ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকাগুলো বিস্তারিত জানুন
প্রিয় কৃষক ভাইয়েরা আপনারা কি ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা সম্পর্কে জানতে
চাচ্ছেন। তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমরা আজকের
পোস্টটিতে ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা ও ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয় এ
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
আপনারা যদি ফাওমি মুরগী থেকে লাভজনক ব্যবসা করতে চান তাহলে অবশ্যই ফাউমি মুরগিকে
সঠিক খাবার দিতে হবে এবং সঠিকভাবে ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে। আর ফাউমি মুরগির
ভ্যাকসিন তালিকা সম্পর্কে আমরা আজকের পোস্টটিতে আলোচনা করেছি আপনারা বিস্তারিত
জানতে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্টসূচিপত্রঃ
ভূমিকা
আপনারা অনেকেই মুরগি পালন করতে চান। মুরগির পালন করে লাভজনক ব্যবসা করতে চাইলে
অবশ্যই মুরগিকে সঠিকভাবে খাবার দিতে হবে এবং মুরগির ওজন বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর
খাবার ও ঔষধ দিতে হবে। আর এই মুরগি যদি ফাউমি মুরগি হয়ে থাকে
তাহলে অবশ্যই মুরগিকে সুস্থ রাখার জন্য ভ্যাকসিন দিতে হবে ও ওষুধ দিতে হবে। এর
জন্য আপনাদের অবশ্যই ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা সম্পর্কে জেনে নিতে
হবে।
আরো পড়ুনঃ ফাউমি মুরগির খাবার তালিকা গুলো জানুন
আজকের পোস্টটিতে ফাউমি মুরগির সম্পর্কিত বিস্তারিত সকল তথ্য
জানতে পারবেন। আমরা পোস্টটিতে আরো আলোচনা করব ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়
,ফাউমি মুরগির বাচ্চা চেনার উপায় ইত্যাদি সহ অনেক কিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন।
তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন।
ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা | ফাউমি মুরগির ঔষধের তালিকা
আপনারা যদি ফাওমি মুরগি খামার গড়ে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই মুরগিকে সুস্থ রাখতে
এবং সঠিক পদ্ধতিতে দ্রুত বড় করার জন্য অবশ্যই ভ্যাকসিন দিতে হবে এবং নিয়মিত
পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। বর্তমানে এই মুরগি পালন করে অনেক ব্যবসায়ীরা সফল
হয়েছে। তবে এই সফলতার মাঝে মূল কারণ হলো তারা এই মুরগি সম্পর্কে সকল কিছু
বিস্তারিত জেনে ব্যবসা শুরু করেছে।
তাই আপনাদেরও এই মুরগী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এই মুরগিকে কি কি ওষুধ দিতে হবে
এবং ভ্যাকসিন দিতে হবে সেগুলো জেনে নিতে হবে এবং ব্যবসা করতে হবে। চলুন আর কথা না
বাড়ি এবার জেনে আসি ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা গুলোঃ
আইবি+ এনডি ভ্যাকসিনঃ এটি দিতে হবে ফাউমি মুরগির বয়স
যখন ১-৩ দিন হবে। মুরগির রাণীক্ষেত+ ব্রংকাইটিস এই রোগের জন্য উক্ত
ভ্যাকসিনটি মুরগির চোখে ফোটা দিতে হবে।
আই বি ডি ভ্যাকসিনঃ মুরগির বয়স ৭-৯ দিন হলে এই
ভ্যাকসিন দিতে হয়। এটি সাধারণত মুরগির গামবোরো রোগের জন্য মুখে ফোটা
প্রয়োগ করতে হয়। অর্থাৎ ড্রপার দিয়ে মুখে একফোঁটা করে দিবেন। এছাড়াও মুরগির
বয়স আবার ১৮-২০ দিন হলে তখন এই ভ্যাকসিনটি পুনরায় দিতে হয়। এবার সেটি
খাবার পানিতে মিশিয়ে মুরগিকে খাওয়াতে হয়।
ল্যাসোটা ভ্যাকসিনঃ মুরগির ১৬-১৭ দিন হলে তখন এই ভ্যাকসিনটি
