চিরতরে মেছতা দূর করার ১০টি উপায় জেনে নিন
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা অনেকেই আছেন যারা মেছতা সমস্যায় ভুগে থাকেন। এজন্য আপনারা
অনেকেই চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তাদের জন্যই আমরা আজকের
এই পোস্টটিতে চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে
ধরবো।
পোস্টসূচিপত্রঃআপনারা যদি মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সহ মেছতা দূর করার ক্রিম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। কারন আমরা আজকের আর্টিকেলটিতে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব।
ভূমিকা
আমরা বর্তমানে প্রায় সকলেই ত্বকের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত থাকি। বিশেষ করে
মুখের উজ্জ্বলতা নিয়ে আমাদের অনেক ধরনের চিন্তার মধ্যে থাকতে হয়। আমাদের মধ্যে
অনেকের মুখে বিভিন্ন কারণে ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায় আর এ ধরনের দাগগুলোকেই মেছতা
বলা হয়ে থাকে। যা আমাদের মুখের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে দেয়। আপনাদের মধ্যে অনেকেই
আছে যারা এ ধরনের মেছতার সমস্যাই সমাধান খুঁজে বেড়ান তাদের জন্যই আজকের পোস্টটি
হতে যাচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আরো জানুনঃ
গরম ভাতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা
কারণ আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়,মেছতা দূর
করার ঘরোয়া উপায়, মেছতা দূর করার ক্রিম সহ আরো অনেক কিছু বিষয় সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই প্রিয় পাঠক আপনার যদি মেছতা হয়ে থাকে এবং আপনি
মেছতা ঘরোয়া উপায়ে দূর করতে চাচ্ছেন তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত
পড়ুন।
চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় -চিকিৎসা পদ্ধতি
আপনার নিশ্চয়ই চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতেই আজকের এই অংশটিতে
এসেছেন। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, আজকের এই অংশে আমরা চিরতরে মেছতা দূর করার
উপায় ও নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। সাধারণত যাদের শুষ্ক ত্বক
তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। তবে আপনারা চাইলে কিছু ঘরোয়া
উপায় এর মাধ্যমে চিরতরে মেছতা দূর করতে পারবেন।
তাছাড়াও ডাক্তারিভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করার মাধ্যমে চিরতরে মেস্তা দূর করা যায়।
তবে ডাক্তারের ভাবে করার মাধ্যমে মেছতা দূর হয়ে যায় কিন্তু অনেক সময়
চেহারার পরিবর্তন দেখা যায়। যার ফলে আমরা অনেকেই ডাক্তারি ভাবে অনেক ধরনের
থেরাপি নিয়ে মেছতা দূর করতে চাই না। তবুও আপনাদের সুবিধার জন্য আমি এখন চিরতরে
মেছতা দূর করার কিছু উপায় তুলে ধরব।
লেজার পদ্ধতিঃ আপনারা চাইলে লেজার পদ্ধতি এর সাহায্যে চিরতরে মেছতা
দূর করতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে অতি সহজেই মেছতা দূর করা যায় কিন্তু স্ক্রিনে
ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর সাধারণত এ ধরনের পদ্ধতি অনেকটা ব্যয়বহুল হয়ে
থাকে। তাই আপনি যদি চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় খুঁজে থাকেন, তাহলে এই লেজার
