্যাড়া করলে সচরাচর চুল পড়া বন্ধ হয় না। তবে বিশেষ
ক্ষেত্রে কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে মাথা ন্যাড়া করলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে থাকে।
আপনারা হয়তো জানেন চুল পড়া বন্ধ করার জন্য মানুষ অনেক ধরনের তেল ব্যবহার করেছে
কিন্তু চুল পড়া বন্ধ করতে পারছে না।
আরো জানুনঃ
লেবু দিয়ে চুল কালো করার উপায়
তাহলে মাথা ন্যাড়া করলে কিভাবে চুল পড়া বন্ধ হবে। এখানে যেদিকে বিভিন্ন ধরনের
ওষুধ ও তেল ব্যবহার করেও চুল পড়া বন্ধ করা যাচ্ছে না। আর আপনি যদি মাথা ন্যাড়া
করেন এতে কোন ধরনের চুল পড়া কমবে না বরং কিছু ক্ষেত্রে চুল পড়ার সমস্যা আরো
বেড়ে যেতে পারে। তাছাড়া আপনার চুল হালকা হয়ে যেতে পারে। এক কথায় বলা যায়
মাথা ন্যাড়া করলে চুল পড়া বন্ধ হয় না।
মাথা ন্যাড়া করার পর চুলের যত্ন
মাথা ন্যাড়া করার পর চুল গজাতে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এ বিষয়টি সম্পর্কে
আপনারা আগেই জেনেছেন। তবে মাথা ন্যাড়া করার পর চুলের তেমন যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন
নেই। আপনারা চাইলে ন্যাড়া করার পর চুল গজাতে থাকলে বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার
করতে পারেন। মূলত চুলের স্বাস্থ্য ও চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য নারিকেল তেল বা অলিভ
অয়েল তেল মাথায় ব্যবহার করতে পারেন।
কপালে নতুন চুল গজানোর উপায়
কপালে নতুন চুল গজানোর জন্য অবশ্যই নিয়মিত ভিটামিন ও খনিজ জাতীয় খাবার খেতে
হবে। এছাড়াও পাশাপাশি প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে। আবার মাথায় চুল
গজানোর জন্য নিয়মিত তেল দিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। যাতে করে মাথায় চুলের
ফলিকলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। এর ফলে চুল গজাতে থাকে খুব দ্রুত সময়ে। আপনারা
চাইলে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে কপালে নতুন চুল গজাতে পারেন। চলুন আর কথা না
বাড়িয়ে কপালে চুল গজানোর উপায় গুলো জেনে নেই।
কপালে চুল গজানোর জন্য আপনারা পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন। পেঁয়াজের রস চুল
গজাতে খুবই উপকারী। এজন্য কয়েক কুয়া পেঁয়াজ নিয়ে রস করে নিবেন। আর রস করার
জন্য ব্যালেন্ডার ব্যবহার করতে পারেন। এবারের রসটি মাথায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করে
লাগিয়ে নিবেন। আর কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘন্টা মাথায় পেঁয়াজের রস লাগিয়ে
রাখবেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে রাতে ঘুমানোর আগে পেঁয়াজের রস লাগিয়ে ঘুমিয়ে
যেতে পারেন। পেঁয়াজের রস লাগানোর পর মাথাটি ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধরে নিবেন।
এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে চুল পুষ্টি পাবে এবং চুল দ্রুত গজাতে থাকবে।
আরো জানুনঃ
দাঁত ব্যথার ট্যাবলেট কোনটি
তাছাড়াও আপনারা রসুন ব্যবহার করেও চুল দ্রুত বড় করতে পারবেন। কপালে চুল গজানোর
জন্য আপনার রসুনের রস করে নিবেন এবং সেই রস নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন
মাথা ত্বকের ব্যবহার করবেন। এতে করে কপালে চুল গজাতে থাকবে এবং মাথার চুলের
স্বাভাবিক উজ্জলতা ফিরে আসবে। ক্যাস্টর অয়েল ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে তেল
তৈরি করে মাথায় ব্যবহার করুন তাহলে কিছুদিনের মধ্যে চুল গজাতে থাকবে।
তবে বলে রাখা ভালো এগুলো যেহেতু ঘরোয়া উপায় তাই এগুলো কার্যকরী হতে কিছুদিন
সময় লাগতে পারে। আপনারা জানেন প্রাকৃতিক উপায়ে উপকারিতা গুলো পেতে গেলে ধৈর্য্য
সহকারে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হয়। এজন্য উপায়গুলো অবলম্বন করার পর অপেক্ষা করবেন
এবং সেই উপায় অনুযায়ী কাজ করবেন। আশা করি দ্রুত ভালো ফলাফল পাবেন।
ন্যাড়া মাথায় চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে এ সম্পর্কিত সাধারণ জিজ্ঞাসা(FAQ)
প্রশ্নঃমাথা নেড়া করে চুল গজানোর উপায় কি কি?
