অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও অমিডন কেন খায় জেনে নিন

আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা অমিডন ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন, কিন্তু অনেকেই আবার এই অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা সম্পর্কে জানেনা। তাদের কথা চিন্তা করে আমরা আজকের এই পোস্টটিতে অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও অমিডন কেন খায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনি অমিডন ট্যাবলেট কেন খাবেন এ সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও অমিডন কেন খায়
পোস্টসূচিপত্রঃপ্রিয় পাঠক আপনারা যদি Omidon 10 mg ট্যাবলেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এখনই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। কারণ আজকের আর্টিকেলে অমিডন ট্যাবলেট সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হবে।

উপস্থাপনা

বর্তমানে প্রায় সকলেরই কম বেশি গ্যাসের সমস্যা রয়েছে। আমাদের দেশের প্রায়ই ৮০% মানুষ গ্যাসের সমস্যায় ভুগে থাকে। গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যার কারণে পেটে ব্যথা সহ খাবারের অরুচি হয়ে থাকে। এ ধরনের সমস্যা সাধারণত তেল জাতীয় খাবার বেশি খেলে হয়ে থাকে।গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যায় ডাক্তারের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দিয়ে থাকেন। তার মধ্যে অন্যতম হল অমিডন ট্যাবলেট।এই ট্যাবলেটটি গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা উপশম করতে পারে। 
পেটে গ্যাসের সমস্যা নিরাময়ে অমিডন ট্যাবলেট ভালো কাজ করে থাকে। তাছাড়া এটি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে থাকে অর্থাৎ গ্যাসের সমস্যার কারণে যদি বমি বমি ভাব হয়ে থাকে তাহলে এই ওষুধটি ব্যবহার করা হয়।এজন্য ডাক্তাররা এই ওষুধটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীদের গ্যাসের সমস্যায় প্রেসক্রিপশন করে থাকে। তবে অনেকে আছে আমাদের মধ্যে যারা অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা সম্পর্কে ভালোমতো জানেন না। 
তাদের কথা ভেবে আমরা আজকের পোস্টটিতে অমিডন ট্যাবলেট এর কাজ, অমিডন কেন খায়,অমিডন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ,অমিডন ট্যাবলেট এর দাম কত ,অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা ।Omidon 10 mg এর কাজ কি

আপনারা অনেকেই অমিডন ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন, কিন্তু এই ট্যাবলেটের উপকারিতা সম্পর্কে ভালোমতো জানেন না। তাদের জন্যই আজকের এই অংশে অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। অমিডন ট্যাবলেট বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা দিয়ে থাকে। তবে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে সেই উপকারিতাগুলো জেনে নেওয়া যাক।
  • যেসব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পাকস্থলী জনিত সমস্যা রয়েছে এবং খাবার খাওয়ার পরে বুকে জ্বালাপোড়া করে তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ খেলে অনেকটা উপশম পাওয়া যায়।
  • তাছাড়াও পেটে ব্যথা ও খাবার খেতে অরুচি হলে এই ট্যাবলেট খেলে সমস্যা অনেকটা সমাধান হয়ে যায়।
  • যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও ট্যাবলেট ভালো কাজ করে থাকে। অমিডন ট্যাবলেটটি বদ হজমের সমস্যা নিরাময় করে থাকে।
  • বিভিন্ন কারণে পেট ফাঁপা জনিত সমস্যা হয়ে থাকলে এই ট্যাবলেটটি খাওয়া যেতে পারে।
  • এছাড়াও অল্প খাবার গ্রহণে পেট ভরে যাওয়া, খাবার খাওয়ার পর ঢেকুর তোলা ইত্যাদি সমস্যায় অমিডন ট্যাবলেট খেতে পারেন। অমিডন ট্যাবলেট খেলে উক্ত সমস্যাগুলো নির্ণয় করা যায়।
  • আবার অনেকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে হজমে সমস্যা হওয়ার কারণে বমি বমি ভাব হয়ে থাকে, তাদের ক্ষেত্রে অমিডন ট্যাবলেট খেলে বমি বমি ভাব দূর করা যায়।
  • তাছাড়াও পেটে গ্যাস হয়ে থাকলে এই ট্যাবলেটটি খেলে গ্যাস জনিত সমস্যা দূর করা যায়। আপনারা হয়তো জানেন তেল জাতীয় খাবার খেলে গ্যাস হয়ে থাকে হজম হতে চায় না। এজন্য আমিডন ট্যাবলেট খেতে পারেন।
  • অনেকে ক্ষেত্রে আবার খাবার খাওয়ার পর খাবার পাকস্থলীতে উপরে উঠে আসতে চাই এক্ষেত্রে উক্ত ট্যাবলেট খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এ সমস্যার সমাধান অনেকটা হয়ে যায়।
তাহলে আশা করছি আপনারা Omidon 10 mg এর কাজ কি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারলেন। আপনাদের যদি গ্যাস জনিত সমস্যা বা হজমে সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে উক্ত ট্যাবলেট খেতে পারেন। এছাড়াও পেটে ব্যথা হয়ে থাকলে অথবা বিভিন্ন কারণে বমি ভাব হলে অমিডন ট্যাবলেট গ্রহণ করতে পারেন।

