Telegram group

ordinarybdgnews

চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম সম্পর্কে সহজেই জেনে নিন

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা নিশ্চয়ই চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম সম্পর্কে জানতেই আজকের পোস্টটিতে এসেছেন। তবে আপনারা ঠিক জায়গাতে এসেছেন, কারণ আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম ও চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরেছি।
চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম ও চুল পড়া বন্ধ করার উপায়
পোস্টসূচিপত্রঃচুল পড়া বন্ধ করার বিভিন্ন তেলের নাম ও চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে এখনই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ পোস্টটিতে চুল পড়া বন্ধ করার বিভিন্ন উপায় ও তেলের নাম তুলে ধরা হবে।

ভূমিকা

বর্তমানে আমাদের মধ্যে অনেকেরই চুল পড়া সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। সাধারণত বিভিন্ন কারণে চুল পড়ে যেতে পারে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে হরমোন জনিত কারণে অথবা পারিবারিক কারণে চুল পড়া সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে পরিবারের কারোর চুল পড়ার সমস্যা থেকে থাকলে সে ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা পরবর্তী প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের মাঝে দেখা দেয়। তাছাড়া আরও বিভিন্ন কারণে চুল পড়ে যাওয়া সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। 
তবে আপনাদের চিন্তার কোন কারণ নেই, আজকের এই আর্টিকেলটিতে চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম ও চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনারা হয়তো জানেন বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করে ও চুল পড়া বন্ধ করা তেল ব্যবহার করে চুল পড়া রোধ করা যায়। সেই তেল গুলোর নাম সম্পর্কে আমরা একটু পরে আলোচনা করব।

চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম

আমরা যেমন শরীরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিনিয়ত পুষ্টিকর খাবার খায়, তেমনি ভাবে চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অনেক সময় তেল ব্যবহার করতে হয়। বিশেষ করে যাদের চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই তেল ব্যবহার করতে হবে। কিছু তেল ব্যবহার করার মাধ্যমে চুল পড়া রোধ করা যায়। চুল পড়া বন্ধ করতে চাইলে আপনাদের অবশ্যই চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম সম্পর্কে জানতে হবে। চুল বন্ধ করার তেলের সাধারণত বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান থাকে, 
যার কারণে চুল পড়া রোধ হয়, চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং নতুন চুল গজাতে থাকে। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের তেল পাওয়া যায় যেগুলো সাধারণত তেমনভাবে কোন কাজে আসে না। তবে আপনারা চিন্তিত হবেন না কারণ আজকের এই অংশে আমরা কিছু চুল পড়া বন্ধ করার ভালো মানে তেলের নাম তুলে ধরব। এবার আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম।
  • Bergamot oil
  • Lotus Onion Hair  oil Indian
  • Rosemary oil
  • Indulekha  oil Indian
  • ট্রাইফোলা হেয়ার ট্রিটমেন্ট অয়েল
  • পেঁয়াজের হেয়ার তেল (ভেষজ)
  • Himalaya Anti Breakage Hair  oil Indian
  • Lemongrass oil
  • Cedar wood oil
  • Delight Olive  oil 
  • হেয়ার গ্লো অয়েল
  • জ্যাক অলিভ অয়েল
  • এক্সপার্ট হেয়ার কেয়ার তেল
  • আমলকি হেয়ার তেল
  • Kesh King  oil 
  • Keshori Hair  oil
  • Tibet Hair  oil 
  • Medicated  oil 
উপরের দেওয়া লিস্টে আমরা কিছু ভালো ব্যান্ডের ও কোম্পানির চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম তুলে ধরেছি। উক্ত তেল গুলো ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধ হবে। তাছাড়া ও এসব তেল ব্যবহারের পজিটিভ রিভিউ পাওয়া গেছে। তবে আপনার অবশ্যই তেল গুলো ব্যবহার করার পূর্বে ভালো কোন হেয়ার এক্সপার্ট এর কাছ থেকে পরামর্শ ও দেখিয়ে নিবেন। নিচে আমরা আরো কিছু ভালো মানের চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
ন্যাচারাল রোজমেরি এবং হেনা হেয়ার অয়েল
ন্যাচারাল রোজমেরি এবং হেনা হেয়ার অয়েলঃ আপনারা এই তেলটি চুল পড়া রোধ করতে ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার রক্তনালী প্রসারিত করবে এবং কোষের সংখ্যা বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। তাছাড়াও এই তেল মাথায় কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। উক্ত তেল ব্যবহারে মাথার চুল ঘন করা যায়। আপনারা এই তেল নারিকেল তেলের সাথে ৪ থেকে ৫ ফোটা মিশিয়ে মাথার চুলে ব্যবহার করতে পারেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর তেলটি মাথায় শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে এক মাসের মতো ব্যবহার করলে চুল পড়া অনেকটা কমে আসবে।