পদ্ধতি উপায়টি সম্পর্কে আপনার জানা উচিত।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে লেজার ব্যবহার করে আপনার মুখের বা হাতের মেছতা দূর করা হয়ে
থাকে। তবে এই পদ্ধতিতে অনেক সময়ই স্কিন খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কিন্তু যাদের গুরুতর দরকার হবে তারা শুধুমাত্র এই পদ্ধতির সাহায্যে
মেছতা দূর করবেন।
মলম বা ক্রিম চিকিৎসাঃ মলম বা ক্রিম লাগানোর মাধ্যমে চিরতরে
মেছতা দূর করতে পারবেন। আপনার মুখের যে স্থানে মেছতা হয়েছে সেই
স্থানে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ক্রিম বা মলম ব্যবহার করে মেছতা চিরতরে দূর
করতে পারবেন। এর জন্য বলে রাখি অবশ্যই ভালো কোন স্কিন এক্সপার ডাক্তার এর নিকট
থেকে মলম বা ক্রিম নিয়ে ব্যবহার করবেন।
আরো জানুনঃ মেয়েদের ব্রণ দূর করার উপায়
কারন আপনার মুখে কোন ক্রিমটি ভালোভাবে সেটি একমাত্র ডাক্তার বলে দিতে পারবে।
তারা আপনার মুখে মেছতার ধরন অনুযায়ী ক্রিম দিয়ে থাকবে। আপনারা যদি নিজে নিজে
কোন ধরনের ক্রিম কিনে ব্যবহার করেন তাহলে এতে আপনার ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে, তাই আপনার জন্য কোন ক্রিম ভালো হবে সেটি জানতে ডাক্তারের কাছে যাবেন।
সুপার ফেসিয়াল পদ্ধতিঃ আপনারা চাইলে সুপার ফেসিয়াল পদ্ধতিতেও চিরতরে
মেছতা দূর করতে পারবেন। এই পদ্ধতিটির নাম হল এপি ডার্মাল হাইপার
প্রিভেনশন। উক্ত উপায়ে আপনারা কিছু ফেসিয়াল পদ্ধতিতে মেছতা দূর করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনারা আরো অনেক উপায়ে চিরতরে মেস্তা দূর করতে পারবেন।
চিরতরে মেছতা দূর করার ১০টি কার্যকরী উপায়
আপনারা তাহলে উপরের অংশে চিরতরে মেছতা দূর করার কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে
জানতে পারলেন। তবে আপনারা চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিরতরে মেছতা দূর করতে পারবেন।
ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায়ে মেছতা দূর করা যায়। আর এ ধরনের উপায়ে তেমন
খরচ হয় না বরং আপনি নিরাপদ উপায়ে মেছতা দূর করতে পারবেন।
প্রাকৃতিক উপায়ে মেছতা দূর করলে কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না।
তবে মনে রাখা ভালো ঘরোয়া ভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে মেছতা দূর করতে কিছুটা সময় বেশি
লাগে, এজন্য আপনাদের ধৈর্যের সহিত উপায় গুলো অবলম্বন করে চলতে হবে। তবে চলুন কথা
না বলে এবার জেনে নেই চিরতরে মেছতা দূর করার ১০টি কার্যকরী উপায় গুলোঃ
১. টক দই ও মধুঃ আপনার অনেকেই জানেন
টক দই আমাদের
স্ক্রিন ও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। টক দই ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক পরিষ্কার হয়।
কারণ টক দই রয়েছে একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া ব্যাকটেরিয়া যেটি আপনার ত্বককে
পরিষ্কার করতে পারে। সেজন্য আপনারা দুই চামচ টক দই নিয়ে তার সাথে এক চা চামচ মধু
মেশাবেন। দুটি উপাদান ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে আপনার মুখে মেছতার উপর ভালোভাবে
লাগিয়ে রাখবেন।
মিশ্রণটি কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ মিনিট মুখের উপর লাগিয়ে রাখবেন। তারপর ঠান্ডা
পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। আর যদি এই মিশ্রণটি শীতের সময় ব্যবহার করে
থাকেন তাহলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। এভাবে আপনি টক দই সহ মধু
