Telegram group

ordinarybdgnews

কাশির ট্যাবলেট এর নাম ও কাশির সিরাপ এর নাম জেনে নিন

আমাদের বিভিন্ন সময়ে কাশি হয়ে থাকে। তবে এই কাশি দূর করার জন্য ট্যাবলেট রয়েছে। কাশি দূর করার ওষুধ গ্রহণ করে আপনারা অতি সহজেই কাশি নিরাময় করতে পারবেন। আর এ জন্যই আমরা আজকের আর্টিকেলটিতে কাশির ট্যাবলেট এর নাম ও কাশির ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
কাশির ট্যাবলেট এর নাম - কাশির ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ
পোস্টসূচিপত্রঃপ্রিয় পাঠক আপনারা যদি কাশির ট্যাবলেট ও ওষুধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। কারণ আজকের আর্টিকেলে কাশি ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ আলোচনা করা হবে।

ভূমিকা

সাধারণত শীতকালে কাশির সমস্যা বেশি দেখা দেয়। শীতকালের প্রায় সকলেরই কাশি হয়ে থাকে। তবে কাশির বিভিন্ন ধরনের হয়। কাশি সাধারণত দুই প্রকার। প্রথমটি হল স্বল্প স্থায়ী কাশি আর দ্বিতীয়টি হলো দীর্ঘস্থায়ী কাশি। স্বল্পস্থায়ী কাশি সাধারণত ১ থেকে ২ সপ্তাহ সময় পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর দীর্ঘস্থায়ী কাশির ক্ষেত্রে ৫ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে। স্বল্পস্থায়ী কাশি সাধারণত ভাইরাসজনিত কারণে হয়ে থাকে। 
আপনারা চাইলে এই বিরক্তকর কাশি কিছু ঔষধ গ্রহণের মাধ্যমে নিরাময় করতে পারেন। এজন্যই আপনারা কাশি নিরাময় করার জন্য কাশির ট্যাবলেট এর নাম জানতে আজকের পোস্টটিতে এসেছেন। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের ব্লগে আমরা আপনাদের জন্য কাশির ওষুধের নাম ও কাশির সিরাপ এর নাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

কাশি কেন হয় ও কাশি হওয়ার কারণ

কাশির ঔষধ সম্পর্কে জানার আগে আপনাদের অবশ্যই কাশি কেন হয় ও কাশি হওয়ার কারণগুলো জানা উচিত। কাশি সাধারণত বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। ধুলাবালি ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকলে কাশি হয়ে থাকে। তাছাড়াও কাশি হওয়ার আরো কারণ রয়েছে যেগুলো জানলে আপনারা সতর্ক হতে পারবেন। এজন্যই আমরা কাশির ট্যাবলেট আগে না আলোচনা করে কাশি হওয়ার কারণগুলো আলোচনা করছি। এবার চলুন কাশি হওয়ার কারণগুলো জেনে নেই।
কাশি হওয়ার কারণ
  • অতিরিক্ত গরম লাগার কারণে কাশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • তাছাড়া ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার কারণে কাশি হয়ে থাকে।
  • ঋতু পরিবর্তনের সময় অথবা শীতকালে ঠান্ডা লেগে কাশি হয়ে থাকে।
  • গরমের সময়ে গা ঘেমে জ্বরের সাথে সাথে কাশি হতে পারে।
  • এছাড়াও গরমের সময় ঘামা শরীরে গোসল করলে জ্বর ও কাশি হয়ে থাকে।
  • শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা ও ফ্লু হয়ে থাকলে কাশি হয়।
  • তামাক দব্য সেবন ও অতিরিক্ত ধূমপান করার কারণে কাশি হয়ে থাকে।
  • যাদের নিউমোনিয়া রোগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও কাশি হতে দেখা যায়।
  • ফুসফুসে ক্যান্সার থাকলে কাশি হতে থাকে।
  • তাছাড়াও বায়ু দূষণ যুক্ত এলাকায় বসবাস করলে কাশি হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
তাহলে আশা করছি আপনারা কাশি হওয়ার কারণগুলো জানতে পারলেন এবং কেন কাশি হয় সে বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা পেলেন। এখন আপনারা কাশি হওয়ার কারণগুলো জেনে সঠিক পদ্ধতিতে জীবন যাপন করুন এবং কাশি হয়ে থাকলে কাশি দূর করার ট্যাবলেট গ্রহণ করুন।

কাশির ট্যাবলেট এর নাম ।কাশির ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ

