সুইজারল্যান্ডে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত
আমরা অনেকেই কাজের উদ্দেশ্যে সুইজারল্যান্ডে গিয়ে থাকি। তবে যারা সর্বপ্রথম
সুইজারল্যান্ডে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাচ্ছেন, তাদের অবশ্যই সুইজারল্যান্ডে
যাওয়ার আগে সুইজারল্যান্ডে কোন কাজে চাহিদা বেশি এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে রাখা
উচিত। কারণ এই বিষয়টি জেনে রাখলে আপনারা সঠিক প্রস্তুতি নিয়ে সুইজারল্যান্ডে
গিয়ে ভালো অর্থ আয় করতে পারবেন। আর আপনাদের কথা চিন্তা করেই আমরা আজকের
পোস্টটিতে সুইজারল্যান্ডে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন
কত এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আর্টিকেলসূচিপত্রঃপ্রিয় পাঠক আপনারা যদি সুইজারল্যান্ডে কোন কাজের চাহিদা
বেশি ও সুইজারল্যান্ডের ভিসার দাম কত এই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে চান
তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আজকের
আর্টিকেলে সুইজারল্যান্ড ভিসা ও কোন কাজের চাহিদা সুইজারল্যান্ডে রয়েছে সে
সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
ভূমিকা
আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা বিদেশে কাজের উদ্দেশ্যে যেয়ে থাকে। বিশেষ করে
সুইজারল্যান্ডে অনেকেই কাজের উদ্দেশ্যে যেয়ে থাকে। আমাদের দেশে প্রতিবছর হাজার
হাজার মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশি গমন করছে। তার মধ্যে অনেকেই সুইজারল্যান্ডে
কাজের উদ্দেশ্যে যায়। তবে সুইজারল্যান্ডে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এ
সম্পর্কে জেনে আপনাদের যাওয়া উচিত।
আরো জানুনঃ
সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন ২০২৪
কারণ আপনি অদক্ষ কর্মী হয়ে সুইজারল্যান্ডে গেলে তেমন ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন
করতে পারবেন না। এজন্য আপনাদের সুইজারল্যান্ড যাওয়ার পূর্বে কোন কাজের
চাহিদা বেশি রয়েছে সেটি সম্পর্কে জেনে প্রশিক্ষণ নিয়ে যেতে হবে। আর আপনাদের
সুইজারল্যান্ড এর কাজের বিষয় জেনে,
কোন কাজ করতে আপনি যাবেন সে বিষয়টি নির্বাচন করে দক্ষতা অর্জন করার জন্য
প্রশিক্ষণ নিতে হবে। আপনারা যদি দক্ষ হয়ে সুইজারল্যান্ডে যান তাহলে নিশ্চয়ই
ভালো একটা মাসিক বেতনে চাকরি করতে পারবেন। তাই আমরা আপনাদের সুবিধার্থে আজকের
আর্টিকেলে সুইজারল্যান্ড দেশে কোন কাজে চাহিদা বেশি রয়েছে সেই সম্পর্কে জানানোর
চেষ্টা করব।
সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত
আপনার অনেকেই সুইজারল্যান্ডের কাজের সর্বনিম্ন বেতন কত এ সম্পর্কে জানতে
চেয়েছেন। তাদের কথা চিন্তা করে আমরা আজকের এই অংশে সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন
কত সম্পর্কে আলোচনা করব। সুইজারল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম উন্নয়নশীল দেশ। এখানে
প্রায় সকল কাজের বেতন বেশি হয়ে থাকে। যেসব কর্মীরা দক্ষ তারা বিভিন্ন কাজের
জন্য ভালো বেতন পেয়ে থাকে।
সুইজারল্যান্ড দেশটিতে প্রতি ঘন্টা অনুযায়ী বেতন হিসাব করা হয়। এই দেশের কাজের
নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে প্রতিটি কর্মীকে অন্তত ৪০ ঘন্টা কাজ করতে হয়। তবে
শ্রমিকরা চাইলে এর থেকে বেশি সময় কাজ করতে পারে। এতে করে তাদের বেতন অনেক সময়
বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া গেছে, সুইজারল্যান্ডে
প্রতি ঘন্টায় সর্বনিম্ন বেতন ২৪ সুইস ফ্রাঙ্ক। যা বাংলাদেশী টাকায় হিসাব করলে
৩০৫০ টাকা হয়।
আরো জানুনঃ
সৌদি আরব ভিসা চেক অনলাইন বাংলাদেশ
তাহলে বুঝতে পারছেন সুইজারল্যান্ডে প্রতি ঘন্টায় একটি কর্মী সর্বনিম্ন ৩০৫০ টাকা
বেতন পাবে। সুইজারল্যান্ড মূলত উচ্চ আয়ের দেশ যার কারণে এখানে কাজের বেতন বেশি
দেওয়া থাকে। সুইজারল্যান্ডে আপনি কাজ করে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৫ থেকে ৬ লাখ
টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনারা যদি দক্ষ হয়ে সুইজারল্যান্ড কাজের বিষয় নিয়ে
যেতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে অন্তত ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। আশা
