দুধের সর খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

আপনারা হয়তো অনেকেই দুধের সর খেয়ে থাকেন। তবে দুধের সরের উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না। তাদের কথা ভেবে আমরা আজকের এই আর্টিকেলটিতে দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করব।
দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
পোস্টসূচিপত্রঃপ্রিয় পাঠক আপনারা হয়তো এতদিনে দুধ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছেন। তবে দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। এ সম্পর্কে জানলে আপনারা হয়তো দুধের সর নিয়মিত খেতে শুরু করবেন বা ব্যবহার শুরু করবেন। দুধের সর দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক তৈরি করা যায় যা ব্যবহার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায়।

উপস্থাপনা

আপনারা হয়তো জানেন না দুধের সাথে সাথে দুধের সরের ও বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে। সাধারণত দুধ গরম করার সময় অথবা দুধ জ্বাল দেওয়ার সময় সর তৈরি হয়। দুধ অনেকক্ষণ ধরে চুলার ওপর বসিয়ে গরম করতে থাকলে একসময় দুধের ওপর একপ্রকার ক্রিমের মত আস্তরণ পড়ে যা আমরা সর নামে চিনে থাকি। আর এই আস্তরনকেই দুধের সর বলা হয়। 
সাধারণত সর দুধের উপর ভেসে থাকে। এই সর আপনারা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে রূপচর্চায় এটি ভালো ধরনের উপকারিতা দিয়ে থাকে। তাছাড়াও এই সর খেতেও ভালো মজা পাওয়া যায়। দুধের সর দিয়ে ফেসপ্যাক বানানো যায় যেটি ব্যবহার করে ত্বক উজ্জ্বল করা সম্ভব।ত্বকের স্বাস্থ্যে দুধের সর খুবই উপকারী। এছাড়াও আপনারা দুধের সর দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফেসিয়াল ফেসপ্যাক বানাতে পারেন যেগুলো ব্যবহার করে আপনার ত্বকের কালো দাগ দূর করা সহ উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে পারেন। 
এগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা করে থাকে যা আমরা আজকের এই পোস্টটিতে জানানোর চেষ্টা করব। আপনারা পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন তাহলেই দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা - দুধের সরের উপকারিতা

আপনাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও দুধের সর এর উপকারিতা সম্পর্কে জানে না। তাদের কথা চিন্তা করে আমরা আজকের এই অংশে দুধের সর এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরব। দুধের সর বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে যা জানলে হয়তো আপনারা নিয়মিত ব্যবহার করা শুরু করবেন। তবে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে সেই উপকারিতা গুলো কি কি জেনে নেই।
  • তরল জাতীয় খাবারের মধ্যে দুধের সর সবচেয়ে পুষ্টিকর ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার। দুধের সরে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা ত্বকের রোদে পোড়া ভাব কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারে।
  • আপনার যদি প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বা মুখের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে চান তাহলে দুধের সর মুখে ব্যবহার করতে পারেন। মুখে বা ত্বকে দুধের সর ব্যবহার করলে ত্বক ফর্সা সহ উজ্জ্বল ভাব বাড়ানো যায়।
  • তাছাড়াও মুখে বা ত্বকের কালো দাগ দূর করতে ঘরোয়া উপায় হিসেবে দুধের সর খুবই কার্যকরী। আপনারা প্রতিদিন দুধের সর ত্বকের কালো দাগের উপর লাগিয়ে ব্যবহার করুন, কিছুদিনের মধ্যেই ত্বকের বা মুখের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
  • শরীরের দুর্বলতা ভাব কমানোর জন্য বা শারীরিক শক্তি বাড়ানোর জন্য দুধের সর নিয়মিত খেতে পারেন। দুধের সরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান যেমন প্রোটিন ও মিনারেলস রয়েছে। যা সারাদিনের ক্লান্তি ভাব দূর করতে পারে।
  • আপনার শরীরের ফিটনেস ধরে রাখতে চাইলে দুধের সর খেতে পারেন। কারণ দুধের সরে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, প্রোটিন ও খনিজ উপাদান যা আপনার শরীরের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারে এবং বডির গঠন ঠিক রাখতে সাহায্য করতে পারে।
  • এছাড়াও জানা গেছে দুধের সর ত্বকে ব্যবহার করলে বয়সের ছাপ দূর করা যায়। কারণ দুধের সরে থাকা প্রোটিনো ও ভিটামিন ত্বকের প্রয়োজনীয় উপাদান কোলাজেন উৎপাদন করতে সাহায্য করতে পারে, যার ফলে ত্বক টানটান থাকে এবং বয়সের ছাপ বোঝা যায় না।
  • ত্বক পরিষ্কারভাবে রাখতে চাইলে নিয়মিত দুধের সর ব্যবহার করতে পারেন। আমাদের বিভিন্ন সময়ে মুখে বা ত্বকে ধুলাবালি জমে যায়। তাছাড়াও তৈলাক্ত ত্বক দূর করার জন্য দুধের সর ভালো কাজ করে থাকে। এজন্য দুধের সর মুখের উপর বা ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন। তারপর দুধের সর শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার ত্বক অথবা মুখ উজ্জ্বল দেখাবে এবং পরিষ্কার হবে।
  • ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে দুধের সর ও মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানাতে পারেন। দুধের সরের সাথে সামান্য কিছু পরিমাণ মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন। তাহলে আপনার ত্বকের আদ্রতা ঠিক থাকবে এবং ত্বকের ক্ষতও দূর হবে।
  • তাছাড়া মুখের ব্রণ দূর করতেও দুধের সর ভালো কাজ করে থাকে। এজন্য ব্রণ দূর করতে আপনারা নিয়মিত মুখে দুধের সর ব্যবহার করতে পারেন।
  • প্রতিদিন নিয়মিত দুধের সর খেলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং শরীরের অবসাদগ্রস্ত দূর করা যায়।
  • আপনারা চাইলে দুধের সর এর সাথে কমলা লেবুর খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার মুখের কোমল ভাব ফিরে আসবে এবং ত্বক নরম হবে।
  • দুধের সর আমাদের দেহের হাড় মজবুত রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়াও শরীরের পেশি শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে। কারণ দুধের সরে ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ ও ক্যালসিয়াম রয়েছে।
  • বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে দুধের সর খেলে কাশি দূর করা যায়। এজন্য দুধের সর এর সাথে কিছু উপাদান মেশাতে হয়। সেগুলো হলঃ নারিকেল গুড়া, এলাচ, গোল মরিচ ইত্যাদি উপাদান গুলো মিশিয়ে গরম করে খেলে কাশি কমানো সম্ভব।
তাহলে আশা করছি আপনারা দুধের সর এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনারা দুধের সর থেকে ভালো উপকারিতা পেতে চাইলে এটা নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করুন। আর উপকারিতা সম্পর্কে আমরাতো আলোচনা করেছি সেগুলো জেনে দুধের সর ব্যবহার করতে থাকুন।

