Telegram group

ordinarybdgnews

বিকোজিন খেলে কি মোটা হয় ও বিকোজিন এর উপকারিতা জেনে নিন

আমারা অনেকেই বিভিন্ন কারণে বিকোজিন ট্যাবলেট খেয়ে থাকি। তবে অনেকে আছে যারা বিকোজিন ট্যাবলেট সম্পর্কে তেমনভাবে জানে না। অনেকে আবার বিকোজিন খেলে কি মোটা হয় এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাই। তাদের জন্য আমরা আজকের এই পোস্টটিতে বিকোজিন খেলে কি মোটা হয় ও বিকোজিন এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
বিকোজিন খেলে কি মোটা হয়
আর্টিকেলসূচিপত্রঃপ্রিয় পাঠক আপনারা যদি বিকোজিন এর উপকারিতা ও বিকোজিন খেলে কি মোটা হয় এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। কারণ পোস্টে বিকোজিন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।

ভূমিকা

বিকোজিন ট্যাবলেট মূলত এক প্রকার ভিটামিন ট্যাবলেট। এটি দেহের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে। অনেক সময় ডাক্তাররা রোগীদের ভিটামিনের জন্য এই ট্যাবলেট প্রেসক্রিপশন করে থাকে। বিকোজিন মূলত জিংক ও ভিটামিন বি সমৃদ্ধ এক প্রকার ভিটামিন ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেটটি শরীরে জিংক ও ভিটামিন বি এর চাহিদা পূরণ করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়া আরো অনেক কারণে এই ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। যা সম্পর্কে আপনারা অনেকেই ভালোমতো জানেন না। 
আপনার প্রায় গুগলে বিকোজিন খেলে কি মোটা হয় এ বিষয়টি জানার জন্য সার্চ করে থাকেন। তাদের জন্য আমরা এখন এই পোস্টটিতে বিকোজিন এর উপকারিতা ও বিকোজিন খেলে কি মোটা হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যগুলো তুলে ধরব। তাই আপনারা যদি বিকোজিন ট্যাবলেট সম্পর্কে জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত আমাদের পোস্টের সাথে থাকুন।

