চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় - চন্দন ক্রিম দাম জানুন

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা অনেকেই চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে খোঁজ করে থাকেন। আবার অনেকেই জানেন না চন্দন দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়। তবে চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই আজকের পোস্টটিতে আমরা আপনাদের জন্য চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় ও চন্দন ক্রিম দাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করব। 
চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় - চন্দন ক্রিম দাম
পোস্টসূচিপত্রঃআপনারা যদি চন্দন ক্রিমের দাম ও চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো জানতে চান তাহলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। আশা করব আপনারা চন্দন সম্পর্কিত সকল কিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ভূমিকা

বহুকাল ধরে রূপচর্চার কাজে চন্দন ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি একটি প্রাকৃতিক উপাদান যেটি আমাদের ত্বকের রূপচর্চায় ভালো কাজ করে। ত্বককে ফর্সা করা যায়। বর্তমানে ত্বক ফর্সা করার জন্য এই চন্দন কাঠের গুড়া অর্থাৎ চন্দন অধিক পরিমাণে ব্যবহার হয়ে আসছে। কারণ এই চন্দন এ এমন গুণ রয়েছে যা আমাদের ত্বককে ফর্সা করতে পারে এবং ত্বকের বিভিন্ন উপকারে আসে। ত্বককে সুন্দর করার জন্য চন্দন একটি খুবই কার্যকরী উপাদান। 
যা বর্তমানে বিভিন্ন ক্রিমে ব্যবহার করা হচ্ছে এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী তৈরিতেও চন্দন ব্যবহার করা হচ্ছে। যেগুলো ব্যবহার করে আপনারা ফর্সা হতে পারবেন। আর এজন্যই আমরা আজকের পোস্টটিতে চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সহ চন্দন ক্রিমের দাম এবং চন্দন সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা করব। যার ফলে আপনারা চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম জানতে পারবেন এবং ব্যবহার করে অনায়াসে ত্বককে ফর্সা ও সৌন্দর্য করতে পারবেন। চলুন দেরি না করে এবার শুরু করা যাক।

চন্দন ক্রিমের উপকারিতা

আপনার অনেকেই চন্দন ব্যবহার করার আগে চন্দন ক্রিমের উপকারিতা গুলো জানতে চান। অবশ্যই জানতে চাওয়া স্বাভাবিক কারণ কোন কিছু ব্যবহার করার আগে তা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিলে ব্যবহার করতে সুবিধা হয়। তেমনি ভাবে চন্দনের ক্রিম যদি ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই এর গুনাগুন ও উপকারিতা গুলো জানা উচিত। 
আমরা অনেকেই ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকি। বিশেষ করে চন্দন ক্রিম এর মধ্যে অন্যতম। কারণ এটি আমাদের ত্বকে ফর্সা এবং সৌন্দর্য করে এছাড়াও ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে। তাছাড়াও চন্দনের গুড়া ব্যবহার করে ত্বককে তেল মুক্ত করা যায় এবং ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখা যায়। চলুন আমরা এবার বিস্তারিত চন্দন ক্রিমের উপকারিতা কি কি জেনে আসি।
  • আপনি যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চান তাহলে নিঃসন্দেহে চন্দন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
  • চন্দন ক্রিম ব্যবহার করার ফলে মুখের কালো দাগ ও ব্রণ দূর করতে পারবেন।
  • এছাড়াও এই ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের ক্লান্তি ভাব দূর করা যায়।
  • মুখের বিভিন্ন স্থানে ব্ল্যাকহেডস সহ মুখের কালো দাগ দূর করা যায়।
  • যাদের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে চন্দন ক্রিম ব্যবহার করলে বয়সের ছাপ দূর হয়।
  • বয়স হয়ে গেলে ত্বকে একপ্রকার ছাপ দেখা যায় এই ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক টানটান হয়।
  • সঠিক নিয়মে চন্দন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের সৌন্দর্য ফিরে আসে এবং উজ্জ্বলতা দেখায়।
  • ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে চন্দন ক্রিম বেশ কার্যকরী। তৈলাক্ত ভাব দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে।
তাহলে আপনারা হয়তো বুঝে গেলেন চন্দন ক্রিম কি কি উপকার করে থাকে আমাদের ত্বকের জন্য। এগুলো জেনে আপনারা এখন চন্দন ক্রিম ব্যবহার করতে পারবেন।