লেমনগ্রাস ন্যাচারাল অয়েলঃ মাথায় চুলে খুশকি দূর করতে এই তেল অধিক কার্যকরী। আপনারা যদি চুলের খুশকি দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই এই তেলটি ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া এটি চুল পড়া রোধ করে। আপনারা হয়তো জানেন মাথার চুলে বেশি খুশকি হলে চুল পড়ে যায়। তাহলে বুঝতে পারছেন খুশকি দূর করতে পারলে চুল পড়া অনেকটা কমে আসবে। 

এজন্য আপনারা এই তেল নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ব্যবহৃত যে কোন শ্যাম্পু অথবা কন্ডিশনার এর সাথে চার থেকে ৫ লেমনগ্রাস অয়েল মেশিয়ে চুলে ব্যবহার করবেন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের খুশকি দূর হয়ে যাবে এবং চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা সমাধান হবে।

সোলফ্লাওয়ার অলিভ অয়েলঃ চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান যেমনঃ ভিটামিন ই , ভিটামিন কে, ভিটামিন ডি ইত্যাদি প্রয়োজন হয়। এইসব উপাদানগুলো এই তেলের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। তাই এই তেল যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে চুলের উজ্জলতা বৃদ্ধি পাবে এবং চুল পড়া রোধ হবে। এই তেল ব্যবহারে চুল মজবুত হয় , নতুন চুল গজাতে থাকে এবং চুলের রুক্ষতা ভাব দূর হয়ে থাকে। মাথায় চুলের পরিমাণ বৃদ্ধিতে এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। তবে ব্যবহার করার পূর্বে একজন হেয়ার এক্সপার্ট এর কাছে থেকে দেখিয়ে নিবেন।

বায়ো অর্গানিক গ্রোআউট হেয়ার অয়েলঃ আপনাদের মধ্যে ছেলে-মেয়ে উভয়ই এই ধরনের তেল ব্যবহার করতে পারবে।এই তেলে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান উপস্থিত থাকায় চুল মজবুত করে এবং চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। চুলের শিকড় মজবুত করে থাকে যার ফলে চুল পড়া কমে এবং চুল আগের থেকে ঘন দেখায়। প্রতিদিন এই তেল ব্যবহার করলে চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনা যায়।

আশা করছি আপনারা চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। এবার সেই তেল গুলো নিয়মিত ব্যবহার করে চুল পড়ার সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। তবে আমি একটা কথা বলে রাখবো আপনারা তেল গুলো অবশ্যই আসল এবং অরিজিনাল দেখে কিনবেন। কারণ একই নামে অনেক ধরনের নকল তেল বের হয়েছে, সেই তেল কেনা থেকে সাবধান থাকবেন। আর যেকোন তেল ব্যবহার করার পূর্বে হেয়ার এক্সপার্ট এর পরামর্শ নিবেন।

