ফ্লোরা এর কাজ কি , ফুরাডান এর কাজ বিস্তারিত জানুন
প্রিয় পাঠক আজকের পোস্টটিতে আমরা ফ্লোরা এর কাজ কি ও ফুরাডান এর কাজ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাই আপনারা যদি ফ্লোরা এর কাজ কি এবং এর
উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা যদি ফ্লোরা ট্যাবলেট ও ফ্লোরা কীটনাশক সম্পর্কে বিস্তারিত
জানতে চান তাহলে এখনি পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
পোস্টসূচিপত্রঃ
ভূমিকা
আমরা অনেকেই ফ্লোরা ট্যাবলেট ও ঔষধ এর নাম শুনেছি। তবে অনেকেই এই ফ্লোরা ট্যাবলেট এর কাজ সম্পর্কে জানেনা। এই ওষুধ বা কীটনাশক কি কাজে ব্যবহার করা হয় এ সম্পর্কে অনেকেই খুঁজে থাকে। তাই তাদের জন্য আজকের পোস্টটি আমরা ফ্লোরা এর কাজ ও ফুরাডান এর কাজ সম্পর্কে আলোচনা করব। ফ্লোরা সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি রয়েছে ফ্লোরা ট্যাবলেট যেটি মূলত চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
আরো পড়ুনঃ থিয়োভিট এর কাজ কি ও থিয়োভিট এর দাম কত?
আর আরেকটি আছে সেটি হলো এ সি আই ফ্লোরা , এটি সাধারণত কৃষি কাজে ফসল উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়াও আপনারা ফুরাডান সম্পর্কে শুনে এসেছেন , এটি মূলত গাছের পরিচর্যায় ব্যবহার করা হয়। এই উপাদানটি এক প্রকার দানাদার কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এবার চলুন ফ্লোরা ও ফুরাডান এর কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।
ফ্লোরা এর কাজ কি(চিকিৎসা ক্ষেত্রে)
আমরা এখন চিকিৎসা ক্ষেত্রে ফ্লোরা ট্যাবলেট এর কাজ সম্পর্কে আলোচনা করব।
সাধারণত চিকিৎসা ক্ষেত্রে ফ্লোরা ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়। এটি মূলত একপ্রকার
এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট যার সাহায্যে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ
ব্যবস্থা নেয়া যায়। এই ট্যাবলেটটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই
করে। চিকিৎসকরা এই ট্যাবলেটটি বিভিন্ন রোগে দিয়ে থাকে।
যেমনঃ নিউমোনিয়া , ব্রংকাইটিস , যক্ষা , গানরিয়া , ক্ল্যামিডিয়া
সহ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণ রোগের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়। এসব রোগের
চিকিৎসায় সাধারণত ফ্লোরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চলুন এবার জেনে নেই এই
ট্যাবলেটটি কোন কোন ক্ষেত্রে দেওয়া হয় এবং কখন দেওয়া হয়।
- সাধারণত নিউমোনিয়া রোগের ক্ষেত্রে এই ট্যাবলেটটি খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
-
এছাড়াও বঙ্কাইটিস রোগেও এই ট্যাবলেটটি প্রেসক্রিপশন করে থাকে ডাক্তাররা।
- তাছাড়া যাদের পাইলোনফ্রাইটিস রোগ হয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও এই ট্যাবলেট দেওয়া হয়।
- যাদের হাঁটুতে সংক্রমণ ও গাঁঠে সংক্রমণ দেখা দেয় সেই সময় এই ট্যাবলেটটি গ্রহন করার পরামর্শ দিয়ে থাকে চিকিৎসকরা।
- তাছাড়াও প্রোস্ট্যাটাইটিস ,সিস্টাইটিস ,গনোকক্কাল সংক্রমণ এর ক্ষেত্রেও এ সময়ে ফ্লোরা ট্যাবলেটটি দেওয়া হয়।
চিকিৎসার ক্ষেত্রে ফ্লোরা ৫০mg ট্যাবলেটটি ব্যবহার করা হয়। এর
কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও ক্ষতিকর দিক রয়েছে চলুন সেগুলো জেনে
নেই। তবে আপনারা যারা এই ট্যাবলেটটি কিনতে চান তারা অনলাইনে অর্ডার করতে