চন্দন ক্রিম দাম

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন চন্দন ক্রিম দাম কত। আপনারা হয়তো চন্দন ক্রিম ব্যবহার করতে চান কিন্তু চন্দন ক্রিমের দাম জানেন না। চন্দন ক্রিম মূলত বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি এই চন্দন ক্রিম আমাদের ত্বককে সুন্দর রাখে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়। তার জন্য আমরা সকলে চন্দন ক্রিম ব্যবহার করতে চাই। 
তাই চন্দন ক্রিম ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই চন্দন ক্রিমের দাম জেনে রাখতে হবে। চন্দন ক্রিম সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির রয়েছে। একেক কোম্পানির এক এক দাম। তাই আপনাদের অবশ্যই দাম গুলো জেনে রাখা উচিত।

চন্দন ক্রিম নাম

মিলি.(ML)

চন্দন ক্রিম দাম

চন্দন ম্যাসাজ ক্রিম

৫০ গ্রাম

৫০ টাকা

বার্মিজ চন্দন ক্রিম(coxsBazar Mart)


২৫০ টাকা

মমতাজ স্যান্ডাল চন্দন ম্যাসাজ ক্রিম

২০০ গ্রাম

১৫০ টাকা

মর্ডান চন্দন গোল্ড ফেসওয়াশ

৫০ গ্রাম

১৮৫ টাকা

ThaNaKha Cream - থানাকা চন্দন ক্রিম


১৫০ টাকা

তাহলে আশা করছি আপনারা চন্দন ক্রিমের দাম গুলো দেখে নিলেন। এখন আপনারা চন্দন ক্রিম অনায়াসে কিনতে পারবেন। হে আর মনে রাখবেন অবশ্যই আসল নকল চন্দন ক্রিম দেখে কিনবেন। কারণ বাজারে অনেক অসাধু ব্যবসায়ীরা চন্দন ক্রিমের নামে নকল ক্রিম বানিয়ে আসছে এবং বিক্রি করছে। তাদের থেকে সাবধান থাকবেন আর যাচাই বাছাই করে আসল চন্দন ক্রিম কিনবেন।

চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

আমরা এখন আপনাদের জন্য চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। কারণ আপনারা অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে তেমনটা জানেন না। বিধায় আপনারা প্রায় চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করে থাকেন। আমরা বিভিন্ন রিসার্চ করে তথ্য সংগ্রহ করে এই উপায় গুলো আলোচনা করব। যার ফলে আপনারা জেনে উপকৃত হবেন। চন্দন যে আমাদের ত্বকের কত উপকার করে তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবার আমরা জেনে নেই চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার নিয়ম কি কি।
  • চন্দন দিয়ে আপনারা বিশেষ ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য প্রথমেই আপনি ১ চামচ মুলতানি মাটি ,১ চামচ চন্দন পাউডার ,১ চামচ গোলাপজল এবং টমেটো রস করে একসাথে মিশিয়ে ফেসপ্যাক বা মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন। এরপর মিশ্রণটি মুখে বা গলায় এবং হাতে লাগিয়ে রাখতে পারেন। অবশ্যই ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন এরপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিবেন। এভাবে প্রতি সপ্তাহে ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের কালো দাগ দূর হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
  • তাছাড়াও আপনারা এলোভেরা জেল ও চন্দন পাউডার একসাথে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ত্বক সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে। তাছাড়া এই মিশ্রণটি আপনারা মুখে বা গলায় এবং হাতে ব্যবহার করতে পারেন। ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন সময় হয়ে যাওয়ার পর হালকা কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিবেন। এভাবে ব্যবহার করলে আশা করছি ভালো ফলাফল পাবেন।
  • এবার আপনারা আরেকটি ফেসপ্যাক অথবা মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন যেটি আপনারা মুখে ও গলায় এবং হাতে ব্যবহার করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে চন্দন পাউডার এর সাথে কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে নিবেন, এরপর গোলাপ জল দিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করবেন। ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে মুখে লাগিয়ে রাখুন। কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন। এরপর পানিতে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিবেন। এভাবে ১দিন পরপর ব্যবহার করুন আপনার ত্বক ফর্সা এবং উজ্জ্বল হবে।
  • আরেকভাবে আপনারা দুই চামচ চন্দন পাউডার , সামান্য পরিমাণ গরুর দুধ এবং এর সাথে ৩ থেকে ৪ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার এটি আপনার মুখের এবং গলায় লাগিয়ে রাখুন, অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিবেন। এভাবে আপনারা সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার বার ব্যবহার করলে ত্বক ফর্সা হয়ে যাবে এবং ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
তাহলে আপনারা হয়তো ভালোভাবে জেনে গেলেন চন্দন দিয়ে কিভাবে ফর্সা হবেন তার উপায় গুলো। এগুলো জেনে অবশ্য নিয়মমাফিক ব্যবহার করলে আপনারা নিশ্চয়ই ফর্সা হতে পারবেন এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। এর জন্য শুধু প্রয়োজন নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করা এবং ধৈর্য ধরা।

