Telegram group

ordinarybdgnews

ভিটামিন এ ক্যাপসুল বেশি খেলে কি হয় সহজে জেনে রাখুন

ভিটামিন এ ক্যাপসুল বেশি খেলে কি হয় এ সম্পর্কে অনেকেই আপনারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। তাই আমরা আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটিতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল বেশি খেলে কি হয় ও ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাছাড়া ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কেও তুলে ধরা হবে।
ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর নিয়ম
পোস্টসূচিপত্রঃভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো জানতে আপনারা আজকের পোস্টটিতে এসেছেন। তবে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই আজকের এই পোস্টটিতে আমরা গুরুত্ব সহকারে ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরবো।

ভূমিকা

আমরা সকলে জানি শিশুর জন্মের পর তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এবং বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়ে থাকে। তাই আপনাদের শিশুদের বা বাচ্চাদের কিভাবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবেন এই সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। আর অবশ্যই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর নিয়ম গুলো জানতে হবে। যা আমরা এই পোস্টে আলোচনা করার চেষ্টা করব। আপনারা অনেকেই হয়তো বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরে ঘুরে দেখছেন তবে কোথাও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। 

তবে চিন্তায় কোন কারণ নেই আপনি যদি আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই আপনি ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাছাড়াও এই আর্টিকেলে আমরা ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর উপকারিতা , ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার বয়স ,ভিটামিন এ ক্যাপসুল বেশি খেলে কি হয় ইত্যাদি সহ ভিটামিন এ ক্যাপসুল সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই দেরি না করে জেনে রাখুন ভিটামিন এ এর উপকারিতা।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম 

আপনার অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করে থাকেন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম কি? তবে এ সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করব। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় যেটা প্রত্যেকটি মায়েদের জানা উচিত। ভিটামিন এ ক্যাপসুলে থাকা ভিটামিন সমূহ শিশুদের অনেক উপকার করে থাকে বিশেষ করে রাতকানা রোগ , রিকেটসহ নানা ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করে এই ভিটামিন এ ক্যাপসুল। তাছাড়াও শিশুর হাড় গঠনে ও দাঁত গঠনে করতে সাহায্য করে। তাহলে বুঝতে পারছেন ভিটামিন এ ক্যাপসুল কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিটি মায়েদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চাদের কখন কোন ক্যাপসুল খাওয়াতে হয় সে সম্পর্কে জানা এবং ধারণা রাখা। তাই প্রতিটি শিশুদের মায়েদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে কখন শিশুকে কোন ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। তাছাড়া আরও জানতে হবে কত বছর বয়সে শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। তবে বর্তমানে মায়েরা অনেক সচেতন হয়ে গেছে, বিধায় তারা ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাই।

বর্তমানে প্রতি বছর সারা দেশে শিশুদের ক্ষেত্রে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী বাচ্চাদের নীল ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়ে থাকে। আর ৬ মাসের বেশি ও ৫ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে একটি করে লাল ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। সাধারণত প্রতিটি বছরই এই শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য সরকার ক্যাম্পেইন করে থাকে। যার ফলে শিশুরা শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন পাই। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য শিশুকে অবশ্যই ভরা পেটে রাখতে হবে। 
ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর নিয়ম
ভরা পেটে শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। কখনোই খালি পেটে খাওয়ানো যাবে না। আর খাওয়ানোর সময় ভালোভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাপসুল এর মধ্য থেকে লিকুইড বের করে শিশুকে খাওয়াতে হবে। আর অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে ক্যাপসুলে থাকা লিকুইড যেন শিশুর মুখে যায়। 

আপনাদের অর্থাৎ প্রতিটি মাতা পিতার অবশ্যই জানতে হবে যে ছয় মাসের কম বয়সী এবং পাঁচ বছরের বেশি বয়সী বাচ্চাদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। তাছাড়াও এই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আগে যদি দেখেন বাচ্চা অসুস্থ তাহলে কখনোই শিশুকে এই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। সুস্থ হওয়ার পর খাওয়াতে পারেন।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