দুধের সর খাওয়ার অপকারিতা - দুধের সর এর অপকারিতা

অতিরিক্ত দুধের সর খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এই দুধের সর খাওয়ার অপকারিতা গুলো অনেকেই জানেন না। তাদের জন্যই আমরা আজকের এই পাঠে দুধের সর এর অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। তবে বলে রাখা ভালো দুধের সর এর তেমন অপকারিতা নেই। কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে দুধের সর খেয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অধিক পরিমাণে দুধের সর খেলে পেটের ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

তাছাড়াও দেহের ওজন পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দুধের সর অতিরিক্ত খেলে বমি বমি ভাব হতে পারে। শিশুদের অবশ্যই দুধের সর খাওয়ানো যাবে না। কারণ শিশুদের ক্ষেত্রে দুধের সর খাওয়ালে তা হজম হতে পারে না। এজন্য বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর সময় সর তুলে নেবেন। এছাড়াও অনেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে দুধের সর খাওয়ার ফলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
দুধের সর খাওয়ার অপকারিতা
তাই যাদের দুধের সর পেটে হজম হতে সমস্যা হয় তারা দুধের সর খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আর অবশ্যই আপনারা পরিমাণ মতো খেতে পারেন। অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে দুধের সরের অপকারিতা গুলো পেতে পারেন। তাই সঠিক মাত্রায় দুধের সর খান। তবে এর থেকে সরাসরি দুধ খেতে পারেন।

দুধের সর দিয়ে ত্বকের যত্ন

ত্বকের সকল সমস্যার সমাধানে দুধের সর ব্যবহার করতে পারেন। এই দুধের সর বর্তমানে ত্বকের যত্নে বহুলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ে দুধের সর দিয়ে কোন ধরনের ফেসপ্যাক বা মিশ্রণ বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার ত্বকের জন্য সেটি হবে কার্যকরী উপাদান যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং ত্বকে থাকা বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ দূর করবে। 
এছাড়াও আপনারা মুখে ব্রণ দূর করতেও দুধের সর প্রতিনিয়ত ব্যাবহার করতে পারেন। যা আপনার ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বক মসলিন করে থাকে। তাছাড়াও দুধের সর ব্যবহার করে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায় বিশেষ করে ত্বকের কালো দাগ দূর করা যায়। তাই আপনারা ত্বকের যত্নে দুধের সরসহ দুধ ও ব্যবহার করতে পারে।

