বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক কোনটি জানুন
প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা নিশ্চয়ই বাচ্চাদের সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতেই আজকের পোস্টটিতে এসেছেন। চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদের জন্য বাচ্চাদের সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম ও বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্টসুচিপত্রঃপ্রিয় পাঠক আপনি যদি বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি শুরু থেকে পড়তে থাকুন। আশা করছি আপনারা বাচ্চাদের সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম জানতে পারবেন।
ভূমিকা
বাচ্চাদের বিভিন্ন সময়ে সর্দি কাশি লেগেই থাকে। বিশেষ করে শীতকালে ঠান্ডার সময় বাচ্চাদের ঠান্ডাতে সর্দি কাশি হয়ে থাকে আবার অনেক সময় জ্বর হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অবশ্যই বাচ্চার দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ঠান্ডার প্রভাব বেশি হয়ে থাকে। তবে বাচ্চাদের যদি ঠান্ডা লেগে যায় তাহলে আপনি কিছু এন্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়ার মাধ্যমে ঠান্ডা কাশি সারাতে পারবেন।
যা আমরা আজকের পোস্টটিতে বাচ্চাদের জন্য সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম ও বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে আলোচনা করব। এই ওষুধগুলো বাচ্চাদের খাওয়ালে তাদের সর্দি কাশি সেরে যাবে। চলুন আমরা এবার এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। অবশ্যই ওষুধগুলো খাওয়ানোর আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ বিভিন্ন বয়সের বাচ্চার জন্য আলাদা আলাদা আলাদা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিতে হয়।
জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম
আপনার অনেকেই জ্বর সর্দি কাশির অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের নাম জানতে চেয়েছেন যা আমরা পোষ্টের এই অংশে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করব। এই ওষুধগুলো খেলে আপনাদের জ্বর সর্দি কাশি সেরে যাবে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবার আমরা জেনে নেই জ্বর সর্দি কাশির ওষুধের নাম ।
তাহলে আশা করছি আপনারা এতক্ষণে জেনে গেছেন জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ওষুধ কোনগুলো। তবুও আমি একটি ছবি আকারে ওষুধের নামগুলো আবার দিয়ে দিচ্ছি।
তাহলে দেখতে পেলেন সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম। যেগুলো সেবন করলে আশা করছি আপনাদের সর্দি কাশি সেরে যাবে। আর অবশ্যই এগুলো ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন ওষুধ খেতে হয়। তাই আপনার জন্য কোন ওষুধটি উপযুক্ত সেটি ডাক্তারের কাছে জেনে খাবেন। বা ফার্মেসিতে যারা বিক্রি করে তাদের কাছ থেকে শুনে খেতে পারেন।
বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক
প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা কি জানেন বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক কোনটি। যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই অংশটি গুরুত্ব সহকারে পড়ুন। কারন এই অংশে আমরা বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির ওষুধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
- নাপা 50 মিলি
- নাপা 60 মিলি
- Xcel 100 মিলি
- দ্রুত 60 মিলি
- Xcel 60ml
- নাপা 100 মিলি
- Xcel 120 মিলি
- Ace 60 মিলি
- Ace 100 মিলি
- Cef-3
তাহলে আশা করছি আপনারা বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির ওষুধের নাম জানতে পারলেন। চলুন আমরা এবার কিছু বাচ্চাদের কাশির ওষুধের নামগুলো জেনে নেই।
বাচ্চাদের কাশির ওষুধের নাম