আপনারা অনেকেই ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইছেন। তাদের জন্যই আমরা আজকের এই অংশে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। এই ক্যাপসুলটি শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে শিশুদের মানসিক বিকাশ ও শারীরিক বিকাশ এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে জানা গেছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে হাম রোগের প্রতিরোধ করা যাচ্ছে।তবে আপনাদের মাথায় রাখা উচিত এই ক্যাপসুলটি বাচ্চাদের নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াতে হবে।
তাই বাচ্চাদের অবশ্যই ভরা পেটে এই ক্যাপসুলটি খাওয়াতে হবে। আমাদের দেশে প্রতিবছরই ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর ক্যাম্পেইন করা হয়। যেখানে ছোট ছোট বাচ্চাদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল বিনামূল্যে খাওয়ানো হয়। মাতা পিতাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে আপনার বাচ্চার বয়স যদি ছয় মাস হয়ে থাকে বা তার বেশি হয় তাহলে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। তবে মনে রাখা ভালো পাঁচ বছরের উপরে বাচ্চাদের খাওয়ানো উচিত না। চলুন আমরা ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো জেনে নেই। এটি সাধারণত সবার হয় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
  • ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে সকলের এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। শুধুমাত্র যাদের আগে থেকেই সমস্যা তাদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
  • অনেক সময় বমি বমি ভাব হয়ে থাকে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
  • সাধারণত ত্বক শুষ্ক থাকে অর্থাৎ ত্বকে শুষ্কতা ভাব দেখা যায়।
  • বমি হয়ে থাকে। তবে সবার ক্ষেত্রে হয় না।
  • মাঝে মাঝে মাথা ব্যথা করে। সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না।
আপনাদের যাদের এই সমস্যাগুলো রয়েছে তারা ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বেঁচে থাকবেন এবং বাচ্চাদের খাওয়ানো থেকে বিরত থাকবেন। তবে এটি সাধারণত খুব কম জনের এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো দেখা দেয়। এই বিষয় নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। তাদের সমস্যা তাদের না খাওয়াই ভালো।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর উপকারিতা 

আপনাদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার আগে অবশ্যই এর উপকারিতা গুলো জানতে হবে। তাছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রেও ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আগে এর উপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া উচিত। তাই আজকের এই অংশটিতে আমরা ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন কথা না বাড়িয়ে আমরা এবার জেনে আসি ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার উপকারিতা গুলোঃ
  • আমাদের চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি রাখতে হলে অবশ্যই ভিটামিন এ জাতীয় খাবার অথবা ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেতে হবে। ভিটামিন এ আমাদের চোখের জন্য খুব একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন যা সকলেরই খাওয়া উচিত।
  • আমাদের মধ্যে অনেকই আছেন যারা বয়সে ছাপ দূর করতে চান তাদের ক্ষেত্রে ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বয়সের ছাপ দূর করতে এবং ত্বককে ভালো রাখতে অবশ্যই ভিটামিন এ গ্রহণ করা প্রয়োজনীয়। কারণে এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকে সুস্থ রাখে।
  • বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অবশ্যই ভিটামিন এ এর প্রয়োজন রয়েছে। তাই বাচ্চাদের শক্তিশালী ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন করতে ভিটামিন এ খাওয়ান। এটি বাচ্চাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
  • গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে তাদের গর্ভে থাকা ভ্রুণের বিকাশের জন্য ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তার মধ্যে ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এটি গর্ভকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। বিশেষ করে ভ্রুণের বিকাশ করতে সহায়তা করে থাকে।
  • বাচ্চাদের অপুষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে এবং হাম রোগ থেকে মুক্তি পেতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল অর্থাৎ ভিটামিন এ এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই বাচ্চাদের বা শিশুদের সুস্থ সবল রাখতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ান।
  • শিশুদের ক্ষেত্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি তাদের দেহের বৃদ্ধি বিকাশে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • তাছাড়াও অনেকেরই রাতকানা রোগ হয়ে থাকে ,এটি সাধারণত ভিটামিন এর অভাবে হয়ে থাকে। তাই নিয়মিত ভিটামিন এ গ্রহণ করুন।
  •  এছাড়াও এর অভাবে চোখের রোগ সহ রক্ত শূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই নিয়মিত ভিটামিন এ জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন এবং আপনার বাচ্চাদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ান। আর ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর নিয়মতো আমরা আগেই বলে দিয়েছি।
আশা করছি আপনারা ভিটামিন এ এর উপকারিতা গুলো বিস্তারিত জানতে পারলেন। আর অবশ্যই বাচ্চাদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াবেন।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার বয়স

