পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আপনারা নিশ্চয়ই পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায় সম্পর্কে জানতেই
আজকের পোস্টটিতে এসেছেন। তবে সঠিক জায়গাতে এসেছেন, কারণ আজকের আর্টিকেলটিতে
পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। আপনারা
যদি পেটের চর্বি কমাতে চান তাহলে অবশ্যই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃআপনাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা পেটের চর্বি কমাতে চায়, কিন্তু কোথাও ভালো উপায়
খুঁজে পাই না। তাদের জন্যই আমরা পোস্টটিতে পেটের চর্বি কমানোর বিভিন্ন ধরনের
উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
উপস্থাপনা
আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা পেটের চর্বি অথবা ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকেন। সাধারণত
বিভিন্ন কারণে পেটের চর্বি ও ওজন বেড়ে গিয়ে থাকতে পারে। তবে সেই কারণগুলো জানার
মাধ্যমে আপনাদের কিছু নিয়ম মেনে চললে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব। পেটের
চর্বি কমানোর প্রধান শর্ত হলো শারীরিক ব্যায়াম করা। যা আমরা কমবেশি সকলেই করে
থাকি।
আরো জানুনঃ খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
তাছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম এর কাজ করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে
ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বরং তাদের ওজন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে বডির গঠন ভালো হবে। তবে যারা পেটের চর্বি কমানো নিয়ে
চিন্তিত রয়েছেন তাদের কথা ভেবে আমরা আজকের পোস্টটিতে পেটের চর্বি কমানোর
৯টি সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব। তাই শেষ পর্যন্ত সকল কিছু
জানতে আমাদের সাথে থাকুন।
পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায়
পেটের অতিরিক্ত চর্বি আমাদের কাছে অনেকটা বিরক্তিকর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন অভ্যাসের কারণে পেটে চর্বি জমে থাকে। মূলত খাবার খাওয়ার অভ্যাস ঠিকমতো
না থাকলে পেটে চর্বি জমতে থাকে। সাধারণত যে সকল খাবারের বেশি ক্যালোরিযুক্ত
রয়েছে সেগুলো খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে পেটে চর্বি জমার সম্ভাবনা
রয়েছে।
আরো জানুনঃ
সাফি সিরাপ খেলে কি ওজন কমে
অনেক ক্ষেত্রে অনেকেই মনে করে থাকে পেটে একবার চর্বি জমলে সেটি আর কমানো যায় না,
এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। আপনারা কিছু উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে পেটের চর্বি
অনায়াসেই কমাতে পারবেন। পেটের চর্বি কমানোর জন্য অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার
খাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে হবে। তবে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে
পেটের চর্বি কমানোর নয়টি সহজ উপায় জেনে নেওয়া যাক।
ব্যায়াম করাঃ পেটের চর্বি কমানোর প্রথম শর্ত হচ্ছে প্রতিদিন নিয়মিত
ব্যায়াম করা। একমাত্র ব্যায়াম করার মাধ্যমেই যে কোন ঝামেলা ছাড়াই পেটে চর্বি
বা ভুড়ি কমানো যাবে। প্রতিদিন ব্যায়াম করলে পেটে চর্বি জমা সম্ভাবনা
থাকে না। ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি বের হয়ে যায়
যার ফলে শরীরে ক্যালরি জমে থাকে না এবং পেটে চর্বি জমতে পারে না।শুধুমাত্র
ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনার শরীরের গঠন ঠিক রাখতে পারবেন।
শরীরের গঠন আকর্ষণীয় করতে ব্যায়াম করতে পারেন। পেটের চর্বি কমিয়ে
স্বাস্থ্যসম্মত বডি গঠন করতে চাইলে অবশ্যই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি
শরীরচর্চা করতে হবে। তাই প্রতিদিন আপনারা সকালে বা বিকালে কিছুক্ষণ সময় ৩০
