Telegram group

ordinarybdgnews

মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে সকল তথ্য জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা আইডিয়াগুলোর সম্পর্কে জানতে আজকের পোস্টটিতে এসেছেন। তবে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আপনাদের জন্য মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসার আইডিয়া গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করব।
মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা
পোস্টসূচিপত্রঃতাই আপনি যদি একজন মহিলা হয়ে থাকেন এবং বাড়িতে বসে নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান ও সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আশা করি আপনি সঠিক তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।

সূচনা

বর্তমানে পুরুষের সাথে সম্মিলিতভাবে নারীরাও বিভিন্ন চাকরি করছে। কিন্তু অনেক মহিলারা আছে যারা বাহিরে চাকরি করতে গেলে তাদের সঠিক স্বাধীনতা পায় না। যার কারণে তারা ঘরের বাহিরে চাকরি করতে চায়না। এর ফলে তারা ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতে চায়। তাদের কথা চিন্তা করেই আমরা আজকের এই পোস্টে মেয়েদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা ধারণা সম্পর্কে আলোচনা করব।
তাছাড়াও এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি মহিলাদের জন্য ঘরে বসে বিভিন্ন ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। আমার এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আশা করি আপনি বাড়িতে বসে সঠিক ব্যবসা শুরু করতে সক্ষম হবেন। তাই দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা

আমি নিচে মেয়েদের জন্য কয়েকটি ব্যবসা সম্পর্কে তুলে ধরছি যেগুলো মেয়েরা ঘরে বসে অনায়াসে করতে পারে। যেমনঃ
  • বিউটি পার্লার ও ব্রাইডাল মেকাপ
  • বাগান এবং নার্সারি
  • ফ্যাশন ডিজাইন
  • ফটোগ্রাফি
  • ব্লগিং
  • ফিটনেস প্রশিক্ষণ
  • কুকিং
  • কাপড়ের ব্যবসা
  • নাচ অথবা গানের স্কুল
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম গুলিতে পণ্য বিক্রয়
  • অনলাইন কোচিং
  • ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশনি করানো
  • ফেসবুক পেজে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি
  • ফ্রিল্যান্সিং
  • আর্টিকেল রাইটিং
আমি উপরে মেয়েদের জন্য কয়েকটি ব্যবসা তুলে ধরেছি। উক্ত ব্যবসা গুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিতভাবে তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাই আমাদের সাথেই থাকুন। চলুন শুরু করা যাক।

বিউটি পার্লার ও ব্রাইডাল মেকাপ

আপনি যদি ঘরে বসে সঠিক ব্যবসা করতে চান তাহলে বিউটি পার্লার অন্যতম। ব্যবসাটি আপনি ঘরে বসে অনায়াসে সম্পন্ন করতে পারবেন। তবে বিউটি পার্লার শুরু করার আগে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের মেকআপ সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। যেমন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মেকআপ, বিয়ে বাড়ির মেকআপ অথবা বিভিন্ন জন্মদিন অথবা পার্টির মেকআপ। আপনার যদি এই মেকআপ গুলো সম্পর্কে ধারণা না থাকে তাহলে আপনি ইউটিউব দেখে শিখে নিতে পারবেন।
এর পরবর্তীতে আপনাকে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর ওপর জ্ঞান থাকতে হবে। অর্থাৎ কোন কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট কিরকম এবং সেই গুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেই সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। না হলে আপনি আগাতে পারবেন না। বিউটি পার্লার অথবা মেকাপের কাজ শুরু করতে গেলে বেসিক্যালি কয়েকটি প্রোডাক্ট দরকার হয়। আমি নিজে প্রোডাক্ট গুলি তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। যেমন,,
  • ব্রাশ
  • আইশ্যাডো
  • প্রাইমার
  • ফাউন্ডেশন
  • প্যালেট
  • কন্ট্রোর
  • কালার কালেক্টিং
  • সেটিং স্প্রে
  • সর্বশেষ কিছু মেশিন 
উপরের দেখানো দরকারি জিনিসপত্র সংগ্রহ করলে আশা করি আপনি মেকাপের কাজ শুরু করতে পারবেন। আর আপনি যত ভালো মেকআপ করবেন তত মানুষের কাছে আপনার পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে। আর বর্তমানে বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠান সহ অন্যান্য অনুষ্ঠান সবসময় হতেই থাকে। তাই আপনি একবার পরিচিত হয়ে গেলে আপনার কাজের অভাব হবে না। তবে আপনি চাইলে আপনার উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি ফেসবুক পেজ খুলে লাইভ অথবা ভিডিও আকারে আপনার ফেসবুক পেজে আপলোড করতে পারেন।