আপনারা অনেকেই কাশি দূর করার জন্য কাশির ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাদের জন্যই আমরা আজকের এই অংশে কাশির ট্যাবলেটের নাম ও কাশির ঔষুধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনাদের যদি কাশি হয়ে থাকে তাহলে কিছু ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে কাশি নিরাময় করতে পারবেন। 
তাছাড়া ও আপনাদের বাচ্চাদের যদি সর্দি কাশি লেগে থাকে তাহলে কিছু ওষুধ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের সর্দি কাশি নিরাময় করতে পারবেন। তবে এবার কথা না বলে জেনে নেওয়া যাক কাশি ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে।
  • Brolyt 3mg
  • Askorel SR 50mg
  • এমব্রোক্স ৭৫ মি.গ্রা.
  • Fexo 120
  • Sendo 5mg
  • Encilor 10mg
  • Klarix
  • Keto A 
আপনারা তাহলে উপরে কাশির ঔষধের নাম গুলো জানতে পারলেন। এই ওষুধগুলো খেলে কাশি সেরে যাবে। তবে ওষুধগুলো খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। যেগুলো আমরা পরের অংশে আলোচনা করব। উক্ত ওষুধগুলো খেয়ে কাশি দূর করতে পারবেন। তবে আপনাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কাশির ওষুধগুলো গ্রহণ করা উচিত। কারণ আপনার জন্য কোন কাশির ওষুধটি ভালো হবে সেটি একমাত্র ডাক্তার বলতে পারবে। এজন্য আপনারা ডাক্তারের সাথে কথা বলে পরামর্শ নিয়ে ট্যাবলেট গুলো গ্রহন করবেন।

কাশির সিরাপ এর নাম এবং দাম

আপনারা যারা কাশির ট্যাবলেট খেতে পারেন না তাদের জন্য রয়েছে কাশির সিরাপ। কাশির সিরাপ খাওয়ার ফলে কাশি দূর করতে পারবেন। এই সিরাপ গুলো ছোট বড় সকল বয়সি ব্যক্তিরা খেতে পারবেন। তবে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবার জেনে নেই কাশির সিরাপ এর নাম।

এডোভাস সিরাপঃ কাশির সিরাপ হিসেবে এই সিরাপটি অন্যতম এবং জনপ্রিয়। এডোভাস সিরাপটি স্কয়ার কোম্পানি তৈরি করেছে। এই সিরাপটি কাশি দূর করার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী। এডোভাস সিরাপ সম্পূর্ণ ভেষজ প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদন করা হয়েছে। তাই এই সিরাপটিকে ভালো মানের কাশির সিরাপ বলা হয়ে থাকে। এই সিরাপের ১০০ মিলির দাম ৭০ টাকা এবং ২০০ মিলি বোতলের সিরাপ এর দাম ১১০ টাকা।
তুসকা প্লাস সিরাপঃ এই সিরাপটি কাশির ঔষধ হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে স্কয়ার কোম্পানি তুষ্কা প্লাস সিরাপ তৈরি করেছে। উক্ত সিরাপটি ছোট বড় সকল বয়সে মানুষ খেতে পারবে। এই সিরাপ গ্রহণ করার ফলে গলা ব্যথা , শুষ্ক কাশি , কফ জমা ইত্যাদি নিরাময় করা যায়। তুসকা প্লাস সিরাপটির বর্তমান বাজার মূল্য ৮০ টাকা।

পিউরিসাল সিরাপঃ কাশি দূর করতে পিওরিসাল সিরাপ খুবই কার্যকরী। ছোট বড় যে কোন বয়সে খাওয়া যাবে এই সিরাপটি। তবে গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে এই সিরাপ গ্রহণ করা যাবে না। এই সিরাপটির কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই , কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ব্যক্তিদের জন্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। পিউরিসাল সিরাপটির বাজার মূল্য ৩০ টাকা এবং ৪৫ মিলি বোতলের সিরাপের দাম ৫০ টাকা।

টমিফেন সিরাপঃ তীব্র কাশী ও শুষ্ক কাশি যাদের হয়ে থাকে তাদের জন্য এই টমিফেন সিরাপটি ভালো কাজ করে থাকে। শুষ্ক কাশি হয়ে থাকলে উক্ত সিরাপটি খেতে পারেন। এই সিরাপ গ্রহণ করার ফলে তীব্র কাশি দূর হয়ে যায় এবং বুকে কফ জমে থাকলে তা নিরাময় করা যায়। সিরাপের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে , যেমনঃ বমি বমি ভাব হতে পারে , মাথা ঝিমঝিম করতে পারে ইত্যাদি সমস্যা গুলো হয়ে থাকতে পারে। এজন্য এই সিরাপটি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করা উচিত। উক্ত সিরাপটির বাজার মূল্য ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে রয়েছে।