করছি আপনারা সুইজারল্যান্ড এর সর্বনিম্ন বেতন সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।
সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা
সুইজারল্যান্ড সরকার সাধারণত দুই ধরনের কাজের ভিসা চালু করেছে। প্রথমটি হল উচ্চ
দক্ষতা সম্পন্ন কর্মী যাদের A Permit ক্যাটাগরি করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় কম
দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীদের B Permit ক্যাটাগরি রয়েছে। এই দুই ক্যাটাগরিতে আপনারা
সুইজারল্যান্ডে কাজের ভিসাতে যেতে পারবেন। আপনার কাজের দক্ষতা ভালো হয়ে থাকলে
আপনি A Permit ক্যাটাগরির ভিসায় যেতে পারবেন। আর যদি আপনার মাঝারি দক্ষতা থাকে
তাহলে আপনি বি পারমিট ভিসায় যেতে পারবেন।
আরো জানুনঃ
মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত
সুইজারল্যান্ডের কাজের ভিসা আবেদন করতে হলে অবশ্যই কোম্পানির চাকরির চুক্তিপত্র
থাকতে হবে অর্থাৎ সুইজারল্যান্ডে আপনি যে কোম্পানিতে চাকরি করবেন তাদের অফার
লেটার থাকতে হবে। মূলত সুইজারল্যান্ডে আপনি কোন চাকরি না পেলে সেখানে যাওয়ার
জন্য আবেদন করতে পারবেন না। আপনার যদি সুইজারল্যান্ড থেকে কোন কাজের অফার দেওয়া
হয়ে থাকে তাহলে আপনি সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা আবেদন করতে পারেন।
তাছাড়াও আপনাদের সর্বনিম্ন দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর পাশাপাশি
সুইজারল্যান্ড এর ভাষা ও জার্মান , ইংলিশ ইত্যাদির যেকোনো ভাষাতে পারদর্শী হতে
হবে। ইতালি ও ফারসি ভাষাতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তারপর আপনারা সুইজারল্যান্ড
কাজের ভিসার ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে আবেদন করবেন।
আপনারা সুইজারল্যান্ডের ভিসা আবেদন করার জন্য বিভিন্ন এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে
পারেন। তাছাড়া সরকারিভাবে ভিসা করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর একটা কথা মনে
রাখবেন কখনোই দালালদের সাথে যোগাযোগ করে ভিসা করবেন না। দালালরা অনেক সময়
প্রতারণা করে থাকে। এজন্য সঠিক এজেন্সির কাছে গিয়ে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন
করবেন।
সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা পেতে কি কি লাগে(প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট)
সুইজারল্যান্ডের কাজের ভিসা পেতে কি কি কাগজ লাগতে পারে অথবা কি কি প্রয়োজনীয়
ডকুমেন্ট লাগে সে সম্পর্কে অনেকেই হয়তো ভালোমতো জানেন না। এজন্য আমরা আজকের এই
অংশের সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা পেতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সম্পর্কে আলোচনা করব।
নিম্নে সুইজারল্যান্ডে কাজের ভিসা পেতে কি কি লাগে তা তুলে ধরা হলোঃ
- একটি বৈধ পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি রঙিন ছবি
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা ভোটার আইডি কার্ড
- IELTS পরীক্ষার সনদ
- সুইস ভাষা পরীক্ষার সনদ পত্র
- নিজের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- মেডিকেল সনদপত্র
- চাকরির কভার লেটার
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের ফটোকপি
- ভিসা ফি প্রদানের রশিদ
- চাকরির দক্ষতার প্রমাণ
- করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রমাণপত্র
- চিকিৎসা ইন্সুরেন্স বা বীমা কাগজপত্র
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
সাধারণত উপরোক্ত কাগজগুলো ভিসা করার জন্য প্রয়োজন হয়। তাছাড়াও বর্তমানে ভিসা
প্রসেসিং আপডেট হওয়ার কারণে আরো কিছু তথ্যর জন্য কাগজ চাইতে পারে সেগুলো আপনারা
দিয়ে দিবেন। আর কি কি কাগজ লাগবে সেগুলো আপনারা ভিসা অফিস থেকে ভালোভাবে জেনে
নিবেন।
সুইজারল্যান্ডে কোন কাজের চাহিদা বেশি
আপনারা যদি সুইজারল্যান্ডে কাজ করতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই সুইজারল্যান্ডে কোন
কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। কারণ আপনি কাজের চাহিদা অনুযায়ী
দক্ষতা অর্জন করে সুইজারল্যান্ডে যেতে পারেন, এতে করে আপনি ভালো বেতনে চাকরি করতে
পারবেন। কারণ সুইজারল্যান্ডে দক্ষ শ্রমিকদের প্রচুর সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়ে