থেকে ৪০ মিনিট করে ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করতে পারেন। এতে করে আপনাদের শরীরের
ফিটনেস ঠিক থাকবে এবং পেটে চর্বি জমতে পারবে না। তাহলে বুঝতেই পারছেন পেটের মেদ
কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই।
সবুজ শাকসবজি খাওয়াঃ অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন।
আপনার যদি পেটে চর্বি হয়ে থাকে তাহলে এ সময়ে আমিষ জাতীয় খাবার বেশি না খেয়ে,
শাকসবজি জাতীয় খাবার বেশি খেতে পারেন। কারণ এতে কোন ধরনের ফ্যাট নেই বরং আপনার
শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার করতে পারে।
আরো জানুনঃ
ছেলেদের বডি বানানো সহজ উপায়
বিশেষ করে শরীরের শক্তি যোগান দিতে পারে এবং শরীরের ফিটনেস ধরে রাখতে নিয়মিত
শাকসবজি বা নিরামিষ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সবুজ শাকসবজি খেলে শরীরের
পুষ্টিকর চাহিদা পূরণ হয় এবং পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনারা
অতিরিক্ত মাছ-মাংস খাওয়া বাদ দিয়ে শাকসবজি খাবেন।
গ্রিন টিঃ গ্রিন টি খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন
এবং পেটের মেদ কমাতে পারেন। পেটের চর্বি কমাতে গ্রিন টি ভাল কাজ করে থাকে। এক
গবেষণায় দেখা গেছে কেউ যদি প্রতিদিন চার কাপ করে গ্রিন টি খায় তাহলে তার শরীর
থেকে ৫০০ ক্যালোরি পর্যন্ত ক্ষয় হতে পারে। যার ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি
বের হয়ে পেটের চর্বি কমতে থাকে। এছাড়াও গ্রিন টিতে রয়েছে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের ওজন ঠিক রাখতে সহায়তা করে। এজন্য গ্রিন টি খাওয়ার
মাধ্যমে আপনারা শরীরের ওজন কমানোর পাশাপাশি পেটের চর্বি কমাতে পারবেন।
লেবুর রসঃ আপনার হয়তো সকলেই জানেন লেবুর রস আমাদের শরীরের জন্য কতটা
উপকারী। লেবুর রসে থাকা ভিটামিন সি আমাদের দেহের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। লেবুর
রস খেলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে। তাই আপনারা যদি প্রতিদিন সকালে হালকা কুসুম
গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খান তাহলে আপনার পেটের চর্বি কমতে শুরু করবে।
আপনি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং পেটের মেদ কমাতে পারবেন। তাই নিয়মিত সকালে
গরম পানির সাথে কিছু পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে গ্রহণ করুন।
করলার জুসঃ তাছাড়া আপনারা পেটের চর্বি কমাতে চাইলে নিয়মিত করলার জুস
খেতে পারেন।করলার জুশে রয়েছে ভিটামিন সি এর সাথে রয়েছে পটাশিয়াম যা শরীরের ওজন
কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও করলা কম ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার যা খেলে পেটে চর্বি
কমানো যায়। করলাতে কোন ধরনের ফ্যাট নেই। যার ফলে আপনি যদি নিয়মিত করলার জুস খান
তাহলে আপনার পেটের চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
স্বাভাবিক জীবন-যাপনঃ জীবন যাত্রার মান স্বাভাবিক হলে শরীর সুস্থ
থাকে এবং পেটের চর্বি জমে না। তাই আপনারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করবেন। কোন ধরনের
মানসিক চিন্তা করবেন না। অতিরিক্ত ধূমপান অথবা মাদকদ্রব্য খাওয়া থেকে বিরত
থাকবেন। যেকোনো খাবার অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। খাবারগুলো অবশ্য সঠিক নিয়মে খেতে
হবে। আর খাবার সঠিক সময় অনুযায়ী খাবেন। খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত
শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করবেন। এভাবে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকুন আপনার শরীর
সুস্থ থাকবে এবং ওজন বা পেটের মেদ নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