চুল পড়ার কারণ 

আপনাদের শুধু চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম সম্পর্কে জানলেই হবে না, চুল পড়ার কারণ সম্পর্কেও জেনে রাখতে হবে। কারণ চুল পড়ার কারণগুলো জেনে রাখলে আপনারা আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে পারবেন। যার ফলে কোনরকম তেল ব্যবহার করা ছাড়াই চুল পড়া রোধ করতে পারবেন। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে চুল পড়ার কারণগুলো জেনে নেই।
  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জেনেটিক্স কারণে সবার চুল পড়ে থাকে। আপনার পরিবারে যদি কোন ব্যক্তির চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা আগে থেকে হয়ে থাকে, তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার চুল পড়া সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। মূলত পরিবারের কারো চুল পড়ার সমস্যা হয়ে থাকলে সেটি আপনার পরবর্তীতে হতে পারে।
  • আবার হরমোন জনিত কারণে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় ও থাইরয়েড জনিত রোগ হয়ে থাকলে চুল পড়া সমস্যা হতে পারে।
  • খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার না থাকার কারণে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া ভিটামিন, খনিজ লবণ ও প্রোটিন জাতীয় পুষ্টিকর খাবার না খাওয়ার কারণে চুল পড়ে যেতে পারে।
  • চুলে খুশকি হয়ে থাকলে অথবা চুলে ছত্রাক জনিত সংক্রমণ দেখা দিলে চুল পড়া সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। এজন্য সবসময়ই চুল খুশকি মুক্ত রাখবেন।
  • তাছাড়াও মানসিক চাপ ও অপুষ্টি কারণে চুল পড়ে যেতে পারে। আবার বংশগত কারণেও চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়।
  • আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা চুলে তাপ দিয়ে স্টাইল করে থাকে, বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ চুল টানটান অথবা স্টাইল করলে চুল পড়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত এই কারণে চুল বেশি পড়ে গিয়ে থাকে।
  • এছাড়াও জানা গেছে সূর্যের ক্ষতিকর UV রশ্নি চুলের ক্ষতি করতে পারে। এই ক্ষতিকর রশ্মি চুল ভঙ্গুর করে দিতে পারে যার ফলে চুল পড়ার হার বেড়ে যায়।
  • চুল পড়ার আরেকটি অন্যতম কারণ হলো সঠিক তেল ব্যবহার না করা। আমরা যেমন শরীরের জন্য পুষ্টিকর খাবার খায়, ঠিক তেমনভাবে চুলের পুষ্টির জন্য তেল ব্যবহার করতে হয়। অনেকেই ভুলভাল তেল ব্যবহার করে চুলের স্বাস্থ্য খারাপ করে ফেলে। এজন্য সঠিক তেল ব্যবহার করতে হবে।
  • যারা চুলে খোপা করেন তারা অবশ্যই সঠিকভাবে চুল খোপা করবেন। আর বিশেষভাবে খেয়াল রাখবেন চুল কখনোই টাইট করে বাঁধবেন না। এতে করে চুলের মজবুত কমে যায় এবং চুল পড়তে থাকে।
  • বিভিন্ন ধরনের মেডিসিন ও স্টেরাইজ জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করার ফলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিয়ে থাকতে পারে। এজন্য অবশ্যই যেকোন ধরনের মেডিসিন খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
প্রিয় পাঠক আমরা আপনাদের জন্য চুল পড়ার কারণগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি। এখন আপনারা সেগুলো ভালো করে পড়ে সতর্কতা অবলম্বন করুন। একমাত্র সতর্কতা অবলম্বন করার মাধ্যমেই আপনি চুল পড়া রোধ করতে পারবেন।

চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায়

আপনার হয়তো এখন চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। এর জন্য আমরা এখন এই অংশে চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনারা তেল ব্যবহার করার পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করতে পারবেন। আপনাদের শুধু সেই উপায় গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা রাখতে হবে। এবার আর কথা না বাড়িয়ে চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপায় গুলি জেনে নেই।

বাদামঃ চুল পড়া বন্ধ করতে আপনি বাদাম খেতে পারেন। সেটা যে কোন ধরনের বাদাম হতে পারে। কারণ এই বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট এবং ওমেগা ৬। যা চুলের গোড়া শক্ত করতে এবং চুল লম্বা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য নিয়মিত ওমেগা ৬ ও ফ্যাট যুক্ত খাবার খেতে হবে। কারণ ওমেগা ৬ আমাদের দেহে সরাসরি উৎপন্ন হয় না, এটি খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হয়। আর এই ওমেগা ৬ এর অভাবে মাথার চুল পড়ে যেতে পারে। এজন্য প্রতিদিনের খাবার তালিকায় যেকোনো ধরনের বাদাম রাখার চেষ্টা করুন।

হলুদ সবজি ও ফলমূলঃ চুলের যত্নে হলুদ শাকসবজি খেতে পারেন। যেমন, মিষ্টি আলু, গাজর, আম, পেঁপে এবং মিষ্টি কুমড়া। এগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। চুলের গোড়া ঠিক রাখতে সাহায্য করে। চুল মজবুত রাখতেও সাহায্য করে থাকে এই ফলমূল ও শাকসবজিতে থাকা ভিটামিন গুলো। তাই ভিটামিনযুক্ত শাকসবজি ও রঙিন ফলমূল প্রতিদিন খেতে হবে।

