বুয়েটে পড়লে কি হওয়া যায় ও বুয়েটে কি মেয়েরা পড়ে জেনে রাখুন
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন বুয়েটে কি মেয়েরা পড়ে। আবার অনেকেই বুয়েটের সেরা সাবজেক্ট কোনগুলো সে সম্পর্কে জানতে চান। আপনাদের কথা চিন্তা করেই আমরা আজকের আর্টিকেলটিতে বুয়েটে কি মেয়েরা পড়ে ও বুয়েটের সেরা সাবজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করব।
সূচিপত্রঃপ্রিয় পাঠক আপনারা যদি বুয়েটে সেরা সাবজেক্ট লিস্ট ও বুয়েটে কি মেয়েরা পড়ে এই সম্পর্কিত বিস্তারিত সকল তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। কারণ আজকের পোস্টে বুয়েট সম্পর্কিত সকল কিছু তথ্য আলোচনা করা হবে।
উপস্থাপনা
বর্তমানে বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির মধ্যে বুয়েট সবচেয়ে অন্যতম এবং জনপ্রিয়। প্রায় কমবেশি সকল স্টুডেন্টরা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য এই ভার্সিটিতে চান্স নেওয়ার চেষ্টা করে। এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করার পর শিক্ষার্থীদের এই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়। তবে আপনাদের মধ্যে অনেক মেয়েরা রয়েছেন যারা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য বুয়েটে ভর্তি হতে চান।
কিন্তু মেয়েরা অনেকেই জানতে চায় বুয়েটে কি মেয়েরা পড়ে। অনেক মেয়েরা আছে যারা মনে করে বুয়েটে মেয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারে না। এজন্য তারা উক্ত প্রশ্নটি করে থাকে। তাছাড়াও অনেকে আবার বুয়েটের সেরা সাবজেট কোন গুলো এ সম্পর্কে জানতে চাই। তাদের এই প্রশ্নগুলোর কথা চিন্তা করেই আমরা আজকের এই আর্টিকেলটিতে বুয়েটে কি মেয়েরা পড়ে ও বুয়েটের সেরা সাবজেক্ট লিস্ট সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরব।
বুয়েটে কি মেয়েরা পড়ে
মেয়েরা প্রায়ই বুয়েটে কি মেয়েরা পড়ে এ প্রশ্নটি করে থাকেন। তাদের এই প্রশ্নের উত্তরে বলব বুয়েটে অবশ্যই মেয়েরা পড়তে পারবে অর্থাৎ বুয়েটে মেয়েরা পড়ে। আপনি যদি মেয়ে শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল করে পড়ার সুযোগ পাবেন। বুয়েটে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও পড়ার সুযোগ রয়েছে।
আরো জানুনঃ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি কি
এখানে ছেলে শিক্ষার্থীর পাশাপাশি মেয়ে শিক্ষার্থীদের সমান অগ্রাঅধিকার দেওয়া হয়েছে। তাই আপনারা যারা মেয়েরা রয়েছেন তারা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারেন। তবে বলে রাখা ভালো বুয়েটের প্রথম যে তিনজন শিক্ষার্থী ছিল তারা সকলেই মেয়ে শিক্ষার্থী ছিল। তাহলে বুঝতে পারলেন বুয়েটে অবশ্যই মেয়ে শিক্ষার্থীরা পড়তে পারবে।
বুয়েটে পড়ার খরচ
যারা বুয়েটে ইঞ্জিনিয়ারিং করতে চান তারা প্রায় বুয়েটে পড়ার খরচ কত এ সম্পর্কে জানতে চান। তাদের জন্য আমরা এই অংশে বুয়েটের পড়ার খরচ সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব। বুয়েট যেহেতু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সেহেতু এখানে তেমন বেশি পড়ার খরচ হয় না। এই বুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পাবলিক হল অর্থাৎ থাকার জায়গা রয়েছে। যেখানে আপনারা স্বল্প খরচেই থাকতে পারবেন। এছাড়াও থাকার পাশাপাশি খাবার খরচও কম। এখানে আপনার প্রতিদিন কম খরচেই খাবার খেতে পারবেন। কম খরচে খাবার খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে।
তাহলে বুঝতে পারছেন বুয়েটে পড়ার খরচ তেমন নেই। তবে পরীক্ষা ফ্রি ও সেমিস্টার বেতন দিতে হয় যেখানে সামান্য পরিমাণ খরচ হতে পারে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে আপনাদের প্রতি মাসে কমপক্ষে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। তবে কিছু ক্ষেত্রে কম খরচে হতে পারে। কারণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বুয়েটে ভর্তির যোগ্যতা