প্রতিদিন ব্যবহার করতে থাকুন আপনার মেছতা দূর হয়ে যাবে।
২. আলুর রস ব্যবহারঃ আলুর রস ব্যবহার করেও মেছতা দূর করা যায় এটা হয়তো
আপনারা অনেকেই জানেন না। তাদের জন্যই বলছি আলুর রস ব্যবহার করে আপনি মেছতা দূর
করতে পারবেন। আলোর রসে রয়েছে স্টার্চ জাতীয় পদার্থ যেটি ত্বকের মৃত কোষকে দূর
করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। আলুর রস ব্যবহার করতে হলে প্রথমে আপনাকে
আলুর খোসা ছাড়িয়ে পিস পিস করে কেটে নিতে হবে। তারপর আলুর পিস করা অংশগুলো রস
করে নিতে হবে।
এর জন্য আপনি ব্যালেন্ডার ব্যবহার করতে পারেন। ব্লেন্ডারে আলুর পিস করা অংশগুলো
নিয়ে রস করে নিবেন। রস করা হয়ে গেলে আলুর রসটি আপনি মুখের উপর কমপক্ষে ৩০ মিনিট
লাগিয়ে রাখবেন। এরপর শুকিয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে
ফেলবেন। আর এই আলুর রস আপনারা অবশ্যই একদিন পরপর ব্যবহার করবেন। এভাবে ২-৩ সপ্তাহ
ব্যবহার করুন আশা করছি ভালো ফলাফল পাবেন।
৩. লেবু এবং মধুঃ অনেক আগে থেকেই মানুষজন লেবু ও মধু মিশিয়ে রূপচর্চা করে
আসছে। তবে আপনারা জানেন কি লেবু ও মধু মিশিয়েও মুখের মেছতা দূর করা যায়।
লেবুর আসে থাকা ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের জন্য খুব উপকারী। লেবুর পাশে থাকা
ভিটামিন সি এর সাথে মধু ব্যবহার করলে এই মিশ্রণ এর গুনাগুন বেড়ে যায়। কারণ
ভিটামিন সি ও মধুতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান একত্রে মিশে মিশ্রণের
গুণাগুণ বেড়ে যায়।
আর এটি ব্যবহার করলে আপনার মুখের মেছতা দূর করতে পারবেন। এর জন্য আপনি প্রথমেই
একটি লেবু কেটে তার মধ্য থেকে রস বের করে নেবেন। এরপর দুই চা চামচ মধু লেবুর রসের
সাথে মিশিয়ে আপনার মুখের মেছতা জনিত স্থানে লাগিয়ে রাখবেন। কিছুক্ষণ পর
যখন মিশ্রণটি আপনার মুখের উপর শুকিয়ে যাবে তখন ভালো পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে
ফেলবেন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের বা মুখের ছোপ ছোপ এবং চিরতরে মেছতা দূর হয়ে যাবে।
৪. এলোভেরা জেলঃ সেই প্রাচীনকাল থেকে এলোভেরা জেল রূপচর্চার কাজে
ব্যবহার করে আসছে। তাছাড়াও ব্রণ দূর করতেও এই অ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বর্তমানে এই এলোভেরা জেল ব্যবহার করে মুখের মেছতা চিরতরে দূর করা যায়। এর
জন্য প্রথমে আপনাকে এলোভেরা থেকে জেল বের করে নিতে হবে। তারপর আপনি এটি সকালে এবং
রাতে ব্যবহার করতে পারেন। সকালে হয়ে থাকলে আপনি এটি মুখের ওপর মেছতার দাগের
স্থানে লাগিয়ে রাখবেন।
আরো জানুনঃ
ছুলি দূর করার ক্রিমের নাম ও ঔষধের নাম
যখন দেখবেন শুকিয়ে যাবে তখন পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিবেন। এছাড়া আপনি রাতে
ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করতে পারেন। আর ভালোভাবে পেতে রাতে মুখের মেছতার উপর
লাগিয়ে ঘুমিয়ে যেতে পারেন। আর সকালে উঠে ভালোভাবে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে
ধুয়ে নিবেন। এভাবে এক সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহার করলে মেছতার দাগ কিছুটা হলেও দূর
করতে পারবেন।
৫. অ্যাপল সিডার ভিনিগারঃ এই অ্যাপল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করার মাধ্যমে
অনেকটা মেছতা দাগ দূর করা যায়। তবে এই অ্যাপেল সিডার ভিনেগার সরাসরি মুখে