সামুদ্রিক মাছঃ আপনারা হয়তো জানেন সামুদ্রিক মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে। সাধারণত তৈলাক্ত জাতীয় মাছ চুল ঘন এবং কালো করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও এটি হলো প্রোটিনের একটি বড় উৎস।

ডিমঃ সুন্দর চুলের জন্য ডিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারন আমাদের চুলগুলো শর্করা এবং ফ্যাট থেকে তৈরি হয় না। চুলের প্রায় পুরোটাই প্রোটিন নিয়ে গঠিত। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা আমাদের চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করতে পারে।

পালং শাকঃ চুলের উপকারে পালং শাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পালং শাকে চারটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা আমাদের চুলকে ভিটামিন সি, আইরন,ভিটামিন এ, ফলেট যোগায়। পালং শাক আমাদের চুলকে ঘন কালো এবং সুন্দর করে তোলে।

ডালঃ চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য আপনারা নিয়মিত ডাল খেতে পারেন। কারণ ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও আমিষ যা চুল ঘন রাখতে ও চুল কালো রাখতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া ডালে থাকা আয়রন চুলের গোড়ায় অক্সিজেন পৌঁছাতে সহায়তা করে থাকে। যার ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয়। এছাড়াও জানা গেছে শরীরে আয়রনের অভাব থাকলে চুল পড়া সমস্যা হয়ে থাকে। আর আপনারা অবশ্যই ঘন ডাল খাবেন, কারণ ঘন ডালে পুষ্টি বেশি পাওয়া যায়।

ছোলাঃ আপনারা কি জানেন চুল ঘন রাখতে এবং চুল মজবুত করতে ছোলা ভালো কাজ করে থাকে। কারণ ছোলাতে চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান যেমনঃ জিংক , আয়রন ও প্রোটিন উপস্থিত রয়েছে যার কারণে চুল ঘন কালো হয়ে থাকে এবং চুল গজাতে শুরু করে।

টক ফলঃ টক ফলের মধ্যে রয়েছে কমলা, মালটা এবং লেবু ইত্যাদি ফল। এগুলোতে ভিটামিন সি আছে। চুল সুন্দর করতে ভিটামিন সি এর গুরুত্ব অপরিসীম। সাধারণত ভিটামিন সি এর অভাবে চুল বেঁকিয়ে অথবা পেঁচিয়ে যেতে পারে। এজন্য নিয়মিত ভিটামিন সি জাতীয় টক ফল গুলো খেতে পারেন।

আমরা আপনাদের জন্য এখানে কিছু চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় গুলো সম্পর্কে তুলে ধরেছি। আপনারা উপরোক্ত উপায় গুলো অবলম্বন করে চুল পড়া রোধ করতে পারবেন। তবে আপনাদের অবশ্যই ধৈর্য সহকারে উপায় গুলো অনুসরণ করে যেতে হবে।

চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন

চুল পড়া বন্ধ করার জন্য বাজারে অনেক ধরনের ভিটামিন ট্যাবলেট দেখতে পাবেন। আমার মতে ভিটামিন ট্যাবলেট না খেয়ে আপনি স্বাস্থ্যসম্মত প্রোটিন এবং ভিটামিন যুক্ত খাবার গুলো খেতে পারেন। যেমন, বাদাম, হলুদ শাকসবজি, তৈলাক্ত মাছ, ডিম, পালং শাক, ডাল, ছোলা এবং টক ফল। এগুলো খেতে পারেন এগুলো খেলে চুলের সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।চুল পড়া বন্ধ, চুল ঘন এবং কালো,এবং চুলের গোড়া শক্ত করতে খুবই উপকারী এই খাবারগুলো। 
কিন্তু ট্যাবলেটের মধ্যে একটি ব্যতিক্রমী ট্যাবলেট আছে যেটি চুল পড়া বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই ট্যাবলেটটি হল ভিটামিন ডি। কারণ খাবার থেকে ভিটামিন ডি সহজেই পাওয়া যায় না। রোদ অথবা সূর্যের আলোর মাধ্যমে অতি সহজেই ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।যদি আপনাদের ক্ষেত্রে এটা করা সম্ভব না হয়। তাহলে আপনারা ভিটামিন ডি ট্যাবলেট ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু আপনি সতর্কতা অবলম্বন করবেন কারণ অতিরিক্ত ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খেলে আপনার চুল পড়তে পারে। এছাড়া আরো ভিটামিন যেমনঃ
  • ওমেগা-৬ ফ্যাট
  • আইরন
  • জিংক
  • ভিটামিন এ
  • প্রোটিন
  • ভিটামিন সি
আপনারা তাহলে ভিটামিন ডি এর পাশাপাশি উপরের দেওয়া লিস্টের ভিটামিন গুলো খাবার তালিকা রাখতে পারেন। এসব ভিটামিন আপনারা বিভিন্ন খাবারের মধ্যে পেয়ে যাবেন। তাই যথাসম্ভব খাবার থেকে ভিটামিন গুলো গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন।

চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধের নাম

চুল পড়া বন্ধ করার বিভিন্ন ধরনের ঔষধ পাওয়া যায়। এই ধরনের ওষুধ গুলো ব্যবহার করে সাময়িকভাবে চুল পড়া বন্ধ করা যায়। তবে আমাদের মতে চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ গুলো ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ এ ধরনের ওষুধ গুলো অনেক সময় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এজন্য চুল পড়া বন্ধ করার ওষুধ গুলো ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করতে পারেন। তাছাড়া ও চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম জেনে উক্ত তেলগুলো ব্যবহার করে চুল পড়া কমাতে পারবেন। এখন চলুন সেই চুল পড়া বন্ধ করার ওষুধ গুলোর নাম জেনে নেই।
  • মিনোক্সিডিল (Minoxidil tablet)
  • ফিনাস্টেরাইড
উপরোক্ত ওষুধগুলো চুল পড়া বন্ধ করতে ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে পারে। যার ফলে চুল গজাতে থাকে। তবে এ ধরনের ওষুধ ব্যবহার না করে আপনারা চাইলে বিভিন্ন ঘরোয়া উপায়ে চুল পড়া বন্ধ করতে পারবেন।

চুল পড়া বন্ধ করার সেম্পু

আপনারা যদি চুল পড়া বন্ধ করার শ্যাম্পু সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই এই অংশটি ভালো করে পড়ুন। আমরা এই অংশে চুল পড়া বন্ধ করার শ্যাম্পু গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনারা বাজারে বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু দেখতে পাবেন। তবে এসব শ্যাম্পু গুলোর মধ্য থেকে ভালো ধরনের শ্যাম্পু আপনাদের খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু আপনাদের চিন্তার কোন কারণ নেই আমরা এখন কিছু ভালো মানের শ্যাম্পু নাম গুলো তুলে ধরবো।
  • Clear Anti Hairfall Shampoo
  • Nizoral Anti-Dandruff Shampoo
  • Kesh King Aloe Vera Herbal Shampoo
  • BioAqua Shampoo
  • Revita Hair Stimulating Shampoo
  • Patanjali shampoo
  • Biotin Shampoo for Hair Growth
এই শ্যাম্পু গুলো আপনারা বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে এবং বাজারের বিভিন্ন দোকানে পেয়ে যাবেন। অনলাইন থেকে অর্ডার করতে চাইলে দারাজে এ খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। তাছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের অনলাইন প্লাটফর্মে এই তেল পেয়ে যাবেন।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

আপনার এতক্ষণে চুল পড়ার বিভিন্ন ধরনের তেলের নাম সম্পর্কে জেনেছেন। তবে আপনারা চাইলে চুল পড়া বন্ধ করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। আর আমরা সেই সম্পর্কে এখন আজকের এই অংশে আলোচনা করব। তবে আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে।
  • আপনারা চুল পড়া বন্ধ করার জন্য শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। বাজারের বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধ করা যায়। আর আমরা চুল পড়া শ্যাম্পু সম্পর্কে আজকের পোস্টটিতে আলোচনা করেছি।
  • চুলের যত্নে আপনারা অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। এলোভেরা জেল এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এটি ব্যবহার করা হলে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং চুলের গোড়া মজবুত হতে থাকে।
  • চুল পড়া বন্ধ করার জন্য ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য সরাসরি রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন। আপনারা হয়তো জানেন সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এজন্য সকাল বেলায় কিছুক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে থাকবেন।
  • চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ভিটামিন সি জাতীয় ফল ও শাকসবজি খাবেন।
  • চুল ভালো রাখার জন্য নিয়মিত তেলের মালিশ করবেন। আপনারা চাইলে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
  • তাছাড়া চুল পড়া বন্ধ করতে আমলকি রস ব্যবহার করতে পারেন। নারিকেল তেলের সাথে আমলকির রস মিশিয়ে মাথায় ম্যাসাজ চুল ভালো থাকে এবং চুল ঘন হয়।
  • এছাড়াও আপনারা নিমের পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি ব্যবহার করতে পারেন। আবার নিমের পাতা বেটে মাথায় লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে করে মাথার চুলের খুশকি অনেকটা দূর হয়ে যায় এবং চুলে পুষ্টি উপাদান যোগ হয়।
  • যাদের ধূমপান করার অভ্যাস রয়েছে তাদের অবশ্যই ধূমপান ত্যাগ করতে হবে এবং অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। মাদকদ্রব্য সেবন করা যাবেনা।