পারবেন আবার যে কোন ফার্মেসির দোকানে পেয়ে যাবেন। আর যদি অনলাইনে নিতে চান
তাহলে lybrate.com ওয়েবসাইটে গিয়ে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে
অর্ডার করতে পারেন।
ফ্লোরা এর ক্ষতিকর দিক(চিকিৎসা ক্ষেত্রে)
ফ্লোরা যেমন রোগের ওষুধ হিসাবে কাজ করে। তেমনি এই ট্যাবলেটটি কিছু পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া ও ক্ষতিকর দিক রয়েছে যেগুলো জানা আপনাদের অবশ্যই প্রয়োজন।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে সাধারণত ফ্লোরা ৫০ mg সহ আরো অনেক পাওয়ারের ব্যবহার করা হয়।
তবে ফ্লোরা ৫০mg ব্যবহার করা হয়ে থাকে বেশি। এই ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে অনেকের
ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব হতে পারে। তাছাড়াও কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে আবার
ডায়রিয়া পর্যন্ত দেখা দিতে পারে।
কোন কারণ ছাড়া এই ট্যাবলেট গ্রহন করা যাবে না। যদি করে থাকেন তাহলে এর পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়ায় আপনাকে ভুগতে হবে। তার মধ্যে অন্যতম হলো পাকস্থলীতে ব্যথা। এই
ট্যাবলেটটি কোন কারণ ছাড়া খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার পাকস্থলীতে ব্যথা সহ ,
ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাব হতে পারে। আর যদি আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
গ্রহণ করেন তাহলে এটি সঠিক ভাবে কাজ করবে। আপনি যদি এই ট্যাবলেটটি ভালো উপকারের
আশায় বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ এমিস্টার টপের কাজ কি
যেটি আমরা উপরে বলে দিলাম। তাই আপনাদের অবশ্য এই ট্যাবলেটটি খাওয়ার আগে
ডাক্তারি পরামর্শ নিতে হবে। আপনার যদি নিউমোনিয়া রোগ হয়ে থাকে তাহলে এই
ট্যাবলেটটি গ্রহণ করতে পারেন। তবে এর জন্য চিকিৎসকের নিকট পরামর্শ নেওয়া
অবশ্যক। নিজে নিজে কখনোই কোনো ওষুধ গ্রহণ করবেন না। এতে করে আপনার শরীর ভালো
হওয়ার থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ফ্লোরা এর কাজ কি(কৃষি ক্ষেত্রে)
উপরে পাঁঠে আমরা ফ্লোরা ট্যাবলেট এর কাজ সম্পর্কে জেনে এসেছি যেটি মূলত চিকিৎসা
ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। আর এখন আমরা যেটি আলোচনা করব
সেটি হলো ফ্লোরা কীটনাশক , এটি মূলত কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
চলুন আমরা এখন কৃষি ক্ষেত্রে ফ্লোরা এর কাজ জেনে আসি। ফ্লোরা মূলত এক ধরনের
পিজিআর যা নাইট্রোজেন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এটিকে প্লান্ট হরমোন বলা হয়ে থাকে।
এই উপাদানটি গাছের ফলন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবার আমরা ফ্লোরা এর কাজ
বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
- এটি ব্যবহার করার ফলে গাছের শিকড় বাড়ানো যায় অর্থাৎ শিকর বৃদ্ধি করা যায়।
- ফসলের জমিতে ফলন বৃদ্ধিতে এই ফ্লোরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- তাছাড়াও গাছের ডালপালা বৃদ্ধি ও ডালপালা বাড়াতে সাহায্য করে।
- এছাড়া জানা গেছে গাছপালা সতেজ রাখতে এবং গাছের ফলন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
- কৃষি জমিতে গাছের ফুল ফল বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে এই ফ্লোরা।
- এই ফ্লোরা ব্যবহার করার ফলে গাছের ফুল ফল ঝরা রোধ করা যায়।
-