ব্যবহার করা যায় না। এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনি অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
এক থেকে দুই চামচ পানির সাথে মিশিয়ে নিবেন।
মূলত পানির সাথে মিশিয়ে এটি ব্যবহার করা যায়। পানির সাথে মেশানোর পর মুখের
মেজতার দাগের স্থানে লাগাবেন। কমপক্ষে পাঁচ থেকে দশ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখার পর
পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিবেন। এটি মুখের দাগের স্থানে কিছুদিন ব্যবহার করলে ভালো
ফলাফল পাওয়া যায়।
৬. মুলতানি মাটি বা চন্দন কাঠঃ আপনারা সকলেই জানেন মুলতানি মাটি বা
চন্দন কাঠ এর ফেসপ্যাক আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। বর্তমানে প্রায়ই কম বেশি
সকলেই মুলতানি মাটি বা চন্দন কাঠের গুড়া দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে রূপচর্চা করছে।
আপনারা এই মুলতানি মাটি দিয়ে মেছতা দূর করতে পারবেন।এটি শুধু মুখের মেছতা দূর করার সাথে সাথে ত্বকের দাগ দূর করতে সহায়ক। তাছাড়া
এটি ব্যবহারে ত্বকের ময়লা পরিষ্কার হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা
বৃদ্ধি পায়। আপনারা যেহেতু মেছতা দূর করবেন এজন্য প্রথমেই ১ চা চামচ
মুলতানি মাটি অথবা চন্দন গুড়া এর সাথে মধু মেশাবেন।
এরপর গোলাপ জল দিয়ে মিশ্রণটি ভালোভাবে ঘন করে নিবেন। তাহলে আপনারা এক চামচ
মুলতানি মাটি এর সাথে মধু মেশানোর পর গোলাপজল দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করবেন। এবার
ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বকের বা মুখের মেছতা জনিত স্থানে আলতোভাবে লাগিয়ে রাখুন।
২০-৩০ মিনিট কমপক্ষে লাগিয়ে রাখবেন। যখন শুকিয়ে যাবে তখন পরিষ্কার পানি দিয়ে
মুখটি ধুয়ে নিবেন। এভাবে আপনারা যদি তিন থেকে চার সপ্তাহ ব্যবহার করেন তাহলে
আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং মেছতা চিরতরে দূর হয়ে যাবে।
৭. আর্মান্ড ওয়েলঃ আমরা
সকলে জানি আর্মান্ড ওয়েলকে সাধারণত বাদাম তেল বলা হয়ে থাকে। বাদাম থেকে
তেল বের করে নিয়ে এই আর্মান্ড ওয়েল তৈরি করা হয়। এ ধরনের তেলে থাকে
উচ্চ পরিমাণে ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন ই যা আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে
সাহায্য করতে পারে। তাছাড়াও মেছতা দূর করতেও অধিক কার্যকরী।
এই আর্মান্ড ওয়েল উপাদানটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনারা
উপরোক্ত আর্মান্ড অয়েলটি হালকাভাবে গরম পড়ে নিবেন। এরপর আপনার মেছতা
জনিত দাগের ওপর লাগাবেন। কিছুদিন এভাবে ব্যবহার করলে আশা করছি আপনারা মেছতা
সমস্যাই ভালো ফলাফল পাবেন।
৮. লেবুর রস ব্যবহারঃ লেবুর রসে রয়েছে সাইটিক অ্যাসিড যা আমাদের
ত্বকের উজ্জ্বল ভাব বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। লেবুতে সাইটিক এসিড সহ
অ্যাসট্রিজেন্ট উপাদান উপস্থিত রয়েছে যেটি ত্বকের কালো দাগের স্তর দূর করতে
সহায়তা করে থাকে। তাছাড়া এটি মেছতা দূর করতেও ভালো কাজ করে থাকে। আপনারা এটি
মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য প্রথমেই একটি লেবু নিবেন। লেবুটি কেটে দুই
ভাগ করে রস বের করে নিবেন।
আরো জানুনঃ গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
এবার কটন বাডে রস লাগিয়ে মুখের মেছতা জনিত স্থানে ভালোভাবে পাঁচ মিনিট ঘষতে