চন্দন লোশন ব্যবহারের নিয়ম

আপনার অনেকেই শীতকালে চন্দন লোশন ব্যবহার করতে চান। তবে চন্দন লোশন ব্যবহার করার নিয়ম জানেন না। তাদের জন্য আজকের এই অংশে চন্দন লোশন ব্যবহারের নিয়ম গুলো আলোচনা করব। শীতকালের প্রায়ই সকলেরই ত্বক রুক্ষ হয়ে যায় এ সময় ত্বককে ঠিক রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের লোশন ব্যবহার করতে হয় এর মধ্যে চন্দন লোশন অন্যতম। এটি বর্তমানে অধিক ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে এর ব্যবহার বিধি আমাদের জানা খুবই প্রয়োজন। 

তা না হলে ব্যবহার করে তেমন একটা লাভবান হওয়া যাবে না। শীতকালে সাধারণত ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে আপনারা চন্দন লোশন ব্যবহার করতে পারেন। শীতের সময় ত্বকের খসখসে ভাব দূর করতে চন্দন লোশন অধিক কার্যকরী। আপনারা এটি ব্যবহার করতে পারেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে এবার জেনে আসি চন্দন লোশন কিভাবে ব্যবহার করবেন তার নিয়ম।

আপনারা সাধারণত গোসল করার পর চন্দন লোশন হাত-পা মুখে ও গাঁয়ে ভালোভাবে লাগিয়ে নিবেন অর্থাৎ সুন্দরভাবে মাখিয়ে নিবেন। আপনার ত্বককে সুস্থ রাখতে চাইলে ও উজ্জ্বলতা ঠিক রাখতে চাইলে চন্দন লোশন ব্যবহার করতে পারেন।ত্বক ময়েশ্চারাইজ করার জন্য চন্দন লোশন খুবই উপকারী। এটি ত্বকের শুষ্কতা ভাব দূর করে এবং ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে সহায়তা করে।

তাছাড়াও আপনারা যখন সারাদিন কাজ করার পর বাড়ির বাইরে থেকে ঘরে আসবেন তখন চন্দন লোশন ঘুমানোর আগে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বক ঠিক থাকবে এবং ত্বক কোমল ও সুন্দর থাকবে। এছাড়াও ত্বকের সৌন্দর্যের সাথে সাথে ত্বকের লাবণ্য ফিরে পাওয়া যায় এই লোশন ব্যবহার করার ফলে। তাই আপনারা শীতকালে চন্দন লোশন ব্যবহার করবেন। বর্তমানে এটি শীতকালে অধিক ব্যবহার হয়ে আসছে।

চন্দন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম

সাধারণত চন্দন গাছের কাঠের গুড়া থেকে চন্দন ক্রিম তৈরি করা হয়। এটি রূপচর্চায় অধিক ব্যবহার হয়ে আসছে। কারণ বর্তমানে রূপচর্চায় চন্দন ক্রিম খুব গুরুত্বপূর্ণ কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। এটি ব্যবহার করার ফলে ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর হয়ে যায় এবং ত্বকে উজ্জ্বল ভাব দেখা দেয়। তবে আপনি যদি চন্দন ডে ক্রিম কিনে থাকেন তাহলে এটি আপনি সকালে মুখে লাগিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। 