এতে করে আপনি মানুষের কাছে খুব দ্রুত পরিচিত হওয়া শুরু করবেন। যার কারণে আপনার ব্যবসার উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। আর সর্বশেষ উক্ত ব্যবসায় খুব বেশি পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না। তাই আপনি খুব সহজে ব্যবসাটি করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি মেকআপ করিয়ে কাস্টমারের মন জয় করে নিতে পারেন তাহলে আপনি দ্রুত এগিয়ে যাবেন।

বাগান এবং নার্সারি

আপনি যদি একজন মহিলা হয়ে থাকেন আর আপনি যদি ঘরে বসে ব্যবসা করতে চান তাহলে বাগান অথবা নার্সারি অন্যতম। এর কারণ হচ্ছে উক্ত ব্যবসাতে খুবই অল্প পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। এছাড়াও আপনারা অনেকেই জানেন ফুলের বাগান অথবা অন্যান্য গাছপালার বাগান পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। আপনি সেই মানুষদেরকে টার্গেট করে আপনার বাড়ির আঙিনায় অথবা আপনার বাড়ির ছাদে তৈরি করতে পারেন নার্সারি। আপনি আপনার নার্সারিতে নিচের দেখানো জিনিসগুলি বিক্রি করতে পারেন। যেমন,
  • বিভিন্ন ধরনের চারা গাছ
  • ফুলের গাছ
  • ফুলের টব
  • বীজ
  • বিভিন্ন ধরনের সার 
আপনি উপরে দেখানো জিনিস গুলি দিয়ে আপনি অনায়াসে নার্সারি অথবা বাগান শুরু করতে পারবেন। আপনি উক্ত ব্যবসা শুরু করতে পারবেন তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে। এক কথায় কম বিনিয়োগে আপনি ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার ব্যবসার পরিচিতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে আপনি একটি ফেসবুক পেজ খুলতে পারেন এবং উক্ত ফেসবুক পেজে নিয়মিত আপনার নার্সারীর বিভিন্ন গাছ অথবা ফুলের ছবি দিতে পারেন। মানুষ এই গুলো দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আপনার থেকে গাছ এবং বীজ ক্রয় করবে।
এতে করে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুত মানুষের মাঝে পরিচিতি লাভ করতে পারবেন। আপনি আশা করি জানেন যে আপনার পরিচিতি যত বেশি হবে আপনার কাস্টমার তত বেশি হবে এবং তার সাথে সাথে আপনার উপার্জন বৃদ্ধি পেতে থাকবে। উক্ত ব্যবসায় আপনি ধৈর্য ধরে থাকলে একসময় অনেক বড় পর্যায়ে যেতে পারবেন।

ফ্যাশন ডিজাইন

আপনি যদি ঘরে বসে একটি ভালো ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনি ফ্যাশন ডিজাইন শুরু করতে পারেন। নিত্য প্রয়োজনে মানুষ বিশেষ করে মহিলারা বিভিন্ন ডিজাইনের জামা কাপড় ও বিভিন্ন ডিজাইনের গহনা পড়ে থাকেন। আর মেয়েদের কাজই হলো নতুন নতুন ডিজাইনের জামা কাপড় পড়া। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ঘরে বসে একটি লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে ফ্যাশন ডিজাইন শুরু করতে পারেন।
মূলত উঠতে ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে কাপড়ের কাজ জানতে হবে। মূলত এই ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আপনার খুবই বেশি পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন হবে না। সে ক্ষেত্রে আপনি অনায়াসে ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারবেন। আপনি প্রথমত আপনার এই ডিজাইনের কাজটি শুরু করতে পারেন আপনার এলাকার মানুষদের কাছে। অর্থাৎ,আপনার এলাকার মানুষদের কাছে তাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন ডিজাইনের জামা কাপড় বানিয়ে দিতে শুরু করুন।
মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা
এর পরবর্তীতে আপনি চেষ্টা করুন আপনার নিজস্ব নতুন নতুন ডিজাইন বের করার। আর ধীরে ধীরে আপনার ডিজাইনগুলোকে নিয়ে আপনার একটি নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করুন। তার কারণ ফ্যাশন ডিজাইনের নিজের একটি ব্র্যান্ডের নাম থাকা খুবই জরুরী। আপনার ব্যবসার বিস্তার লাভ করার জন্য আপনি একটি ফেসবুক পেজ খুলতে পারেন। আর আপনার ফেসবুক পেজে নিয়মিত বিভিন্ন নতুন নতুন ডিজাইন পোস্ট করতে থাকুন।