অমিডন কেন খায়

অমিডন ট্যাবলেট সাধারণত মানবদেহের পাকস্থলীর কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। যাদের পাকস্থলী জনিত সমস্যা অথবা গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি বেশি দেওয়া হয়ে থাকে। বিশেষ করে ডাক্তাররা গ্যাসের সমস্যায় অমিডন ট্যাবলেটটি বেশি দিয়ে থাকে। তাছাড়াও হজমজনিত সমস্যা থাকলে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
মূলত হজমজনিত আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে সেগুলো নিরাময় করতেও অমিডন ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও বুকে জ্বালাপোড়া করে থাকলে এই ট্যাবলেটটি ডাক্তাররা দিয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে আবার হজমের সমস্যার কারণে যাদের বমি বমি ভাব হয়ে থাকলে এই ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আরো অনেক ধরনের ব্যবহার রয়েছে উক্ত ট্যাবলেটটির।

যেগুলো আপনারা ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিতে পারবেন। ডাক্তার যখন অমিডন ট্যাবলেট প্রেসক্রিপশন করবে তখন বিস্তারিত তথ্য জেনে নিবেন। আর এই ট্যাবলেট গুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়। আপনার কোন ধরনের সমস্যা থাকলে সেটি ডাক্তারকে দেখিয়ে উক্ত ট্যাবলেটটি খেতে পারেন। তাহলে বুঝতে পারলেন অমিডন কেন খায়।

অমিডন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

আপনারা হয়তো অনেকেই অমিডন ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন। তবে কোন কারণ ছাড়া অমিডন ট্যাবলেট খেলে কি ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় সে সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তাদের জন্যই চিন্তা ভাবনা করে আমরা আজকের এই অংশে অমিডন এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তবে সাধারণত এই ট্যাবলেটের তেমন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়মে না খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। নিম্নে Omidon ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলোঃ
  • কোন রকম সমস্যা ছাড়া অমিডন ট্যাবলেট খেয়ে থাকলে বমি বমি ভাব হতে পারে। তাছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে বমি পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।
  • এছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে ক্ষুধা মন্দা সমস্যা দেখা দিতে পারে। মুখে অরুচি ভাব সৃষ্টি হতে পারে।
  • মানব দেহের লিভারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এ ধরনের ট্যাবলেট ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করুন।
  • অনেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হতে পারে। যদি আপনি সঠিক নিয়ম না মেনে ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যসহ হজমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • তাছাড়া জানা গেছে এই ট্যাবলেট কোন কারন ছাড়া অতিরিক্ত খেলে মানবদেহের ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে।
  • এই ট্যাবলেট গ্রহণ করার ফলে নারীদের ক্ষেত্রে স্তনের আকার বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে, আবার ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে।
  • কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে শরীরের চুলকানি দেখা দিতে পারে এবং ত্বক লালচে ভাব হয়ে যেতে পারে।
  • অনেকের ক্ষেত্রে পাতলা পায়খানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য অবশ্যই অমিডন ট্যাবলেট কোন কারন ছাড়া গ্রহণ করবেন না।
উক্ত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো সাধারণত সবসময় দেখা দেয় না। যদি আপনাদের কোন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সরাসরি ডাক্তারের নিকট পরামর্শ গ্রহণ করবেন। তাদের কথা মতো ওষুধগুলো গ্রহণ করবেন তাহলেই রোগ সেরে যাবে। আর অমিডন ট্যাবলেটটি সাধারণ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সমস্যা দেখিয়ে গ্রহণ করতে পারেন।