যার ফলে আপনার ত্বক ময়েশ্চারাইজ থাকবে। আর যদি আপনি চন্দন নাইট ক্রিম ব্যবহার করেন তাহলে সেটি রাত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। এর ফলে আপনার ত্বক ফর্সা হবে এবং রুক্ষভাবে দূর হতে থাকবে। আপনারা সাধারণত চন্দন ক্রিম দিনে রাতে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিম ত্বকের কালো দাগ দূর করে এবং মুখের ও নাকের ব্ল্যাকহেডস দূর করতে সাহায্য করে। 

তাই এটি আপনি ব্যবহার করে পূর্বে আপনার মুখ ভালোভাবে কোন ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিবেন। এরপর শুকনা কাপড় দিয়ে মুখটি আস্তে আস্তে মুছে নিবেন। মুখ শুকিয়ে গেলে তখন আপনি ক্রিমটি ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে নিবেন। এভাবে আপনি চন্দন ক্রিম প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।

চন্দন পাউডার ফেসপ্যাক

আপনারা যদি ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করতে চান তাহলে কিছু ফেসপ্যাক চন্দন পাউডার দিয়ে বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার এই প্রশ্নটি প্রায় করে থাকেন চন্দন পাউডার দিয়ে কিভাবে ফেসপ্যাক বানাবেন। চলুন আমরা এখন চন্দন পাউডার ফেসপ্যাক তৈরির উপায় দেখে নেই।
  • প্রথমে হাফ চামচ কমলার খোসার পেস্ট এর সাথে ১ চামচ চন্দন গুড়া ও গোলাপ জল মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করবেন। এরপর এটি মুখে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভালোভাবে লাগিয়ে রাখবেন। এরপর শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। এটি সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ব্যবহার করুন আপনার ত্বক গ্লো করবে এবং কোমলতা বৃদ্ধি পাবে।
  • আরেকটি ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য এক চামচ চন্দন গুড়া , এক চামচ নারিকেল তেল ,১/২ চামচ আমন্ড তেল ভালোভাবে মিশিয়ে নিবেন। এরপর এটি আপনি মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখবেন। ত্বকেও লাগাতে পারেন। লাগানোর পর শুকিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • এবার আপনারা ১ চামচ চন্দন পাউডার ,১/২ চামচ আলুর রস , ১/৪ চামচ শসার রস ভালোভাবে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন যেটি হয়ে গেল আপনার আরেকটি ফেসপ্যাক। এটি মুখে বা ত্বকে লাগিয়ে রাখুন কমপক্ষে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন। এভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করলে দেখবেন আপনার ত্বক ফর্সা হতে শুরু করবে।
  • আর সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো চন্দন পাউডার , মুলতানি মাটি এবং গোলাপজল একত্রে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করা। যেটি হল সবচেয়ে ভালো ফেসপ্যাক মুখের জন্য। এটি মুখে ভালোভাবে মাসাজ করে অন্তত ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করবেন । এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করতে থাকুন আপনার ফর্সা হওয়ার সাথে সাথে উজ্জ্বলও দেখাবে।
  • এছাড়াও আপনারা চন্দন গুড়া এর সাথে নিম পাতা গুঁড়ো করে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন যেটি হবে আপনার মুখের জন্য ফেসপ্যাক। এটি মুখের ওপর ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
  • চন্দন গুড়ার সাথে দুধ মিশিয়ে আপনার ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। যেটি হলো সবচেয়ে ভালো ফেসপ্যাক। এটি মুখের উপর ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন অন্তত ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখবেন। এভাবে প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করবেন। আপনার ত্বক ফর্সা হতে শুরু করবে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে।
তাহলে আপনার অতি সহজেই চন্দন পাউডার দিয়ে ফেসপ্যাক বানাতে পারলেন। যেটি ঠিকমতো ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। আর বর্তমানে এটি সবচেয়ে ব্যবহার হয়ে আসছে। আপনারাও ফেসবুক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন মুখ অনেক উজ্জ্বল ও ফর্সা হবে।