বুয়েটে ভর্তি হওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতা থাকার প্রয়োজন হয়। মূলত এখানে আপনার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে ভর্তি পরীক্ষার জন্য সুযোগ পাবেন। আর তারপর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আপনি এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পড়ার সুযোগ পাবেন। তবে চলুন জেনে নেই ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে।
শিক্ষার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের যে কোন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে গ্রেড পদ্ধতিতে বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে(রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত) উক্ত বিষয়গুলোতে জিপিএ ৫.০ এর মধ্যে সর্বনিম্ন ৪.০০ পেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।
তাছাড়াও প্রার্থীকে বাংলাদেশের যে কোন বোর্ড অর্থাৎ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড পরীক্ষায় গ্রেড পদ্ধতিতে জিপিএ ৫.০০ এর মধ্যে জিপিএ ৫.০০ পেয়ে পাস করতে হবে। তাহলে বুঝতে পারছেন আপনাকে অবশ্যই GPA 5 পেতে হবে। আর এখানে যে কোন বোর্ড বলতে বোঝানো হয়েছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড/উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড /মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড /আলীম ইত্যাদি।
আরো জানুনঃ এসএসসি রেজাল্ট দেখার নিয়ম
আপনাকে তাহলে উপরোক্ত যে কোন বোর্ড থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করতে হবে। তবে বিজ্ঞানের বিষয়গুলোতে ন্যূনতম নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে। গণিত বিষয়টিতে ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ১৭০ নম্বর পেয়ে পাস করতে হবে এবং রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়টি একত্রে ৪০০ নম্বরের মধ্যে সর্বনিম্ন মোট ৩৭২ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করতে হবে। তাহলে প্রিয় শিক্ষার্থীরা বুয়েটে ভর্তির যোগ্যতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারলেন।
বুয়েট সাবজেক্ট লিস্ট - বুয়েটে কি কি সাবজেক্ট আছে
আপনারা যারা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যান তারা নিশ্চয়ই বুয়েটে ভর্তি হতে চান। তবে কোন বিষয়টি নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন সে বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের জেনে রাখা উচিত। আর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাইলে কোন কোন সাবজেক্ট রয়েছে সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। সেজন্য আপনাদের বুয়েটে পড়তে চাইলে বুয়েটের সাবজেক্ট লিস্ট সম্পর্কে জানতে হবে।
বিজ্ঞানের সকল সাবজেক্ট গুলো বুয়েটে রয়েছে যেগুলো আপনারা পছন্দমত পড়তে পারবেন। তবে এখানে নির্দিষ্ট নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট সিলেকশন দেওয়া হয়ে থাকে। বুয়েটে সাধারণত পড়ার জন্য পাঁচটি ফ্যাকাল্টি রয়েছে। আর সেই পাঁচটি ফ্যাকাল্টিতে সাবজেক্ট গুলো বিভক্ত করা হয়েছে। নিম্নে বুয়েটের সাবজেক্ট লিস্ট গুলো তুলে ধরা হলোঃ
বুয়েটের পাঁচটি ফ্যাকাল্টি গুলো হলঃ
- Faculty of Civil Engineering
- Faculty of Engineering
- Faculty of Electrical and Electronic Engineering
- Faculty of Mechanical Engineering
- Faculty of Architecture and Planning
প্রত্যেকটি ফ্যাকাল্টি অনেকগুলো সাবজেক্ট নিয়ে গঠিত। তবে চলুন কোন ফ্যাকাল্টিতে কি কি সাবজেক্ট রয়েছে সেগুলো জেনে নেই। এখানে মূলত পাঁচটি অনুষদে ১৮ টি বিভাগ অর্থাৎ সাবজেক্ট রয়েছে। তবে কোন অনুসদে কোন বিভাগ বা সাবজেক্ট রয়েছে সেগুলো আমরা এখন ছক আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
বুয়েটের সেরা সাবজেক্ট কোনগুলো
আপনারা আগের অংশটিতে বুয়েটে কি কি সাবজেক্ট আছে এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে বুয়েটের সেরা সাবজেক্ট কোনগুলো সে সম্পর্কে অনেকেই ভালো মত জানে না। তাদের কথা চিন্তা করে আমরা এখন বুয়েটের সেরা সাবজেক্ট লিস্ট তুলে ধরার চেষ্টা করব। বুয়েটে পাঁচটি অনুষদে ১৮ টি সাবজেক্ট বা বিভাগ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু সাবজেক্ট রয়েছে যেগুলো খুবই জনপ্রিয়।
