কোন ব্র্যান্ডের গুড়া দুধ ভালো - বাচ্চাদের দুধ কোনটা ভালো জানুন
প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন আপনার সন্তানের জন্য কোন ব্যান্ডের গুড়া দুধ ভালো হবে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের পোস্টটির মাধ্যমে আপনারা কোন ব্র্যান্ডের গুড়া দুধ ভালো ও বাচ্চাদের দুধ কোনটা ভালো হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে। তাই আপনি যদি বাচ্চাদের জন্য দুধ কোনটি ভালো সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্টসূচীপত্রঃতাই আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে পুষ্টি সমৃদ্ধ এবং কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া দুধ খাওয়াতে চান। তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। সম্পন্ন পোস্টটি পড়লে আশা করি আপনি বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি সমৃদ্ধ দুধ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন।
ভূমিকা
আমরা সকলেই জানি যে একজন শিশুর ক্ষেত্রে মায়ের বুকের দুধের কোন বিকল্প নেই। তবে অনেক সমস্যার কারণে মা তার বাচ্চাকে পরিপূর্ণভাবে দুধ খাওয়াতে পারে না। এছাড়াও অনেক মা আছেন যারা বুকের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি অন্যান্য প্যাকেট জাতীয় দুধ খাওয়াতে চান। কিন্তু কোন দুধ আপনার সন্তানের জন্য ভালো হবে এবং সন্তানের কোন ক্ষতি করবে না সেই সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুঁজে পান না। তাহলে আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য।
আমরা কম বেশি সকলেই জানি যে, একজন মায়ের বুকের দুধের মধ্যে একটি শিশুর বিকাশের সকল উপাদান বিদ্যামান রয়েছে। যেমন, ভিটামিন মিনারেল, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট সহ বিভিন্ন হরমোন উপাদান রয়েছে। আর এই উপাদান গুলি একটি শিশুর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে কোন কোন মায়ের বিভিন্ন সমস্যার কারণে তাদের সন্তানকে পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পান করাতে পারে না। যার কারণে বাচ্চাদের দুধের ঘাটতি মেটানোর জন্য বিভিন্ন প্যাকেট জাতীয় দুধ খাওয়াতে হয়।
তবে আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছেন যারা বুঝতে পারেন না যে তাদের বাচ্চাদের কি দুধ খাওয়ালে কোন ধরনের ক্ষতি হবে না এবং বাচ্চার বিকাশ ঘটবে। আপনাদের বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রদান করাই আমার কাজ। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি বাচ্চাদের জন্য কোন দুধ ভালো হবে এবং কোন ব্র্যান্ডের দুধ ভালো হবে তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাই সম্পন্ন পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকো।
বাচ্চাদের দুধ কোনটা ভালো
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আপনি গুঁড়ো দুধ হিসেবে বিভিন্ন প্রকারের দুধ সংগ্রহ করতে পারবেন। মূলত এর কারণ হলো বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বাজারে নিয়মিত বিভিন্ন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গুড়া দুধ আসতে চলেছে আসতেই চলেছে। আবার এই দুধগুলোর মধ্যে কোন কোন কোম্পানির দুধ খুবই জনপ্রিয় আবার কোন কোন কোম্পানির খারাপ দুধ হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি সঠিক ব্র্যান্ডের গুঁড়ো দুধ সংগ্রহ করতে না পারেন তাহলে আপনার বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।