আপনার অনেকে আমাদের কাছে প্রশ্ন করে থাকেন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাবার খাওয়ার কত। কারণ অনেকেই আছে যারা শিশুদের এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম ও খাওয়ার বয়স জানেনা। তাদের জন্যই আজকের এই অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেক আগে দেখেছি যে মাতা পিতারা আগে বাচ্চাদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতো না যার ফলে শিশুর মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে বর্তমানে অভিভাবকেরা তাদের বাচ্চাদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর বয়স ও নিয়ম ভালোভাবে জেনে গেছে এবং তারা যত্ন সহকারে শিশুকে রাখছে।
সাধারণত ৬ মাস বেশি বয়সে শিশুদের ক্ষেত্রে ও ১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হয়। তবে এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের লাল ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়ে থাকে। এই বছরেও ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্যাম্পেইন করা হয়ে থাকবে। যেখানে আপনারা বিনামূল্যে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবেন। প্রতিবছরের মতো এবারও সরকার ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন করে থাকবে। আপনার বাচ্চাদের ভিটামিন খাওয়ানোর নিয়ম জেনে খাওয়াবেন।

ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রোগ

প্রিয় পাঠক আপনারা কি ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রোগ সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমরা এই অংশে গুরুত্ব সহকারে ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রোগ সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা সকলে জানি ভিটামিন এই আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তাদের বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে আপনাদের জানা উচিত ভিটামিন এ এর অভাবে কি হয়ে থাকে চলুন তা বিস্তারিত জেনে নেই।
  • আপনারা কি জানেন ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়ে থাকে। বিশেষ করে চোখের সমস্যা দেখা যায়। এছাড়াও চোখের শুষ্কতা ভাব দেখা দেয়। এছাড়াও শরীরে ভিটামিন এ এর অভাবে অন্ধত্বসহ চোখের গুরুত্ব সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • আমাদের ত্বকের জন্য ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে এটি ত্বকের কোষ রক্ষা করে এবংতা মেরামত করে থাকে। তাই বলা যায় ভিটামিন এ এর অভাবে ত্বকের সমস্যা হতে পারে।
  • রাত কানা রোগের জন্য ভিটামিন এ দায়ী। কারণ রাতকানা রোগ-সাধারণত ভিটামিন এ এর অভাবে হয়ে থাকে। তাই ডাক্তাররা ও বিশেষজ্ঞরা ভিটামিন এ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
  • গর্ভবতী নারীদের জন্য ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শিশুর বিকাশের জন্য ভিটামিন এ এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এছাড়া ভিটামিন এ এর অভাবে গর্ভবতীদের গর্ভধারণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিয়মিত ভিটামিন এ জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন।
  • শিশুদের শারীরিক বিকাশ ও মানসিক বিকাশ কমে যেতে পারে যদি তাদের ভিটামিন এ এর অভাব দেখা দেয়। কারণ মানবদেহের বিকাশের জন্য ভিটামিন এ খুবই কার্যকরী। তাই বাচ্চাদের ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে।
  • ভিটামিন এ এর অভাবে বুকে এবং গলায় ঘন ঘন সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। কারণ আমরা সকলে জানি শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ দূর করতে ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো কাজ করে।
  • আপনারা কি জানেন ভিটামিন এ আমাদের ত্বকের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কোলাজেন সৃষ্টি করতে সহায়তা করে থাকে। যদি এর অভাব হয় তাহলে আপনাদের দেহের যে কোন ক্ষত নিরাময় করতে সমস্যা হবে। অর্থাৎ দেহে কোন ধরনের সার্জারি হলে তার ক্ষত নিরাময় হতে অনেক সময় লাগবে এবং সহজে হতে চাইবে না।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল বেশি খেলে কি হয়