বাচ্চাদের ঠান্ডা সময়ে অনেক সময় কাশি হয়ে থাকে। যার ফলে বাচ্চাদের অনেক অস্বস্তি হয়ে থাকে। বাচ্চাদের যদি কাশি হয়ে থাকে তাহলে আপনি বাচ্চাদের কাশির ওষুধ খাওয়াতে পারেন যার ফলে তাদের কাশি সেরে যাবে। এজন্য আপনাদের বাচ্চাদের কাশির ওষুধের নাম জেনে নেওয়া উচিত। এ সম্পর্কে আমরা এখন আলোচনা করব।
- তুশকা প্লাস
- রেমোকফ
- বোক্সল
- মধুভাস
- ওকফ
- এবেক্স
- এডোভাস
- এমব্রক্স
- নেকটার
তাহলে হয়তো আপনার এতক্ষণে বাচ্চাদের কাশির ওষুধের নাম জেনে গেছেন। যেগুলো ব্যবহার করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। আর সঠিক পরিমাণে শিশুকে খাওয়াবেন। তাহলে দেখবেন শিশুর কাশি সেরে যাচ্ছে।
বাচ্চাদের সর্দি কাশির ঔষধের নাম
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা নিশ্চয়ই বাচ্চাদের সর্দি কাশির ঔষধের নাম জানতে এতক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছেন। চলুন আর অপেক্ষা না করিয়ে এখন আমার জানবো বাচ্চাদের সর্দি কাশির কোন ওষুধ গুলো খাওয়াতে পারেন। এই ওষুধগুলো সাধারণত বাচ্চাদের খাওয়াতে হয়। এবার আমার আপনাদের জন্য বাচ্চাদের সর্দি কাশির ওষুধের নাম তুলে ধরছি।
এই ওষুধগুলো আপনারা বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন এরপরে বাচ্চাদের সর্দি-কাশি সেরে যাবে এবং বাচ্চা সুস্থ হয়ে উঠবে।
চলুন আমরা এবার উক্ত ওষুধগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য জেনে নেই। যাতে করে আপনাদের খাওয়াতে সুবিধা হয় এবং আপনি জানতে পারবেন কোন ওষুধটি আপনার বাচ্চার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।E- cof (ই- কফ)
বাচ্চাদের সর্দি কাশির ওষুধ হিসাবে এডুক লিমিটেড কোম্পানির ই- কফ এন্টিবায়োটিক ওষুধটি খাওয়াতে পারেন। এটি বাচ্চাদের সর্দি কাশি নিরাময়ে অধিক কার্যকরী। বিশেষ করে এই ওষুধ খাওয়ানোর ফলে বাচ্চাদের আরামদায়ক শান্তিময় ঘুম হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ মিল্ক শেক এর উপকারিতা ও অপকারিতা
এই সিরাপটি বাচ্চাদের জমে থাকা কাশি নিরাময়ে সহায়তা করে। এই সিরাপটি আপনি বিভিন্ন ফার্মেসির দোকানে বা ওষুধের দোকানে এবং অনলাইনে পাবেন। সিরাপটি আপনি ওষুধের দোকানে ১০০মিলি ৮০ টাকায় পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ বলতে গেলে ই- কফ এই ওষুধটির দাম ৮০ টাকা ১০০মিলি.। তাই বাচ্চাদের যদি সর্দি কাশি লেগে থাকে তাহলে আপনারা নিশ্চিন্তে এই সিরাপটি খাওয়াতে পারেন।
Ambrox - (এমব্রক্স)
এটি হলো স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানির বাচ্চাদের কাশির সিরাপ। সাধারণত শিশুদের সর্দি কাশির ওষুধের মধ্যে এমব্রক্স সিরাপটি অধিক কার্যকর। এই সিরাপটি বিশেষ গুণ হলো শিশুদের ক্ষেত্রে বুকে জমে থাকা কফ দূর করতে সাহায্য করে। আপনি ওষুধের দোকানে এই সিরাপটি ৫০ টাকায় ১০০ মিলি পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ বলতে গেলে এমব্রক্স এই ওষুধটির দাম ১০০ মিলি ৫০ টাকা।
Adolef (এডোলেফ)
এটি একটি হারবাল জাতীয় সিরাপ। যেটি বাচ্চাদের সর্দি কাশি দূর করতে পারে। এই সিরাপটি মূলত হারবাল ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানির তৈরি করা কফ সিরাপ। এ সিরাপটি শিশুদের ঠান্ডা কাশি দূর করে থাকে বিশেষ করে শিশুদের বুকে জমে থাকা কাশি অথবা দূর করে থাকে। তাছাড়া ও শিশুদের ক্ষেত্রে দুর্বলতা ও কাশি ভালো করে। আপনারা এই সিরাপটি খাওয়াতে পারেন শিশুদের। এ সিরাপের মূল্য 100 মিলি টা ৬৫ টাকা এবং যেটি ২০০ মিলি তার দাম ১০৫ টাকা।
Madhuvas (মধুভাস)
এটিও একটি অন্যতম জনপ্রিয় বাচ্চাদের কাশির ওষুধ। যা মূলত ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি তৈরি করেছে। এই সিরাপের বিশেষ গুণ রয়েছে যা আমরা এখন জানব। এই সিরাপটি শিশুদের শুকনা কাশি , কাশি , ব্রংকাইটিস , মাথাব্যথা ও জ্বর ইত্যাদি সারাতে অধিক কার্যকরী। তাই আপনাদের যাদের শিশুদের ঠান্ডা কাশি জ্বর লেগে আছে তারা এই ওষুধটি বা সিরাপটি খাওয়াতে পারেন। এই মধুভাস সিরাপটির দাম ১০০ টাকা।