আমরা সকলেই জানি যে একটা বাচ্চা পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের জন্য সর্বপ্রথম খাবার হচ্ছে তার মায়ের বুকের দুধ। আর মায়ের বুকের দুধে প্রয়োজনীয় ভিটামিন মিনারেলসহ বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন রয়েছে ও হরমোন রয়েছে। যা একটি শিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে খুবই জরুরী। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় সন্তান পৃথিবীতে জন্ম দেওয়ার পর অর্থাৎ ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মা মারা যায় অথবা মায়ের সমস্যার কারণে বাচ্চাকে পরিমাণ মতো বুকের দুধ খাওয়াতে পারেনা।
আরো পড়ুনঃ হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে
মূলত এই কারণেই মানুষ তখন গুড়া দুধ অথবা প্যাকেটের দুধ খাওয়ান। আর এই দুধ খাওয়াতে গেলে আমাদের মাথায় অনেক প্রশ্ন করপাক খায়। যে আমার সন্তানের জন্য কোন দুধ ভালো হবে, কোন দুধ খেলে বাচ্চার শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ ঘটবে ও এই দুধ খাওয়ার কারণে বাচ্চার কোনো পরিমাণে ক্ষতি হবে না। বর্তমানে বাজারে প্রচুর পরিমাণে ভেজাল দুধের আমদানি হচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন ফরমালিন এবং ভেজাল যুক্ত গুড়া দুধ বাজারে বিক্রি করছে।
আর আপনি যদি সঠিক দুধের গুঁড়ো নির্বাচন না করতে পারেন তাহলে আপনার বাচ্চার কোন বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তবে অনেক মানুষ আছেন যারা তাদের বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি অন্যান্য প্যাকেটের গুড়া জাতীয় দুধ খাওয়াতে চান। কিন্তু আমার মতে এটা ঠিক নয়। তার কারণ একটি শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে ঠিক ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র তাদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হয়।
এছাড়া অন্য কোন দুধ খাওয়ানো বাচ্চার শরীরের বিকাশের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে। এক কথায় যদি আপনি বাচ্চাকে পরিমান মত দুধ খাওয়াতে না পারেন তখনই আপনি প্যাকেট অথবা গুড়ো দুধ খাওয়াবেন। এছাড়া যদি আপনার সন্তান পরিমাণ মতো মায়ের বুকের দুধ পায় তাহলে অন্যান্য প্যাকেট জাতীয় দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই। তবে আপনার বাচ্চার ছয় মাস হয়ে যাওয়ার পর আপনি গুঁড়ো দুধ না খাইয়ে কোন শক্তিও জাতীয় খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করতে পারেন।
আর এই শক্ত খাবার খাওয়ালে আপনার শিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ খুব দ্রুত ঘটবে। তবে প্রথমে বাচ্চাকে অল্প অল্প করে খাইয়ে অভ্যস্ত করে নিতে হবে। আর অবশ্যই পরিমাণ মতো খাওয়াতে হবে। পরিমাণের চেয়ে বেশি খাওয়ালে বাচ্চার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমরা সকলেই জানি যে একটি শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ আল্লাহর অশেষ নেয়ামত। যেটি খাওয়ালে বাচ্চা শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ সঠিকভাবে হয়ে ওঠে এবং শিশুর শরীরের সকল পুষ্টি চাহিদা মিটে যায়।
এছাড়া মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর চেয়ে বিভিন্ন গুঁড়ো দুধ খাওয়ালে বাচ্চার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে এবং বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। তাই একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কখনোই থেকে প্যাকেট অথবা গুঁড়ো জাতীয় দুধ খাবেন না। শুধুমাত্র ছয় মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ পান করাবেন।