ভাজা খাবার ও মসলা জাতীয় খাবারঃ মসলা এবং ভাজা জাতীয় খাবার শরীরের জন্য
তেমন স্বাস্থ্যকর নয় বরং এ ধরনের ভাজা খাবার জাতীয় খাবার খেলে শরীরে অতিরিক্ত
ওজন বাড়ার পাশাপাশি মেদ জমে যেতে পারে। কারণ এসব খাবার রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণ
তেল বা ফ্যাট যা আমাদের শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয় এবং পেটে মেদ জমতে থাকে।
আরো জানুনঃ
জোভিয়া গোল্ড সিরাপ খেলে কি মোটা হয়
এসব ভাজা জাতীয় খাবার খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে
গ্যাসের সমস্যা দেখা যায়, তাছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে হজমের সমস্যা হয়ে থাকে। যার
ফলে শরীরে পুষ্টিকর খাদ্য হজম না হওয়ার কারণে দেহের ওজন বেড়ে যায়। এছাড়াও
মসলা জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনারা শরীরের চর্বি কমাতে পারবেন।
জগিং বা হাটাহাটি করুনঃ আপনারা যদি প্রতিদিন নিয়মিত সকালে হাঁটতে থাকেন
তাহলে আপনাদের শরীরের চর্বি দ্রুত কমে আসবে। তাছাড়াও শরীরের ওজন কমাতে জগিং খুবই
কার্যকরী। তাই আপনারা জগিং অথবা হাটাহাটি করতে পারেন। প্রতিদিন ভোর সকালে কমপক্ষে
১ ঘন্টা ধরে হাঁটতে পারেন।
তাছাড়াও জগিং করার মাধ্যমে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং ওজন
নিয়ন্ত্রণে থাকলে আপনার দেহের চর্বিও কমতে থাকবে। তাহলে বুঝতে পারছেন নিয়মিত
জগিং করলে শরীরের চর্বি কমানো যায়। পেটের চর্বি কমানোর নয়টি সহজ উপায় মধ্যে
এটি অন্যতম একটি উপায়। তাই সকলেই পেটের চর্বি কমাতে উক্ত উপায়টি গুরুত্ব সহকারে
মেনে চলবেন।
ডায়েট চার্টঃ আপনাদের যদি শরীরে চর্বি বা ওজন বেড়ে গিয়ে থাকে। তাহলে
এখন আপনাদের ডায়েট চার্ট অনুসরণ করতে হবে অর্থাৎ কোন খাবার খেলে ওজন কমে এবং
শরীর সুস্থ থাকে সেই খাবারগুলো খেতে হবে। এ ধরনের ডায়েট চার্ট গুলো আপনারা
বিভিন্ন ফার্মেসির দোকানে অথবা ডাক্তারের কাছে থেকে পেয়ে যাবেন।
এখানে মূলত কিছু পুষ্টিকর খাবার থাকে যেগুলো আপনি প্রতিদিন নিয়ম অনুযায়ী খাবেন,
যার ফলে আপনার শরীরের ওজন কমতে থাকবে। তাহলে বুঝতে পারবেন শরীরের মেদ বা চর্বি
কমাতে ডায়েট চাট ফলো করতে পারেন। আর এ ধরনের ডায়েট চাট আপনারা ইন্টারনেটে সার্চ
করে পেয়ে যাবেন।
তাহলে আশা করছি প্রিয় বন্ধুরা আপনারা এতক্ষণে পেটের চর্বি কমানোর নয়টি সহজ
উপায় সম্পর্কে জানতে পারলেন। এসব উপায়গুলো ছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের উপায়
রয়েছে যেগুলো মেনে চলার মাধ্যমে পেটের চর্বি কমাতে পারবেন। আর সেই উপায়গুলো
আমরা নিচের অংশগুলোতে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করব। আপনারা উপরোক্ত উপায় গুলো মেনে
চলুন খুব দ্রুত শরীরে চর্বি কমাতে পারবেন।
পেটের চর্বি বা মেদ কমানোর উপায়
বর্তমানে পেটের অতিরিক্ত চর্বি বা মেদ সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ
মানুষ পেটের মেদ কমাতে চায়। কিন্তু তারা কোনভাবেই পেটের চর্বি কমাতে পারে না।
তবে আপনাদের চিন্তার কোন কারণ নেই ,আপনারা চাইলে কিছু উপায় অথবা নিয়ম মেনে চলার
মাধ্যমে পেটের চর্বি বা মেদ কমাতে পারবেন। আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক
পেটের চর্বি কমানোর উপায় ও নিয়ম গুলো সম্পর্কে।
- খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা এবং খাওয়ার সময় ধীরে ধীরে মনোযোগ সহকারে খাবার খেতে হবে। তবে কখনো যদি দ্রুত খেতে হয় তাহলে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্লেটে নিয়ে খাবেন। যার ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না।
-
আপনাদের একটা কথা মনে রাখতে হবে কোন বেলাতেই খাবার খাওয়া বাদ দেওয়া যাবে
না। এমন অনেকে আছে যারা সকালের নাস্তা করেন না যা সম্পন্ন ভুল খাদ্য অভ্যাস।