প্রদান করতে হয়। সাধারণত এটি মুরগির রাণীক্ষেত রোগ হলে প্রয়োগ করা হয়। এটি
আপনারা মুরগির চোখে ড্রপ হিসাবে প্রয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ মুরগির চোখে ড্রপার
দিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
ফাউল পক্স ভ্যাকসিনঃ মুরগির বয়স ৩০-৩৫ দিন হয়ে গেলে
তখন ফাউল পক্স রোগের জন্য এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হয়। এই ভ্যাকসিনটি
আপনারা মুরগির ডানায় সুচ ফোটানো অবস্থায় অর্থাৎ ইনজেকশন দিতে হবে।
এনডি ভ্যাকসিনঃ এটি ফাওমি মুরগির রাণীক্ষেত রোগের জন্য
প্রয়োগ করতে হয়। আর মুরগির বয়স যখন ৬-৭ সপ্তাহ হয়ে থাকে তখন এটি দিতে হয়।
এটি মুরগির ঘাড়ের নিচে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে হয়।
ফাউল কলেরা ভ্যাকসিনঃ মুরগির সাধারণত আট সপ্তাহ এর বেশি হয়ে গেলে
তখন এই ভ্যাকসিন প্রদান করতে হয়। এটি সাধারণত মুরগির ফাউল কলেরা রোগের জন্য
প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। আর এটি প্রয়োগ করতে চাইলে অবশ্যই কৃষি অধিদপ্তরের বা
কৃষি পরামর্শ সাহায্য নিতে হবে। নিজে নিজে প্রয়োগ করা ঠিক হবে না। তাছাড়াও
মুরগির বয়স যখন ১২ সপ্তাহ হয়ে যায় তখন এই ভ্যাকসিন আবার পুনরায় প্রয়োগ করতে
হয়।
করাইজা + সালমোনেলা ভ্যাকসিনঃ ফাওমি মুরগির ইনফেকশন জাতীয় কোন রোগ
হলে এই ভ্যাকসিন প্রদান করতে হয়। এটি মুরগির বয়স যখন ৯ সপ্তাহ এর বেশি হয় তখন
দিতে হয়। আর এটি সম্পূর্ণ কৃষি পরামর্শকে নির্দেশনা অনুযায়ী প্রদান করতে হয়।
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিনঃ সাধারণত মুরগিকে এই
ভ্যাকসিন ১৫-১৬ সপ্তাহ বয়স হলে দেওয়া হয়। মুরগি যখন ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগ বা
বার্ড ফ্লু হয় তখন এই ভ্যাকসিনটি দিতে হয়। আর এই ভ্যাকসিন মুরগিকে ইনজেকশনের
মাধ্যমে প্রদান করতে হয়। দেওয়ার আগে অবশ্যই কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ নিবেন।
জি + এনডি +আইবি ভ্যাকসিনঃ এই ভ্যাকসিন সাধারণত মুরগির বয়স যখন ১৬
সপ্তাহ এর বেশি হয়ে থাকে তখন প্রয়োগ করতে হয়। মুরগির ব্রংকাইটিস , রানীক্ষেত
সহ বিভিন্ন রোগে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হয়। আর প্রয়োগ করার নিয়ম অবশ্যই
কৃষি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ টাইগার মুরগির খাবার তালিকা ও ভ্যাকসিন তালিকা
তাহলে আশা করছি আপনারা এতক্ষণে ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে গেলেন। এবার সেই নিয়ম অনুযায়ী আপনারা ভ্যাকসিনগুলো প্রদান করুন
তাহলে মুরগির সব সুস্থ সবল থাকবে। প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই কৃষি অধিদপ্তর বা পশু
পাখি বিশেষজ্ঞ এর নিকট পরামর্শ করে এবং নিয়ম জেনে প্রয়োগ করতে হবে। কখনোই নিজে
নিজে প্রয়োগ করতে যাবেন না যদি না জেনে থাকেন। তাই অবশ্য একজন দক্ষ ভেটেনারি
চিকিৎসকের নিকট পরামর্শ করে মুরগিকে ভ্যাকসিন প্রদান করবেন।
ফাউমি মুরগির ঔষধের তালিকা
আপনার নিশ্চয়ই এখন ফাউমি মুরগির ঔষধের তালিকা তালিকা সম্পর্কে জানতে আজকের এই
অংশে এসেছেন। আপনার মুরগিকে যদি সুস্থ সবল রাখতে চান তাহলে অবশ্যই মুরগিকে সঠিক
সময়ে সঠিক নিয়মে ঔষধ দিতে হবে। তাহলে মুরগি সঠিকভাবে বেড়ে উঠবে এবং আপনি
মুরগির ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবেন। চলুন এবার কথা না বাড়িয়ে শুরু করা
যাক ফাউমি মুরগির ঔষধের তালিকাঃ
