গরুর পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম ও পাতলা পায়খানার চিকিৎসা কি জানুন
আমার অনেকে আছে যারা খামারে গরু পালন করে থাকি। অনেক সময় গরুর পাতলা পায়খানা হওয়া সমস্যাটি দেখা যায়। এর কারণে গরুর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে আপনাদের চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই, আজকের আর্টিকেলটিতে গরুর পাতলা পায়খানার ট্যাবলেটের নাম ও গরুর পাতলা পায়খানার চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে।
আর্টিকেলসূচিপত্রঃগরুর পাতলা পায়খানা কেন হয় এ বিষয়টি কি আপনারা জানেন, যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আজকের আর্টিকেলে গরুর পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণ ও গরুর পাতলা পায়খানার চিকিৎসা সম্পর্কে তুলে ধরা হবে।
ভূমিকা
বর্তমানে আমাদের দেশে গরু পালনকারী সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গরুর খামার গড়ে তুলে অনেকে লাভজনকভাবে ব্যবসা করছে। তবে গরুর খামার গড়ে তুললে হবে না, গরুর রোগ চিকিৎসার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনার গরুর স্বাস্থ্য ঠিক আছে কিনা তা প্রতিনিয়ত চেক করতে হবে। প্রায় গরুর পাতলা পায়খানা সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। এই রোগটি হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে যা আমরা একটু পরে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আরো জানুনঃ বয়লার মুরগির খাবার তালিকা
গরুর পাতলা পায়খানা হলে চিন্তিত হবেন না, গরুর পাতলা পায়খানা ভালো করার জন্য ট্যাবলেট রয়েছে। সেই ট্যাবলেটগুলো গরুকে খাইয়ে পাতলা পায়খানা রোগ দূর করতে পারবেন। তবে এজন্য আপনাদের গরুর পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট সম্পর্কে জানতে হবে যা আমরা আজকের পোস্টটিতে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করব।
গরুর পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম
গরুর পাতলা পায়খানা হলে কিছু ট্যাবলেট দেওয়ার মাধ্যমে গরুর পাতলা পায়খানা অসুখ সারানো যায়। সে ক্ষেত্রে আপনাদের পাতলা পায়খানা ট্যাবলেট গুলোর নাম বা ওষুধ গুলোর নাম সম্পর্কে জানতে হবে। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির গরুর পাতলা পায়খানা ট্যাবলেট বা ওষুধ বের হয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে গরুর পাতলা পায়খানার সমস্যা সমাধান করা যায়। নিম্নে গরুর পাতলা পায়খানার ওষুধ গুলোর নাম তুলে ধরা হলোঃ
- সালফাডিন ভেট
- সালফা-৩(গর্ভবতী গরুর ক্ষেত্রে)
- মেট্রানিডাজল ভেট
- ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ইঞ্জেকশন
- জিংক সিরাপ
- গবাদিপশুর স্যালাইন
- ডিয়াডিন(Diadin)
- ডিএডিন ইঞ্জেকশন
উপরোক্ত ট্যাবলেট ও ওষুধ গুলো গরুর পাতলা পায়খানা হলে খাওয়ানো হয়ে থাকে। উপরের দেওয়া ট্যাবলেট গুলোর মধ্যে আপনারা যে কোন একটি গরুকে খাওয়াতে পারেন। তবে গর্ভবতী গরু হলে সালফা-৩ ট্যাবলেটটি খাওয়াতে হবে। তাছাড়া বাকি ট্যাবলেট গুলো বলদ গরুকে পাতলা পায়খানার জন্য খাওয়াতে পারেন। তবে গরুর যদি অতিরিক্ত পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে তাহলে ইনজেকশনগুলো প্রয়োগ করতে পারেন।
গরুর পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণ
গরুর পাতলা পায়খানা হওয়ার বিভিন্ন রকম ধরনের রয়েছে। আর সেই কারণগুলো সম্পর্কে আমরা এখন জানব। নিচের লিস্টে গরুর পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণগুলো তুলে ধরা হলোঃ
- গরুর খাবারের সাথে ব্যাকটেরিয়া গরুর পেটে প্রবেশ করলে পাতলা পায়খানা হয়।
- আবার অতিরিক্ত দানাদার খাদ্য গরুকে খাওয়ালে অনেক সময় পাতলা পায়খানা ও ডায়রিয়াজনিত সমস্যা দেখা যায়।
- গরুকে অতিরিক্ত যেকোনো ধরনের খাদ্য খাওয়ালে বা খাদ্যের অনিয়ম করলে ডায়রিয়া হয়ে থাকে। আর ডায়রিয়ার কারণে পাতলা পায়খানা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- গরুকে পচা ও নষ্ট খাবার খাওয়ালে পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। তাই গরুকে সবসময়ই ভালো ধরনের খাবার দিবেন।
- গরুর খাবার পাত্র পরিষ্কার না করলে বা গরুর পানির পাত্র নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে ডায়রিয়া থেকে পাতলা পায়খানা পর্যন্ত হতে পারে।
- তাছাড়াও গরুর খাবারের সাথে পাখির মল মেশালে পাতলা পায়খানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রথমত ডায়রিয়া হয় তারপর পাতলা পায়খানা হতে থাকে।
- গরুকে অতিরিক্ত পরিমাণে ভাত খাওয়ালে পাতলা পায়খানা হতে পারে। এর জন্য সঠিক পরিমাণে ভাত খাওয়াতে হবে।
সাধারণত এসব কারণে গরুর পাতলা পায়খানার সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তাই আপনারা উপরোক্ত কারণগুলো সনাক্ত করে গরুর প্রতি যত্ন নিন। গরুর বাসস্থান অর্থাৎ গরুর খামার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। গরুর খাওয়ার জন্য পরিষ্কার পানির ব্যবস্থা করবেন। তাহলে গরু এ ধরনের পাতলা পায়খানা জনিত রোগ থেকে রক্ষা পাবে।
গরুর পাতলা পায়খানার লক্ষণ
গরুর পাতলা পায়খানা হলে কি কি লক্ষণ দেখে বুঝবেন যে গরুর পাতলা পায়খানা হয়েছে সে সম্পর্কে আমরা এখন তুলে ধরার চেষ্টা করব। পাতলা পায়খানা হলে গরু সাধারণত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিয়ে থাকে অর্থাৎ গরু কম পরিমাণ খাবার খেতে শুরু করে। এছাড়াও গরুর মল এ সময়ে পাতলা হয়ে থাকে। অনেক সময় গরুর শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
আরো জানুনঃ গরুর দুধ বৃদ্ধির হোমিও ওষুধের নাম
গরুকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করার ফলে ও দীর্ঘদিন ধরে পায়খানা পাতলা থাকে। এর কারণ হলো গরুর পাতলা পায়খানা হয়েছে। পাতলা পায়খানা হলে গরু কম খাবার খাওয়ার কারণে শুকিয়ে যেতে পারে। সাধারণত এই লক্ষণ গুলো দেখে বুঝবেন গরুর পাতলা পায়খানা হয়েছে কিনা।
গরুর পাতলা পায়খানার চিকিৎসা কি
আপনার অনেকে আছেন যারা গরুর পাতলা পায়খানা চিকিৎসা কি এ সম্পর্কে জানতে চান। তাদের কথা বিবেচনা করে আমরা আজকের এই অংশে গরু পাতলা পায়খানার চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরব। গরুর বিভিন্ন কারণে পাতলা পায়খানা হতে পারে। তবে পাতলা পায়খানা হলে গরুকে কিছু চিকিৎসা দিয়ে পাতলা পায়খানা সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। গরুর পাতলা পায়খানা হলে কিছু ওষুধ বা ট্যাবলেট খাওয়াতে পারেন। সেই ট্যাবলেট গুলো সম্পর্কে নিচের ছকে আলোচনা করা হলোঃ
গরুর পাতলা পায়খানার প্রকারভেদ