বিকোজিন এর উপকারিতা

আপনার অনেকেই বিকোজিন এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাদের জন্যই আমরা এখন বিকোজিন এর উপকারিতাগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব। আমার অনেক সময়ই বিকোজিন ট্যাবলেট খেয়ে থাকি, কিন্তু এই ট্যাবলেট আমাদের শরীরে কি কাজ করে থাকে এ সম্পর্কে অনেকেই ভালোমতো জানিনা। তাদের জন্যই আজকের এই অংশটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। 
কারণ এই অংশে ট্যাবলেটের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। আপনারা হয়তো আগে জেনেছেন বিকোজিন ট্যাবলেটটি ভিটামিন বি ও জিংক এর সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে। যাদের শরীরে ভিটামিন বি ও জিংকের ঘাটতি রয়েছে তাদের সাধারণত এই ট্যাবলেটটি দেওয়া হয়ে থাকে। তবে চলুন উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জেনে নেই।
  • বিকোজিন ট্যাবলেট এ ভিটামিন বি থাকায় এটি আমাদের শরীরে ভিটামিন বি এর ঘাটতি পূরণ করতে পারে। তাছাড়াও এই ট্যাবলেটে জিংক রয়েছে যার কারণে এটি জিংক এর অভাবজনিত সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে।
  • এই ট্যাবলেটে ভিটামিন বি রয়েছে সেক্ষেত্রে এই ট্যাবলেটটি শিশুদের শারীরিক গঠন উন্নতির জন্য সাহায্য করে থাকে। মূলত বাচ্চাদের শারীরিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
  • বিকোজিন ট্যাবলেট খেলে মস্তিষ্কের কার্যকর ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। কারণ বিকোজিন ট্যাবলেট এ ভিটামিন বি রয়েছে যেটি মস্তিষ্কের কার্যকর ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • এছাড়াও বয়স্ক ব্যক্তিদের শরীর দুর্বলতার জন্য অনেক সময় এই ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। তাহলে বলা যায় শরীরের দুর্বলতা কমাতে এই ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন।
  • আমার বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের কার্যকর ক্ষমতা কমে গেলে বা স্মৃতিশক্তি কমে গেলে এই ওষুধ দেওয়া হয়ে থাকে। মূলত ডাক্তাররা স্মৃতিশক্তি কিছুটা বাড়ানোর জন্য ভিটামিন বি জাতীয় ওষুধ দিয়ে থাকে। আর এই বিকোজিন ট্যাবলেট ভিটামিন বি দিয়ে গঠিত।
  • বিকোজিন ট্যাবলেট খেলে ভিটামিন বি এর অভাবজনিত রোগ যেমনঃ বমি বমি ভাব, অরুচি, চর্মরোগ ও ইনফেকশন সহ বিভিন্ন রোগ দূর করা যায়। এ ধরনের রোগ গুলো প্রতিরোধ করার জন্য ডাক্তাররা প্রায় বিকোজিন ট্যাবলেট প্রেসক্রিপশন করে থাকে।
  • তাছাড়া এই ট্যাবলেট খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের কার্যকর ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ানো যায়। আর আপনারা হয়তো জানেন শক্তি বাড়ানোর জন্য জিংক খুবই উপকারী। আর এই জিংক উপাদানটি বিকোজেন ট্যাবলেটে রয়েছে।
  • মুখে অরুচি ও ঘ্রাণ নেওয়ার শক্তি কমে গেলে এই ট্যাবলেটে দেওয়া হয়ে থাকে। এই ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে খাবার খাওয়ার রুচি বেড়ে যায় এবং ঘ্রাণ নেওয়ার শক্তি অনেকটা বেড়ে যায়। যার ফলে সহজেই খাবারের টেস্ট বোঝা যায়।
  • আপনারা হয়তো জানেন জিংক এর অভাব হলে মুখে এক প্রকার সাদা ইনফেকশন দেখা যায়। আর এই বিকোজিন ট্যাবলেট খেলে ইনফেকশন দূর করা যায়। কারণ বিকোজিন ট্যাবলেটটি জিংক নিয়ে গঠিত।
  • আপনাদের শরীরে যদি প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন-বি ও জিংকের ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা এই বিকোজিন ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। কারণ এই ট্যাবলেটের মাধ্যমে শরীরের জিংকের এবং ভিটামিন বি এর ঘাটতি পূরণ করা যায়।
  • এই ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে শরীরে হাড় মজবুত রাখা যায়। কারণ জিংকের অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে বিকোজিন ট্যাবলেট এ থাকা জিংক শরীরের হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
  • তাছাড়াও ডায়াবেটিস ও বহুমূত্র রোগীদের ক্ষেত্রে এই ট্যাবলেট খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। কারণ জিংকের ঘাটতি থাকলেই বহুমূত্র রোগ হয়ে থাকে। সেটি দূর করতে এই জিংক যুক্ত খেতে পারেন।
  • বিকোজিন ট্যাবলেটটি শিশুদের এডিএইচডি ও অ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আশা করছি আপনারা এতক্ষণে বিকোজিন এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জেনে গেছেন। তবে এই ট্যাবলেটটি আপনাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। কোন কারণ ছাড়া ট্যাবলেট গ্রহণ করা উচিত নয়, অযথা ট্যাবলেট গ্রহণ করলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ট্যাবলেট গ্রহণ করুন।

বিকোজিন খেলে কি মোটা হয়

আপনারা সবাই প্রায় একটি প্রশ্ন করে থাকেন সেটি হলো বিকোজিন খেলে কি মোটা হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে হলো না, বিকোজিন খেলে মোটা হয় না। অর্থাৎ বিকোজিন ট্যাবলেট খেলে মানুষ মোটা হয় না। এটি কোন মোটা বা ওজন বৃদ্ধির ওষুধ নয়, সে ক্ষেত্রে এই ট্যাবলেট খেলে মোটা হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে এটি যেহেতু ভিটামিন ট্যাবলেট সেক্ষেত্রে অনেক সময় স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে। এই ট্যাবলেট এ ভিটামিন থাকার কারণে শরীরের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়।
তাছাড়া ওই ট্যাবলেটটি ভিটামিন বি এর চাহিদা পূরণ করে। যার ফলে শরীরে পুষ্টিকর উপাদানের চাহিদা পূরণ হয়। এই ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, যার কারণে অনেকেই বেশি খাবার খেয়ে থাকে। যার ফলে শরীরের শারীরিক উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। এই ট্যাবলেটটি খেলে সরাসরি কোন ওজন বৃদ্ধি হয় না বা শরীর মোটা হয় না। ট্যাবলেটটি শুধুমাত্র শরীরে পুষ্টিকর উপাদানের চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই আমরা আবারো বলে দিচ্ছি বিকোজিন ট্যাবলেট খেলে মোটা হওয়া যায় না।