আর আপনি যদি নতুন নতুন ডিজাইন উদ্ভাবন করেন যেগুলো মানুষ পছন্দ করবে তাহলে আশা করি আপনি অনেক কাস্টমার পেয়ে যাবেন ফেসবুক পেজ থেকে। আর এই ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুত অনেক মানুষের মধ্যে পরিচিত লাভ করতে পারবেন অনায়াসে। আর আপনার যত পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে দ্রুত লাভবান হতে পারবেন। তাহলে আশা করি আপনি সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

ফটোগ্রাফি

আপনি যদি ফটোগ্রাফি করতে ভালোবেসে থাকেন তাহলে আপনার এই ভালোলাগা থেকে ফটোগ্রাফিকে একটি ব্যবসায় পরিণত করতে পারেন। আপনি প্রথমের দিকে আপনার ব্যবহার কৃত স্মার্টফোন দিয়ে ফটোগ্রাফি শুরু করতে পারেন। পরবর্তীতে যদি আপনার উন্নতি বৃদ্ধি হয় তাহলে একটি ভালো মানের ক্যামেরা কিনতে পারেন। আপনি হয়তো জেনে থাকবেন যে, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠান বলেন অথবা বিভিন্ন ছোটখাট অনুষ্ঠান বলেন।

মানুষ বিভিন্ন ফটোগ্রাফারকে নিয়ে আসে তাদের কাটানো মুহূর্তগুলো স্মরণীয় করে রাখার জন্য। আর তাই ফটোগ্রাফি বর্তমানে একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আর আপনি এটি কাজে লাগাতে পারেন অনায়াসে। আপনি প্রথমত আপনার একটি ফেসবুক পেজে নিজের প্রোফাইল তৈরি করুন। এর পরবর্তীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আপনার পছন্দমত ছবি তুলতে পারেন। আর আপনার সেই ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যতগুলো প্ল্যাটফর্ম রয়েছে সবগুলোতে শেয়ার করতে থাকুন।
এতে করে মানুষের কাছে আপনার পরিচিতি বাড়বে এবং মানুষ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আপনাকে ছবি তোলার জন্য অফার করবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার তোলা ফটোগুলো বিভিন্ন ম্যাগাজিন অথবা পত্রিকায় জমা দিতে পারেন। সর্বশেষ আপনি চাইলে অনলাইনে আপনার তোলা ফটো বিক্রি করতে পারেন। তার কারণ অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ফটো ক্রয় করে থাকে।

আশা করি আপনি যদি ধৈর্য সহকারে কাজ করতে থাকেন তাহলে আস্তে আস্তে আপনি মানুষের কাছে পরিচিত হতে থাকবেন এবং আপনার ব্যবসা বড় হতে থাকবে। একটা সময় আপনি একটি বড় লাভজনক ব্যবসা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। তাই দেরি না করে শুরু করে দিন।

ব্লগিং

বর্তমানে একটি জনপ্রিয় ব্যবসা হচ্ছে ব্লগিং। আর উক্ত ব্যবসাটি আপনি ঘরে বসে অনায়াসে আপনার অবসর সময়ে সম্পন্ন করতে পারবেন। আগে এমন একটা সময় ছিল মানুষ যে কোন বিষয়ে জানতে বিভিন্ন মানুষের পরামর্শ নিতে অথবা বিভিন্ন বইয়ের পরামর্শ নিতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে মানুষের যে কোন বিষয়ে জানার হলে মানুষ সর্বপ্রথম উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে গুগল এ সার্চ করে। আর গুগল তাদের সঠিক তথ্য প্রদান করে।

সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ব্লগিং করতে চান এবং ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে শুরুতে থাকতে হবে আপনার একটি ওয়েবসাইট। আপনি কোন একটি বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকলে সেই বিষয়ে বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট লিখতে পারেন। আবার আপনি নিচে দেখানো বিষয়গুলো নিয়েও বিভিন্ন ব্লগ পোষ্ট তৈরি করতে পারেন। যেমন,
  • শিক্ষা
  • চিকিৎসা
  • বিভিন্ন ধরনের টিপস
  • বিভিন্ন মোটিভেশনাল স্পিচ
  • শরীরচর্চা
  • টেকনোলজি
  • সরকারি সেবা
  • ফুড ব্লগিং
  • ট্রাভেল ব্লগিং
  • ফটোগ্রাফি ব্লগিং
  • বিউটি ব্লগিং ইত্যাদি
আপনি ওপরের দেখানো বিষয়গুলো নিয়ে ব্লগ পোস্ট তৈরি করতে পারেন। আপনাকে সব বিষয়ে জানতে হবে এমন না। আপনি যদি কোন বিষয়ে না জেনে থাকেন তাহলে ইন্টারনেটের সাহায্যে গুগল অথবা ইউটিউব থেকে তথ্য নিয়ে নিজের ভাষাতে লিখবেন। আর আপনি গুগলের নীতিমালা মেনে বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পোস্ট আপনার ওয়েবসাইটে আপলোড করলে। ধীরে ধীরে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক এবং ভিজিটর বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

আর আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক এবং ভিজিটর বৃদ্ধি পেলে আপনি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি আপনার ওয়েবসাইটের পরিচিতি বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট শেয়ার করতে পারেন। এতে করে মানুষের কাছে আপনার পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে আর আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক এবং ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে।
তবে আপনি যদি ব্লগ বিষয়ে তেমন কিছু না জেনে থাকেন তাহলে ইন্টারনেটের সাহায্যে ইউটিউব থেকে গুগল থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। আর এটি আপনি আপনার অবসর সময় করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার পড়াশোনা অথবা বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি ব্লগ পোস্ট লিখতে পারবেন। তাই দেরি না করে শুরু করে দিন ব্লগিং।

ফিটনেস প্রশিক্ষণ

দুনিয়াতে সব মানুষই নিজের শরীর এবং মনকে সুস্থ রাখতে চায়। আর শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়ামের তুলনা হয় না। আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছেন যারা প্রতিনিয়ত তাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে ব্যায়াম করেন। আর আপনি সেই মানুষগুলোকে টার্গেট করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ফিটনেস অথবা ব্যায়ামে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি একজন ফিটনেস প্রশিক্ষক হয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন অনায়াসে।

বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া। মূলত উক্ত ব্যবসায়ী আপনার পরিচিতি কম থাকার কারণে আপনি খুব বেশি পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না। কিন্তু যখন আপনার পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে তখন আপনি খুব ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনি যদি একজন ফিটনেস প্রশিক্ষণ হোন তাহলে আপনি প্রশিক্ষণ দিয়ে অর্থ উপার্জন করার পাশাপাশি নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে পারবেন।

আপনি চাইলে অনলাইনেও প্রশিক্ষণ দিতে পারেন বিভিন্ন মহিলাদের। সে ক্ষেত্রে আপনার একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে এবং আপনাকে আগে মানুষের মাঝে পরিচিত লাভ করতে হবে। তারপরে আপনি অনলাইনেও ফিটনেস প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন। এতে করে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারলেন আর আপনার শরীরও ঠিক থাকলো। তাই দেরি না করে কাজটি শুরু করে দিন।