থাকুন। এরপর ২০ মিনিট মুখের মেছতার দাগের উপর লেবুর রস লাগিয়ে রাখুন। তারপর
শুকিয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। প্রতিদিন সকালে ও রাতে
দুই বেলায় এভাবে ব্যবহার করলে কিছু দিনের মধ্যেই মেছতা ও ব্রণ সমস্যা দূর হয়ে
যাবে।
৯. হলুদ ও দুধ ব্যবহারঃ আপনারা কি জানেন ত্বকের মেলানিন
কমিয়ে মেছতা বা ব্রণ দূর করতে হলুদ অধিক কার্যকরী উপাদান। হলুদের রয়েছে ত্বকের
উজ্জলতা বৃদ্ধি করার শক্তিশালী গুন। এর ফলে আপনারা যদি হলুদ দিয়ে কোন ফেসপ্যাক
তৈরি করেন তাহলে ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে পারবেন এবং ত্বকের বা মুখের দাগ দূর
করতেও পারবেন। তাছাড়াও হলুদের সাথে দুধ মেশালে এর গুনাগুন আরো বৃদ্ধি পেয়ে
যায়। কারণ দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ল্যাকটিক অ্যাসিড। এর ফলে হলুদ ও দুধ
একসঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করলে এটি ত্বকে লাগালে ত্বকের কালো দাগ সহ মৃতকোষ
দূর করতে ভালো কাজ করে থাকে।
আরো জানুনঃ
তিব্বত কদুর তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
এর জন্য আপনাকে হলুদ ও দুধ দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে হবে। প্রথমে আপনারা তিন চামচ
হলুদ গুড়া নিবেন এবং পাঁচ চামচ দুধ নিয়ে একসঙ্গে মিশ্রিত করবেন। ভালোভাবে
মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার উক্ত মিশ্রণটি আপনার ব্রণ অথবা মেছতার উপর লাগান। কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন তারপর শুকিয়ে
গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মেছতা প্রতিরোধ করতে প্রতিদিন ভালোভাবে ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করুন।
১০. লেবু ও টমেটো ব্যবহারঃ এই পদ্ধতি ব্যবহার করেও চিরতরে মেস্তা দূর করতে
পারবেন। এর জন্য এক চামচ লেবুর রস নিয়ে তার সাথে দুই চামচ টমেটো রস মেশাবেন।
মেশানো হয়ে গেলে মিশ্রণটি আপনার ত্বকের বা মুখে ব্যবহার করুন। মুখে ২০ মিনিট
ধরে লাগিয়ে রাখবেন, শুকানোর পর পানিতে ধুয়ে ফেলবেন। মেছতা সমস্যা দূর করতে
কমপক্ষে ১ থেকে ২ মাস ব্যবহার করুন।
মেছতা দূর করার ক্রিমের নাম
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন ক্রিম ব্যবহার করার মাধ্যমেও মেছতা দূর করা যায়।
বর্তমানে বাজারে অনেক ধরনের ক্রিম পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহার করে মেছতা সহ
ব্রণ সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। আপনাদের মধ্যে অনেকেই চিরতরে মেছতা দূর করার
ক্রিমের নাম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাদের জন্যই আমরা আজকের এই অংশে
মেছতা দূর করার ক্রিমের নাম সম্পর্কে আলোচনা করব। তবে চলুন আর কথা না
বাড়িয়ে মেছতা দূর করার ক্রিমের নাম জেনে নেওয়া যাক।
Hydroo ২% ক্রিমঃ চিরতরে মেছতা দূর করার কার্যকরী ক্রিম
হলো Hydroo ২% ক্রিমটি। এই ক্রিম ব্যবহারে মেছতা সহ ব্রণ সমস্যা দূর করা যায়। এই
ক্রিমগুলো সাধারণত সবার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ ক্রিম গুলো সবার
স্কিনে ভালোভাবে কাজ করে না এজন্য আপনাদের অবশ্যই ব্যবহার করার পূর্বে ভালো কোন
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
কারণ ডাক্তাররাই আপনাদের মেছতা ধরন বোঝে ক্রিম দিয়ে থাকবে, সেই
অনুযায়ী আপনারা মেছতা দূর করার ক্রিমগুলো কিনবেন এবং ব্যবহারবিধি অনুযায়ী