কোন ব্র্যান্ডের গুড়া দুধ ভালো
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানি দুধ তৈরি করছে। তবে বাজারে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা দুধের মধ্যে ভেজাল মিশিয়ে দুধের গুঁড়ো তৈরি করছে। সেগুলো বাচ্চাদের খাওয়ালে বাচ্চাদের মানসিক বিকাশের সমস্যার পাশাপাশি অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে আমি সঠিক তথ্য বিবেচনা করে বেশ কয়েকটি দুধের ব্যান্ডের নাম বের করেছি যেগুলা খাওয়ালে আপনার বাচ্চার কোন ধরনের সমস্যা হবে না। একদম ভেজালমুক্ত দুধ যেগুলো কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। আমি নিচে গুলোর নাম তুলে ধরছি।
- Milk Vita - মিল্ক ভিটা
- Iglu - ইগলু
- Dairy Fresh - ডেইরি ফ্রেস
- Pran Milk - প্রান মিল্ক
- Cow head pure milk -কাউ হেড পিওর মিল্ক
- Milk fresh - মিল্ক ফ্রেশ
- Pura - পুরা
- Aarong dairy - আড়ং ডেইরি
- Ayrun - আইরান
- Aftaf - আফতাব
- Farm fresh milk - ফার্ম ফ্রেশ মিল্ক
- Altra - আল্ট্রা
- Taniya - তানিয়া
- Lactogen - ল্যাকটোজেন
- Baby care - বেবি কেয়ার
- Nan milk - নান মিল্ক
- Prima milk - প্রাইমা মিল্ক
- Lactogen - ল্যাকটোজেন - সর্বনিম্ন ৪৬০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- Baby care - বেবি কেয়ার - সর্বনিম্ন ৭০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- Nan milk - নান মিল্ক - সর্বনিম্ন ৭৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
- Prima milk - প্রাইমা মিল্ক - সর্বনিম্ন ৭০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ছোট বাচ্চাদের দুধের নাম
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বাজারে প্রচুর পরিমাণে দুধ রয়েছে যেগুলো আপনি অনায়াসে আপনার বাচ্চাকে খাওয়াতে পারবেন। আমি নিচে কয়েকটি দুধের নাম তুলে ধরছি। যেমন,,
- Lactogen formula milk powder - ল্যাক্টোজেন ফর্মুলা মিল্ক পাউডার
- Baby care - বেবি কেয়ার
- Nan milk - নান মিল্ক
- Prima milk - প্রাইমা মিল্ক
- ল্যাক্টোজেন ওয়ান
- ল্যাক্টোজেন টু
- ল্যাকটোজেন থ্রি
- ল্যাক্টোজেন ফর ইত্যাদি
তবে বিশেষজ্ঞরা মায়ের বুকের দুধের বিকল্প ফর্মুলা দুধ হিসেবে Mother's smile prima খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে উক্ত দুধের দুইটি ভ্যারাইটি রয়েছে যেমন,,
- Mother's smile prima 1.
- Mother's smile prima 2.
বিশ্বের সতর্কতা
আমার মতে একজন মা চাইবে তার সন্তানকে সঠিক নিয়মে দুধ পান করাতে। সে ক্ষেত্রে এমন পরিস্থিতি যদি হয় যে, মা তার সন্তানকে পরিমাণ মতো দুধ খাওয়াতে পারছে না তখন বিকল্প হিসেবে আমাদের উপর দেখানো দুধগুলি বেছে নিতে হবে। তবে দুধগুলো খাওয়ানোর আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ শিশু ডাক্তারের পরামর্শ খাওয়াতে হবে। না হলে এই পাউডার দুধ খাওয়ানোই আপনার সন্তানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার করুন।
ফর্মুলা দুধ কোনটা ভালো
আমরা তো ওপরে মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে ফর্মুলা দুধ সম্পর্কে জানলাম। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞদের মতে প্রেরণের জন্য সবচেয়ে ভালো ফর্মুলা দুধ কোনটি সম্পর্কে। বিশেষজ্ঞদের মতে চার ধরনের দুধ মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে খাওয়ানো যায়। যেমন,,