কুকিং

বর্তমান সময়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যবসা হচ্ছে রান্নাবান্না অথবা কুকিং। আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে রান্নাবান্না তে আগ্রহী না এমন খুব মেয়ে মানুষ কমই পাওয়া যাবে। কারণ মহিলারা চায় নিত্য প্রয়োজনে নতুন নতুন রান্না-বান্না করতে। অর্থাৎ নতুন নতুন রেসিপি তে রান্না করতে। আপনি যদি রান্নাবান্না করতে ভালোবাসেন। সে ক্ষেত্রে কুকিং হতে পারে আপনার জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা। ব্যবসাটি শুরু করতে গেলে প্রথমে আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে।
এর পরবর্তীতে আপনাকে নিয়মিত ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে নতুন নতুন খাবার রেসিপি ভিডিও আপলোড করতে হবে এবং কিভাবে রান্না করবে সেইগুলো বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করতে হবে। এছাড়াও আপনি চাইলে ফেসবুক পেজে অথবা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপনার খাবারের ছবি আপলোড করতে পারেন। এতে করে আপনার পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে। একটা সময় ছিল যখন মানুষ নতুন কোন খাবারের রেসিপি জানতে অন্যের বাড়িতে শিখতে যেত।
রান্না ব্যবসা
কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে মানুষ এখন নতুন নতুন খাবারের রেসিপি সম্পর্কে জানতে ফেসবুক অথবা ইউটিউবে সার্চ করে। সে ক্ষেত্রে আপনি বুঝতে পেরেছেন দুনিয়া উন্নত হওয়ার পাশাপাশি আপনি এটিকে কাজে লাগিয়ে আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। হয়তো প্রথমত আপনার পরিচিতি না থাকার কারণে আপনি উপার্জন করতে পারবেন না। কিন্তু যখন আপনার ইউটিউব এবং ফেসবুকে ফলোয়ার এবং সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি পাবে তখন আপনি খুব ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

আর উক্ত ব্যবসায়ী খুব বেশি পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করার প্রয়োজন হয় না। তাই আপনি অনায়াসে ব্যবসাটি করতে পারবেন। আবার অনেক মানুষ আছেন যাদের দ্বারা রান্না করা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে আপনি বাহির থেকে খাবার অর্ডার করে আপনি আপনার রান্নাঘর থেকে ডেলিভারির কাজ শুরু করতে পারেন।তাই দেরি না করে শুরু করে দিন ঘরে বসে আপনার নিজস্ব ব্যবসা। 

কাপড়ের ব্যবসা

আমরা সকলেই জানি যে মানুষকে বাঁচতে হলে খাবার গ্রহণ করতে হবে। আবার ঠিক শরীরের লজ্জাস্থান ঢাকার জন্য অবশ্যই কাপড়ের দরকার। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে কাপড়ের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তার কারণ হচ্ছে সকল মানুষেরই কাপড়ের প্রয়োজন হয়। আর এই কারণে আপনি ঘরে বসে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। উক্ত ব্যবসায় খুব বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হয় না যার কারণে আপনি অনায়াসে ব্যবসাটি করতে পারবেন।
আপনি চাইলে আপনার বাড়ি থেকে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আপনি যেহেতু মহিলা সেহেতু সাড়ি ও চুড়িদার সহ বিভিন্ন জিনিসের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আর উক্ত ব্যবসায় লাভের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি করলে আপনি খুব দ্রুত লাভবান হতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ি অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। তার কারণ হচ্ছে, বর্তমানে মানুষ অনলাইনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।

যে কোন কিছু তথ্য ছাড়াও কোন জিনিস কিনতে মানুষ এখন অনলাইনে খোঁজ করে। তাই আপনি একটা ফেসবুক পেজ খুলে প্রতিদিন বিভিন্ন কাপড়ের ছবি ও অন্যান্য ছবি পোস্ট করতে পারেন। এতে করে আপনি খুব দ্রুত মানুষের মধ্যে পরিচিতি লাভ করতে পারবেন। যার কারণে আপনার ব্যবসায় বিক্রির পরিমাণ বেশি হবে। আর যত বেশি বিক্রি হবে আপনি তত টাকা লাভ করতে পারবেন।

