Telegram group

ordinarybdgnews

দেশি মুরগির খাদ্য তালিকা কি - দেশি মুরগি বাচ্চা পালন পদ্ধতি জানুন

প্রিয় কৃষক ভাইয়েরা আপনারা কি দেশি মুরগির খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা দেশি জাতীয় মুরগি পালন করতে আগ্রহী হন। কিন্তু দেশি মুরগির খাদ্য তালিকা এবং পালনের সঠিক তথ্য খুঁজে পান না। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি দেশি মুরগির খাদ্য তালিকা এবং দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
দেশি মুরগির খাদ্য তালিকা কি - দেশি মুরগি বাচ্চা পালন পদ্ধতি
পোস্টসূচীপত্রঃতাই আপনি যদি দেশি জাতীয় মুরগি পালনের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি আপনি দেশি মুরগির খাদ্য তালিকা কি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যাবেন।

ভূমিকা ।দেশি মুরগির খাদ্য তালিকা 

বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আমাদের বাংলাদেশ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের মুরগি চাষ হয়ে থাকে। আমাদের দেশে অনেক খামারি আছেন যারা সঠিক উপায়ে মুরগি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। বর্তমানে বাণিজ্যিক আকারে চাষ শুরু হয়েছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মুরগি। আপনারা অনেকেই মুরগি পালন করতে চান তাও আবার দেশি মুরগি। কিন্তু মুরগি পালনের সঠিক তথ্য খুঁজে পান না।

এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি বেশি জাতের মুরগি পালনের বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তাই আপনি যদি মুরগি পালন বিষয়ে সমস্ত তথ্য বিস্তারিতভাবে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি আপনি মুরগি পালন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।

দেশি মুরগি পালন

আমার মতে আপনি যদি বেকার হয়ে থাকেন অর্থাৎ আপনি কোন কাপ খুঁজে পাচ্ছেন না তাহলে আমি বলব বাণিজ্যিকভাবে মুরগি পালন শুরু করতে পারেন। সঠিক উপায়ে মুরগি পালন শুরু করলে আপনার বেকারত্ব তো দূর হবেই তার সাথে সাথে আপনি লাভবান হবেন। আপনি চাইলে মুরগি পালন হিসেবে দেশি মুরগির খামার তৈরি করতে পারেন। তার যথাযথ কারণ হচ্ছে, অন্যান্য মুরগির চেয়ে দেশি মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। যার কারণে আপনি দেশি মুরগি পেলে লাভবান হতে পারবেন।

এছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন জাতের মুরগির চেয়ে দেশি মুরগিকে আপনার খুবই অল্প পরিমাণে খাবার দিয়ে অনায়াসে পালন করতে পারেন। আপনি চাইলে আপনার বাড়িতে বেঁচে যাওয়া বিভিন্ন খাবারও এই মুরগিকে খাওয়াতে পারেন। মূলত এটি সহজলভ্য হওয়ার কারণে এই মুরগি পালনে বেশি পরিমাণে লাভ দেখা দেয়। তাই আপনি বেকার সময় নষ্ট না করে শুরু করে দিন দেশি মুরগি বাণিজ্যিকভাবে পালন। চলুন এবার দেশি মুরগি সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক।

দেশি মুরগি পালনের সুবিধা

আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত দেশি মুরগির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তার পাশাপাশি অনেক আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশি মুরগির খামার ও পালন পদ্ধতি। তার কারণ হচ্ছে আপনি এই মুরগি পালন করলে অল্প খরচে শুরু করতে পারবেন আপনার মুরগি পালন। এছাড়াও দেশি মুরগি পালন করা খুবই সহজ কিন্তু অন্যদিকে হাইব্রিড অথবা বিভিন্ন জাতের মুরগি পালন করা একটু কঠিন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন হাইব্রিড অথবা বিদেশি মুরগির চেয়ে দেশি মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।