গরুর পাতলা পায়খানা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। গরুর ব্যাকটেরিয়াজনিত সমস্যা হলে বিভিন্ন প্রকার পাতলা পায়খানা দেখা দিতে পারে। সেই অনুযায়ী গরুর পাতলা পায়খানার প্রকারভেদ করা হয়েছে। নিম্নে গরুর পাতলা পায়খানার প্রকারভেদ গুলো তুলে ধরা হলোঃ
ব্যালানটিডিয়াসিস পাতলা পায়খানাঃ সাধারণত ড্রেনের পানিতে জন্মানো ব্যালানটিডিয়াম কলাই গরুর খাবারের সাথে দীর্ঘদিন গরুর পেটে গেলে এ ধরনের পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। তাছাড়াও এই ব্যাকটেরিয়াটি গরুর পানির পাত্রে সৃষ্টি হতে পারে। অপরিষ্কার পানি পাত্রে এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া জন্মে থাকে। গরুর এ ধরনের পাতলা পায়খানা হলে সেটি দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়ে থাকে। তাছাড়া গরুর মল দুর্গন্ধযুক্ত ও হলুদ রঙের হয়ে থাকে। এ ধরনের পাতলা পায়খানা হলে গরুর পাতলা পায়খানার ওষুধগুলো খাওয়াতে পারেন।
বিপাকীয় পাতলা পায়খানাঃ গরুর বদহজম জনিত সমস্যা হলে এ ধরনের পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। তাছাড়া অনেক সময় গরুর বিপাকীয় সমস্যার কারণে বিপাকীয় পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। এই পাতলা পায়খানাটি গরুর হয়ে থাকলে দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে। কারণ এই ধরনের পাতলা পায়খানা হলে গরুর পাতলা পায়খানা কিছুদিন পর সেরে গেলেও আবার পুনরায় পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। যার কারণে সঠিক ওষুধ বা ট্যাবলেট প্রয়োগ করতে হয়। আপনারা চাইলে এ ধরনের পাতলা পায়খানার জন্য ইনজেকশন প্রয়োগ করতে পারেন।
সাধারণ পাতলা পায়খানাঃ এ ধরনের পাতলা পায়খানা সাধারণত ব্যাকটেরিয়া অথবা খাবার অপরিষ্কার থাকার কারণে হয়ে থাকে। অনেক সময় খাবারের পাত্র অপরিষ্কার থাকার কারণে এই প্রকার পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। এ ধরনের পাতলা পায়খানা হলে আমাদের পোস্টে দেওয়া পাতলা পায়খানা ট্যাবলেট গুলো গরুকে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। গরুর কিছুদিনের মধ্যেই পাতলা পায়খানা অসুখ সেরে যাবে।
ডায়রিয়া জনিত পাতলা পায়খানাঃ ডায়রিয়াজনিত পাতলা পায়খানা সাধারণত হঠাৎ করে শুরু হয়। আর ওষুধ ব্যবহার করলেও এই পাতলা পায়খানা নিয়ন্ত্রণে আসতে চায় না। দীর্ঘদিন এই পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণে গরুর শরীরে শুকিয়ে যেতে পারে। তাই যথা সম্ভব দ্রুত গুরুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। পাতলা পায়খানা ট্যাবলেট গুলো প্রয়োগ করার পাশাপাশি প্রতিদিন খাবার স্যালাইন দিবেন। তাহলে গরু পাতলা পায়খানা দূর হয়ে যাবে।
বাছুরের পাতলা পায়খানার চিকিৎসা
বাছুর অথবা বড় আকারের গরুর ক্ষেত্রে প্রায় একই ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যদি বাছুরের কখনো পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে তাহলে আপনারা কিছু ওষুধ দিতে পারেন। যেগুলো সাধারণত গরুকে দেওয়া হয়ে থাকে। আপনারা সর্বপ্রথম গরুকে খাবার স্যালাইন খাওয়াবেন এবং তারপরে পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট গুলো গুড়ো করে পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াবেন।
আরো জানুনঃ গরুর মোটাতাজাকরণ ভিটামিন ওষুধের নাম