থাকে। নিম্নে সুইজারল্যান্ডে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে তুলে ধরা হলোঃ
- ফার্মাসিস্ট
- ড্রাইভার
- কৃষক
- শিক্ষক
- ডাক্তার
- নার্স
- আইনজীবী
- ইঞ্জিনিয়ার
- ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার
- কনস্ট্রাকশন
- টেকনিশিয়ান
- হোটেল বয়
- মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি
- দক্ষ নির্মাণ শ্রমিক
- দক্ষ প্রযুক্তিবিদ
তাহলে আশা করছি আপনারা উপরের লিস্টে সুইজারল্যান্ডে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ
সম্পর্কে জানতে পারলেন। আপনার এখন কাজগুলো সম্পর্কে জেনে যে কোন একটি বিষয়ে
দক্ষতা অর্জন করবেন। তারপর যেকোনো একটি কাজের দক্ষতা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে গেলে
অনেক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। তাছাড়াও দক্ষ হয়ে সুইজারল্যান্ড গেলে আপনি
উচ্চ বেতনের চাকরি করতে পারবেন। কারণ সুইজারল্যান্ডে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীদের
বেশি মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।
সুইজারল্যান্ড কোন কাজের বেতন কত
আপনার অনেকেই আমাদের কাছে সুইজারল্যান্ডের কোন কাজের বেতন কত এ সম্পর্কে জানতে
চেয়েছেন। এজন্য আমরা আজকের এই পাঠে সুইজারল্যান্ড কোন কাজের বেতন কত এ
সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরব। আপনারা হয়তো আগেই সুইজারল্যান্ডের কোন কাজের
চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে জেনে এসেছেন। তবে সেই কাজের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন
ধরনের বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। আমরা এখন আপনাদের সামনে সুইজারল্যান্ডের কাজের
বেতন কত তা তুলে ধরব।
- সুইজারল্যান্ডে ডাক্তারদের সবচেয়ে বেশি বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। ডাক্তাররা সুইজারল্যান্ডে সর্বনিম্ন ১২,৯৭,০০০ টাকা বেতন পেয়ে থাকে। তবে উচ্চ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডাক্তারদের আনুমানিক ১৮০৬০০০ টাকা বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়াও সহকারী চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্টদের ১০৯৭০০০ টাকা বেতন দেওয়া হয়।
- শিক্ষক , আইনজীবী ও ডাইভারদের সাধারণত আনুমানিক ৮৮০০০০ থেকে ৯৬৪০০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে। তবে কাজের চাহিদা অনুযায়ী বেতন আরো বৃদ্ধি পায়।
- আর সুইজারল্যান্ডে ইঞ্জিনিয়ারদের সাধারণত আনুমানিক বাংলাদেশি টাকায় ৬৪৫০০০ থেকে ৮২৫০০০ পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়ে থাকে।
তাহলে আশা করছি আপনারা সুইজারল্যান্ডে কোন কাজের বেতন বেশি ও কোন কাজের বেতন
কত দেওয়া হয়ে থাকে তা জানতে পারলেন। আমরা উপরের লিস্টে সাধারণত আনুমানিক
বেতন তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আর লিস্টে মূলত বাংলাদেশি টাকার হিসেবে বেতনের
মান দেওয়া হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের ভিসার দাম কত
আপনারা যারা সুইজারল্যান্ডে যেতে চান তারা অনেকেই সুইজারল্যান্ডের ভিসার দাম কত এ
সম্পর্কে জানতে চান। আমরা এখন সুইজারল্যান্ডের ভিসার দাম কত তা আলোচনা করব।
সুইজারল্যান্ডে ভিসার দাম সাধারণত ভিসা ক্যাটাগরি ও আবেদন প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর
করে। সাধারণত সরকারিভাবে বা নিজে ভিসার জন্য আবেদন করলে তার খরচ হবে ৭ থেকে ৮
লক্ষ টাকা। তবে বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন করলে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০
লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে।
আরো জানুনঃ
সৌদি আরব ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত
কিন্তু বলে রাখা ভালো বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ডে সহজে ভিসা পাওয়া যায় না।
যদি আপনি কাজের জন্য ভিসা আবেদন করে থাকেন তাহলে ভিসা পেতে পারেন। তবে
সুইজারল্যান্ডে কোন কাজের জন্য যাবেন তার সনদপত্র ও যে কোম্পানিতে চাকরি করবেন
তাদের অফার লেটার থাকতে হবে। তাছাড়া আপনারা চাইলে টুরিস্ট ভিসা অথবা স্টুডেন্ট