চন্দনের অপকারিতা

আপনারা হয়তো এতক্ষণ চন্দনের উপকারিতা সহ গুণাবলী গুলো দেখে নিলেন। তবে প্রত্যেক জিনিসেরই ভালোর পাশাপাশি খারাপ দিক রয়েছে। তবে বলতে গেলে চন্দনের তেমন অপকারিতা নেই। শুধুমাত্র যাদের ত্বকে এলার্জি রয়েছে তাদের জন্য এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ চন্দন আপনার ত্বকে এলার্জি সৃষ্টি করে কিনা সেটি পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এটি সবার ক্ষেত্রে হয় না। কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে চন্দন ব্যবহারে এলার্জির সৃষ্টি হয়। 

মূলত সবার ত্বকে হয় না। তাই আপনি যদি চন্দন ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই আগে চন্দন আপনার হাতে হালকা একটু লাগিয়ে দেখবেন যে আপনার ত্বক জ্বালাপোড়া করছে কিনা বা চুলকাচ্ছে কিনা। যদি এগুলো লক্ষণ দেখতে পান তাহলে আপনি চন্দন থেকে দূরে থাকবেন। আবার বলে রাখছি এটি সবার ক্ষেত্রে হয় না কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই এলার্জি দেখা যাই। তাই আগে থেকেই বলে দিচ্ছি আপনার একবার পরীক্ষা করে দেখে নিবেন।

চন্দন পাউডার এর দাম কত

আপনার অনেকেই চন্দন ব্যবহার করার জন্য চন্দন পাউডারের দাম জানতে চেয়েছেন। অবশ্য ঠিক কথা চন্দন ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চন্দন পাউডার এর দাম কত এটি জেনে নেওয়া উচিত। আমরা এই অংশে মূলত চন্দন পাউডারের দাম কত এই সম্পর্কে আলোচনা করব। আর কথা না বাড়িয়ে দেখে নেওয়া যাক চন্দন পাউডার এর দাম কত।
তাহলে ছবিতে আপনারা চন্দন পাউডার গুলোর দাম জানতে পারলেন।

চন্দন সাবান ব্যবহারের নিয়ম

অনেকে আপনারা চন্দন সাবান ব্যবহার করতে চান। তাদের ক্ষেত্রে চন্দন সাবান ব্যবহারের নিয়ম জানা উচিত। এটি বলতে গেলে বলা যায় চন্দন সাবান ব্যবহারের তেমন কোন নিয়ম নেই। এটি আপনি গোসল করার সময় গায়ে ব্যবহার করতে পারবেন। অবশ্যই ভালোভাবে ব্যবহার করবেন। প্রতিদিন ব্যবহার করলে আপনার গায়ের উজ্জ্বলাতে ফিরে আসবে এবং ত্বক ফর্সা দেখাবে। 

তাই আপনার এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। তবে তাদের চন্দন সাবানে এলার্জি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ভিন্ন তারা কখনোই এই চন্দন সাবান ব্যবহার করবেন না। আর আপনার ত্বকে চন্দন সাবানে এলার্জি রয়েছে কিনা তা অবশ্য পরীক্ষা করে দেখবেন। এজন্য আপনি সাবানটি আপনার হাতের উপর লাগিয়ে দেখবেন যে আপনার কোন জ্বালাপোড়া করছে কিনা , 

যদি জ্বালাপোড়া করে তাহলে বুঝবেন আপনার চন্দন সাবান এ এলার্জি রয়েছে। এটা সাধারণত কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। সবার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। আর অবশ্যই যদি এলার্জি থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি ভালো মানের পেশাদার ফার্মাসিস্ট অথবা ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন।