চুল ঘন করার তেলের নাম

আমরা প্রথমেই কিন্তু চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম গুলো আলোচনা করেছি। সেই তেল গুলো ব্যবহার করেই আপনারা চুল ঘন করতে পারবেন। তবে আমরা এখন আরও একটি তেল সম্পর্কে আলোচনা করব। যেই তেল ব্যবহার করে চুল ঘন করা যায়। সেই তেলটি হল পাম্পকিন বা কদুর তেল। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যাদের মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে। তিন মাস ধরে এই কদুর তেল ব্যবহারে তাদের মাথায় নতুন করে চুল গজাচ্ছে। আরে কদুর তেল ব্যবহার করলে চুল আগের থেকে মোটা ও সুন্দর হয়।
তাই আপনার যদি চুল পড়ার প্রবলেম থাকে তাহলে কদুর তেল ব্যবহার করতে পারেন। আপনারা যদি চুল ঘন করতে চান তাহলে নিয়মিত কদুর তেল ব্যবহার করতে পারেন।এই তেলটি ব্যবহার করলে আশা করি আপনার চুল পড়ার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এবং আপনার মাথার চুল ঘন হতে শুরু করবে। তার সাথে সাথে চুলগুলো আগের থেকে বেশী মোটা এবং সুন্দর হবে। তাই চুল পড়া বন্ধ করতেই কদুর তেল ব্যবহার করুন।

ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় 

সাধারণত ছেলেদের বিভিন্ন কারণে চুল পড়ে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি কারণ হচ্ছে হরমন জনিত চুল পড়া। গবেষণায় দেখা গেছে ছেলেদের চুল পড়ার প্রধান কারণ হরমোন জনিত কারণে। ছেলেদের এই হরমোন জনিত কারণে চুল বেশি পড়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ছেলেদের চুল পড়ার প্রধান কারণ প্রোটিন। কারণ আপনার শরীরে যতটুকু প্রোটিনের দরকার ততটুকু প্রোটিন না পেলে চুল পড়া শুরু হতে পারে। প্রোটিন যেমন আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখে।
আরো জানুনঃ মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা আইডিয়া
ঠিক তেমনি চুলের গ্রোথ এবং চুলের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই পরিমাণ মতো প্রোটিনযুক্ত খাবার সমূহ খান। তাহলে আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। সাধারণত ডাক্তারের ভাষ্য মতে আপনার ওজন যদি 50 কেজি হয় তাহলে প্রতিদিন ৪০ গ্রাম প্রোটিন জাতীয় খাবার আপনাকে খেতে হবে। তার মানে প্রতি কেজিতে প্রোটিনের মাত্রা দাঁড়ায় 0.8 গ্রাম। দ্বিতীয় চুল পড়ার এ কারণটি হচ্ছে সেটি হল ভিটামিন বি৭ এর অভাবে।তার জন্য আপনি দুধ, ডিম ইত্যাদি খাবারগুলো খেতে পারেন।
চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম
তাহলে আপনার চুল পড়ার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আরেকটি উপায় হচ্ছে Omega 3 অথবা ফিস তেল। আরে মাছের তেল আপনি তো মাছের মধ্যেই পাবেন। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল আপনার ভেজা চুলে বেশি পরিমাণে টানাটানি অথবা ঘষাঘষি করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে আপনার চুল পড়তে পারে। তাই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে গোসল করার পর চুল বেশি টানাটানি করবেন না।আলতো করে চুল মুছে ফেলুন। আপনারা সাধারণত আরেকটি কাজ করে থাকেন যেমন গোসল থেকে আসার পর চিকন চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান।