নাচ অথবা গানের স্কুল

পৃথিবী এখন আধুনিক হয়ে গেছে। যার কারণে মানুষ তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের দক্ষতা প্রকাশ করার জন্য অথবা দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের নাচ অথবা গান শিখে থাকে। আর এটি শিখার কারণে তাদের অন্যদের থেকে একটু আলাদা দেখা যায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি,,
  1. গান
  2. নাচ
  3. তবলা বাজানো
  4. গিটার বাজানো
  5. এছাড়া অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র
বাজানো শিখছে। এতে করে তারা লেখাপড়ার পাশাপাশি উপরোক্ত বিষয়গুলোতেও দক্ষতা অর্জন করতে পারছে। তাই আপনি চাইলে খুব সহজে একটি ছোট স্কুল খোলার মাধ্যমে নিজ বাড়িতেই শুরু করতে পারেন উক্ত ব্যবসা। তবে উক্ত ব্যবসায় আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। তার কারণ আপনি হুট করে একটি স্কুল খুলে বসলে আপনি ছাত্র-ছাত্রী পাবেন না।
যখন আপনার স্কুল সম্পর্কে মানুষের মধ্যে জানাজানি হবে এবং মানুষের মধ্যে আপনার স্কুলের নাম ছড়িয়ে পড়বে তখন আপনার আর কোন দিকে তাকাতে হবে না। আপনার পরিচিতি বেশি হয়ে গেলে আপনার স্টুডেন্টের অভাব হবে না। আর অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় এই ব্যবসায় কোন বিনিয়োগ করতে হয় না। শুধুমাত্র উক্ত ব্যবসায়ী বিনিয়োগ করতে হয় আপনার মূল্যবান সময়। তাই আপনি আপনার অবসর সময় নষ্ট না করে উক্ত ব্যবসা টি করতে পারেন।

ভার্চুয়াল একাউন্টেন্ট

বর্তমানে একজন ছেলে থেকে একজন মেয়ে বেশি পড়াশোনার পাশাপাশি জ্ঞানী হয়ে থাকে। আর মহিলারা হিসাব-নিকাশ অথবা জমা খরচের হিসাব ভালোই বোঝেন। আপনি যদি হিসাব নিকাশ করতে পছন্দ করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যবসা হচ্ছে ভার্চুয়াল একাউন্টেন্ট। এটি আপনি ঘরে বসেই করতে পারবেন। মূলত কাজটি হচ্ছে, নির্দিষ্ট কোম্পানির যাবতীয় হিসাব-নিকাশ করা। মূলত নির্দিষ্ট কোম্পানির হিসাব নিকাশ করে দিয়ে আপনি ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে আপনার ব্যবসাকে বৃদ্ধি করতে পারবেন। মূলত উক্ত ব্যবসায় খুব বেশি পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করার প্রয়োজন হয় না। তাই উক্ত ব্যবসা শুরু করতে আপনি নির্দিষ্ট কয়েকজন গ্রাহক খুঁজে বের করুন এবং নিয়মিত তাদের হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে দিয়ে অর্থ উপার্জন করুন।

ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম গুলিতে পণ্য বিক্রয়

এমন একটা সময় ছিল মানুষ যখন তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কোন জিনিস এর দরকার হয়তো তখন মানুষ বাজারে গিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিন্তু। বর্তমানে পৃথিবী আধুনিক হওয়ার কারণে এখন মানুষ ঘরে বসে অনলাইনে দেখেশুনে নিজের পছন্দমত জিনিস ক্রয় করছেন খুবই সহজে। এক কথায় আধুনিক হয়ে গেছে আমাদের পৃথিবী। আর বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির নামই হচ্ছে ই-কমার্স।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে যাদের নিজস্ব প্লাটফর্মে আপনি অনায়াসে কেনাবেচা করতে পারবেন আপনার বাড়িতে বসে থেকে। আপনি নিচে দেখানো প্লাটফর্ম থেকে অনায়াসে পণ্য বিক্রি করে আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যেমন,,
  • ফ্লিপকার্ট
  • আমাজন
বর্তমানে অনেকগুলো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম রয়েছে তবে আমার মতে ওপরে দেখানো দুইটি প্লাটফর্ম সবার চেয়ে সেরা এবং বিশ্বাসযোগ্য। আপনি অনায়াসে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি ব্যবসা করতে চাইলে আমাজন অথবা ফ্লিপকার্ট এ একটি সেলার অ্যাকাউন্ট বানাতে হবে। এর পরবর্তীতে আপনি কি কি পণ্য বিক্রি করে উপার্জন করতে চান সেগুলো লিস্ট করতে হবে। এর পরবর্তীতে আপনি যে প্রোডাক্ট গুলি বিক্রি করতে চান প্রোডাক্ট এর ছবি দিয়ে সেটার দাম এবং প্রোডাক্ট এর বিষয় বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।
আর এইভাবে আপনি ধীরে ধীরে আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। আপনার যদি ই-কমার্স ব্যবসা সম্পর্কে যদি ধারণা না থেকে থাকে। তাহলে আপনি গুগল অথবা ইউটিউব থেকে বিস্তারিত তথ্য দেখে নিতে পারেন এবং আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ধৈর্য সহকারে কাজ করলে আশা করি আপনি বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি করে ভালো পরিমানে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তাই দেরি না করে ঘরে বসে শুরু করে দিন ই-কমার্স ব্যবসা।