যার কারণে মুরগি খুব একটা অসুস্থ হয় না এবং মুরগির মৃত্যুর হার খুবই কম থাকে। যার কারণে আপনি দেশি মুরগি বাণিজ্যিকভাবে পালন করতে পারেন। এছাড়াও তেমন একটা ওষুধ খরচ হয় না দেশি মুরগি বাণিজ্যিকভাবে পালনে। তবে আপনি যদি বাণিজ্যিকভাবে খামার গড়ে তুলতে চান তাহলে বায়োসিকিউরিটি মেনে চলতে হবে ভালোভাবে। দেশি মুরগিতে লাভ বেশি হওয়ার কারণ হচ্ছে এই মুরগির খাদ্য খরচ কমের পাশাপাশি, দেশি মুরগির বাজারে ভালো পরিমাণের দাম পাওয়া যায় অন্যান্য জাতের মুরগির তুলনায়।

তার এই মুরগির বাজার কখনো কমে যায় না। সব সময় একটি ভালো পরিমাণে লাভ করা যায় দেশি মুরগি থেকে। তাহলে আশা করি আপনি দেশি মুরগির সুবিধা সম্পর্কে জেনে গেছেন। এবার চলুন আরো কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

দেশি মুরগির জাত নির্বাচন

দেখেন আপনি যেই মুরগি পালন করতে চান না কেন শুরুতে আপনাকে মুরগির ভালো জাত নির্বাচন করতে হবে। আপনি যদি মুরগির ভালো জাত নির্বাচন না করতে পারেন তাহলে আপনি লাভবান হতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে দেশি মুরগির অনেক কয়েকটি জাত রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম জাত গুলো হচ্ছে, গলা ছিলা, অসিল এবং কমন দেশি মুরগির জাত রয়েছে। সাধারণত এই জাতগুলো একেকটা একেক রকম। এছাড়া আপনি চাইলে দেশি মুরগির বাচ্চা সংগ্রহ করতে পারেন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে।

বর্তমানে সরকারি প্রতিষ্ঠানরা অনেক গবেষণা করছে দেশি মুরগির বাচ্চা নিয়ে এবং জাত নিয়ে। তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম যে আমরা যদি দেশি মুরগি খামার শুরু করতে চাই তাহলে আমাদের সঠিক বাচ্চা নির্বাচন করতে হবে। তাহলে আমরা অবশ্যই লাভবান হতে পারব। সে ক্ষেত্রে আপনি বাচ্চা নেওয়ার সময় একটি জিনিস খেয়াল রাখবেন যে. আপনি যে বাচ্চাটি ক্রয় করছেন বাচ্চাটি সুস্থ এবং সবল আছে কিনা। তাহলে আশা করি দেশি মুরগির বাচ্চা নির্বাচন এবং জাত নির্বাচন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি - দেশি মুরগির খাদ্য তালিকা 

আমাদের দেশে দেশি মুরগি পালনের মধ্যে অন্যতম তিনটি পদ্ধতি রয়েছে। যেমন,
  • আংশিক আবদ্ধ।
  • সম্পূর্ণ আবদ্ধ অবস্থায়।
  • সর্বশেষ উন্মুক্ত অথবা খোলা পরিবেশে।
সাধারণত আমরা অনেকেই জানি যে দেশি মুরগি খোলামেলা জায়গায় পালন করা হয়। অর্থাৎ খোলামেলা পরিবেশে আমাদের দেশি মুরগি পালন করতে দেখা যায়। কিন্তু আপনি যদি বাণিজ্যিকভাবে পালন করতে চান তাহলে উক্ত পদ্ধতি আপনার জন্য লাভজনক হবে না। সে ক্ষেত্রে, যেহেতু দেশি মুরগি বিভিন্ন জায়গায় চড়ে বেড়ায় যার কারণে আবদ্ধ অবস্থায় পালন করা উচিত নয় দেশি মুরগি অন্যান্য ফার্মের মুরগির মত।

সে ক্ষেত্রে আপনি যদি একবারে আবদ্ধ অবস্থায় এটি পালন করতে চান তাহলে মুরগির গুণগত মান আপনি নাও পেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি সম্পূর্ণ আবদ্ধ অবস্থায় মুরগি পালন করে লাভবান নাও হতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতে দেশি মুরগিকে আংশিক আবদ্ধ ভাবে পালন করা সব থেকে ভালো। আংশিক আবদ্ধ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে সাধারণত মুরগির ঘর তৈরি করা হয় এবং সেই ঘরে মুরগির জন্য খাবার সংরক্ষণ করা থাকে।