এ ধরনের চিন্তাভাবনা না করে সময় অনুযায়ী খাবার খাবেন। সকাল, বিকাল এবং রাত
তিন বেলাতেই নিয়ম অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করুন।
-
অধিক পরিমাণ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এজন্য ছোট প্লেট নিয়ে খেতে বসবেন। এতে
করে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বাঁচা যাবে। প্লেটে খাবার নেওয়ার সময়
পরিমাণের দিকে লক্ষ্য রাখুন। এর ফলে খাবার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে এবং
অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
- গবেষণায় দেখা গেছে মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের কারণে পেটের চর্বি বা মেদ জমতে পারে। এজন্য সবসময়ই মানসিক চাপ বা স্ট্রেস থেকে মুক্ত থাকবেন। কোন ধরনের আজেবাজে চিন্তা করবেন না। সব সময় মাইন্ড ফ্রেশ রাখুন।
-
অতিরিক্ত রাত জাগা স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর এবং শরীরের ওজন বেড়ে যায়। অনেকে
আছে যারা রাত জেগে কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে শরীরের চর্বি বেড়ে যাওয়া
সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ রাত জাগলে রাতে কিছু সময় পর ক্ষুধা লাগে, যার ফলে
অনেকেই চিনি জাতীয় ফ্যাট যুক্ত খাবার খেয়ে থাকে। যার ফলে শরীরে অতিরিক্ত
ক্যালরি গিয়ে জমা হয়। এতে করে ওজন বেড়ে যায়। তাই বলা যায় রাত জাগা
অভ্যাস ত্যাগ করুন।
-
তাছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের অভাবে শরীরের ওজন বেড়ে গিয়ে থাকে।
বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন সাধারণত না ঘুমানোর কারণে প্রায় মানুষেরই ওজন
বেড়ে যায় এবং শরীরের চর্বি জমতে থাকে। তাহলে বুঝতে পারছেন ঘুম আমাদের
শরীরের জন্য কতটা জরুরী। রাতে সঠিক সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন এবং কমপক্ষে ৭
থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাবেন।
-
পেটের চর্বি বা মেদ কমাতে চাইলে সাদা চালের ভাত অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত
থাকুন। চালের ভাত বাদ দিয়ে রুটি খেতে পারেন। আটা দিয়ে রুটি বানিয়ে
প্রতিদিন খেলে শরীরের ওজন কমতে থাকে। ভাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি যার
কারণে অতিরিক্ত খেলে শরীরের ওজন বা চর্বি বেড়ে যেতে পারে। এজন্য প্রতিদিন
সকালে বা রাতে রুটি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- কোনরকম শরীরচর্চা বা ব্যায়াম না করলে শরীরের মেদ জমে যেতে পারে।কারণ শুয়ে বসে থাকলে শরীরের চর্বি জমার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়। এর সমাধান হলো প্রতিদিন 30 মিনিট করে হাঁটা। এছাড়াও আপনারা বিভিন্নভাবে জিমে অথবা বাড়িতে কিছু শারীরিক ব্যায়াম করতে পারেন। আর যদি আপনারা দ্রুত পেতে চর্বি কমাতে চান তাহলে Pushup,Plank,Squat,Pullup ইত্যাদি ব্যায়াম গুলো করতে পারেন।
-
আপনার প্রতি দিনের খাদ্য তালিকায় ফাইবার জাতীয় খাবারের অন্তর্ভুক্ত করতে
হবে। এজন্য লাল চাল অথবা লাল আটা দিয়ে তৈরি রুটি খেতে পারেন।
-
এছাড়াও ওজন কমাতে আখরোট, সামুদ্রিক মাছ ও কাঠবাদাম খেতে পারেন। কারণ এতে
রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
-
তল পেটের চর্বি কমাতে নিয়মিত কাঁচা রসুন খেতে পারেন। কাঁচা রসুনের কোয়া
চুষে খেতে থাকবেন। এ ভাবে প্রতিদিন সকালে কাচা রসুন খেলে ভালো উপকার পাওয়া
যায়। এটি শরীরে চর্বি জমতে দেয় না এবং রক্ত প্রবাহ সচল সহজ করে রাখে।
-
বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার পর সঠিকভাবে হজম হয় না বা পরিপাক
হয় না। এজন্য তাদের খাবার খাওয়ার পর শুয়ে বা বসে না থেকে কমপক্ষে 20 মিনিট
ধরে হাঁটাহাঁটি করা উচিত। এতে করে তাদের খাবার হজম হয়ে যাবে এবং শরীরের ওজন