ব্যবহার করবেন। তাহলে একমাত্র ক্রিম ব্যবহার করে চিরতরে মেছতা দূর করতে
পারবেন।
Betavet-N ক্রিমঃ মেছতার সমস্যা দূর করার আরেকটি কার্যকরী ক্রিম
হল Betavet-N। এই ক্রিম ব্যবহার করেও চিরতরে মেছতা দূর করা যায়।
ক্রিমটি অবশ্যই ১৮ বছরের উপরে ছেলেমেয়েদের ব্যবহার করতে হবে অর্থাৎ ১৮ বছরের
নিচে ছেলেমেয়েরা এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি ব্যবহার করে থাকেন
তাহলে ত্বকে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৮ বছরের উপরের
ব্যক্তিরা ব্যবহার করবেন। আর অবশ্যই ব্যবহার করার পূর্বে ডাক্তারের কাছে
দেখিয়ে পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন।
Mela care ক্রিমঃ মুখের মেছতা দূর করার জন্য বর্তমানে জনপ্রিয়
ক্রিমের নাম হল Mela care। উক্ত ক্রিমটি মেছতা দূর করার জন্য বর্তমানে অধিক ব্যবহার করা হয়ে
আসছে। এই তিনটি সাধারণত ইন্ডিয়ান কোম্পানি তৈরি করেছে। তাই অবশ্যই কেনার
আগে আসল ও নকল দেখে কিনবেন। অরিজিনাল প্রোডাক্ট সাধারণত ইন্ডিয়ান
কোম্পানির।
উক্ত ক্রিমটি আপনার বাজারে বিভিন্ন দোকানে পেয়ে যাবেন। তবে ক্রিমটি আসল এবং
অরজিনাল কিনা তা দেখে কিনবেন। কারণ নকল ক্রিম ব্যবহার করলে আপনার ত্বকে খারাপ
প্রভাব পড়তে পারে। আর এই ক্রিমগুলোর বার্জার মূল্য ২৮০ থেকে ৩০০ টাকার মত হয়ে
থাকে। আপনারা মেছতা দূর করতে এ ধরনের ক্রিম গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
আশা করছি আপনারা উপরে মেছতা দূর করার কিছু ক্রিমের নাম সম্পর্কে
জানতে পারলেন। উক্ত ক্রিম গুলো আপনারা মেছতা প্রতিরোধ করতে ব্যবহার করতে
পারেন। তাছাড়া আপনারা চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করেও মেছতা দূর করতে
পারবেন। যদিও ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করলে ভালো ফলাফল পেতে একটু সময় লাগে,
সে ক্ষেত্রে আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ক্রিম কিনে ব্যবহার করতে পারেন।
মেছতা দূর করার হোমিও ঔষধ
আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা মেছতা দূর করার জন্য হোমিও ঔষধ খুঁজে
বেড়ান। তাদের সুবিধার জন্য আমরা আজকের এই পাঠে মেছতা দূর করার হোমিও ওষুধ
সম্পর্কে আলোচনা করব। তবে আপনারা চাইলে চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে
জেনে ঘরে বসে মেছতা সমস্যা দূর করতে পারবেন। চলুন আমরা এবার মেছতা দূর করার হোমিও
ঔষধ সম্পর্কে জেনে নেই।
- সিফিলিনাম(Syphilinum)
- ল্যাকেটিস ডিকোক্টাম(Lacetis decoctum)
- আর্নিকা(Arnica)
- থুজা(Thuja)
- বার্বারিস একোপুলিয়াম(Berberis acopulium)
- সিফিয়া(Siphia)
- আর্সেনিক(Arsenic)
- সালফার(sulphar)
তাহলে আপনারা উপরের লিস্টে মেছতা দূর করার কিছু হোমিও ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতে
পারলেন। এই ওষুধগুলো আপনারা চিরতরে মেছতা দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন। উক্ত
হোমিও ওষুধগুলো ব্যবহারে মুখের ব্রণ সহ মেছতা এবং মুখের কালো দাগ দূর করা যায়।
তবে এই হোমিও ওষুধগুলো ব্যবহারের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আপনারা যদি এই
ওষুধ গুলো ব্যবহার করেন তাহলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
আরো জানুনঃ
এলার্জি চুলকানির ওষুধের নাম
এই হোমিও ওষুধ গুলো ব্যবহার করলে অতিরিক্ত সূর্যের আলোতে ঘরের বাইরে বের হওয়া