কি সেই খাবারগুলো খায় এবং মুরগি উন্মুক্ত পরিবেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে চড়ে বেড়ানোর সুবিধা পায়। সে ক্ষেত্রে আপনি একটি কাজ করতে পারেন। কাজটি হচ্ছে, আপনি মুরগির জন্য একটি ঘর তৈরি করবেন এবং সেই ঘরে মুরগির জন্য খাবার রাখবেন আর সাথে সাথে মুরগিগুলোকে ঘরে আবদ্ধ রাখবেন। এছাড়াও দিনের একটি সময় মুরগীদের বাহিরে বেড়ানোর সুযোগ করে দিলেন। সেই সময় মুরগি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে মুরগীর প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং মিনারেল খুব সহজেই জোগাড় করে ফেলতে পারবে।

উক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি কম খরচে মুরগি পালন করতে পারবেন। আর যদি আপনার খরচ কম হয় তাহলে আপনি খুব ভালো পরিমাণে লাভবান হতে পারবেন। তাহলে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, কোন পদ্ধতিতে দেশি মুরগি বাণিজ্যিকভাবে পালন করবেন।

মুরগির ঘর প্রস্তুত করার নিয়ম

দেশি মুরগি বাণিজ্যিকভাবে পালন করতে হলে পূর্ব এবং পশ্চিম বরাবর ঘর লম্বা হতে হবে। সাধারণত দৈর্ঘ্য ১৫০ ফুট এবং প্রস্থ রাখতে হবে ২০ থেকে ৩০ ফুট। এর পরবর্তীতে মুরগির ঘর সাধারণত পার্টি থেকে এক থেকে দুই ফুট উঁচুতে করতে হবে। এছাড়াও মুরগির ঘরের চারিদিক বরাবর খুব ভালোভাবে নেট দিয়ে ঘেরাও করতে হবে। ঘেরাও করতে হবে যাতে করে বাহির থেকে কোন পশু অথবা প্রাণী খামারের ভিতরে না ঢুকতে পারে।
আপনি যদি মাধারি আকারে দেশি মুরগি পালন করতে চান তাহলে জায়গার প্রয়োজন একটি মুরগির ক্ষেত্রে ০. ৮৫ বর্গফুট। অর্থাৎ আপনি যদি ৪২৫ বর্গফুট জায়গা নির্বাচন করেন তাহলে আপনি প্রায় ৫০০টি দেশি মুরগি খামারে পালন করতে পারবেন। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন আপনি যদি দেশি মুরগি থেকে ডিম নেওয়ার জন্য পালন করে থাকেন তাহলে কমপক্ষে জায়গা প্রয়োজন হবে 1.5 বর্গফুট।

বিশেষ সর্তকতা

আপনি যদি মুরগির খামার তৈরি করেন তাহলে একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন যাতে করে বাহির থেকে কোন জীবজন্তু খামারের ভিতরে প্রবেশ না করতে পারে। যদি বাহির থেকে কোন বেজি, ইঁদুর, শেয়াল অথবা অন্যান্য প্রাণী ভিতরে ঢুকে ফেলে তাহলে সব বাচ্চাগুলোকে মেরে ফেলবে। সে ক্ষেত্রে খামার করার আগে অবশ্যই চারিদিকে ভালোভাবে নেট দিয়ে ঘেরাও করে দিতে হবে। আর এমন ভাবে ঘেরাও করে দিতে হবে যাতে করে বাহিরে থেকে কোন জীবজন্তু প্রবেশ করতে না পারে।