আরো জানুনঃ মেয়েদের জন্য কোন ইঞ্জিনিয়ারিং ভালো
শিক্ষার্থীরা প্রায় সেই সাবজেক্টগুলোতে পড়াশোনা করতে চাই। তবে একটা কথা মনে রাখা উচিত আপনার কাছে যেই সাবজেক্টটি পড়তে সহজ মনে হবে সেই সাবজেক্টটি হলো আপনার কাছে সেরা সাবজেক্ট। তাই অযথা যে সাবজেক্ট আপনার ভালো লাগেনা সেই সাবজেক্ট পছন্দ করবেন না। বর্তমানে বুয়েটে কিছু জনপ্রিয় ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টগুলোর নাম তুলে ধরা হলোঃ
- Department of Electrical and Electronic Techniques (EEE)
- Department of Computer Science and Engineering (কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ)
- Department of Architecture
- Department of Civil Engineering
- Department of Mechanical Engineering
উপরের দেওয়া সাবজেক্ট গুলো সাধারণত বুয়েটের সেরা সাবজেক্ট বলা হয়ে থাকে। তবে সাবজেক্টগুলোর মধ্যে বর্তমানে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং(CSE) কে সবচেয়ে জনপ্রিয় সাবজেক্ট বলা হয়ে থাকে। তবে আপনার কাছে যেই সাবজেক্ট ভালো লাগবে সেই সাবজেক্টটি হবে সেরা সাবজেক্ট। তাই আপনারা যে কারোর কথা শুনে সাবজেক্ট পছন্দ করবেন না। আপনার পছন্দ অনুযায়ী সাবজেক্ট সিলেক্ট করবেন এবং সেটি হবে আপনার জন্য সেরা সাবজেক্ট।
বুয়েটে পড়লে কি হওয়া যায়
শিক্ষার্থী বন্ধুরা আপনার অনেকেই একটি প্রশ্ন করে থাকেন সেটি হল বুয়েটে পড়লে কি হওয়া যায়। আজ এই অংশে সেই প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আলোচনা করব। বুয়েট যেহেতু ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি তাহলে বুঝতে পারছেন বুয়েটে পড়লে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যায়।বুয়েটে সাধারণত অনেক ধরনের ইঞ্জিনিয়ার সাবজেক্ট রয়েছে। এখানে পাঁচটি বিভাগে ১৮ টি সাবজেক্ট রয়েছে। প্রত্যেকটি ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট রয়েছে।
আরো জানুনঃ টিউবলাইটে কি গ্যাস থাকে
বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে সেরা সাবজেক্ট হিসেবে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ধরা হয়ে থাকে। আর এই সাবজেক্টটি বুয়েটে রয়েছে অর্থাৎ বুয়েটে ভর্তি হলে আপনারা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট নিয়ে পড়তে পারবেন। আর যারা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট নিয়ে পড়ে তাদেরকে সাধারণত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বলা হয়ে থাকে। তাহলে বুঝতে পারছেন বুয়েটে পড়লে আপনারা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবেন।
তাছাড়া আরও অনেক ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর রয়েছে যেগুলো পড়ে আপনারা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবেন। মূলত বুয়েটে ইঞ্জিনিয়ারিং সকল ধরনের সাবজেক্ট রয়েছে তাই বলা যায় বুয়েটে পড়লে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যাবে। আবার অন্য ক্ষেত্রে বুয়েটে পড়ে আপনারা শিক্ষক হতে পারবেন। কারণ এখানে সাবজেক্ট হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিত সাবজেক্ট রয়েছে।
এই সাবজেক্ট গুলো পড়ে আপনারা শিক্ষক হতে পারবেন এবং যে কোন কোম্পানিতে চাকরি করতে পারবেন। তবে সঠিকভাবে বলা যায় না বুয়েটে পড়লে কি হওয়া যায়। এটি নির্ভর করে আপনার পড়ালেখার উপর অর্থাৎ আপনি কিভাবে পড়াশোনা করছেন তার ওপর নির্ভর করে আপনার ভবিষ্যৎ গঠিত হবে। তাই বলা যায় আপনি যদি ভালো পড়াশোনা করেন তাহলে ভালো সেক্টরে চাকরি করতে পারবেন।
বুয়েটে আসন সংখ্যা কত
আপনারা যারা শিক্ষার্থী আছেন তারা বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার আগে বুয়েটে আসন সংখ্যা কত রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চান। এজন্য আমরা এই অংশে বুয়েটে কোন সাবজেক্টে কত আসন সংখ্যা রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। মূলত আপনি যেই সাবজেক্টটিতে পড়তে চাচ্ছেন সেই সাবজেক্টটিতে আসন সংখ্যা কত রয়েছে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নেই বুয়েটের আসন সংখ্যা সম্পর্কে।