বাড়বে না।
-
তাছাড়া অফিসে বসে টেবিল চেয়ারে বসে সারাক্ষণ কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে অতি
সহজেই শরীরের ওজন বাড়ার সাথে সাথে পেটে চর্বি জমে যেতে পারে। এজন্য প্রতি
ঘন্টায় ১০ থেকে ২০ মিনিট করে চেয়ার থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করবেন। এতে করে
চর্বি জমা সম্ভবনা থাকে না।
উপরে কিছু পেটের চর্বি কমানোর সহজ উপায় গুলো তুলে ধরা হয়েছে। আপনারা সেই
উপায় গুলো নিয়মিত মেনে চলুন আশা করা যায় ভালো ফলাফল পাবেন। আর দ্রুত ওজন
কমাতে সঠিক নিয়ম মেনে খাবার গ্রহণ করবেন। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত
থাকুন। সুস্থ সবল জীবন যাপন করুন আপনার ওজন এবং চর্বি সহজে নিয়ন্ত্রণ
থাকবে।
পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা
আপনাকে অনেকে আছে যারা পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে চান।
তাদের কথা বিবেচনা করে আমরা এই অংশে পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা সম্পর্কে
তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনারা চাইলে কিছু খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে পেটের মেদ
বা চর্বি কমাতে পারেন।
তাছাড়া উপরের দেওয়া পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায় সম্পর্কে জেনে শরীরের
চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। খাবার সঠিকভাবে গ্রহণ করলে শরীরের ওজন
নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাছাড়া আর কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের
অতিরিক্ত চর্বি কমানো সম্ভব।তবে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে উক্ত খাবার তালিকা গুলো জেনে নেওয়া যাক।
ফল ও সবজিঃ ফল ও শাকসবজি শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। কারণে
এ ধরনের খাবার থাকে প্রচুর পরিমাণে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও ফাইবার যা শরীরের চর্বি কমাতে সহায়তা করে এবং
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখে। এছাড়াও এ ধরনের খাবারগুলো চর্বিগুলোকে শরীর থেকে
নিঃসরণ করতে সহায়তা করে। ফলমূলে থাকা খাবারের আশ চর্বি কণাগুলোকে পরিপাক করে
মলমূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হতে সাহায্য করে।
এর ফলে শরীরে চর্বি জমতে পারে না। তাছাড়াও ফলমূল ও শাকসবজি জাতীয় খাবার
খাওয়ার ফলে বেশি বেশি খাওয়ার অনুভূতি কমতে থাকে। যার কারণে অতিরিক্ত খাবার
খেতে হয় না। তাহলে বুঝতে পারছেন প্রতিদিন তিন বেলাতে যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ করে
ফলমূল বা শাকসবজি খান তাহলে আপনাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং পেটের মেদ কমবে।
সবুজ চাঃ পেটের চর্বি কমাতে সবুজ চা অধিক কার্যকরী। কারণ সবুজ
চায়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের ওজন কমানোর সাথে
সাথে শরীরকে সতেজ রাখে। তাছাড়া এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য
করে। তাই নিয়মিত সবুজ চা অথবা গ্রিন টি খেতে পারেন। এটি আপনার পেটের চর্বি
কমাতে সাহায্য করবে।
সামুদ্রিক মাছঃ এছাড়ো জানা গেছে সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরের চর্বি কমার
সম্ভাবনা থাকে। কারণ সামুদ্রিক মাছের রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা
দেহের চর্বি বৃদ্ধিকারী উপাদানগুলোকে পোড়াতে এবং শরীরের চর্বির পরিমাণ কমাতে
সাহায্য করে। দেহে ভালো চর্বির পরিমাণ উপস্থিত রাখতে সামুদ্রিক মাছ ভালো কাজ
করে থাকে। তাই নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ গ্রহন করুন শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
মসলাঃ রান্নার ক্ষেত্রে অবশ্যই মসলা ব্যবহার করতে হবে। মসলা জাতীয়