অনলাইন কোচিং

আপনি যদি একজন ভালো স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন আর আপনি বাড়িতে বসে কিছু একটা করতে চান তাহলে অনলাইন কোচিং আপনার জন্য অন্যতম একটি উপায়। তার কারণ বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে অনলাইনে ক্লাস করানো হয়। যে ক্লাসগুলো দেখে অনেক শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যার সমাধান পেয়ে থাকে। আপনি সেই শিক্ষার্থীগুলোদের টার্গেট করে শুরু করতে পারেন অনলাইন কোচিং। এক্ষেত্রে আপনি একটা ফেসবুক পেজ এবং একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন।

তারপরে বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান করে দিবেন ভিডিওগুলোতে। আর সেই ভিডিওগুলো ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজে আপলোড করবেন। ধীরে ধীরে আপনি মানুষের কাছে পরিচিত হতে থাকবেন। আপনি যত মানুষের কাছে পরিচিত হতে থাকবেন আপনার তত উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। আপনি যখন মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে যাবেন এবং মানুষ যখন আপনার সম্পর্কে আপনার চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজের সম্পর্কে জানবে তখন আপনি লাইভে ক্লাসও করাতে পারবেন।

উক্ত ব্যবসায়ী কোন পরিমানে অর্থ বিনিয়োগ করার দরকার হয় না। তবে আপনাকে উক্ত সেক্টরে টিকে থাকতে হলে প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম এবং ধৈর্য ধরতে হবে। তাহলে আশা করি আপনি সফল হবেন। তাই দেরি না করে শুরু করে দিন অনলাইন কোচিং।

ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশনি করানো

আপনি যদি একজন ভালো শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি আপনার বাড়িতে বসে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে পারেন। আপনার অবসর সময়ে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে যে কোন বয়সের ছাত্র এবং ছাত্রীদের টিউশানি করাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি বেশ কয়েকজনকে টিউশনি করান তাহলে আপনি আর উক্ত পদ্ধতিতে কোন পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না।

আপনি প্রথমত আপনার এলাকার আশেপাশের বাচ্চাদের নিয়ে টিউশনি করাতে পারেন। এর পরবর্তীতে যখন আপনি তাদের ভালো করে পড়াতে সক্ষম হবেন। তখন অনেক দূর দূর থেকে আপনার কাছে অনেক ছাত্রছাত্রী শিক্ষা গ্রহণ করতে আসবে। আর আপনার অর্থ উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। তাই আমি বলব বাসায় অবসর সময় নষ্ট না করে শুরু করে দিন টিউশনি করানো।

ফেসবুক পেজে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি

আপনি চাইলে ফেসবুক পেজ খুলে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন ঘরে বসেই। এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে। এর পরবর্তীতে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তাদের বিভিন্ন পণ্যের ছবি এবং দাম সহ উক্ত পণ্যের সকল তথ্য প্রদান করতে হবে। আপনি যত ভালো ভাবে পণ্যের বিবরণ তুলে ধরতে পারবেন তত পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।

এক কথায় আপনাকে এমন পন্য বাছাই করতে হবে যেগুলো মানুষ পছন্দ করে এবং অনলাইনে খুঁজে থাকে। আর আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করতে হবে। কারণ ফেসবুক পেজ খোলার সাথে সাথেই আপনার পণ্য বিক্রি হওয়া শুরু হয়ে যাবে না। ধীরে ধীরে আপনাকে মানুষের মাঝে পরিচিত হতে হবে। এছাড়াও আপনার ফেসবুক পেজ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করতে হবে এবং আপনাদের বন্ধুদের বলতে হবে যাতে আপনার ফেসবুক পেজ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে।

