Telegram group

ordinarybdgnews

আলকুশি পাউডার খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে রাখুন

আপনারা হয়তো আলকুশি পাউডার এর নাম শুনেছেন। কিন্তু অনেকেই এই পাউডার সম্পর্কে বিস্তারিত তেমন জানেন না। তাদের কথা চিন্তা করে আমরা আজকের আর্টিকেলটিতে আলকুশি পাউডার খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরব। আলকুশি পাউডার খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আলকুশি পাউডার খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা
পোস্টসূচিপত্রঃপ্রিয় বন্ধুরা আপনারা যদি আলকুশি পাউডার আলকুশি পাউডার খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। কারণ আজকের আর্টিকেলটিতে আলকুশি পাউডার এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সকল তথ্য তুলে ধরা হবে।

উপস্থাপনা

আপনাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা আলকুশি পাউডার খেয়ে থাকেন কিন্তু এর তেমন উপকারিতা গুলো ভালোমতো জানেন না। আলকুশি পাউডার সেই প্রাচীনকাল থেকে ঔষধি উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে। বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তৈরিতে এই পাউডার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।আলকুশি পাউডার খাওয়ার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে যা জানলে আপনারা হয়তো নিয়মিত খেতে শুরু করবেন। এই পাউডার আমাদের শরীরে অনেক ধরনের উপকার করে থাকে। 
বিশেষ করে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ভালো ধরনের সহায়তা করে থাকে। তাছাড়া আরো বিভিন্ন রকম উপকারিতা ও অপকারিতা দিয়ে থাকে। যেগুলো আপনাদের পাউডারটি খাওয়ার আগে জেনে রাখা উচিত। এজন্য আমরা আপনাদের সুবিধার্থে আজকের পোস্টটিতে আলকুশি পাউডার খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনারা শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন তাহলেই আলকুশি পাউডার সম্পর্কিত বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আলকুশি কি

আমরা সকলেই আলকুশি গাছ ঔষধি গাছ হিসেবে চিনে থাকি। এই গাছ সেই আদি প্রাচীন যুগ থেকে ঔষধি গাছ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে এই গাছের বীজ ও পাউডার ব্যবহার করা হয়। গ্রাম অঞ্চলে সাধারণত এই গাছকে সবাই বিলাই চিমটি নামে চিনে থাকে।আলকুশি এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Macuna Pruriens। এই গাছটি ঔষধি গাছ হিসাবে অনেক ধরনের উপকারিতা দিয়ে থাকে। যা আমরা আজকের এই পুরো পোস্টে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করব। আলকুশি দেখতে অনেকটা শিমের বীজির মত মনে হয়। 
আলকুশি গাছের বীজের ওজন সাধারণত ৫৫ গ্রাম থেকে ৮০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই গাছের পাতা ৮ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। উক্ত গাছের পাতা সংস্পর্শে আসলে চুলকানি হতে পারে। এজন্য সবাই এই গাছের পাতার কাছ থেকে দূরে থাকবেন। এই গাছটির ইংরেজি নাম Velvet Bean।আলকুশি পাউডার ও বীজের বিভিন্ন ধরনের উপকারিত রয়েছে যা আমরা এখন আলোচনা করব। তাই চলুন কথা না বাড়িয়ে এবার জেনে নেওয়া যাক আলকুশি পাউডার খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