খাবার শরীরের খাবার হজম করতে সহায়তা করে। তাছাড়াও মসলার নিজস্ব গুনাগুন
শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। মশলা খাবার খেয়ে সুস্বাদু এবং
আয়ুর্বেদিক গুণসম্পন্ন করে তোলে যার ফলে খাদ্য অতি সহজেই দেহে হজম এবং পরিপাক
হয়ে যায়। এখানে মসলা বলতে কাঁচা হলুদ,দারুচিনি,রসুন, হলুদ, তেজপাতা
ইত্যাদি বোঝানো হয়েছে। উপরোক্ত উপাদান গুলো রান্নার খাবারের ব্যবহার করবেন।
আঁশজাতীয় খাবারঃ পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকার মধ্যে
আঁশজাতীয় খাবার অন্যতম। এ ধরনের খাবার শরীরে ইনসুলিন এর মাত্রা বাড়িয়ে
শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়াও আঁশ জাতীয় খাবারের ভিটামিন বি
বেশি থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। এছাড়াও শরীরের বিএমআই ঠিক
রাখতে সহায়তা করে। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা যায় এই ধরনের খাবার
গ্রহণ করলে। যার ফলে আপনাদের পেটের মেদ জমার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই নিয়মিত
খাবারের সাথে আঁশ জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন।
পানিঃ এই শরীরের মেদ কমানোর আরেকটি ভালো উপায় হল পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি
পান করা। পানি শরীরকে সতেজ রাখে এবং মেটাবলিজম বাড়ায়। তাছাড়া এই পানি শরীর
থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সহায়তা করে। আপনারা যদি প্রতিদিন ৮ থেকে ১২
গ্লাস পানি পান করেন তাহলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং দেহে কোন ধরনের
চর্বি জমতে পারবে না। কারণ পানি দেহের বর্জ্য পদার্থ দূর করে পরিষ্কার রাখে এবং
ক্ষুধা ভাব কম লাগাতে সাহায্য করে। এর ফলে ক্ষুধা কম লাগার কারণে বেশি বেশি
খাবার খেতে হয় না যার কারণে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আরো জানুনঃ
মধুময় বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
তাছাড়া আরো কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো আপনারা খাওয়ার মাধ্যমে পেটের মেদ কমাতে
পারবেন। তবে চলুন সেই খাবার তালিকা গুলো সম্পর্কে আরও জেনে নেই।
উপরোক্ত খাবারগুলো আপনারা পেটের মেদ কমানোর জন্য খেতে পারেন। এতে বিভিন্ন ধরনের
পুষ্টিকর উপাদান উপস্থিত রয়েছে যা শরীরের ওজন কমানো ও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য
করে থাকে। তাই উপরোক্ত খাবারগুলো নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন গ্রহণ করুন আপনার
দ্রুত ওজন কমে যাবে। তাছাড়াও পেটের চর্বি কমানোর নয়টি সহজ উপায় জেনে চর্বি
কমাতে পারেন।
মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়
নারীদের ক্ষেত্রে পেটের মেদ বা চর্বি সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। অনেক মহিলারা
আছেন যারা পেটের চর্বি কমাতে চান। তাদের জন্য আমরা আজকের এই পাঠে মহিলাদের
পেটের মেদ কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। সাধারণত নারীদের
বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের শরীরের ওজন বেড়ে যায় এবং শরীরের চর্বি জমতে
থাকে।
তবে যদি সঠিকভাবে কিছু নিয়ম মেনে চলা যায় তাহলে বয়স বাড়লেও
ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়। তাছাড়া জানা গেছে মহিলাদের
সাধারণত ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে পেটে মেদ জমে থাকে। নিম্নে মহিলাদের
পেটের মেদ কমানোর উপায় গুলো সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলোঃ
- আপনারা মহিলারা শরীরের ওজন কমাতে প্রতিদিন নিয়মিত কার্ডিও করতে পারেন। কার্ডিও বলতে ব্যায়াম করা বুঝায়। প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়াম করার মাধ্যমেই পেটের চর্বি বা মেদ কমানো যায়। প্রতি সপ্তাহে অন্তত কমপক্ষে পাঁচ দিন শারীরিক ব্যায়াম করার চেষ্টা করবেন।