লাইসোভিট বা গ্লুকোজঃ মুরগি জন্মের প্রথম দিনে এই ওষুধটি দিতে হয়।
আর এই ওষুধ দেওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে যেটি আপনাকে কৃষি অধিদপ্তর থেকে জেনে নিতে
হবে।
এমক্সাসিলিনঃ মুরগির জন্মের পর দুই থেকে চার দিন টানা এই ওষুধ
দিতে হবে। তবে সঠিক মাত্রায় দেওয়া প্রয়োজন আর এজন্য কৃষি পরামর্শকে সাথে
যোগাযোগ করুন।
আইবি+এনডি লাইভঃ এই ওষুধটি মুরগিকে তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে
প্রয়োগ করতে হবে বা দিতে হবে। দেওয়ার নিয়ম যোগাযোগ করে জেনে নিন।
গামবোরো লাইভঃ মুরগির বয়সের ১২ থেকে ১৩ দিনের মধ্যে এই ওষুধটি
প্রদান করতে হবে অর্থাৎ মুরগিকে ওষুধ নিয়ে অনুযায়ী খাওয়াতে হবে।
লিভারটনিক ও ভিটামিনঃ মুরগির বয়সের ১২ থেকে ১৪ দিনের মাথায় এই
ওষুধটি দিতে হয়। তাই সঠিক নিয়মে দিতে ভেটেনারি চিকিৎসকের নিকট যোগাযোগ করুন।
এনডি লাইভঃ মুরগি জন্মের পর ২৪ থেকে ২৬ দিনের মাথায় এই ওষুধটি দিতে
হয়। তবে সঠিক মাত্রায় দিতে হবে তাহলে মুরগি সুস্থ থাকবে।
এম্প্রোলিয়াম + সিপ্রোঃ মুরগির বয়স যখন ২৬ থেকে ২৭ দিন হয় তখন এই
ওষুধটি মুরগিকে দিতে হয় অর্থাৎ মুরগিকে খাওয়াতে হবে।
প্রোবায়োটিক , ভিটামিন, লিভারটনিকঃ মুরগির ৫০ দিন বয়সে এই ওষুধগুলো
প্রদান করতে হবে নিয়মিত। তাহলে মুরগির সুস্থ সবল থাকবে।
তাহলে আশা করছি আপনারা এতক্ষণে ফাউমি মুরগির ঔষধের তালিকা এগুলো জানতে
পারলেন। এগুলো সঠিক মাত্রার ব্যবহার করতে কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে পরামর্শ নিবেন
বা পশু ডাক্তারের কাছ থেকে ধারণা নিয়ে প্রয়োগ করবেন। তাহলে আপনার মুরগি সুস্থ
সবল থাকবে এবং আপনি অতি সহজে মুরগি পালন করে লাভজনক ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন।
ফাউমি মুরগির ভিটামিনের তালিকা | ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা
তাছাড়া ভাই মুরগিকে সঠিক পুষ্টি দিতে নিয়মিত কিছু ভিটামিন দিতে পারেন। এই
ভিটামিন দেওয়ার ফলে মুরগির পুষ্টি সম্মত ডিম দিতে সক্ষম হবে। তাই সঠিক নিয়মে
ভিটামিন প্রদান করুন এবং ভ্যাকসিন প্রদান করতে থাকুন। চলুন আমরা এবার জেনে
নেই ফাউমি মুরগির ভিটামিনের তালিকা গুলোঃ
লিভার টনিকঃ এই ভিটামিন টি ফাওমি মুরগিকে সপ্তাহে একদিন সকালের
পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। তবে তিন লিটার পানিতে এক মিলি মিশিয়ে খাওয়াতে
হবে।
এডি৩ইঃ এই ভিটামিনটি আপনারা মুরগিকে খাওয়াতে পারেন। এটি সপ্তাহে দুই
দিন সকালের খাবার পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। আর এটি সম্ভাব্য ২ লিটার পানিতে
এক মিলি ব্যবহার করতে হবে।
ই-সেলঃ উক্ত ভিটামিনটি এক সপ্তাহ পর পর দুইদিন করে সকালের
পানিতে খাওয়াতে হবে। এটিও আপনারা দুই লিটার পানিতে এক মিলি ব্যবহার করতে হবে।
অর্থাৎ ২ লিটার পানিতে ১ মিলি ভিটামিন মেশাতে হবে।
জিংকঃ এই ভিটামিন সপ্তাহে একদিন খাওয়াতে হবে তাও আবার সকালের খাবার
পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। আর এটি এক লিটার পানিতে ১ মিলি মিশিয়ে
খাওয়াতে হবে।
ক্যালসিয়ামঃ ক্যালসিয়ামের ভিটামিন টি সপ্তাহে একদিন বিকেলে খাবার
পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। এটিও আপনি ১ লিটার পানিতে ১ মিলি ব্যবহার করে
মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
আপনারা ফাউমি মুরগির ভিটামিনের তালিকা গুলো জেনে গেলেন। এখন