আলকুশি পাউডার খাওয়ার উপকারিতা - আলকুশি পাউডার এর উপকারিতা

আপনার অনেকে আছেন যারা আলকুশি পাউডার খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাদের কথা ভেবে আমরা আজকের এই অংশের আলকুশি পাউডার এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। মূলত আলকুশি বীজের থেকে আলকুশি পাউডারের বেশি উপকার পাওয়া যায়। সেজন্য আপনারা আলকুশি পাউডার খেতে পারেন এতে ভালো ধরনের উপকার পাবেন। 
আলকুশি পাউডার খাওয়ার উপকারিতা
তাছাড়াও আলকুশি বীজ খাওয়া যায়। এটিতে কম পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকলেও আপনারা খেতে পারেন। কারণ অনেকেই আছে যারা আলকুশি পাউডার পছন্দ করেন না তাদের ক্ষেত্রে আলকুশি বীজ রয়েছে। তবে আর কথা না বাড়িয়ে এবার জেনে নেওয়া যাক আলকুশি পাউডার এর উপকারিতা গুলো।
  • আপনারা হয়তো জেনে খুশি হবেন আলকুশি পাউডার মস্তিষ্কের কার্য ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী করতে ভালো কাজ করে থাকে। আলকুশি পাউডার এ রয়েছে একপ্রকার অ্যামিনো এসিড যা মস্তিষ্ক সচল রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়াও এই পাউডারে থাকা ডোপামিন মস্তিষ্কের কার্যকরী ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
  • গবেষণায় দেখা গেছে আলকুশি বীজ প্রতিদিন খেয়ে থাকলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে প্রতিনিয়ত আলকুশি বীজ খেতে পারেন। এটি মানবদেহের কোষে থাকা ফ্রি রেডিক্যাল ও এন্টিঅক্সিডেন্ট থেকে কোষকে রক্ষা করে।
  • আলকুশি পাউডার খেলে প্রজনন ক্ষমতা বাড়ানো যায়। মূলত তাদের প্রজননের সমস্যা রয়েছে তারা আলকুশি পাউডার খেয়ে দেখতে পারেন। এর ফলে প্রজননজনিত সমস্যা দূর হবে। মানব শরীরে টেস্টোস্টেরেন হরমোনের অভাব হলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আলকুশি পাউডার এ ধরনের সমস্যা সমাধান করতে পারে।
  • প্রতিদিন নিয়মিত আলকুশি পাউডার খেলে চর্মরোগ নিরাময় করতে অনেক সাহায্য করে এবং তার সাথে সাথে ত্বক উন্নত করে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখে।
  • তাছাড়া ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আলকুশি পাউডার নিয়মিত খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরের সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করবে এবং ইনসুলিন নিঃসরণের মাত্রা ঠিক রাখবে। যার ফলে আপনার ডায়াবেটিস রোগ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
  • এছাড়াও আলকুশি পাউডার খেলে যৌবন শক্তি বাড়ানো যায়। যাদের শরীরের শারীরিক শক্তি কম এবং যৌবন শক্তি কমে যাচ্ছে তারা আলকুশি পাউডার অথবা বীজ খেতে পারেন। মূলত শরীরে টেস্টস্টরেন এর মাত্রা কমে গেলে যৌবন শক্তি কমে যায়। তাই টেস্টস্টরেন মাত্রা ঠিক রাখতে এবং বাড়াতে আলকুশি পাউডার গ্রহণ করতে পারেন।
  • আবার এক সূত্রে জানা গেছে আলকুশি পাউডারের মিথানল নামক উপাদান উপস্থিত রয়েছে যেটি টিউমার প্রতিরোধ করতে সহায়ক।
  • এই পাউডার বা বীজ খেলে শরীরের সারা দিনে ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। তাছাড়া মানসিক চাপ ও শরীরের স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।
আশা করছি আপনারা আলকুশি পাউডার এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনাদের এখন এই উপকারিতা গুলো পেতে সঠিক নিয়মে গ্রহণ করতে হবে। আর তাই আপনাদের জানতে হবে আলকুশি পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। যা আমরা একটু পরে পোষ্টের মধ্যে আলোচনা করব।