Adovas (এডোভাস)
এই সিরাপটি বাচ্চাদের বা শিশুদের কাশি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনাদের যাদের শিশুদের সর্দি কাশি হয়েছে তারা এই সিরাপটি খাওয়াতে পারেন। এই সিরাপটি মূলত স্কয়ার কোম্পানির কাশির সিরাপ। যেটি বাচ্চাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। শিশুদের বুকে জমে থাকা দূর করতে ও ঠান্ডা দূর করতে উক্ত সিরাপটি খাওয়াতে পারেন। অবশ্যই খাওয়ানোর আগে চিকিৎসকের নিকট দেখিয়ে পরামর্শ নিবেন। এই সিরাপটির দাম ১০০ মিলি ৭০ টাকা এবং ২০০ মিলির দাম ১১০ টাকা।
Tusca plus (তুসকা প্লাস)
বাচ্চাদের সর্দি কাশি দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরাপ হচ্ছে তুসকা প্লাস। এটি স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি তৈরি করেছে। এটি হলো শিশুদের কফ দূর করার কার্যকরী সিরাপ। যা বর্তমানে অধিক ব্যবহৃত হচ্ছে। এই সিরাপটি শিশুদের বুকে জমে থাকা কফ দূর করতে এবং শিশুদের আরামদায়ক ঘুমের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করছে। তাই আপনারা শিশুদের এই ওষুধটি বা সিরাপটি খাওয়াতে পারেন। এটি বিভিন্ন ওষুধের দোকানে বা অনলাইনে আপনি পেয়ে যাবেন। এই সিরাপটির দাম ১০০ মিলিঃ ৮৫ টাকা।
Remocof (রেমোকফ)
আপনারা এই সিরাপটিও বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন। এটিও বর্তমানে শিশুদের কফ দূর করার সুপরিচিত কাশির ওষুধ বা সিরাপ। বিশেষ করে এই সিরাপটি বাচ্চাদের শুকনা কাশি দূর করতে অধিক কার্যকরী। এছাড়াও শিশুর অপসারণ করতে সাহায্য করে। এই সিরাপটির নাম ১১০ টাকা। যা আপনি বিভিন্ন ফার্মাসিটিক্যাল দোকানে পেয়ে যাবেন।
Abex (এবেক্স)
সবচেয়ে সহজলভ্য বাচ্চাদের সর্দি কাশির সিরাপ হল এই এবেক্স। এই সিরাপ এর দাম ৩৫ টাকা। এটি বাচ্চাদের সর্দি কাশি নিরাময়ে কাজ করে থাকে। বর্তমানে এটি অধিক সুপরিচিত লাভ করেছে। এই সিরাপটি জ্বর , সর্দি , কাশি , শুকনা কাশি নিরাময় করে থাকে। আপনারা এটি ব্যবহার করতে পারেন।
বাচ্চাদের সর্দি-কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়
আপনারা অনেকেই বাচ্চাদের সর্দি কাশি দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় খুঁজে থাকেন। তবে কোথাও সঠিক তথ্য খুঁজে পান না। তাদের জন্যই আজকের এই অংশে আমরা বাচ্চাদের জন্য সর্দি কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। শিশুদের সর্দি কাশি দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় হিসেবে আপনাদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে চলুন সেই নিয়মগুলো জেনে নেই।
- শীতকালের বাচ্চাদের সব সময় হালকা গরম পানি পান করান এবং ঠান্ডা পানি থেকে দূরে রাখুন। আর যখন খাবার খাওয়াবেন সেই খাবার অবশ্যই হালকা কুসুম গরম করে নিবেন। এতে শিশু শীতকালে সুস্থ থাকবে।
- বাচ্চাদের ঘুমানোর সময় তাদের মাথা উঁচু করে রাখুন। কারণ বাচ্চাদের সর্দি লাগলে সে সর্দি নাক থেকে গলা পর্যন্ত এসে অধিক কাশির সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই সময়ে বাচ্চাদের উঁচু করে অর্থাৎ বাচ্চাদের মাথা উঁচু অবস্থানে রেখে ঘুমাতে দেবেন।
- আপনারা ঠান্ডা সময়ে গরম দুধের সাথে হাফ চা চামচ হলুদের গুড়া মিশিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন। আবার বেশি কাশি বা সর্দি লাগলে গরম পানিতে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে এবং সাথে লবণ মেশিনে গড়গড়া করাতে পারেন। এতে শিশু হালকা শান্তি বা স্বস্তি পাবে।
- শিশুর যদি শুকনো কাশি হয়ে থাকে তাহলে তাকে হালকা গরম দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন এতে করে শুকনো কাশি দূর হয়ে যাবে।
- এছাড়াও হালকা গরম পানিতে এক টুকরা আদা মিশিয়ে এবং এর সাথে হাফ চামচ মধু মিশিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।