আসল চন্দন চেনার উপায়

চন্দন হল পৃথিবীর সবচেয়ে দামি গাছ গুলোর মধ্যে অন্যতম। কারণ এর যে গুনাগুন আমরা তো আগে জেনে এসেছি তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। বর্তমানে এটি অধিক ব্যবহার হয় বিশেষ করে রূপচর্চার কাজে ব্যবহার হয়। এর জন্য আপনাদের অবশ্যই আসল চন্দন চিনতে হবে এবং সেটি দেখে কিনতে হবে। কারণ নকল চন্দন ত্বকের ব্যবহার করলে উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। তাই আসল চন্দন চেনার উপায় জেনে আপনাকে চন্দন কিনতে হবে। চলুন আমরা এবার কিছু নিয়ম জেনে নেই যাতে আপনারা আসল চন্দন চিনতে পারেন।
  • আসল চন্দন সাধারণত কিছুটা হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। অর্থাৎ হলদে বর্ণের হয়।
  • এই চন্দন কাঠ অন্যান্য কাঠের তুলনায় একটু বেশি ভারী হয়ে থাকে।
  • এই চন্দন কাঠের গুড়া সাধারণত সুগন্ধি যুক্ত হয়।
  • আর এই চন্দন কাঠের গুড়ার দানাগুলো সুক্ষ হয়ে থাকে।
  • এছাড়াও চন্দন কাঠের উপর ধারালো কোন বস্তু দিয়ে আঘাত করলে যদি সেখানে নরম স্তর তৈরি হয় তাহলে বুঝবেন সেটি আসল চন্দন কাঠ।
  • চন্দন কাঠ যখন আপনি হাতে নিবেন তখন দেখবেন এই কাঠ দিয়ে সুগন্ধ বের হচ্ছে এবং আশেপাশে সুগন্ধে ভরে যাচ্ছে তাহলে এটি আসল চন্দন কাঠ।
  • আমরা সকলে জানি চন্দন কাঠ সাধারণত অন্যান্য কাঠের থেকে একটু বেশি ভারী হয়ে থাকে। আর এটি সাধারণত হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে তাছাড়াও কাঠ দিয়ে হালকা খসখসে হয়।
তাহলে এবার আশা করছি আপনারা আসল চন্দন কাঠ চিনতে পারবেন। উপরে নিয়ম গুলো ফলো করে আসল চন্দন চিনবেন অথবা একজন পেশাদারকে নিয়ে দেখিয়ে চিনতে পারবেন।

চন্দন পাউডার এর উপকারিতা 

আপনারা অনেকেই চন্দন পাউডারের উপকারিতা জানতে চান। বিশেষ করে যারা চন্দন পাউডার ব্যবহার করেন তারাই বেশিরভাগ চন্দন পাউডার এর উপকারিতা জানতে চাচ্ছেন। আমরা এখন এই অংশে এই চন্দন পাউডার কি কি উপকার করে থাকে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব। তবে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবার শুরু করা যাক।
  • মুখের ব্রণ দূর করার জন্য চন্দন পাউডার অধিক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে যদি আপনি এটি ব্যবহার করেন। চন্দন পাউডার এ রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের কালো দাগ ও ব্রণ দূর করতে অধিক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • আপনি যদি মুখের তেল তেল ভাব দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই চন্দন পাউডারের অথবা ক্রিম বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন যার ফলে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যাবে।
  • আপনার যদি চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল থেকে থাকে তাহলে আপনি অতি সহজেই চন্দন পাউডার এর সাথে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে চোখের কোনা দিয়ে লাগিয়ে রাখতে পারেন। দেখবেন আপনার চোখের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
  • মুখের কোলাজেন বৃদ্ধি করতে চন্দন পাউডার ভালো কাজ করে থাকে। এর ফলে মুখের কালো দাগ দূর করা সম্ভব এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই আপনারা চন্দন পাউডার ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন উপায়ে যা আপনারা উপরে দেখতে পেলেন।
এছাড়াও চন্দন পাউডারের অনেক উপকারিতা রয়েছে যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এগুলো ব্যবহার করলে আপনারা রূপচর্চায় ভালো ফলাফল পাবেন তাই নিয়ম মেনে ব্যবহার করুন এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখুন।

শেষ কথা 

আশা করছি আপনারা এতক্ষণে হয়তো চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সহ সকল কিছু বিস্তারিত জেনেই গেছেন। এছাড়াও আমরা চন্দন ক্রিম দাম সম্পর্কে আলোচনা করেছি যেগুলো জেনে আপনারা অনায়াসে ক্রিম কিনতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন ফেসপ্যাক বানানোর নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি যা নিয়ম মানে ব্যবহার করলে আপনার ত্বক ভালো থাকবে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারবেন। আশা করছি ভাল লেগেছে। আমাদের সাথে থাকুন এবং নতুন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

বিজ্ঞাপন