আলকুশি পাউডার এর অপকারিতা - আলকুশি পাউডার খাওয়ার অপকারিতা

আপনারা হয়তো এতক্ষণে আলকুশি পাউডার খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছেন। তবে অবশ্যই আলকুশি পাউডার এর অপকারিতা সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। আপনি যদি প্রয়োজন এর চেয়ে অধিক মাত্রায় আলকুশি পাউডার খেয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের অপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এজন্য আপনাদের আলকুশি পাউডার খাওয়ার অপকারিতা গুলো জেনে সজাগ থাকতে হবে। ভাই আপনাদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে আমরা এখন আলকুশি পাউডার এর অপকারিতা গুলো আলোচনা করব।
  • অতিরিক্ত মাত্রায় উপকারের জন্য আলকুশি পাউডার খেলে ডোপা নামক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে সিজোফ্রেনিয়া ,হ্যালুসিনেশন ও বিভ্রান্তি সমস্যাজনিত লক্ষণ গুলো দেখা দিতে পারে।
  • গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের এ ধরনের পাউডার খাওয়া যাবেনা। এতে করে তাদের জরায়ুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গর্ভাবস্থায় আলকুশি পাউডার খেলে জরায়ুতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে জরায়ু ফেটে রক্তপাত পর্যন্ত হতে পারে। এজন্য গর্ভকালীন সময়ে এই পাউডার কোন মতেই খাওয়া যাবে না।
  • তাছাড়াও যাদের সাইকোসিস ,নিউরোপ্যাথি ও হৃদস্পন্দনের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই পাউডার খাওয়া উচিত নয়। এই আলকুশি পাউডার এসব ব্যক্তিরা খেলে উক্ত সমস্যা গুলো আরো বেড়ে যেতে পারে। এজন্য যেসব ব্যক্তিদের এ ধরনের রোগ রয়েছে তারা এই পাউডার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • আপনাদের মধ্যে যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে আলকুশি পাউডার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এ সময় এই পাউডার খেলে লিভারের সমস্যা গুরুতর বেড়ে যেতে পারে। কারণ আলকুশি পাউডারের বিদ্যমান থাকা লেভোডোপা সিরাম লিভারের সমস্যা আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে।
  • অনেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই আলকুশি পাউডার খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব, ত্বকের চুলকানি ও ডায়রিয়া সমস্যা পর্যন্ত দেখা দিতে পারে।
  • এছাড়াও এই পাউডারে প্রচুর ক্যালরি রয়েছে যার ফলে অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপরে তাহলে আপনারা আলকুশি পাউডার খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলেন। এখন আপনাদের অবশ্যই অপকারিতা গুলো জেনে সঠিক নিয়মে খেতে হবে। তাহলে এর থেকে বেশি উপকারিতা পেতে পারেন।

আলকুশি বীজের পুষ্টিগুণ কি

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি জানেন আলকুশি বীজের পুষ্টিগুণ। যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই অংশের মাধ্যমে আপনারা আলকুশি বীজের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে পারবেন। এই ফলের মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়টি বীজ থাকে। এই বীজগুলো দেখতে অনেকটা সিমের বিচির মত। 
সাধারণত এক গ্রাম আলকুশি পাউডারে রয়েছে ০.৩৪ গ্রাম প্রোটিন ,০.০১ গ্রাম ফ্যাট ,১৭ মিগ্রা ভিটামিন সি , এছাড়াও কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এ ধরনের পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। যা আপনারা উপরে আলকুশি পাউডার এর উপকারিতা অংশে দেখে এসেছেন।

আলকুশি বীজ খেলে কি হয়

আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আলকুশি বীজ খেলে কি হয়। এই পাউডার বা আলকুশি বীজ খেলে শরীরের বিভিন্ন উপকার হয়ে থাকে। বিশেষ করে জটিল রোগের ঔষধ হিসেবে এই বীজ খেতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে শারীরিক সমস্যা দূর করতে আল কুশি বীজ খেতে পারেন। এছাড়াও আরো অনেক উপকারিতা করে থাকে যা আপনারা হয়তো আলকুশি বীজ খাওয়ার উপকারিতা অংশে জেনে গেছেন।