- এছাড়াও ঠান্ডা কাশি দূর করতে ঘরোয়া উপায় হিসেবে তুলসী পাতার রস বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। এটি অধিক কার্যকরী।
- তাছাড়াও অ্যালোভেরার জেল এর সাথে হালকা মধু মিশিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন। এটি বড় হোক আর ছোট হোক সকল বয়সেই ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনারাও অ্যালোভেরার সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
- আর বাচ্চাকে শীতকালে সবসময় গরম জামা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখবেন। যাতে ঠান্ডায় স্পর্শ করতে না পারে। তাই বাচ্চাকে গরম জামা কাপড় পরান।
আশা করছি আপনারা এতক্ষণে বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশির ওষুধের সাথে সাথে বাচ্চাদের জ্বর সর্দি কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনেই গেসেন।
বাচ্চাদের সর্দি কাশি হওয়ার কারণ
আপনারা হয়তো বাচ্চাদের এতক্ষণে জ্বরসর্দি কাশির অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের নাম জেনে গেছেন, তবে জানেন কি বাচ্চাদের সর্দি কাশি হওয়ার কারণ। অনেকে এ বিষয়টি ভালো মতো জানে না যে কি কারণে বাচ্চাদের সর্দি কাশি হয়ে থাকে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমরা এবার জেনে নেই বাচ্চাদের সর্দি কাশি হওয়ার কারণগুলোঃ
- সাধারণত পরিবেশগত আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার কারণে এটি হয়ে থাকে।
- বিশেষ করে শীতকালে ভাইরাসজনিত জীবাণুর কারণে হয়ে থাকে।
- এছাড়া বাচ্চাদের মায়ের যদি ঠান্ডা লাগে তখন বাচ্চাদেরও লাগে। তাই মায়েদের সতর্ক হতে হবে।
- তাছাড়াও বাচ্চাদের যদি শীতকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করানো হয় তাহলে হয়ে থাকে।
- ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কম বয়সে অধিক দ্রুত সম্পন্ন ফ্যানের বাতাসে রাখলে এটি হয়।
- বাচ্চাদের ঠান্ডা পানি খাওয়ালে এটি হয়ে থাকে।
এছাড়া আরো বিভিন্ন কারণে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগতে পারে। তাই বাচ্চাদের সব সময় সঠিকভাবে যত্নের সহিত রাখবেন। যাতে করে ছোট বাচ্চাদের সর্দি-কাশি বা ঠান্ডা না লাগতে পারে তবে বিশেষ করে শীতকালে ছোট বাচ্চাদের অধিক যত্ন নেওয়া উচিত।
বাচ্চাদের সর্দি কাশির সিরাপ খাওয়ানোর নিয়ম
আপনারা কি জানেন বাচ্চাদের সর্দি-কাশির ওষুধ খাওয়ানোর কিছু নিয়ম রয়েছে। যা জেনে আপনাদের অবশ্যই নিয়মমাফিক খাওয়াতে হবে। তাহলে বাচ্চা ঠান্ডা থেকে দ্রুত সেরে উঠবে। চলুন আমরা এবার বাচ্চাদের ওষুধ খাওয়ানোর নিয়মগুলো জেনে নেই।
- শূন্য থেকে এক বছর বয়সের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন দুই বেলা ১/২ চা চামচ সকালে এবং রাত্রে খাওয়াতে হবে।
- আর বাচ্চাদের বয়স যদি এক থেকে তিন বছরের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে প্রতিদিন দুই বেলা করে সকালে ও রাত্রে এক চা চামচ করে খাওয়াতে হবে।
- আর বাচ্চার বয়স যদি তিন থেকে সাত বছর হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন দুই বেলা সকালে ও রাত্রে দেড় চামচ করে দিতে হবে।
আশা করছি আপনারা কিছুটা হলে নিয়ম জেনেছেন। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই এই নিয়মগুলো সাধারণত ওষুধের প্যাকেটের ভেতরে টাকা কাগজে লেখা থাকে। সেখানে আপনি আরো বিস্তারিত বাচ্চাদের সর্দি কাশি ওষুধ খাওয়ানোর নিয়ম জেনে যাবেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনারা এতক্ষণে বাচ্চাদের সর্দি কাশির এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছেন। আমরা আপনাদের জন্য সকল কিছু বাছাই ও রিসার্চ করে করে ওষুধের নাম গুলো তুলে ধরেছি। যার ফলে আমরা আপনাদের সঠিক তথ্য দিতে পেরেছি। তাই আপনাদের যদি পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করুন এবং এ ধরনের তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আমাদের সাথে থাকুন।