গরুর বাছুরকে আপনারা জিংক সিরাপ, Biolact vet খাওয়াতে পারেন। তাছাড়া আমরা উপরের অংশগুলোতে গরুর পাতলা পায়খানার যেই ওষুধগুলো তুলে ধরেছি সেগুলো খাওয়াতে পারেন। সেই ওষুধগুলো খাওয়ালেই বাছুর এর পাতলা পায়খানা সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
গরুর পাতলা পায়খানার এন্টিবায়োটিক
গরুর পাতলা পায়খানা অ্যান্টিবায়োটিক বলতে গরুর পাতলা পায়খানার ট্যাবলেটকে বোঝানো হয়ে থাকে। বর্তমানে বাজারে গরুর পাতলা পায়খানার অনেক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ পাওয়া যায়। তাছাড়াও গরু পাতলা পায়খানার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন রয়েছে যেগুলো সাধারণত অতিরিক্ত পাতলা পায়খানা হলে ব্যবহার করা হয়।
গরুর পাতলা পায়খানার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন হিসেবে ডিএডিন ইনজেকশন ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ইনজেকশনগুলো ব্যবহার করতে পারেন। আর এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট হিসেবে সালফাডিন ট্যাবলেটটি গরুকে খাওয়াতে পারেন।
গরুর পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট খাওয়ানোর নিয়ম
গরুর পাতলা পায়খানা ট্যাবলেট খাওয়ানোর নিয়ম জেনে আপনাদের গরুকে খাওয়াতে হবে। তাহলেই গরুর দ্রুত পাতলা পায়খানা থেকে সেরে উঠবে। ওষুধগুলো যদি সঠিক নিয়মে না খাওয়ান তাহলে পাতলা পায়খানার সমস্যার সমাধান হবে না। তবে চলুন পাতলা পায়খানা ট্যাবলেট খাওয়ানোর নিয়ম গুলো জেনে নেই।
মেট্রানিডাজল ভেটঃ এই ট্যাবলেটটি ২০০ কেজি পর্যন্ত ওজনের গরুকে খাওয়াতে পারেন। আর এই ট্যাবলেট ২০০ কেজি ওজনের গরু হলে দিনে ছয়টি করে ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। পাতলা পায়খানা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত খাওয়াতে থাকতে হবে। আর ট্যাবলেট গুলো আপনারা গুড়ো করে পানির সাথে অথবা খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
বায়োগাট পাউডারঃ গরুর ওজন যদি ১০০ কেজি হয়ে থাকে তাহলে সকাল ও বিকালে দিনে দুইবার করে দশ গ্রাম খাওয়াতে হবে। তবে কমপক্ষে ১ সপ্তাহ ধরে এই পাউডারটি খাওয়াবেন।
সালফাডিন ভেটঃ এই ট্যাবলেটটি ৮০ কেজি ওজনের গরুর ক্ষেত্রে প্রতিদিন ১টি করে খাওয়াতে হবে। তবে অতিরিক্ত পাতলা পায়খানা হলে দিনে তিনবার এই ট্যাবলেট খাওয়ানো যায়।
জিংক সিরাপঃ এই সিরাপ গরুকে দিনে দুইবার করে 10 থেকে 15 মিলি খাওয়াতে হবে। পাতলা পায়খানা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত খাওয়াতে হবে।
ডিএডিনঃ এটি সাধারণত ৩৫ থেকে ৭০ কেজি ওজনের গরুকে দিনে একটি করে খাওয়াতে হবে অর্থাৎ ট্যাবলেটটি ১টি করে গরুকে খাওয়াবেন।
শেষ কথা
আশা করছি প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টটিতে গরুর পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম ও পাতলা পায়খানার চিকিৎসা কি এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাছাড়াও পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণ গুলো সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে। গরুকে সুস্থ সবল রাখতে হলে সঠিক পরিচর্যা বা যত্ন নিতে হবে। আর গরুর খামার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, বিশেষ করে খাবারের পাত্র ও পানির পাত্র পরিষ্কার রাখতে হবে। তাহলে গরু পাতলা পায়খানার সমস্যা হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।