এডোলিফ সিরাপঃ তাছাড়া বড় ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কাশি নিরাময় করার জন্য এই সিরাপটি অধিক ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই সিরাপটি আপনার বুকে জমে থাকা কফ অপসারণ করবে এবং তীব্র কাশি দূর করতে সাহায্য করে থাকে। সিরাপটির 100 মিলির দাম পড়বে ৭০ টাকা এবং ২০০ মিলি বোতলের সিরাপের দাম ১১০ টাকা।
আশা করছি আপনার এতক্ষণে কাশির সিরাপ এর নাম ও দাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। উক্ত কাশির সিরাপগুলো আপনারা খেতে পারেন। কাশির সিরাপ গুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাদের কাশি হওয়ার ধরন অনুযায়ী নিয়ম মেনে গ্রহণ করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় ডাক্তারের নিকট গিয়ে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া।

স্কয়ার কোম্পানির কাশির ঔষধের নাম

আপনারা অনেকেই স্কয়ার কোম্পানির কাশির ওষুধের নাম সম্পর্কে জানতে চান। তাদের জন্য আমরা আজকের এই অংশে স্কয়ার কাশির ওষুধের নাম সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা সকলেই জানি স্কয়ার কোম্পানির ওষুধ গুলো সচরাচর ভালো হয়ে থাকে। এজন্য আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্কয়ার কোম্পানির ওষুধ গুলো খুজে থাকি। তবে এবার আর কথা না বাড়িয়ে স্কয়ার কোম্পানির কাশির ঔষধ বা ট্যাবলেটের নাম জেনে নেই।
  • অ্যাক্সোডিন ১৮০
  • Encilor ১০মিলিগ্রাম
  • অ্যামব্রক্স
  • কেটো এ ১০০
  • ফেক্সো ১২০
  • ক্লারিক্স
সাধারণত উপরের লিস্টে দেওয়া কাশির ওষুধগুলো স্কয়ার কোম্পানি উৎপাদন করে আছে। এই ওষুধগুলো বাজারে বিভিন্ন ফার্মেসির দোকানে পাওয়া যায়। আর বর্তমানে স্কয়ার কোম্পানির ওষুধ গুলো অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আপনারা যদি স্কোয়ার কোম্পানি কাশির ওষুধ খুঁজে থাকেন তাহলে উপরে দেওয়া লিস্টে ওষুধগুলো খেতে পারেন।

শুকনো কাশির ট্যাবলেট এর নাম

আপনাদের মধ্যে অনেকের শুকনো কাশি হয়ে থাকে। ফলে আপনারা শুকনো কাশির ট্যাবলেটের নাম জানতে গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই আমরা আজকের এই অংশে শুকনো কাশির ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনারা যারা শুকনো কাশিতে ভুগছেন তারা এই ওষুধগুলো গ্রহণের মাধ্যমে শুকনো কাশি দূর করতে পারবেন। তবে চলুন সেই শুকনো কাশির ওষুধের নাম জেনে নেই।
  • Ketifen
  • Totifen
  • Alarid
  • Ocof
  • মোনাস ১০ ট্যাবলেট
  • Nectar
  • Ketomar
  • Tofen
  • Prosma
  • Fenat
  • Toti
আপনারা চাইলে শুকনো কাশি ট্যাবলেট হিসেবে উপরের ওষুধ গুলো খেতে পারেন। তবে মনে রাখবেন আপনি নিজে নিজে ওই ওষুধগুলো কিনে খাবেন না। প্রথমে শুকনো কাশি হয়ে থাকলে ডাক্তারের নিকট গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করুন এবং ডাক্তার আপনার জন্য ভালো শুকনো কাশির ওষুধের নাম বলে দিবে।

শুকনো কাশির সিরাপের নাম

আমার অনেকেই শুকনো কাশির সিরাপের নাম সম্পর্কে জানতে খুজে থাকি। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই , আজকের এই পাঠে শুকনো কাশির সিরাপের নাম সম্পর্কে আলোচনা করব। শুকনো কাশি হয়ে থাকলে আপনারা উক্ত সিরাপ গুলো খেতে পারবেন। শুকনো কাশি খুবই বিরক্তকর একটি কাশী যা সবাই এই কাশি দ্রুত দূর করতে চায়। তবে আপনারা কিছু সিরাপ সেবনের মাধ্যমে শুকনো কাশি নিরাময় করতে পারবেন। নিচে শুকনো কাশি সিরাপের নাম তুলে ধরা হলোঃ
  • মধুবাস
  • নেক্টার(Nectar)
  • ওকোফ
  • অ্যাবেক্স
উপরের দেওয়া সিরাপ গুলো শুকনো কাশির জন্য ভালো। আপনারা এই সিরাপ গুলো বিভিন্ন ফার্মেসীর দোকানে পেয়ে যাবেন। আর নিয়ম মেনে যেকোনো একটি সিরাপ সেবন করবেন।