- Lactogen - ল্যাকটোজেন
- Baby care - বেবি কেয়ার
- Nan milk - নান মিল্ক
- Prima milk - প্রাইমা মিল্ক
বাচ্চাদের দুধের বিকল্প কোনটি
আমার মতে একটি শিশুকে দুধের বিকল্প হিসেবে সয়া অথবা মটর দুধ খাওয়ানো যেতে পারে। তবে এইগুলো খাওয়ানোর নির্দিষ্ট সময়ের পর ছাগলের অথবা গরুর দুধ শিশুদের জন্য অনেক উপকারী হয়ে ওঠে। তাই আপনার শিশুর বয়স যদি ছয় মাস বা তার বেশি হয়ে যায় তাহলে আপনি ছাগল অথবা গরুর দুধ খাওয়াতে পারবেন অথবা পারেন।
তবে একটি গবেষণায় দেখা গেছে একটি শিশুর জন্য গরুর দুধের চেয়ে বেশি ছাগলের দুধ উপকারী। এছাড়াও আপনি আপনার এলাকার বুজুর্গ মানুষদের জিজ্ঞেস করলে তারা অবশ্যই গরুর দুধের বদলে ছাগলের দুধ বেশি পুষ্টিকর বলে দাবি করবেন। তাই আপনার শিশুর বয়স যদি ছয় মাস বা তার অধিক হয়ে যায়।
আর আপনি যদি চান আপনার শিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ বৃদ্ধি পায় তাহলে অবশ্যই ছাগলের দুধ অথবা গরুর দুধ অথবা লেখ্টরাজ ফর্মুলা দুধ পাউডার খাওয়াতে পারেন। এতে করে শিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ বৃদ্ধি পাবে। আর এটি শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি অবশ্যই উপরে দেখানোর নিয়ম মেনে চলবেন।
বুকের দুধের নিকটতম সূত্র কোনটি
মানুষের দুধের সাথে বিশেষ করে পুষ্টির দিক দিয়ে এনফিল এন্ -স্পায়ার সবচেয়ে অনুরোধ একটি শিশুর ফর্মুলা। সাধারণত উক্ত ফর্মুলায় শুধুমাত্র মায়ের দুধে পাওয়া পুষ্টি উপাদান বিদ্যামান রয়েছে এবং অন্যান্য ফর্মুলা বিকল্পের তুলনায় এটি একটু বেশি খরচ করে থাকে। তবে এটি একটি বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর জন্য উপযুক্ত করে তোলে। তাহলে আশা করি আপনি সম্পূর্ণ বিষয় বুঝতে পেরেছেন।
বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর পদ্ধতি
আপনারা তো ওপরে বাচ্চাদের বিভিন্ন দুধের সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারলেন। তবে আপনারা অনেকেই আপনার শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সঠিক পদ্ধতি জানেন না। আমি নিচে বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর সঠিক উপায় তুলে ধরলাম।
- আপনাকে প্রথমে মাথায় রাখতে হবে একটি শিশুকে কখনোই শুয়ে থেকে দুধ পান করানো যাবে না। আপনি বসে থেকে দুধ পান করাবেন। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে শুয়ে থেকে দুধ পান করালে বাচ্চার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- আর আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে শুয়ে থেকে দুধ পান করাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার বাচ্চার পশ্চাদেশ পর্যন্ত ভালো করে ধরে রাখতে হবে।
- আর অবশ্যই দুধ পান করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে বাচ্চার নাকের চাপ না লাগে।
- তার কারণ নাকে চাপ লাগলে শিশু অস্বস্তি অথবা বে কায়দায় পড়ে যায়।
- শিশুকে দুধ পান করানোর সময় কোনমতে তাড়াহুড়া করা যাবে না।
- এর প্রধান কারণ হচ্ছে শিশুকে একটি স্তনের দুধ পান করানোর পর, অপর স্তনের একটু পরিমাণ হলেও দুধ পান করানোর চেষ্টা করবেন।
- শিশুর দুধ পান করানোর জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি ধৈর্য এবং সময় সাপেক্ষ নিয়ে বাচ্চাকে দুধ পান করাবেন।
- পরবর্তী বিষয়টি শিশুর মায়ের জন্য। আপনি যখন শিশুকে দুধ পান করাবেন তার ঠিক বিষ থেকে চল্লিশ মিনিট আগে এক থেকে দুই গ্লাস পানি পান করবেন।