ফসলের জমিতে ফসলের ফলন বহু গুণে বাড়াতে চাইলে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
-
এছাড়াও গাছের ফুল ফল দ্রুত বৃদ্ধিতে এবং আকারে বড় করতে ফ্লোরা ব্যবহার করা
যেতে পারে।
- গাছের ফুল ও ফল দ্রুত উৎপাদনে সাহায্য করে থাকে।
-
ফ্লোরা ব্যবহার করা হলে গাছের ফুল দ্রুত ফোটে এবং ফল উৎপন্ন হয়।
- গাছের ফলন বৃদ্ধি সহ বেশি সংখ্যক ফল উৎপাদনে সহায়তা করে থাকে।
তাহলে আশা করছি আপনারা কৃষি ক্ষেত্রে ফ্লোরা এর কাজ কি এ সম্পর্কে জানতে
পারলেন। চলুন আমরা এখন ফ্লোরা এর উপকারিতা গুলো জেনে নেই।
ফ্লোরা এর উপকারিতা
আপনাদের মধ্যে অনেকেই ফ্লোরা এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা এখন
আপনাদের জন্য এই অংশে ফ্লোরা এর উপকারিতা গুলো আলোচনা করব।
- ফ্লোরা গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে।
-
এই ফ্লোরা ব্যবহার করার ফলে ফসলের জমিতে ফসলের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে
যায়।
-
তাছাড়া এটি ব্যবহার করার ফলে উদ্ভিদ দ্রুত খাদ্য সঞ্চয় করতে পারে অর্থাৎ
খাদ্য উৎপাদন করতে পারে।
-
এই ফ্লোরা ব্যবহার করার ফলে কীটনাশক হিসেবে কাজ করে না যার ফলে কীটপতঙ্গ
ধ্বংস হয় না , তবে এটি গাছকে শক্তিশালী করে তোলে এজন্য কীটপতঙ্গ আক্রমণ করতে
পারে না।
-
ফ্লোরা যদি আপনি অন্যান্য সারের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করেন তাহলে ফসলের ফলন
৫০% এর বেশি বেড়ে যায়।
-
এটি ব্যবহার করার ফলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। তবে সঠিক
নিয়মে ব্যবহার করতে হবে।
-
এই উপাদানটি আপনারা যে কোন জমিতে ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে আপনারা চাইলে
আপনার ছাদ বাগানে অথবা ঘরের বারান্দায় বাগান থাকলে সেখানে ব্যবহার করতে
পারেন।
এই কার্যকরী উপাদানটি এ সি আই কোম্পানি তৈরি করেছে। আর এটি সঠিকভাবে
কাজ করে তারা প্রমাণ করেও দিয়েছে। আপনারা এই পণ্যটি বিভিন্ন কীটনাশকের দোকানে
অথবা কৃষি দপ্তরে পেয়ে যেতে পারেন।
কৃষি ক্ষেত্রে ফ্লোরা ব্যবহারের নিয়ম
তারা হয়তো ফ্লোরা এর কাজ সম্পর্কে এতক্ষণে জেনেছেন। এখন আপনাদের অবশ্যই সঠিক
নিয়মে ফ্লোরা ব্যবহার করতে হবে। আর এজন্য আমরা এখন ফ্লোরা ব্যবহারের নিয়ম
সম্পর্কে আলোচনা করব। কৃষি জমিতে ফ্লোরা ব্যবহার সঠিক নিয়মে করতে হবে , তাহলেই
ফ্লোরা এর সঠিক উপকারিতা পাওয়া যাবে। আপনারা প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি পরিমাণ
ফ্লোরা মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
তবে আপনারা স্প্রে পদ্ধতিতেও ব্যবহার করতে পারেন,এতে করে গাছপালা সঠিকভাবে
ফ্লোরা উপাদানটি গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো ফ্লোরা ব্যবহার
করার পর দ্বিতীয় ব্যবহারের ক্ষেত্রে ২০ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে বুঝতে
পারছেন প্রথম প্রয়োগের পর তার ২০ দিন পর ফ্লোরা দ্বিতীয় প্রয়োগ করতে হবে।
এতে করে অনেক ভালো ফলন পাওয়া যায়। তাহলে আপনারা উপরে ছবিতে ফসলের ক্ষেত্রে
ফ্লোরা ব্যবহারের নিয়ম জেনে গেলেন।
ফ্লোরা কোন কোন গাছে ব্যবহার করা যায়
আপনারা হয়তো ফ্লোরা এর উপকারিতা জেনেছেন তবে আপনাদের অবশ্যই জানা উচিত ফ্লোরা
কোন কোন গাছে ব্যবহার করা যায়। তবে আপনারা কোন কোন কাছে ব্যবহার করতে পারবেন এ
সম্পর্কে আপনারা কৃষি অধিদপ্তর ও কৃষি বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে জানতে পারবেন। তবে