আলকুশি পাউডার খাওয়ার নিয়ম

আলকুশি পাউডার এর উপকারিতা পাওয়ার ক্ষেত্রে এর কিছু নিয়ম মেনে খেতে হবে। আপনি যদি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পরিমাণ মতো না খান তাহলে আপনি এর উপকারিতা অনুভব করতে পারবেন না। আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে চলুন এখন বেশি দেরি না করে আলকুশি পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ক্যাপসুল হিসেবে খেতে পারেনঃ আলকুশি বীজের ফুডসাপ্লিমেন্ট ক্যাপ্সুল হিসেবে পাওয়া যায়। আপনি সেই ক্যাপ্সুল গ্রহণ করতে পারেন। এই ক্যাপসুল আপনারা বিভিন্ন ওষুধের দোকানে পেয়ে যাবেন বা অনলাইন থেকে অর্ডার করতে পারবেন।

পাউডার হিসেবেঃ আপনি এর পাউডার বাজারে কিনতে পাবেন। সেগুলি আপনি চা, দুধ অথবা কফির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।

চা এর মত করেঃ আপনি যদি চান যে চা পাতা ছাড়াই আলকুশির গুড়ো দিয়ে চা বানিয়ে নিয়ে খেতে পারবেন। এর জন্য গরম আপানিতে প্রয়োজনীয় উপকরণ ( দারুচিনি গুঁড়া, চিনি ) আর তার সাথে আলকুশির পাউডার মিশিয়ে নিয়ে চা আকারে খেতে পারেন।

বীজ আকারেঃ আপনি এই আলকুশির বীজ বাজারে কিনতে পাবেন। এই বীজ আপনি শিমের বিচির মত রান্না করে খেতে পারবেন। তাছাড়া ও সরাসরি খাওয়া যায়। কিন্তু সরাসরি বীজ না খাওয়াই ভালো।

উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী আপনারা আলকুশি পাউডার খেতে পারেন। আশা করছি আপনারা ভালোভাবেই আলকুশি পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অবগত হলেন। নিয়ম অনুযায়ী কোন কিছু খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। সেজন্য যে কোন কিছু খাওয়ার আগে তার নিয়ম গুলো ভালোভাবে জেনে নিবেন।

আলকুশি বীজের উপকারিতা কি

আপনারা কিন্তু আগের অংশগুলোতে আলকুশি পাউডার এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছেন।আলকুশি পাউডার এর পাশাপাশি আলকুশি বীজেরও উপকারিতা রয়েছে। সেগুলো আপনাদের অবশ্যই। জেনে রাখা উচিত। তবে আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক আলকুশি বীজের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে।
  • আমাশয় রোগ নিরাময় করতে আলকুশি বীজ ভালো ধরনের উপকারিতা দিয়ে থাকে। যাদের আমাশয় রোগের সমস্যা রয়েছে তারা এক মাস এই বীজের শিকড়ের রস এক চামচ করে খেতে পারেন।
  • এছাড়াও কোন কারনে শরীরে কোন অংশে ফোঁড়া দেখা দিলে এই বীজের রস দিলে সেই ফোড়া ভালো হয়ে যায় এবং ফোঁড়া ফেটে ঠিক হয়ে যায়।
  • আবার বাত রোগের সমস্যা দূর করতে এটি ভালো কাজ করে থাকে। তাছাড়াও শরীরের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি ও স্নায়বিক দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
  • এই বীজের শিকড়ের রস খেলে সর্দি কাশি ও জ্বর ভালো হয়ে যায়। তাই আপনাদের মধ্যে যাদের জ্বর সর্দির কাছে লেগে আছে তারা এই আলকুশি বীজের রস খেতে পারেন।
  • এছাড়াও দেখা গেছে আলকুশি বীজের রস পশুপাখির গায়ের ক্ষতস্থানে লাগালে তা দ্রুত ভালো হয়ে যায়।
  • যাদের বহুমূত্র সমস্যা রয়েছে এবং মূত্র নালী সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই বীজের এর রস ভালো কাজ করে থাকে। এ ধরনের সমস্যা নিরাময় করতে সহায়তা করে থাকে।
উপরে আমরা কিছু আলকুশি বীজের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে তুলে ধরেছি। তাছাড়াও আপনারা কিন্তু আগেই আলকুশি পাউডার এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছেন।