দেশি মুরগি বাচ্চা পালন পদ্ধতি

শুরুতেই সমস্ত জিনিস ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে বাচ্চা উঠানোর আগে। এছাড়াও ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেয়ার পর সুন্দরভাবে বর্ডার তৈরি করতে হবে। আর বাচ্চা পালনে অবশ্যই পর্দা দিতে হবে খামারের চারপাশে। এরপরে আপনি বাচ্চা নিয়ে আসার কিছুক্ষণ আগে বাচ্চার প্রয়োজনীয় খাবার পাত্র এবং তার সাথে সাথে পানির পাত্র বাচ্চার খাবার জায়গার মধ্যে বসিয়ে দিতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে খামারের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে হবে।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে বাচ্চা নিয়ে আসার পর শুধুমাত্র সাদা পানি দিতে হবে আনার দুই তিন ঘন্টা পর্যন্ত। যদি দেখেন অনেকগুলো বাচ্চার মধ্যে কয়েকটা বাচ্চা দুর্বল রয়েছে। তাহলে অবশ্যই তাদেরকে আলাদা করে গ্লুকোজের পানি ফোটায় ফোটায় খাইয়ে দিতে হবে। সাধারণত আপনি যে বর্ডার তৈরি করেছেন, উক্ত বর্ডারে বাচ্চা রাখার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর খাবার দিতে হবে। তার জন্য আপনি পেপারে খাবার দিতে পারেন এবং পরবর্তীতে খাবার পাত্রে খাবার দিতে হবে।

অর্থাৎ বাচ্চাকে আগে পেপারে খাবার দিয়ে অভ্যস্ত করে নিতে হবে এবং তারপরে খাবার পাত্রে খাবার দিতে হবে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে, প্রতি কয়েক ঘন্টা পর পর তাপমাত্রা চেক করবেন যে তা কম অথবা বেশি হচ্ছে নাকি। যদি কোন বাচ্চা মৃত হয় তাহলে তাকে অবশ্যই দল থেকে আলাদা করতে হবে এবং কোন বাচ্চা সমস্যা থাকলে তাকে আলাদা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

পানি শেষ হয়ে গেলে খাবার পানি দিতে হবে এবং যদি দেখেন বাচ্চাদের ব্যবহৃত পেপারগুলো ভিজে গেছে তাহলে অবশ্যই সেই পেপারগুলো পাল্টে নতুন পেপার দিতে হবে।

বিশেষ সতর্কতা

সাধারণত খুব ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে প্রথম এক মাস মুরগির বাচ্চাকে। আর একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন যাতে কোন বাচ্চা বাহিরে না যেতে পারে। কারণ বাহিরে গেলে বিভিন্ন প্রাণী তাদেরকে খেয়ে ফেলার সম্ভাবনা আছে। বাচ্চা নিয়ে আসার পর অবশ্যই বিভিন্ন পশু অথবা পাখির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যাতে করে তারা বাচ্চার কোন ধরনের ক্ষতি না করতে পারে। বাচ্চা রাখার জায়গাতে তাপমাত্রা ঠিক রাখতে হবে। কম হয়ে গেলে নিয়মমাফিক করতে হবে এবং বেশি হয়ে গেলে নিয়ম ভাবে কমাতে হবে।

দেশি মুরগির খাদ্য তালিকা

শুরুতেই বলেনি দেশি মুরগি পালনে আপনাকে খাদ্য খরচ কমিয়ে আনতে হবে। তার কারণ বর্তমান বাজারে মুরগির ফিডের দাম প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে আপনি যদি মুরগিকে শুধু ফিড খাওয়ান তাহলে আপনি অনেক খরচের সম্মুখীন হবেন। তার জন্য আপনাকে দানাদার জাতীয় খাদ্য দিতে হবে মুরগির ফিডের সাথে। এছাড়াও মুরগিকে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় বাহিরে চড়ে বেড়াতে দিতে হবে। যার কারণে মুরগি প্রয়োজনীয় খাদ্য ঘাস, লতাপাতা এবং শাকসবজি খাবে।