আমরা এখন কিছু ফসলের নাম তুলে ধরেছি যেখানে আপনারা ফ্লোরা উপাদান ব্যবহার করতে
পারবেন।
- মরিচ
- বেগুন
- পটল
- আলু
- ফুলকপি
- বাঁধাকপি
- শিম
- মিষ্টি কুমড়া
- করলা
- লাউ
- শশা
উপরের দেওয়া ফসলসহ আপনারা অন্যান্য অনেক ফসলে এই ফ্লোরা ব্যবহার করতে
পারবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনারা কৃষি অধিদপ্তরে যোগাযোগ করতে
পারেন।
ফুরাডান এর কাজ কি | ফুরাডান ব্যবহারের নিয়ম
ফুরাডান সাধারণত এক প্রকার কীটনাশক। যেটি ফসলের জমিতে ব্যবহার করা হয়। এটি
মূলত দানাদার কীটনাশক। এই কীটনাশকের দাম ১৮০-১৯০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই
উপাদানটিও ফসলের জমিতে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়া
ফসলের ফলন বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। এছাড়াও এই কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে
ফসলের জমিতে বিভিন্ন পোকামাকড় দমন করা যায়।
আপনারা যদি ফসলে বা গাছে এই ফুরাডান ব্যবহার করে থাকেন তাহলে ফসলটি
রোগমুক্ত থাকবে এবং ফসলে পোকামাকড় দমন হবে। এই ফুরাডান ফসলের
ব্যবহার করা হলে ২০ থেকে ২৫ দিন পর ওই ফসলটি খাওয়া যাবে। তাই সতর্ক
থাকুন ফুরাডান ব্যবহার করার পর ২০ দিন পর ফসলগুলো খাওয়া যাবে বা
ব্যবহার করা যাবে। এই উপাদানটি আপনারা যে কোন গাছের ব্যবহার করতে পারেন।
বিশেষ করে সবজি গাছ , শাকের গাছ সহ বিভিন্ন গাছের ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়াও
কীটনাশক হিসেবে ফলের গাছের ব্যবহার করতে পারেন। এই কীটনাশক গাছের গোড়ায়
ব্যবহার করতে হয়। এটি কীটনাশক হওয়ায় গাছের উপরে স্প্রে করা যায় না। তবে ছোট
গাছ হলে ছিটিয়ে দেওয়া যায়। তাহলে আপনারা ফুরাডান এর কাজ
সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন।
ফুরাডান এর দাম
ফুরাডান এক কেজি ওজনের হলে এর দাম ১৪৫ টাকা। তাহলে বলা যায় ফুরাডান এর দাম
১৪৫ টাকা। এটি সাধারণত বিভিন্ন কোম্পানির পাওয়া যায়। তবে এই কীটনাশকেরও আসল
ও নকল রয়েছে। আপনারা যদি নকল কিনে ফেলেন তাহলে এটি গাছে কোন উপকারে আসবে না।
তাই আসল ফুরাডান দেখে কিনুন। এই কীটনাশকটি আপনারা বিভিন্ন সারের দোকানে অথবা
নার্সারিতে পেয়ে যাবেন। এছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করতে পারেন। তবে
ভালো করে চেক করে দেখে নিবেন।
ফ্লোরা এর দাম
কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য যেই ফ্লোরা রয়েছে এর দাম ১৩০-১৫০ টাকা পর্যন্ত।
এগুলো আপনারা বিভিন্ন নার্সারি অথবা অনলাইনের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। অনলাইনে
অর্ডার করতে চাইলে ফ্লোরা এর কাজ লিখে সার্চ করুন। তাহলে আপনারা অর্ডার করার
পেজ পেয়ে যাবেন সেখান থেকে আপনারা ফ্লোরা অর্ডার করতে পারবেন।
শেষ কথা | ফুরাডান এর কাজ
প্রিয় কৃষক ভাইয়েরা আশা করছি আপনারা ফ্লোরা এর কাজ কি ও ফুরাডান এর কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। ফ্লোরা সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি ফ্লোরা ট্যাবলেট রয়েছে যেটি চিকিৎসা ক্ষেত্রে রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। আর অন্যটি কৃষি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। আমরা দুটোরই কাজ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আপনাদের মনে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আর আপনার পরিচিতদের ফুরাডান এর কাজ সম্পর্কে জানাতে পোস্টটি শেয়ার করুন।