আলকুশি বীজের দাম

আলকুশি বীজের দাম কত সেই বিষয়ে অনেকেই জানতে চান। আমার এখন আলকুশি বীজের দাম সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনারা এই বীজ অনলাইনের মাধ্যমে অথবা বাজার থেকে ও কিনে নিতে পারবেন। আপনি যদি আলকুশি বীজের দাম কত সেই সম্পর্কে সঠিক দাম জানতে চান তাহলে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক।
আলকুশি বীজের চাহিদা বর্তমানে বাজারে অনেক থাকায় এখন প্রতি কেজি আলকুশি বীজের দাম ৫৬০ টাকা। ২৫০ গ্রাম এর দাম ১৪০ টাকা। ৫০০ গ্রামের দাম ২৮০ টাকা। তাছাড়া বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন রকম দাম হয়ে থাকে। তাই আপনারা দোকানদারের সাথে দাম দর করে কিনতে পারবেন।

আলকুশি পাউডার এর দাম

আমরা ইতিপূর্বে আলকুশি বীজের দাম কত সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনেছি। এখন আমরা জানবো আলকুশি পাউডার এর দাম কত টাকা। এই পন্যটি আপনি বিভিন্ন হারবালের ঔষধের দোকানে গেলেও পাবেন। আবার অনলাইনে বিভিন্ন সপ প্লার্টফর্ম থেকে ও কিনে নিতে পারবেন।
আলকুশি পাউডার এর দাম বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রতি ১০০ গ্রাম পাউডারের দাম প্রায় ২৩০ টাকা। অনেক সময় কমবেশি হয়ে থাকে। আপনি চাইলে এটি আমাদের থেকে ও অর্ডার করে নিতে পারবেন। শর্ত প্রযোজ্য। আমাদের সাথে সরাসরি কথা বলতে এখানে ক্লিক করুন।

আলকুশি পাউডার সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা(FAQ)

প্রশ্নঃ আলকুশি পাউডার কিভাবে পান করবো কিভাবে?
উত্তরঃ আলকুশি পাউডার চা, দুধ কিংবা কফির সাথে মিশিয়ে পান করা যায়। অথবা আপনি চাইলে একটু কুসুম কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন।

প্রশ্নঃ আলকুশি পাউডার কত দিন খেতে হবে?
উত্তরঃ আলকুশি পাউডার কতদিন খেতে হবে এটি নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। কারণ আপনি কি কারণে এই পাউডার খাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়। আপনি যদি কোন রোগের সমস্যা নিরাময়ে খেয়ে থাকেন তাহলে যতদিন না রোগ দূর হচ্ছে ততদিন খেতে পারেন।

প্রশ্নঃ আলকুশির ইংরেজি নাম কি?
উত্তরঃ আলকুশির ইংরেজি নাম হলো Velvet bean, Sea bean ।

প্রশ্নঃ আলকুশির দাম কত?
উত্তরঃ আলকুশির দাম প্রতি ১০০ গ্রামের দাম ২২০ টাকা। এর দাম বিভিন্ন সময় কমবেশি হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ আলকুশি কখন খেতে হয়?
উত্তরঃ আলকুশি পাউডার আপনারা যে কোন সময় খেতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় সকালে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে খাওয়া। এজন্য আপনারা চাইলে রাতে ঘুমানোর আগে গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আলকুশি পাউডার খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে গেছেন। তাছাড়া এই পোস্টে আলকুশি পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও আলকুশি পাউডার এর দাম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা উক্ত বিষয়গুলো জেনে আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন তাহলে তারাও আলকুশি পাউডার সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পারবে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url