ভিসায় যেতে পারেন।
বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগবে
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ডে যেতে চান তাহলে ভিসার জন্য আবেদন করতে
হবে। আর বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ডে যেতে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা লাগতে পারে। আর
যদি বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন করে যেতে চান তাহলে খরচ পড়বে ১৫ থেকে
২০ লক্ষ টাকার মতো। তাহলে বুঝতে পারেন বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ড যেতে ৮ লক্ষ
টাকা লাগবে।
সুইজারল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
আপনারা কি সুইজারল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা এ সম্পর্কে জানতে চান।
তাহলে অবশ্যই আজকের এই অংশটি ভালো করে পড়বেন। কারণ আজকের এই অংশে
সুইজারল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা
হবে। আপনারা যারা সুইজারল্যান্ডে কাজ করতে যেতে চান তাদের অবশ্যই টাকার মানের
হিসাব সম্পর্কে জানতে হবে। অনেকেই সুইজারল্যান্ডে কাজ করে থাকেন কিন্তু
সুইজারল্যান্ডের এক টাকা বাংলাদেশী টাকায় কত হয় তা সম্পর্কে জানেন না।
এজন্য অনেক সময় আপনারা বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে থাকেন। তাই আমরা বলব আপনারা অবশ্যই
সুইজারল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের টাকার মান সম্পর্কে জেনে রাখবেন। সাধারণত
বর্তমান রেট অনুযায়ী সুইজারল্যান্ডের ১ টাকা= বাংলাদেশের ১২৭ টাকা। অর্থাৎ
সুইজারল্যান্ডের এক টাকা বাংলাদেশী টাকায় ১২৭ টাকা। সুইজারল্যান্ডের টাকার রেট
প্রতিনিয়ত আপডেট হতে থাকে।
সুইজারল্যান্ড মুদ্রার নাম কি
বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মুদ্রার নাম সুইস ফ্রাঙ্ক। এই
মুদ্রাটি সুইজারল্যান্ডের সর্বত্র জায়গায় ব্যবহার করা হয়। সুইজারল্যান্ডের সব
জায়গাতে এই মুদ্রার মানটি বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া ও
সুইজারল্যান্ডে আরেকটি মুদ্রা চালু হয়েছে সেটি হল ইউরো। যেটি মূলত
সুইজারল্যান্ডে কিছু কিছু অঞ্চলে ব্যবহার করা হয়। আর ইউরো মুদ্রাটি সবচেয়ে
বেশি ব্যবহার হয় ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতে। তবে এক কথায় আমরা বলতে পারি
সুইজারল্যান্ড মুদ্রার নাম সুইচ ফ্রাঙ্ক।
সুইজারল্যান্ডে কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কিত সাধারণ জিজ্ঞাসা ও প্রশ্ন(FAQ)
প্রশ্নঃসুইজারল্যান্ডে এর মাসিক বেতন কত?
উত্তরঃ সুইজারল্যান্ডে এর মাসিক
বেতন ৮-১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃসুইজারল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি বেতনের চাকরি কোনটি?
উত্তরঃ সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বেশি বেতনের চাকরি হলো নিউরোসার্জন। তাছাড়াও
সুইজারল্যান্ডে ডাক্তারদের সবচেয়ে বেশি বেতন দেওয়া হয়। অর্থাৎ বলা যায়
সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বেশি বেতনের চাকরি হলো ডাক্তার।
প্রশ্নঃসুইজারল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি চাওয়া চাকরি?
উত্তরঃ সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বেশি চাওয়া চাকরি হলোঃ কনস্ট্রাকশন কাজ
, দক্ষ শ্রমিক , নির্মাণ ও স্বাস্থ্যসেবা। সুইজারল্যান্ডের সাধারণত বিদেশি
শ্রমিকদের বেশি সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়।
প্রশ্নঃসুইজারল্যান্ডে কোন ডাক্তারের চাহিদা বেশি?
উত্তরঃ সুইজারল্যান্ড বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চাহিদা বেশি।
শেষ কথা
আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টটিতে আপনারা সুইজারল্যান্ডে কোন কাজে চাহিদা বেশি ও
সুইজারল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন।
তাছাড়াও সুইজারল্যান্ডে যেতে কত টাকা লাগে ও সুইজারল্যান্ড কোন কাজের বেতন কত এ
সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা সুইজারল্যান্ড কাজের ভিসা সম্পর্কিত
বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে পেলেন। আপনারা এখন যারা সুইজারল্যান্ডে যেতে চান তারা
অবশ্যই কাজের ভিসা নিয়ে যাবেন।