তার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেল পেয়ে যাবে। যার কারণে মুরগি পালনে খরচ অনেক আংশিক কমে যাবে। যদি আপনি শুধুমাত্র ফিড খাওয়ান তাহলে মুরগির গুণগত বৈশিষ্ট্য নাও আসতে পারে। আর এই কারণে আপনি মুরগিগুলোর বাজারে সঠিক মূল্য পাবেন না। যার কারণে আপনি দেশি মুরগিকে ৪০% দানাদার খাবার এবং বাকি ৬০ পার্সেন্ট ফিড খাওয়াতে পারেন। আপনি খাওয়াতে পারেন, চালের খুদ, গম, ডাল, শস্য দানা এবং ধান খাওয়াতে পারে দানাদার খাদ্য হিসেবে।

তাহলে আমরা পরিশেষে কি বুঝতে পারলাম যে মুরগিকে একদম আবদ্ধ অবস্থায় শুধুমাত্র ফিড খাইয়ে লাভবান হতে পারবেন না। এতে করে আপনার খরচ বেড়ে যাবে। তাই অবশ্যই আমার দেখানো উপরের নিয়ম গুলো মেনে মুরগি পালন শুরু করুন। চলুন এবার দেশি মুরগির কয়েকটি রোগ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

দেশি মুরগির রোগ

আপনারা অনেকেই দেশি মুরগির কি কি রোগ হয় জানতে চান। চলুন জেনে নি দেশি মুরগির কয়েকটি রোগ। যেমন,
  • রানী ক্ষেত.
  • গামবোরো.
  • রক্ত আমাশয়.
  • ফাউল ফক্স.
  • এবং ফাউল কলেরা ইত্যাদি.
ওপরে আমি কিছু দেশি মুরগির রোগ দেখিয়েছি। আপনি অবশ্যই মুরগি পালনের সতর্কতা অবলম্বন করবেন যাতে করে উপরের রোগ গুলো আপনার মুরগির খামারে না দেখা দেয়। তার কারণে মুরগিকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জাতীয় খাবার এবং মিনারেল পর্যাপ্ত পরিমাণে দিবেন। আর ভালোভাবে যত্ন নিবেন এক মাস যাতে করে মুরগির জ্বর, চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি রোগ না দেখা যায়। সর্বশেষ, সতর্কতা অবলম্বন করুন।

দেশি মুরগি লাভজনক খামার ব্যবস্থাপনা

সঠিক ব্যবসায়িক হিসেব এবং নিকেশ যদি আপনি সম্পূর্ণভাবে করেন তাহলে আপনি অবশ্যই লাভজনকভাবে দেশি মুরগির খামার করতে পারবেন। তার জন্য মূলত আপনাকে হিসাব নিকাশ ঠিক রাখতে হবে। তার কারণ হচ্ছে বর্তমানে বাজার ব্যাপক পরিবর্তন হওয়ার কারণে আপনাকে ধারণা রাখতে হবে বাজার দর সম্পর্কে। আপনি যদি দেখেন যে আপনার খরচ বেশি হয়ে যাচ্ছে তাহলে আপনি যত সম্ভব খরচ কমিয়ে আনার চেষ্টা করবেন। সবসময় বায়োসিকিউরিটি মেনে চলে মুরগিকে সুস্থ রাখতে হবে। অন্তত মুরগির বাচ্চা নিয়ে আসার পর একমাস ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে।

দেশি মুরগির খামারে লাভ হওয়ার কারণ

আমরা উপরের অংশ তে জেনেছি খামার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে। চলুন এবার দেশি মুরগির খামারে লাভ হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নি,,

বিভিন্ন মুরগির তুলনায় দেশি মুরগি খামারে লাভ হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে, অন্যান্য মুরগির থেকে দেশি মুরগি খুব দ্রুত বৃদ্ধি হয়। এছাড়াও অন্যান্য মুরগির থেকে দেশি মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হয়ে থাকে। যার কারণে এটি পালন করে আপনি কোন খারাপ পরিস্থিতিতে পড়বেন না। যেমন, ধরেন আপনি অন্য এক জাতের মুরগি পালন শুরু করেছেন কিন্তু হঠাৎ করে সেই মুরগিগুলো অসুস্থ হয়ে গেছে। তখন সেগুলো আপনাকে খুবই অল্প দামে বিক্রি করে ফেলতে হবে।
সে ক্ষেত্রে দেশি মুরগির রোগ বালাই কম থাকার জন্য আপনি অনায়াসে এটি পালন করতে পারেন। তাই আপনি যদি মুরগি পালন করতে চান তাহলে গড়ে তুলুন দেশি মুরগির খামার। তার কারণ দেশি মুরগি পালনে আপনি কম খরচে বেশি লাভ পাবেন। আপনি যদি খাবারের কথা চিন্তা করেন তাহলে অন্য জাতের মুরগির চেয়ে দেশি মুরগির খাবারের খরচ অনেক হারে কম।