তাতে আপনার চুল পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ এরকমভাবে করলে চুলের গোড়ায় অনেক টান পড়ে। তাই এইগুলা থেকে দূরে থাকুন। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধান কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত চাপ এবং টেনশন।এই দুইটি কাজের জন্য আপনাদের চুল পড়া শুরু হতে পারে। সে ক্ষেত্রে টেনশন কমানোর জন্য আপনি প্রতিদিন ব্যায়াম এবং শরীরচর্চা করতে পারেন। তাই চুল পড়া বন্ধ করতে উপরের দেখানো নিয়মগুলো মেনে চলুন।

চুলের যত্নে সতর্কতা

আমরা অনেকেই চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করার পর কন্ডিশনের ব্যবহার করিনা। এইটা চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ হচ্ছে আমাদের চুল ভালো থাকার জন্য কিছু পরিমাণে তেলের দরকার হয় মাথার তালু থেকে এমনিতেই আসে। কিন্তু আমরা যখন শ্যাম্পু ব্যবহার করি তখন সেই তেলটাও ধুয়ে যায়। আর কন্ডিশনের কাজ হচ্ছে সেই তেলগুলোকে আবার ফিরিয়ে আনা এবং চুলকে সতেজ এবং সুন্দর রাখা তাই প্রতিবার শ্যামপুর পরে অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। 
দ্বিতীয়ত চুল ভেজা অবস্থায় খুব জোরে ঘষবেন না। তাতে চুল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনি এমন না করে তোয়ালে দিয়ে আস্তে আস্তে চুল মুছে নিন। তৃতীয়ত ভেজা চুল কখনো আঁচড়াবেন না।চুল যদি আপনার কোকরা না হয় তাহলে চুল একটু শুকিয়ে যাওয়ার পর চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ায় নেন। ভেজা চুল আঁচড়ালে চুলের গোড়ায় অনেক টান পড়ে। তাই চুলের যত্নে এই ভুলগুলা কখনোই করবেন না।

চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম সম্পর্কিত সাধারণ জিজ্ঞাসা(FAQ)

প্রশ্নঃচুল পড়া বন্ধ হবে কোন তেল ব্যবহার করলে?
উত্তরঃ চুল পড়া বন্ধ করার জন্য সাধারণভাবে নারিকেল তেলের সাথে আমলকির রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়াও চুল পড়া বন্ধ করার বিভিন্ন ধরনের তেলের নাম সম্পর্কে আজকের পোস্টটিতে আলোচনা করা হয়েছে। সেই অংশটি ভালোভাবে পড়ে নিবেন।

প্রশ্নঃচুল পড়া বন্ধ করতে কোন ভিটামিন খেতে হবে?
উত্তরঃ চুল পড়া বন্ধ করতে ভিটামিন ডি ,ভিটামিন ই, ওমেগা থ্রি , ভিটামিন সি ইত্যাদি ভিটামিন গুলো গ্রহণ করতে হবে।

প্রশ্নঃছেলেদের চুলের জন্য কোন তেল ব্যবহার করা উচিত?
উত্তরঃ ছেলেদের চুলের জন্য তিব্বত কদুর তেল ,আমন্ড তেল , জলপাই তেল ব্যবহার করা উচিত।

প্রশ্নঃমেয়েদের চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো তেল কোনটি?
উত্তরঃ মেয়েদের চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো তেল হলো নারিকেল তেল। তাছাড়াও ভার্জিন কোকোনাট তেলটি মেয়েদের চুলের জন্য ভালো।

প্রশ্নঃভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি চুল পড়া বন্ধ হয়?
উত্তরঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে চুল পড়া বন্ধ হয়। কারণ এটি চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। আর ভিটামিন ই চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য সহায়তা করে থাকে।

লেখক এর মন্তব্য

আমরা এই সম্পূর্ণ পোস্টটিতে চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম ও চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা এতক্ষণে উক্ত আলোচনাটি পড়ে ভালোভাবেই চুল পড়া বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে গেছেন। এখন আপনারা সেই উপায় গুলো মেনে চলে চুল পড়া বন্ধ করার চেষ্টা করুন। আর নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে চুল পড়া রোধ করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url