কাশি দূর করার উপায় ও নিয়ম । কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়

আপনারা চাইলে কাশির ট্যাবলেট ও ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায়ে কাশি দূর করতে পারবেন। তাছাড়াও অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো নয়। তাই আপনারা কিছু উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে কাশি নিরাময় করতে পারবেন। এবার চলুন আমরা কাশি দূর করার উপায় ও নিয়ম জেনে নেই।
  • আমরা সকলে জানি তুলসী পাতা সকল রোগের প্রাকৃতিক ওষুধ হিসাবে কাজ করে। তেমনি ভাবে কাশি দূর করতে তুলসী পাতা ব্যবহার করতে পারেন। তুলসী পাতা বেটে রস করে তার সাথে দুই চামচ মধু মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার খেলে কাশি দূর হয়ে যাবে।
  • তাছাড়াও কাশি কমাতে চাইলে বা কাশি দূর করতে চাইলে প্রতিদিন রাতে গরম দুধের সাথে দুই চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আপনার কাশি ভালো হয়ে যাবে। আর যদি গরম দুধ না থাকে তাহলে হালকা গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • আপনার অনেকেই বাসক পাতা সম্পর্কে জানেন। এই বাসক পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে সিদ্ধ করতে হয়। বাসক পাতা পানিতে সিদ্ধ করে উক্ত সিদ্ধ পানি হালকা গরম থাকা অবস্থায় খেলে কাশি সেরে যায়।
  • আপনারা যদি শুষ্ক কাশি দূর করতে চান অর্থাৎ খুশখুসে কাশি দূর করার জন্য লবঙ্গ খেতে পারেন। মুখের মধ্যে দুই থেকে একটি লবঙ্গ নিয়ে দাঁত দিয়ে চিবিয়ে রাখুন। মাঝে মাঝে দাঁত দিয়ে লবঙ্গ চিবিয়ে রস খেয়ে ফেলুন। এভাবে দুই একদিন খেলে কাশি দূর হয়ে যাবে।
  • এছাড়াও আপনারা ঘরোয়া উপায় হিসেবে আদার রস খেতে পারেন। আদা রস করে গ্রহণ করুন তাহলে আপনার ফুসফুসে কাশি নিরাময় হয়ে যাবে। 
  • আবার আদা চা খাওয়ার মাধ্যমে কাশি দূর করা যায়। আপনারা চায়ের সাথে সামান্য পরিমাণ আদা মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে আপনার কাশি অনেকটা কমে যাবে।
  • আপনি কাশি দূর করার জন্য গরু দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি কাশি দূর করার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। হালকা কুসুম গরম গরুর দুধের সাথে 2 চামচ হলুদ মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে খাবেন। তাহলে আপনার কাশি ভালো হয়ে যাবে।
কাশি দূর করার জন্য আপনারা উপরের পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে পারেন। যদি আপনারা কাশি দূর করার ট্যাবলেট গ্রহণ না করতে চান তাহলে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করার মাধ্যমে কাশি ভালো করা যায়। আর আমরা কাশি ভালো করার সেই উপায় গুলো উপরে তুলে ধরেছি।

কাশির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম

কাশির ওষুধ খাওয়ার তেমন নিয়ম নেই। তবে সবচেয়ে ভালো হয় খাবার খাওয়ার পর ওষুধ খাওয়া। সেজন্য আপনারা খাবার খাওয়ার পরে কাশির ওষুধ খাবেন। তবে আপনি যে কোম্পানি কাশির ওষুধ খাবেন সেই ঔষধের প্যাকেটে খাওয়ার নিয়ম লেখা থাকে। সেই নিয়ম গুলো ভালোভাবে পড়ে নিবেন। আর যদি কাশির সিরাপ খেতে চান তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন সকাল , বিকাল, রাত এক চামচ করে খেতে পারেন। তাছাড়া আপনারা ফার্মেসির দোকান থেকেও কাশির ওষুধ কেনার সময় কাশির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি আপনারা আজকের এই পোস্টটিতে কাশির ট্যাবলেট এর নাম ও কাশির সিরাপ এর নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তবে আপনার যদি গুরুতর কাশি হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তারের নিকট গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। আর যদি সাধারণ কাশি হয়ে থাকে তাহলে আপনারা কাশির ওষুধের নাম জেনে সেই ওষুধ গুলো গ্রহণ করলেই কাশি ভালো হয়ে যাবে। আপনার পরিচিতদের কাশির ওষুধের নাম বাংলাদেশ সম্পর্কে জানাতে পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url