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা হয়তো এতক্ষণে ভিটামিন এ এর অভাবে কি রোগ হয় তার সম্পর্কে জানতে পারলেন তবে আপনাদের অবশ্যই জানা উচিত ভিটামিন এ ক্যাপসুল বেশি খেলে কি হয়। কারণ এই বিষয়টি আমাদের জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যার ফলে আমরা ভিটামিন এ ক্যাপসুল বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবো এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচতে পারব। ভিটামিন এ ক্যাপসুল বেশি খেলে তেমন সমস্যা হয় না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে চলুন আমরা তা জেনে নেই।
  • গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে অধিক মাত্রায় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেলে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে শিশুর জন্মের সময় ত্রুটি দেখা দিতে পারে। তাই সঠিক পরিমাণে খাওয়া উচিত।
  • এছাড়াও অধিক মাত্রা ভিটামিন এ খেলে ত্বক ও হাড়ের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে যকৃৎ এর সমস্যা পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। তাই সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করুন।
  • অনেক সময় আমরা এই ভিটামিন অধিক পরিমাণে খেয়ে ফেলি যার ফলে আমাদের বমি ভাব , মাথা ব্যথা , ও ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অনেক সময় আবার ভিটামিন এ বেশি খেলে অনেকের খেতে এলার্জির সমস্যা হতে পারে। তবে সাধারণত সকলের দেখা যায় না।
  • এছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে মাথা ঘোরার ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা হতে পারে। তাই নিয়ম মাফিক ভিটামিন এ গ্রহণ করুন এবং সঠিক মাত্রায় গ্রহন করবেন।
আশা করছি আপনারা জানতে পেরেছেন ভিটামিন এ ক্যাপসুল অর্থাৎ ভিটামিন এ বেশি খেলে কি হয়। প্রত্যেক জিনিসেরই খাওয়ার একটি নিয়ম রয়েছে। যদি নিয়মের বাইরে খেয়ে ফেলেন তাহলে সব জিনিস এই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তেমনিভাবে ভিটামিন এ অধিক মাত্রায় গ্রহণ করলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পরিমিত মাত্রায় গ্রহণ করুন আর সুস্থ থাকুন।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর দাম

আপনাদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার আগে অবশ্যই ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর দাম জেনে নেওয়া উচিত। যার ফলে আপনারা ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর দাম জেনে কিনে খেতে পারবেন।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমরা এখন ভিটামিন এ দাম জেনে আসি। সাধারণত বাজারে অনেক কোম্পানির ভিটামিন এ ক্যাপসুল পাওয়া যায়। তবে সাধারণ ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর দাম ১২০ টাকা। আর যদি Abbott Vitamin A Chewable ভিটামিন এ ট্যাবলেট কিনতে চান তাহলে দাম পড়বে প্রতি পিসের ৮ টাকা করে। তাহলে আপনারা হয়তো ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর দাম গুলো জেনে গেলেন। এখন অবশ্য আপনারা দাম জেনে খেতে পারবেন।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন ২০২৪