- ব্যায়াম করার মাধ্যমে ওজন কমাতে চাইলে স্ট্রেইন্থ ট্রেইনিং করতে পারেন। এ ধরনের স্ট্রেইন্থ ট্রেইনিং ব্যায়াম শরীরের ক্যালরি কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে শরীরের গঠন ভালো করা যায়।
-
প্রতিদিন নিয়মিত খাবারে উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে হবে। কারণ অধিক
ক্যালোরি গ্রহণ ছাড়াই পেট পরিপূর্ণ ভরা রাখতে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে
পারেন। প্রোটিন যুক্ত খাবার হিসেবে মুরগির মাংস, মাছ, ডাল ইত্যাদি খেতে
পারেন।
- দেহের চর্বি কমানোর প্রথম শর্ত হলো কম ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করা। কম ক্যালরি যুক্ত খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে শরীরের মেদ কমানো যায়। তাছাড়াও দেহের অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করার মাধ্যমে দ্রুত ওজন কমানো যায়। তাই খাবারে তালিকায় স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।
-
নিয়মিত সঠিকভাবে খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে ওজন কমানো সম্ভব। গবেষকদের মতে
সঠিক খাদ্যাভ্যাস শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরে অতিরিক্ত মেদ
জমতে পারে না। ভাজাপড়া জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বেঁচে থাকবেন। এসব খাবারে
অতিরিক্ত ফ্যাট এবং তেল থাকে যা শরীরে চর্বি জমাতে সাহায্য করে। এজন্য
ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার পরিহার করুন।
আশা করছি মহিলারা পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাছাড়া
আপনারা পেটের মেদ কমাতে আরো কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন। যেগুলো
আমরা পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায় অংশটিতে আলোচনা করেছি।
পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম
পেটের মেদ কমাতে চাইলে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। শুধুমাত্র নিয়মিত শারীরিক
ব্যায়াম করার মাধ্যমেই পেটের চর্বি কমানো যায়। আপনারা চাইলে জিমে অথবা বাড়িতে
বসে ব্যায়াম করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় প্রতিদিন সকালে এক ঘন্টা করে হাটাহাটি
করা। প্রতিদিন সকালে ঘরের বাইরে হাঁটতে বের হবেন। তাছাড়া ও বাড়িতে সাধারণ
শারীরিক ব্যায়ামগুলো করতে পারেন।পেটের মেদ কমানোর ব্যায়াম গুলো হলোঃ
- সিট আপ
- ক্রাঞ্চেস
- লেগ রেইস
- প্লাংক
- ব্রিস্ক ওয়াকিং
- নি টু চেস্ট
- পুশ আপ
উপরের দেওয়া ব্যায়ামগুলো আপনারা পেটের মেদ কমাতে অনুশীলন করতে পারেন। তাছাড়া
এই ব্যায়ামগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে গুগলে সার্চ করে দেখতে পারেন। আমরা
শুধু আপনাদের সামনে পেটের মেদ কমানোর ব্যায়ামগুলোর নাম সম্পর্কে তুলে
ধরেছি।
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুগণ আশা করছি আপনারা এতক্ষণে পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ
উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে গেছেন। তাছাড়াও পেটের চর্বি কিভাবে
কমাবেন তা সম্পর্কেও এই পোষ্টটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যদি পেটের
চর্বি বা শরীরের ওজন কমাতে চান তাহলে অবশ্যই সঠিকভাবে জীবন যাপন করতে হবে।
জীবনযাত্রার মান ঠিক রেখে চলাচল করলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং পেটের চর্বি
কমাতে পারবেন। আশা করছি সকল কিছু সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। আপনার
পরিচিতদের পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায় সম্পর্কিত জানাতে পোস্টটি
শেয়ার করতে পারেন।