এতে করে ধীরে ধীরে আপনার পরিচিতি বাড়তে থাকবে আর আপনার পণ্য বিক্রি হতে থাকবে। আপনি যদি পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে হালাল উপায়ে ব্যবসা করতে পারেন তাহলে আপনি অবশ্যই লাভবান হবেন।

ফ্রিল্যান্সিং

বর্তমান বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি কাজ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা। অর্থাৎ আপনি এটি পড়াশোনা অথবা অন্যান্য কাজের পাশাপাশি করতে পারবেন। আর বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে গোটা পৃথিবীতে ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন। আর এই ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য আপনি চাইলে ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে শিখতে পারেন।

এছাড়াও যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে একদম এক্সপার্ট হতে চান তাহলে বিভিন্ন জায়গায় অথবা বিভিন্ন আইটি সেন্টারে কোর্স করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে। আমি নিচে ফ্রিল্যান্সিং এর সমস্ত সেক্টর তুলে ধরার চেষ্টা করছি। যেমন,
  •  এসইও
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন 
  • ওয়েব ডিজাইন
  • ভিডিও এডিটিং
  • আর্টিকেল রাইটিং
  • ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট 
  • ট্রান্সলেটর
আপনি চাইলে উপরে দেখানো যে কোন একটি সেক্টর বেছে নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ধৈর্য সহকারে টিকে থাকলে আশা করি সফল হবেন। আর ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা এখানে আপনি নিজের কাজ নিজে করতে পারবেন। তাই দেরি না করে শিখে ফেলুন ফ্রিল্যান্সিং। আর নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে তুলুন।

আর্টিকেল রাইটিং

বর্তমানে একটি জনপ্রিয় কাজ হচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং। আপনি ঘরে বসে খুব সহজে আর্টিকেল রাইটিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনি চাইলে নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে। সেই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট লিখতে পারেন। আর বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লেখার পর আপনি সেইটা ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করবেন। আর ধীরে ধীরে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক এবং ভিজিটর বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

আর যখন একপর্যায়ে আপনার ওয়েবসাইটে ভালো রিভিউ এবং ভালো ট্রাফিক আসবে তখন আপনি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনি যদি আর্টিকেল রাইটিং সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান তাহলে গুগল অথবা ইউটিউব থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। তাই দেরি না করে শুরু করে দিন আর্টিকেল রাইটিং।

মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা(FAQ)

প্রশ্নঃ ২০০০০ টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়?
উত্তরঃ২০০০০ টাকা দিয়ে কাপড়ের ব্যবসা , খাবারের ব্যবসা , হোটেল ব্যবসা সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করা যায়।

প্রশ্নঃনতুন ব্যবসা শুরু করার পদক্ষেপ গুলো কি কি?
উত্তরঃ নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য কিছু পদক্ষেপ মেনে চলতে হয়। সেগুলো হলোঃ
  • ব্যবসা করার সময় অবশ্যই ধৈর্য সহকারে কাজ করে যাওয়া।
  • ব্যবসা থেকে আয় করার পরিকল্পনা করা।
  • যে ব্যবসা করবেন সে ব্যবসা সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা রাখা।
  • বাজারে পণ্য সম্পর্কে জ্ঞান রাখার চেষ্টা করা।
  • ব্যবসা করার সময় নতুনত্ব বা সৃজনশীলতা খুঁজে বের করা।
  • ব্যবসা বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া।
প্রশ্নঃবাংলাদেশের লাভজনক ব্যবসা কোনটি?
উত্তরঃ বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হল ফ্যাশন ডিজাইনার ও আইটি সেন্টার। আমাদের দেশে ফ্যাশন ডিজাইন বা ফ্যাশন হাউজ এর ব্যবসা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে এবং অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তারা বিভিন্ন ধরনের কাপড়ে ডিজাইন করে বিদেশে রপ্তানি করেছে।

প্রশ্নঃচাকরির পাশাপাশি আর কি করা যায়?
উত্তরঃ আপনারা চাইলে চাকরির পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসা করতে পারেন। তাছাড়াও চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। কারণ ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্তি পেশা। যেখানে নিজের ইচ্ছামত কাজ করা যায়।

শেষ কথা

আশা করছি আপনারা এই সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা আইডিয়াগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা পেয়ে গেছেন। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। সর্বশেষ সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ার পর আপনার মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url