অমিডন ট্যাবলেট এর দাম কত

অনেকেই আপনারা অমিডন ট্যাবলেট এর দাম ভালোমতো জানেন না। তাদের জন্য আমরা আজকের এই পাঠে অমিডন ট্যাবলেট এর দাম সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনারা বাজারে বিভিন্ন ফার্মেসির দোকানে এই অমিডন ট্যাবলেট পেয়ে যাবেন। প্রতি পিস অমিডন ট্যাবলেট এর দাম ৩ টাকা। প্রতি পাতার ট্যাবলেট এর মূল্য ৫২ টাকা।
একটি পাতায় সাধারণত ১৫ টি ট্যাবলেট থাকে। বাজারে সাধারণত অমিডন ১০ এবং অমিডন ২০ উভয় ট্যাবলেট পাওয়া যায়। আর এই ট্যাবলেট গুলো ইনসেপ্টা ফার্মেসিউটিক্যাল লিমিটেড কোম্পানি বাজারজাত করে আসছে। এ ধরনের ট্যাবলেট নির্দিষ্ট মাত্রায় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত।

অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

আপনারা হয়তো জানেন প্রত্যেকটি জিনিস ব্যবহার করা অথবা খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। তেমনিভাবে অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। অমিডন ট্যাবলেট খেতে এলে অবশ্যই নিয়ম মেনে খেতে হবে তাহলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। আপনার যদি কোন অসুখ হয়ে থাকে তাহলে নিশ্চয় ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিয়ে নিয়ম মেনে ওষুধ খেয়ে থাকেন। ঠিক তেমনভাবে অমিডন ট্যাবলেট নিয়ম মেনে খেতে হয়।

অমিডন ট্যাবলেটটি খাবার খাওয়ার ২০ থেকে ৩০ মিনিট পূর্বে খেতে বা সেবন করতে হবে। এই ট্যাবলেটটি সকাল , বিকাল , রাত তিন বেলাতেই একটি করে খেতে হবে। তবে বয়স ভেদে খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক বা ১৮ বছরের উপরে ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অমিডন ট্যাবলেট প্রতিদিন তিনটি করে খেতে হবে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে ট্যাবলেট খাওয়ানো যাবে না। শিশুদের জন্য অমিডন সিরাপ রয়েছে যেটি খাওয়াতে পারেন।
অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
শিশুদের শরীরের ওজন অনুযায়ী ১০মিগ্রা করে খাওয়াতে হবে। সর্বোচ্চ প্রতিদিন ৩০মিগ্রা খাওয়াতে পারেন, এর বেশি শিশুদের খাওয়ানো যাবে না। শিশুর বয়স যদি ৬ থেকে ১ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে শিশুকে হাফ চামচ করে দিনে দুইবার খাওয়াতে হবে। আর এক বছরের উপরে শিশুদের এক চা চামচ করে দিনে দুইবার খাওয়াতে হবে।

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে খাওয়াতে হবে। একটা কথা মনে রাখবেন গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের এই ওষুধ খাওয়ানো যাবে না। মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, এজন্য গর্ভকালীন সময় মায়েদের থেকে এই ট্যাবলেট দূরে রাখুন।