যাবে না। আর সবসময় ত্বক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এজন্য ভালোভাবে
পরিষ্কার পানি দিয়ে ত্বক এবং মুখ পরিষ্কার রাখবেন। এছাড়াও এই ওষুধ ব্যবহার
করার সময়ে আপনারা মুখে অধিক মেকআপ করতে পারবেন না। এসব নিয়ম গুলো মেনে
চললে আপনার উক্ত হোমিও ওষুধ ব্যবহারে মেছতাজনিত সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
মেছতা দূর করার ঔষধ
আপনারা চাইলে মেছতা দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করার পাশাপাশি মেছতা দূর
করার ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন। তবে এই ওষুধগুলো অবশ্যই ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করার
পর ব্যবহার করতে হবে। আপনারা যদি দেখেন চিরতরে দূর করার উপায় ও নিয়ম অবলম্বন
করেও মেস্তা দূর হচ্ছে না সে ক্ষেত্রে আপনারা মেছতা দূর করার ওষুধ গুলো
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন। তবে চলুন আমরা নিম্নে মেছতা দূর
করার ওষুধ গুলোর নাম জেনে নেই। তবে এই ওষুধগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ক্রিম রয়েছে।
সেগুলোকে বলা হয়ে থাকে ক্রিম জাতীয় ওষুধ।
- Hydroquinone Cream
- Betavet-N ক্রিম
- Mela care Cream
- Hydroo 2% ক্রিম
- MELANYC Cream
উপরোক্ত ওষুধ অথবা ক্রিমগুলো আপনারা মেছতা দূর করার জন্য ব্যবহার করতে
পারেন।ওষুধগুলো অবশ্যই ভালো কোন চিকিৎসকের নিকট পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করতে হবে।
তা না ছাড়া অযথা কোনো ক্রিম ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে।
মেয়েদের মেছতা দূর করার উপায়
মেয়েদের ক্ষেত্রে সাধারণত মেছতা জনিত সমস্যা বেশি দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে
আপনারা মেয়েরা কিছু উপায় অবলম্বন করে মেছতা দূর করতে পারবেন। এর জন্য
আপনাদের জানতে হবে মেয়েদের মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে। আর কথা না বাড়িয়ে
উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
- আপনারা হয়তো জানেন টমেটো দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে ত্বকের রূপচর্চা করা যায়। টমেটোতে উপস্থিত রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের রোগ জীবাণু দূর করে এবং ত্বক পরিষ্কার রাখে। এজন্য আপনারা টমেটো রস করে তার সাথে কিছু পরিমাণ আটা বা ময়দা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন এবং সেগুলো মুখে লাগিয়ে নিলে মেছতা দূর করা সম্ভব হবে।
-
তাছাড়াও আপনারা কি জানেন পাকা পেঁপে রস ব্যবহার করেও মেছতা দূর করা সম্ভব।
সে ক্ষেত্রে আপনারা ৫ চা চামচ পাকা পেঁপে রসের সাথে লেবুর রস ভালোভাবে
মেশাবেন এবং আপনার ত্বকের বা মুখের ওপর ২০ মিনিট লাগিয়ে এখন। এরপর পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে মেছতা সমস্যা
কমতে থাকবে।
-
মধু ব্যবহার করেও মেয়েরা মেছতা সমস্যা দূর করতে পারবেন। কিছু পরিমাণ মধুর
সাথে এলোভেরা জেল মিশিয়ে মেছতার দাগের উপর ব্যবহার করুন, কিছুদিন পর ভালো
ভালো ফল পাবেন।
-
এছাড়াও গরুর দুধের সাথে আটা বা ময়দা মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার
করতে পারেন। কারণ গরু দুধে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর উপাদান এবং
ভিটামিন, ক্যালসিয়াম উপস্থিত রয়েছে। তাই গরুর দুধের সাথে ময়দা মিশিয়ে