বিকোজিন সিরাপ খেলে কি হয়

বিকোজিন ট্যাবলেট এর মত বিকোজেন সিরাপ প্রায় একই ধরনের উপকারিতা গুলো দিয়ে থাকে। এমন অনেক ব্যক্তি আছে যারা ট্যাবলেট জাতীয় ওষুধ খেতে পারে না, তারা চাইলে সিরাপ ওষুধ খেতে পারেন। আর সেজন্যই কোম্পানি বিকোজিন ট্যাবলেট এর পাশাপাশি বিকোজিন সিরাপ তৈরি করেছে। যাদের ট্যাবলেট খেতে সমস্যা হয় তারা বিকোজিন সিরাপ খেতে পারেন। বিকোজিন সিরাপ ও বিকোজিন ট্যাবলেট মূলত একই প্রকার উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

আর সেই উপাদান দুটি হল জিংক ও ভিটামিন বি। এই দুইটি উপাদান দিয়েই মূলত উৎপাদন করা হয়েছে। তাহলে সে ক্ষেত্রে বলা যায় বিকোজিন ট্যাবলেট ও বিকোজিন সিরাপ এর উপকারিতা গুলো প্রায় একই রকম। সাধারণত ডাক্তাররা রোগীদের শরীরে ভিটামিন বি ও জিংক এর অভাবের কারণে এই সিরাপটি প্রেসক্রাইব করে থাকে। যার ফলে যাদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন-বি ও জিংক এর অভাব রয়েছে ,
বিকোজিন সিরাপ খেলে কি হয়
তাদের ক্ষেত্রে বিকোজিন ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে এই পুষ্টিকর ভিটামিনের চাহিদাগুলো পূরণ হয়। আশা করছি আপনারা বিকোজিন সিরাপ খেলে কি হয় এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। মূলত একই ধরনের উপকারিতা গুলো প্রদান করে থাকে। তাই আপনারা বিকোজিন এর উপকারিতা অংশটি ভালোভাবে পড়বেন তাহলেই সিরাপের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।

বিকোজিন ট্যাবলেট এর দাম

বিকোজিন ট্যাবলেট সেবন করার পূর্বে অবশ্যই বিকোজিন ট্যাবলেট এর দাম সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। এজন্য আমরা আজকের এই অংশে বিকোজিন ট্যাবলেটের দাম সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করব। প্রতি পিস বিকোজিন ট্যাবলেট এর দাম ৩ টাকা। আর একটি কোটাতে ৩০ টি ট্যাবলেট থাকে। তাহলে সেক্ষেত্রে বিকোজিন ট্যাবলেটসহ একটি কৌটার দাম ৯০ টাকা। ৯০ টাকাতে ৩০ টি বিকোজিন ট্যাবলেট কৌটায় পাওয়া যাবে।

বিকোজিন সিরাপ এর দাম

আপনার কি বিকোজিন সিরাপের দাম জানেন। আমরা এখন বিকোজিন সিরাপ এর দাম সম্পর্কে জানব। প্রতি ১০০ মিলি বোতলের বিকোজিন সিরাপ এর দাম ৫৫ টাকা। আর ২০০ মিলি বোতলের বিকোজিন সিরাপ এর দাম ১১০ টাকা।

বিকোজিন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

বিকোজিন ট্যাবলেট থেকে সঠিক পুষ্টি পেতে অবশ্যই বিকোজিন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। কারণ সঠিক নিয়মে না খেলে এই ট্যাবলেট থেকে ভালো উপকারিতা পাওয়া যাবে না। তাছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে এই ট্যাবলেট খেয়ে ফেললে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা গুলো দেখা দিতে পারে। সেজন্যই আপনাদের সঠিকভাবে নিয়ম অনুযায়ী এই ট্যাবলেটটি খেতে হবে। তবে চলুন বিকোজিন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম জেনে নেই।
  • প্রাপ্তবয়স্ক বা ১৮ বছরের উপরে ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ট্যাবলেটটি প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার ১টি বা ২টি করে ট্যাবলেট খেতে পারে।
  • আর যেসব বাচ্চাদের ওজন ৩০ কেজির উপরে তারাও এই ট্যাবলেটটি এক থেকে দুইটি করে প্রতিদিন দুইবার করে খেতে পারেন।
তবে ট্যাবলেটগুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্যাবলেট গুলো খাওয়ানো উচিত হবে। আপনারা কখনোই এই ট্যাবলেট ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না। আর শিশুদেরও খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না।