অমিডন খেলে কি মোটা হয়

আপনাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা প্রশ্ন করে থাকেন অমিডন খেলে কি মোটা হয়। তাদের উত্তরে বলব অমিডন ট্যাবলেট খেলে মোটা হওয়া যায় না। এটি সাধারণত গ্যাস্ট্রিক জনিত বিভিন্ন সমস্যা নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ওষুধ খেলে মোটা হওয়া যায় না। তবে এই অমিডন ট্যাবলেট খেলে খাবারের প্রতি রুচি বাড়ে। কিন্তু এতে মোটা হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তাহলে বুঝতে পারছেন অমিডন খেলে মোটা হয় না। অমিডন ট্যাবলেট কোন মোটা হওয়ার ওষুধ নয়। এটি শুধুমাত্র হজম জনিত সমস্যা অথবা বমি বমি ভাব দূর করতে ব্যবহার করা হয়।

অমিডন সিরাপ কিসের ঔষধ

অমিডন সিরাপ সাধারণত বাচ্চাদের দেওয়া হয়ে থাকে। আর বড়দের ক্ষেত্রে অমিডন ট্যাবলেট দেওয়া হয়। পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকলে এই অমিডন সিরাপ শিশুদের দেওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া আপনারা বড়রাও যারা ট্যাবলেট খেতে পারেন না তারা এই অমিডন সিরাপ খেতে পারেন। অমিডন সিরাপ সাধারণত পাকস্থলীর সমস্যা এবং বুক জ্বালাপোড়া করলে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উক্ত সমস্যাগুলো হয়ে থাকলে অমিডন সিরাপ ব্যবহার করা হয়। তাহলে বুঝতে পারছেন অমিডন সিরাপ কিসের ঔষধ।

অমিডন খাওয়ার আগে না পরে

অমিডন ট্যাবলেট অথবা সিরাপ খাবার খাওয়ার আগে খেতে হয়। এই অমিডন খাবার খাওয়ার ২০ থেকে ৩০মিনিট পূর্বে খেতে হয়। ট্যাবলেটটি অবশ্যই আট ঘন্টা পর পর খেতে হবে। তাছাড়াও আপনারা রাতে ঘুমানোর আগে উক্ত অমিডন ট্যাবলেটটি গ্রহণ করতে পারেন।

অমিডন ট্যাবলেট সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ ওমিডন কিসের ঔষধ?
উত্তরঃ অমিডন সাধারণত বমি বমি ভাব , বদ হজম সমস্যা , পেটে গ্যাসের সমস্যা , পেটে ব্যথা  ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকলে ব্যবহার করা হয়। উক্ত সমস্যাগুলো নিরাময়ে অমিডন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃখাওয়ার পর ওমিডন খাওয়া যাবে কি?
উত্তরঃ খাওয়ার পর অমিডন খাওয়া যাবে না। অমিডন ট্যাবলেট সাধারণত খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে খেতে হয়।

প্রশ্নঃDon A 10 mg এর কাজ কি?
উত্তরঃ Don A 10 mg মূলত বমি বমি ভাব প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যা নিরাময়ে সহায়তা করে থাকে।

প্রশ্নঃওমিডন কখন খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ অমিডন খাবার খাওয়ার পূর্বে খাওয়া উচিত।

প্রশ্নঃঅমিডন বাচ্চাদের কি কাজ করে?
উত্তরঃ অমিডন সিরাপ বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও প্রায় একই ধরনের কাজ করে থাকে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অমিডন সিরাপ খাবার খাওয়ার রুচি বাড়াতে ও বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

লেখকের মন্তব্য

আশা করছি প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণে ভালোভাবেই অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও অমিডন কেন খায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে গেছেন। এই ট্যাবলেটটি অবশ্যই সঠিক নিয়ম মেনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন। অযথা কখনোই খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনার পরিচিতদের Omidon 10 mg সম্পর্কে জানাতে পোস্টটি শেয়ার করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

বিজ্ঞাপন