সাধারণত প্রতি বছরের মত এবার ২০২৪ সালে ও সরকার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্যাম্পেইন করে থাকবে। তবে এর তারিখ এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি। শীঘ্রই এর তারিখ জানানো হবে। তবে আগের বছরের ২০২৩ সালে ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন চলেছে। তবে ধারণা করা যায় এ বছরেও অক্টোবর মাসের দিকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন হতে পারে। আপনার হয়তো জানেন ভিটামিন এ ক্যাপসুল ৫ বছরে কম বয়সী শিশুদের খাওয়াতে হয় এবং ৬ মাস বয়সের বেশি শিশুদের খাওয়াতে হয়। যা আমরা উপরে জেনে এসেছি।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল কতবার খাওয়ানো হয়

আপনারা হয়তো শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ান। তবে জানেন না ভিটামিন এ ক্যাপসুল কতবার খাওয়ানো হয়। তাদের ক্ষেত্রে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন পুষ্টি পেতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। আর এটি বছরে কয়বার খাওয়াতে হয় সেটি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর বয়স অবশ্যই শিশুর ৬ মাস বয়সের বেশি এবং পাঁচ বছরে কম বয়সী শিশু হতে হবে।
সাধারণত বছরে দুইবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্যাম্পেইন হয়ে থাকে। তাহলে বলা যায় প্রতিবার ক্যাম্পেইনে নিয়ে একবার করে মোট দুইবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হয় প্রতিবছরে। অর্থাৎ প্রতি বছরে শিশুর ভিটামিন এ ক্যাপসুল দুটি করে খেতে পারবে। তবে ২০২৪ সালেও ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন হবে। আপনারা ভালো ভাবে তারিখ জেনে শিশুকে খাওয়াতে নিয়ে যাবেন।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল সম্পর্কিত সাধারণ জিজ্ঞাসা(FAQ)

প্রশ্নঃঅতিরিক্ত ভিটামিন ট্যাবলেট খেলে কি হয়?
উত্তরঃ অতিরিক্ত ভিটামিন ট্যাবলেট খেলে বমি বমি ভাব , শরীরে পানি শূন্যতা , ডায়রিয়া ও মাংস বেশি দুর্বল ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রশ্নঃভিটামিন এ ক্যাপসুল না খেলে কি হয়?
উত্তরঃ ভিটামিন এ ক্যাপসুল না খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে রাতকানা রোগ, শারীরিক বৃদ্ধি ও রক্তশূন্যতা হতে পারে।

প্রশ্নঃভিটামিন এ ক্যাপসুল কি ত্বকের জন্য ভালো?
উত্তরঃ ভিটামিন এ ক্যাপসুল ত্বকের জন্য ভালো, কারণ এই ভিটামিন ত্বক সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে থাকে। তাছাড়াও প্রজনন ব্যবস্থাকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে।

প্রশ্নঃভিটামিন এ ক্যাপসুল খেলে কি উপকার হয়?
উত্তরঃ ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেলে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। বয়সকে ধরে রাখতে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে এটি সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া শিশুদের রাতকানা রোগ দূর করতে সহায়তা করে।

প্রশ্নঃভিটামিন এ এর ​​৫টি প্রধান কাজ কি
উত্তরঃ ভিটামিন এ এর ৫ টি কাজ হলঃ সুস্থ দাঁত গঠন , ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখা , দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখা , স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থায় ও প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কাজ করে থাকে।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আপনারা এতক্ষণে ভিটামিন এ ক্যাপসুল সম্পর্কিত বিস্তারিত সকল কিছু জেনেই গেছেন। এছাড়াও ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি তাও জেনে গেছেন। আর শিশুদের ক্ষেত্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর নিয়ম জেনে খাওয়াতে হবে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ করতে অবশ্যই নিয়মিত ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খাওয়ান এবং বছরে দুইবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবেন। যেটি সরকার বিনামূল্যে ক্যাম্পেইন করে থাকে। আজ এ পর্যন্ত শেষ করছি ভালো লাগলে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url