তাই একটি লাভজনক পেশা হচ্ছে দেশি মুরগি পালন। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি অন্য জাতের কোন বিদেশি মুরগি পালন করেন তাহলে দেখা যায় বাজারের ঊর্ধ্বগতির জন্য বেশি টাকা দিয়ে খাবার কিনে মুরগিগুলোকে খাওয়ানোর পর। খুব বেশি পরিমাণে লাভ দেখা যায় না। সে ক্ষেত্রে আপনি শুরু করতে পারেন দেশি মুরগির খামার।

এতে করে আপনি অল্প খরচে লাভবান হতে পারবেন খুব সহজে। এছাড়াও অন্যান্য জাতের মুরগিগুলোর দাম সবসময় কম বেশি হয়ে থাকে। যার কারনে খুব একটা পরিমাণে লাভ দেখা যায় না। কিন্তু দেশি মুরগির দাম কোন সময় নিম্ন মানে আসে না। তাই দেশি মুরগি পালন করা লাভজনক।

দেশি মুরগি নিয়ে সাধারণ জ্ঞান ও প্রশ্নোত্তর FAQ

প্রশ্নঃ দেশি মুরগি কিভাবে পালন করব?
উত্তরঃ সাধারণত দেশি মুরগি তিন ভাবে পালন করা যায়। যেমন,
  • আংশিক আবদ্ধ।
  • সম্পূর্ণ আবদ্ধ অবস্থায়।
  • সর্বশেষ উন্মুক্ত অথবা খোলা পরিবেশে।
প্রশ্নঃ মুরগি তিন প্রকার কি কি?
উত্তরঃ মাংস উৎপাদন, দ্বৈত উদ্দেশ্য জাত এবং ডিম পাড়া মুরগি।

প্রশ্নঃ সবচেয়ে লাভজনক পোল্টি কোনটি?
উত্তরঃ বয়লার মুরগি।

প্রশ্নঃ পোল্টি কি কি শ্রেণীবিভাগ?
উত্তরঃ এশিয়াটিক, আমেরিকান, ইংরেজি, মহাদেশীয় এবং ভূমধ্যসাগরীয়।

প্রশ্নঃ মুরগির প্রকারভেদ কত?
উত্তরঃ প্রায় ১৬০০টির বেশি।

প্রশ্নঃ কমলা কোন জাতের মুরগি?
উত্তরঃ ওয়েলশামার।

প্রশ্নঃ কোন মুরগি কোন ডিম পারে?
উত্তরঃ আমেরিকান এবং ক্রিম লেকবার হল নীল ডিমের জন্য সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী নির্বাচন।

প্রশ্নঃ মানুষ কবে থেকে মুরগির খাওয়া শুরু করে?
উত্তরঃ প্রায় ২২০০ বছর আগে থেকে।

প্রশ্নঃ মুরগিতে কি থাকে?
উত্তরঃ ফসফরাস, প্রোটিন, নিয়সিন এবং সেলেনিয়াম।

প্রশ্নঃ মুরগির কোন অংশে বেশি প্রোটিন থাকে?
উত্তরঃ মুরগির স্তন।

প্রশ্নঃ কোন মাংসে প্রোটিন বেশি?
উত্তরঃ গরুর মাংসের চরবিহীন কাটা এবং মুরগির স্তন।

প্রশ্নঃ মাংস কি প্রোটিনের ভালো উৎস?
উত্তরঃ হাঁস মুরগি এবং মাংস প্রোটিনের বড় উৎস।

শেষ কথা

এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি দেশি মুরগি বাণিজ্যিকভাবে পালনের বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। সর্বশেষ সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর আপনার মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url