আপনার সঠিক নিয়মে উক্ত ভিটামিন গুলো মুরগিকে খাওয়াতে থাকুন তাহলে মুরগি ওজনে
বৃদ্ধি পাবে এবং মুরগির সঠিক পুষ্টিকর ও বড় আকারে ডিম দেবে।
ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি pdf | ফাউমি মুরগি সম্পর্কে তথ্য
ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি pdf সঠিকভাবে জানার জন্য আপনাকে অবশ্যই ফাউমি
মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা জানতে হবে। তাহলেই আপনি ফাউমি মুরগি সঠিকভাবে লালন পালন
করতে পারবেন। আর এজন্য কোন পালন পদ্ধতি দরকার হবে না।ফাউমি মুরগিকে
ওষুধ দেয়ার নিয়ম জেনে ওষুধ খাওয়াতে হবে। তাছাড়াও মুরগির দ্রুত ডিম দেওয়ার
জন্য কিছু ভিটামিন দেওয়া যেতে পারে যা আমরা উপরের অংশে আলোচনা করেছি।ফাউমি মুরগি
পালন পদ্ধতি খুবই সহজ একটা ব্যাপার।
আপনার অতি সহজে খামার তৈরি করে ফাউমি মুরগি লালন পালন করতে পারবেন। এই মুরগি
সাধারণত আকারে হালকা ছোট হয়ে থাকে , তবে এর চোখ গুলো অনেক কালো এবং বড় বড় হয়
, তাছাড়া ওই মুরগি অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। সহজে রোগে আক্রান্ত হয়
না। বিধায় ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি সহজ একটা। আর এই মুরগি সহজেই পোষ মানে।
এই মুরগির সাধারণত ওজন দেড় কেজি থেকে ২ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।
তাছাড়া ওই মুরগি ভালো পরিমাণ ডিম দিয়ে থাকে। বর্তমানে এই মুরগি ডিমের জন্য পালন
করা হয়ে আসছে। আর এই মুরগির মাংস খুব সুস্বাদু। আশা করছি আপনারা ফাউমি
মুরগি পালন পদ্ধতি বলতে ভ্যাকসিন প্রদান , সঠিক পুষ্টিকর খাবার দেওয়া এবং
মুরগিকে ঔষধ দেওয়া ইত্যাদি মাধ্যমে হয়ে থাকে। যা আপনারা উপরের অংশে ভালোভাবে
জেনে গেছেন। উক্ত উপায় গুলো মেনে মুরগি লালন পালন করতে হবে।
ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়
আপনারা কি জানেন ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়। যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই
জানতে হবে কারণ আপনি যদি নতুন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন আর আপনি যদি এই মুরগি লালন
পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই এই মুরগি কত দিনে ডিম দেয় এ সম্পর্কে জানতে
হবে।ফাউমি মুরগি সাধারণত ৫ থেকে ৬ মাস বয়সী হলে ডিম দেওয়া শুরু করে দেয়।
আর এটি বছরের প্রায় ১৮০ থেকে ২৫০ টা পর্যন্ত ডিম দিতে পারে। আর এরা টানা প্রায়
আড়াই বছর পর্যন্ত ডিম দেয় এরপর থেকে এরা ডিম দেওয়ার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে
থাকে। তবে অনেক সময় ফাউমি মুরগিকে সঠিক পুষ্টিকর খাবার দিলে ৪ মাস বয়স থেকেই
ডিম দেওয়া শুরু করে।
শেষ কথা | ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা
আশা করছি কৃষক ভাইয়েরা আপনারা হয়তো ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন
তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য জেনে গেছেন। তাছাড়া আপনাদের
অবশ্যই ফাউমি মুরগির খাবার তালিকা
জেনে রাখা ভালো। যেটি আমরা অন্য পোস্টে আলোচনা করব। আপনাদের অবশ্যই ভ্যাকসিন
তালিকা জেনে মুরগিকে সুস্থ রাখতে প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে মুরগি দ্রুত বেড়ে উঠবে
এবং সুস্থ থাকবে। আপনার পরিচিত কৃষক ভাইদের ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা
সম্পর্কে জানাতে পোস্টটি শেয়ার করুন।