উত্তরঃ মাথা ন্যাড়া করার পর চুল গজানোর তেমন কোন উপায় পাওয়া যায়নি। তবে
আপনারা মাথা ন্যাড়া করার দুই থেকে তিন দিন পর ছোট ছোট চুল গজাতে থাকলে তেল
ব্যবহার করতে পারেন।
প্রশ্নঃন্যাড়া করলে কি চুলের গোড়া শক্ত হয়?
উত্তরঃ ন্যাড়া করলে চুলের গোড়া শক্ত হয় না, তাছাড়াও মাথা ন্যাড়া করলে নতুন
চুল গজায় না। চুল গজানোর অন্যতম কারণ হলো মাথার ভেতরে থাকা ফলিকল। মাথায় এক
প্রকার ফলিকল বা চুলের গোড়া থাকে যেখান থেকে চুল গজাতে থাকে।
প্রশ্নঃচুল কেটে ফেললে কি চুল ঘন হয়?
উত্তরঃ চুল কেটে ফেললে চুল ঘন হয় না। অনেকে আছে যারা চুল ঘন করার জন্য চুল
কেটে থাকে। তাদের জন্য বলব চুল কেটে ফেলা হলে চুল ঘন করা যায় না।
প্রশ্নঃমাথা ন্যাড়া করা কি চুলের পক্ষে ভালো না খারাপ?
উত্তরঃ মাথা ন্যাড়া করা চুলের পক্ষে ভালো না খারাপ এ বিষয়টি সম্পর্কে
সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে এক সূত্রে জানা গেছে মাথা ন্যাড়া করা হলে কিছু
ব্যক্তির চুলের জন্য ভালো কাজ করে থাকে। আবার আপনি যদি মাথা বার বার ন্যাড়া
করেন তাহলে চুলের ক্ষতি হতে পারে যা বলা যায় চুলের জন্য খারাপ।
প্রশ্নঃমাথা ন্যাড়া করার কতদিন পর চুল গজানো যায়?
উত্তরঃ মাথা ন্যাড়া করার পর সাধারণত সম্পূর্ণ বড় আকারের চুল গজাতে দীর্ঘ
সময় লাগতে পারে। তবে ন্যাড়া হওয়ার 5 থেকে 6 দিনের মধ্যে একবারে ছোট আকারে
চুল গজাতে থাকে। আর পরিপূর্ণ বড় আকারে চুল গজাতে দুই থেকে তিন মাস সময় লেগে
থাকে।
শেষ কথা
আশা করছি প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টটিতে ন্যাড়া মাথায় চুল গজাতে কতদিন সময় লাগে ও কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায় এ বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। তাছাড়াও কপালে চুল গজানোর উপায় ও কোন ভিটামিন চুল গজাতে সাহায্য করে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আপনার বন্ধুদের ন্যাড়া হওয়ার পর চুল গজাতে কতদিন সময় লাগতে পারে এ সম্পর্কে জানাতে পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।