- আর সর্বশেষ একটি নবজাতক শিশু কে সুস্থ রাখার সকল পদ্ধতি মেনে চলবেন।
- আপনাকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তার কারণ আপনি যদি অবহেলায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে শিশু আপনার দুধ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়বে।
- তাই আপনি অবশ্যই নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং সুস্থ রাখার চেষ্টা করবেন।
- প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ মত চলবে ঠিক ততদিন পর্যন্ত যতদিন পর্যন্ত আপনার শিশু আপনার বুকের দুধ পান করছে।
বাচ্চাদের জন্য কোন দুধ ভালো হবে
আশা করি আপনি ওপরের সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার পর বুঝতে পেরেছেন যে আপনার শিশুকে কোন দুধ খাওয়ানো ভালো হবে এবং কোন দুধ খাওয়ালে শিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ ঠিকমতো হবে। আমি উপরে ভেজালমুক্ত এবং শিশুর জন্য উপকারী বেশ কিছু গুঁড়ো দুধ তুলে ধরেছি। আপনি নিঃসন্দেহে সেখান থেকে একটি দুধের ব্র্যান্ড বাছাই করে নিতে পারবেন। তবে আপনি আপনার বাচ্চাকে দুধ পান করানোর আগে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
এছাড়াও আপনার শিশুর বয়স ছয় মাস অথবা তার বেশি হয়ে গেলে আপনি আপনার শিশুকে একটু একটু করে শক্ত জাতীয় খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। একবারে বেশি পরিমাণে খাওয়ানোর দরকার নেই ধীরে ধীরে খাবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে থাকবেন। এছাড়াও আপনার শিশুকে শক্ত খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি ছাগল অথবা গরুর দুধ খাওয়াতে পারেন। এতে করে আপনার শিশুর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ বৃদ্ধি পাবে।
বাচ্চাদের দুধ কোনটা ভালো নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসা FAQ
প্রশ্নঃ ১ বছরের বাচ্চার জন্য কোন দুধ?
উত্তরঃ সাদ হীন এবং মিষ্টি ছাড়া পুরো গরুর দুধ।
প্রশ্নঃ নবজাতকের সবচেয়ে ভালো দুধ?
উত্তরঃ মায়ের বুকের দুধ।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের ৬ মাসের শিশুর জন্য কোন ফর্মুলা দুধ খাওয়া উচিত?
উত্তরঃBIOMIL - 1.
প্রশ্নঃ ১ বছরের পর কি বাচ্চার দুধ লাগে?
উত্তরঃ লাগে না।
প্রশ্নঃ ৩ মাসের বাচ্চার সূত্র কত হওয়া উচিত?
উত্তরঃ ৪ থেকে ৬ আউন্স ফর্মুলা প্রতি চার ঘন্টায়।
প্রশ্নঃ ১২ মাসের বাচ্চার কতটুকু দুধ খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ ৪৮০ থেকে ৭২০ মিলি লিটার।
প্রশ্নঃ ৯ মাসের বাচ্চার কতটুকু দুধ খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ প্রায় ৭ থেকে ৮ আউন্স তরল।
প্রশ্নঃ ১১ মাসের বাচ্চার কতটুকু দুধ খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ প্রায় ২৪ আউন্স?
প্রশ্নঃ ২ মাসের বাচ্চার জন্য কোন দুধ খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ।
প্রশ্নঃ ৬ মাসের বাচ্চার খাবার?
উত্তরঃ ফল এবং একক শাকসবজি।
প্রশ্নঃ ২ মাসের বাচ্চার দুধের পরিমাণ কত?
উত্তরঃ ১২০ থেকে ১৫০ মিলি লিটার।
শেষ কথা
এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি একটি শিশুর জন্য বাচ্চাদের দুধ কোনটা ভালো ও কোন ব্র্যান্ডের গুড়া দুধ ভালো সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। সর্বশেষ সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ার পর আপনার মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।