আরো জানুনঃ সরকারি পলিটেকনিক কলেজের তালিকা
২০২৩-২৪ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন অনুযায়ী এ বছরের সাধারণত ১৩০৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সুযোগ পাবেন। তবে আসন সংখ্যা গুলো অনেক সময় পরিবর্তন হয়ে থাকে অর্থাৎ কিছু কিছু ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। তবে আমাদের জানামতে এ বছরে 1305 জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। তবে কোন বিভাগে কত করে আসন রয়েছে সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
বুয়েট পাশ করতে কত বছর লাগে
আপনার হয়তো আগেই বুয়েটে পড়লে কি হওয়া যায় এই অংশটি ভালোভাবে পড়ে এসেছেন। বুয়েটে যে কোন সাবজেক্ট নিয়ে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পড়াশোনা করতে হয়। আর এজন্য আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন বুয়েটে পাস করতে কত বছর লাগে। বুয়েটে পাস করতে সাধারণত চার বছর সময় লাগে।
আরো জানুনঃ গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশ
তবে আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে বুয়েটে পাস করতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। প্রত্যেকটি সাবজেক্ট কোর্স চার বছর মেয়াদকাল অর্থাৎ চার বছর ধরে নির্দিষ্ট বিভাগে পড়াশোনা করতে হয়। আপনারা হয়তো জানেন অনার্স পড়তে চার বছর সময় লাগে ঠিক সেভাবেই ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টগুলো পড়তেও চার বছর সময় লেগে থাকে।
বুয়েটে পড়লে কি হওয়া যায় সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা(FAQ)
প্রশ্নঃবুয়েটে ভর্তি হতে কত পয়েন্ট লাগবে?উত্তরঃ বুয়েটে ভর্তি হতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। আর ভর্তি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে এইচএসসি ও এসএসসি দুটি মিলিয়ে সর্বমোট জিপিএ ৯.৫০ পেতে হয়। তবে বিজ্ঞানের সাবজেক্ট গুলোতে সর্বনিম্ন ৮০ মার্ক করে পেতে হবে।
প্রশ্নঃবুয়েটে ভর্তি ফি কিভাবে দিতে হয়?
উত্তরঃ বুয়েটে ভর্তি ফি আপনারা সোনালী ব্যাংক পেমেন্ট পদ্ধতিতে অথবা রকেটের মাধ্যমে অনলাইনে দিতে পারেন। তাছাড়া অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ভর্তি ফ্রি পরিশোধ করতে পারেন।
প্রশ্নঃবুয়েট এর অর্থ কি?
উত্তরঃ বুয়েট এর অর্থ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি।
প্রশ্নঃDu কি buet এর চেয়ে ভালো?
উত্তরঃ বুয়েট যেহেতু ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি সেক্ষেত্রে বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য ভালো। আর Du যেহেতু ঢাকা ইউনিভার্সিটি এখানে প্রায় সকল ধরনের সাবজেক্ট রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ক্ষেত্রে বুয়েট সবচেয়ে ভালো। কিন্তু অন্যান্য সাবজেক্ট পড়ার জন্য আপনারা ঢাকা ইউনিভার্সিটির ভর্তি হতে পারেন।
প্রশ্নঃবুয়েটে পড়তে কত বছর লাগে?
উত্তরঃ বুয়েটে পড়তে চার বছর সময় লাগে। তবে আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে পড়তে হলে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
শেষ কথা
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আশা করছি আপনারা এতক্ষণে পুরো পোস্টটিতে বুয়েটে পড়লে কি হওয়া যায় ও বুয়েটে কি মেয়েরা পড়ে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। তাছাড়া বুয়েটের সাবজেক্ট লিস্ট ও বুয়েটের আসন সংখ্যা সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে। যার কারণে আপনারা কোন বিভাগে কত জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে সে সম্পর্কে জানতে পারলেন। আপনি যদি বুয়েট শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। বুয়েট সম্পর্কিত সকল তথ্য বিস্তারিত জানতে পারবেন।