কিছুদিন ব্যবহার করলে মেছতার সমস্যা সমাধানে ভালো ভালো ফল পাওয়া যায়।
মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায় ও পদ্ধতি
মেছতা দূর করার জন্য আপনারা কিছু ঘরোয়া উপায়ে কিছু উপাদান ব্যবহার করে মেছতা
সমস্যা দূর করতে পারবেন। আমাদের কম-বেশি অনেকেরই মেছতা জনিত সমস্যায় ভুগে
থাকি। তবে যাদের এই সমস্যা রয়েছে তারা বাজার থেকে আগেই ক্রিম কিনে ব্যবহার
করবেন না। কারণ না বুঝে শুনে ক্রিম কিনলে এসব ক্রিম ব্যবহারে বরং মুখে
মেছতা বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আপনারা ঘরোয়া উপায়ে কিছু
উপাদান ব্যবহার করার মাধ্যমে মেছতা দূর করতে পারবেন। তবে চলুন মেছতা দূর করার
সেইসব উপাদান গুলোর নাম জেনে নেই।
- মুলতানি মাটি
- চন্দন পাউডার
- কলার খোসা
- লেবুর রস
- আপেল সিডর ভিনিগার
- অ্যালোভেরা
- পিঁয়াজ রস
- হলুদ
- টমেটো রস
- আলুর রস
আপনারা উপরোক্ত উপাদান গুলো ব্যবহার করে মেছতা দূর করতে পারবেন। উপরের দেওয়া
উপাদান গুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক তৈরি করা যায় যেগুলো ব্যবহার করে
অনায়াসেই মেছতা প্রতিরোধ করা যায়।
চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কিত সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্নঃহোমিও ঔষধ কি ব্রণের জন্য ভালো?
উত্তরঃ হোমিও ঔষধ আপনি ত্বকে ব্রণের সমস্যায় ব্যবহার করতে পারেন। ব্রণের
সমস্যা হয়ে থাকলে হোমিও ঔষধ সবচেয়ে ভালো কাজ করে থাকে। তাই বলা যায় হোমিও
ঔষধ ব্রণের জন্য ভালো।
প্রশ্নঃমুখের কালো দাগের জন্য কি ক্রিম ব্যবহার করব?
উত্তরঃ মুখে কালো দাগের জন্য আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী ব্লিচিং ক্রিম অথবা Betavet-N ক্রিমটি ব্যবহার করতে
পারেন।
প্রশ্নঃকালো দাগ দূর করার জন্য কোন ক্রিম ভালো?
উত্তরঃ কালো দাগ দূর করার জন্য বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম
রয়েছে। তবে জানা গেছে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি অ্যান্টি-ডার্ক স্পট
ক্রিম ব্যবহারে ভালোভাবেই ত্বকের কালো দাগ দূর করা যায়।
প্রশ্নঃমেছতা কি ভাবে দূর করা যায়?
উত্তরঃ মেছতা দূর করার জন্য আপনি মেছতা দূর করার ক্রিম অথবা ঔষধ
ব্যবহার করতে পারেন। তা ছাড়াও কিছু ঘরোয়া উপায়ে মেছদা দূর করতে
পারবেন যেগুলো সম্পর্কে আমরা আজকের এই পোস্টে আলোচনা করেছি।
প্রশ্নঃমুখে মেসতা হলে কি করবো?
উত্তরঃ মুখে মেছতা তাহলে চিরতরে মেছতা দূর করার নিয়ম ও উপায়টি
সম্পর্কে পড়ে সেই নিয়ম অনুযায়ী মেস্তা দূর করুন। আমরা উপরের
অংশগুলোতে মেছতা দূর করার কিছু উপায় তুলে ধরেছি। সেগুলো ভালোভাবে
পড়ে নিন।
প্রশ্নঃমেছতা কী?
উত্তরঃ সাধারণত আমাদের ত্বকে বা মুখে কোন কারণে মেলানিন বেশি বেড়ে
গেলে তখন মুখে এক প্রকার ছোপ ছোপ কালো এবং সাদা দাগ দেখা যায়
সেটাকেই মেছতা বলা হয়ে থাকে।
শেষ কথা
আশা করছি প্রিয় বন্ধুরা আপনারা এতক্ষণে চিরতরে মেছতা দূর করার
উপায় ও নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তাছাড়াও মেছতা
দূর করার ক্রিম ও ওষুধ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে যা সম্পর্কে
আপনারা জেনে মেছতা অনায়াসে দূর করতে পারবেন। আপনার পরিচিতদের
মেছতা হয়ে থাকলে মেছতা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানাতে
পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।