বিকোজিন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা বিকোজিন ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন না, তারা চাইলে বিকোজিন সিরাপ খেতে পারেন। আর এই সিরাপ খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। এজন্য আমরা এই অংশে বিকোজিন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম গুলো আলোচনা করব। নিচের ছকে বিকোজিন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম তুলে ধরা হলোঃ

ব্যক্তি বা শিশু

  সিরাপ পরিমাণ

নিয়ম

প্রাপ্ত বয়স্ক

প্রতিদিন ১০ মিঃলি (২ চামচ)

২-৩ বার

বাচ্চা

প্রতিদিন ১০ মিঃলি (২ চামচ)

১-৩ বার 

শিশু

প্রতিদিন ৫ মিঃলি (১ চামচ)

১-২ বার 

আপনার তাহলে ছকটিতে সিরাপ খাওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারলেন। আর মনে রাখবেন সিরাপ গুলো অবশ্যই রেজিস্টাড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।

বিকোজিন ট্যাবলেটের অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

বিকোজিন ট্যাবলেট এর অপকারিতা তেমন নেই বললেই চলে। কারণ এই ট্যাবলেটটি শরীরে ভিটামিন প্রদান করে থাকে। আর এই ট্যাবলেট থেকে তেমন কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি। তবে কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে এই ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া ও পাকস্থলী জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য নিয়ম মেনে খেতে হবে।

এছাড়াও যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই ট্যাবলেট খেলে অনেক সময় এলার্জির প্রতিক্রিয়া বেড়ে যেতে পারে। যেসব ব্যক্তিদের কেবল অপারেশন হয়েছে তাদের এই ট্যাবলেট খাওয়া যাবে না। তাছাড়াও গর্ভকালীন মায়েদের ক্ষেত্রে এ ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়। এছাড়া আর তেমন ধরনের কোন সমস্যা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি।

বিকোজিন সম্পর্কিত সাধারণ জিজ্ঞাসা(FAQ)

প্রশ্নঃ আমরা কি দিনে দুবার বিকোজিন নিতে পারি?
উত্তরঃ হ্যাঁ, আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দিনে দুইবার বিকোজিন ট্যাবলেট খেতে পারেন। তবে সাধারণভাবে দিনে দুইবার বিকোজিন নিতে পারেন।

প্রশ্নঃ বিকোজিন কি ওজন বাড়ায়?
উত্তরঃ বিকোজিন ওজন বাড়ায় না, তবে এটি ভিটামিন ট্যাবলেট হয় অনেক সময় স্বাস্থ্যর উন্নতি হতে পারে। যার কারণে কিছুটা হলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তবে এটি সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ এই বিকোজিন কোন ওজন বৃদ্ধির ঔষধ নয় তাই এটি খেলে সরাসরি ওজন বাড়ে না।

প্রশ্নঃBicozin কিভাবে নিতে হয়?
উত্তরঃ বিকোজিন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ৩০ কেজি ওজনের শিশুদের ক্ষেত্রে এক থেকে দুটি ট্যাবলেট সেবন করতে পারবে। আর বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও একই ভাবে ১-২ দুইটি ট্যাবলেট দিনে দুইবার গ্রহণ করতে পারবে।

প্রশ্নঃ বিকোজিন কিসের ঔষধ?
উত্তরঃ বিকোজেন মূলত ভিটামিন জাতীয় ঔষধ। কারণে এতে ভিটামিন বি ও জিংক উপস্থিত রয়েছে। আর এটি শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে। তাছাড়াও এই ওষুধ বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় করতে কাজ করে থাকে।

শেষ কথা

আশা করছি প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টটিতে বিকোজিন খেলে কি মোটা হয় ও বিকোজিন এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এছাড়াও আপনাদের জন্য বিকোজিন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম ও দাম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যার ফলে অতি সহজেই আপনারা সঠিক নিয়ম ও দাম জেনে ট্যাবলেটটি সেবন করতে পারবেন। আর এই ট্যাবলেট রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের নিকট দেখিয়ে সেবন করবেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url