দুধের সর দিয়ে ফেসপ্যাক

আপনারা হয়তো রূপচর্চার কাজে দুধের সর ব্যবহার করতে চান। এজন্য অনেকে আমাদের কাছে দুধের সর দিয়ে ফেসপ্যাক বানানোর নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। আপনাদের জানার সুবিধার্থে আমরা এখন দুধের সর দিয়ে ফেসপ্যাক বানানোর নিয়ম ও উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনারা চাইলে ঘরোয়া উপায়ে দুধের সর দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন। আর কথা না বাড়িয়ে দুধের সর দিয়ে ফেসপ্যাক বানানোর নিয়ম গুলো জেনে নেই।
  • দুধের সর এক টেবিল চামচ লেবুর সঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে আপনার ত্বকের উপর লাগিয়ে রাখুন অথবা মুখের ওপর মিশনটি লাগিয়ে রাখুন এরপর ১০ থেকে ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
  • তাছাড়া ও গোলাপজলের সাথে দুধের সর মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করলে ব্রণ দূর হয়ে যায়। এজন্য ব্রণ কমানোর জন্য গোলাপজল অথবা গোলাপের পাপড়ির সাথে দুধের সর মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
  • ২ চা চামচ মুলতানি মাটি ও কিছু পরিমাণ দুধের সর মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এবার উক্ত ফেসপ্যাকটি মুখে বা ত্বকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ফেসপ্যাকটি মুখের উপর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • মুখের রুক্ষ ভাব দূর করতে বেসনের সাথে দুধের সর মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। প্রথমেই ৩ চা চামচ বেসন নিবেন এবং তার সাথে ৫ গ্রাম দুধের সর নিয়ে মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানান। এবার সেটি মুখে ব্যবহার করুন।
  • দুধের সর এর সাথে হলুদ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এটি ব্যবহার করলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য দুই চামচ হলুদ গুড়া নিবেন এবং তার সাথে সর মেশাবেন।
এভাবে আপনারা দুধের সর দিয়ে ফেসপ্যাক বানাতে পারেন। আশা করছি ফেসপ্যাক বানানোর নিয়ম গুলো ভালোভাবে জেনে গেলেন।

দুধের সর দিয়ে নাইট ক্রিম

আপনারা কি জানেন দুধের সর দিয়ে নাইট ক্রিম তৈরি করা যায়। আর এই নাইট ক্রিম ব্যবহার করে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করা যায়। ত্বকের কোমল ভাব বজায় রাখতে রাতে দুধে সর দিয়ে নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।দুধের সর দিয়ে নাইট ক্রিম তৈরির করার জন্য দুধের সর, গোলাপজল, অলিভ অয়েল, অ্যালোভেরা ও গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বা মিশ্রন তৈরি করুন। এই নাইট ক্রিমটি কিছুদিন ব্যবহার করলে ত্বকের যত্নে অর্থাৎ মুখের যত্নে ভালো ফলাফল পাবেন। 
দুধের সর দিয়ে নাইট ক্রিম
এছাড়া দুধের সরের সাথে এলোভেরা মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করলে দারুন ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। আপনার ত্বকে হাইড্রোইড রাখতে দুধের সর দিয়ে নাইট ক্রিম বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। ২ চা চামচ দুধের সর নিয়ে তার সাথে তিনটা চামচ এলোভেরা জেল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই ক্রিমটি অথবা মিশ্রণটি রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করতে পারেন।

দুধের সর সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃমুখে দুধ দিলে কি হয়?
উত্তরঃ মুখে দুধ দিলে মুখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করা যায়। বিশেষ করে মুখের ব্রণের সমস্যা, মুখের লালচে ভাব ও ক্ষত নিরাময় করা যায়।

প্রশ্নঃমুখে দুধের সর লাগালে কি হয়?
উত্তরঃ মুখে দুধের সর লাগালে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। দুধের সর মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়াও দুধের সর দিয়ে ফেসপ্যাক বানালে সেটি ব্যবহার করলে মুখের কালো দাগ দূর করা যায় এবং কোমলতা ফিরিয়ে আনা যায়।

প্রশ্নঃ দুধের সর খেলে কি ওজন বাড়ে?
উত্তরঃ দুধের সর খেলে সরাসরি ওজন বাড়ে না। তবে অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দুধের সর খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সাধারণভাবে দুধের সর খেলে ওজন বাড়ে না।

লেখকের মন্তব্য

আশা করছি প্রিয় বন্ধুরা দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তাছাড়াও দুধের সর দিয়ে নাইট ক্রিম বানানোর নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এ সম্পর্কে আপনারা জেনে হয়তো এখন নাইট ক্রিম বানিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। আর এই দুধের সর আপনারা সঠিক মাত্রায় খেয়ে থাকলে ভালো ধরনের উপকার পাবেন। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের কাজে দুধের সর ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

বিজ্ঞাপন