ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিকগুলো জানুন

প্রিয় পাঠক আপনি কি ফার্মের মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে আজকের পোস্টটিতে এসেছেন। আমরা অনেকেই ফার্মের মুরগির ডিম খাই তবে ক্ষতিকারক দিক জানা নেই। তবে চিন্তা কোন কারণ নেই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের জন্য ফার্মের মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক ও ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত তুলার চেষ্টা করব।
ফার্মের মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক -  ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক
আপনারা যদি বয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

ভূমিকা

আমরা কমবেশি সকলেই ডিম খেতে পছন্দ করি। তবে এই ডিম গুলো আপনার জন্য ক্ষতিকর কিনা তা জানা অবশ্যই প্রয়োজন। বিশেষ করে ফার্মের মুরগির ডিম ও বয়লার মুরগির ডিমের খেতে এই বিষয়টি লক্ষ্য করতে হবে। কারণ ফার্মের মুরগি বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। যার মধ্যে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয় তাদের খাদ্যে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার করা হয়। 

যার ফলে ফার্মের মুরগির দেওয়া ডিম আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই আপনাদের অবশ্যই ডিম খাওয়ার আগে কোন ডিম খাচ্ছেন তা সম্পর্কে অবগত হতে হবে এবং ফার্মের মুরগির ডিম অথবা বয়লার মুরগির ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

ফার্মের মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক

আমরা ডিম খেতে পছন্দ করি। তবে আপনারা জানেন কি ফার্মের মুরগির ডিমে আপনার জন্য কতটুকু পুষ্টি রয়েছে। আপনাদের অবশ্যই জানা দরকার ফার্মের মুরগিগুলো বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ব্যবহার করা হয়। যাতে মুরগিগুলো অধিক বড় সাইজের হতে পারে। এই মুরগিগুলোতে বিশেষত অধিক পরিমাণ চর্বি থাকে। কারণ এই ফার্মের মুরগিগুলো সাইজ বৃদ্ধি করার জন্য মুরগিগুলোকে বিশেষ ধরনের হরমোন এবং অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়ে থাকে। যার ফলে এই ফার্মের মুরগিগুলোতে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। 

গবেষণায় দেখা গেছে এ ধরনের মুরগি আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাহলে এর দেওয়া ডিম গুলো আমাদের জন্য ক্ষতিকর। আগেকার যুগে মুরগিতে এ ধরনের ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক ও হরমোন ব্যবহার করা হতো না। তবে বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এগুলো ব্যবহার করে আসছে যাতে মুরগি সাইজের অধিক বড় হয় এবং অধিক পরিমাণে লাভ করতে পারে। আপনারা যদি এই পোল্ট্রি ফার্মের মুরগি বেড়ে ওঠার বিষয় সম্পর্কে জানেন তাহলে এসব মুরগির মাংস খাওয়াই ছেড়ে দেবেন হয়তো। 

চলুন এবার আমরা বিস্তারিত জেনে নেই।এসব মুরগির মাংস খেলে আপনার অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও আপনার কিডনি ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। আর চর্বি থাকার কারণে আপনার কোলেস্টরেলের সমস্যা হতে পারে। তাছাড়াও মানব শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষতি করতে পারে। বর্তমানে দ্রুত বৃদ্ধির জন্য যেসব এন্টিবায়োটিক রয়েছে যেগুলো মানব শরীরে ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলো মুরগির শরীরে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এসব মুরগী মাংস ও ডিম খাওয়া শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর হয়ে থাকে। আপনার শরীরের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। 

তাই অবশ্যই বাজারে মুরগি দেখে শুনে কিনবেন এবং জৈব খামারের মুরগি ক্রয় করার চেষ্টা করবেন। কারণ এসব ফার্মের মুরগিতে অতিরিক্ত পরিমাণ ফ্যাট বা চর্বি থাকে। যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়াও এখনকার মুরগি গুলোকে বড় করার জন্য অনেক খামারিরা হরমোন ইনজেকশন প্রয়োগ করে থাকে। যার ফলে এসব মুরগীতে থাকা প্রয়োগ করা হরমোন আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতির প্রভাব ফেলতে পারে। তবে জানা গেছে গবেষণায় এসব মুরগির মাংসের আর্সেনিক পাওয়া যায় যা আমাদের মূলত শরীরের জন্য অধিক ক্ষতিকর। 

কারণ এসব ফার্মের মুরগিতে হরমোন প্রয়োগ করার সাথে সাথে অন্যান্য এন্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার করা হয় যার ফলে এই আর্সেনিক তৈরি হয়। তাছাড়াও এসব মুরগিতে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয় তাই অবশ্যই মুরগি কেনার পর ব্যাকটেরিয়া রোধে ভালোভাবে মুরগির ধুয়ে নেবেন এবং গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে ভালো হয়। আর ভালোভাবে রান্না করবেন। তাহলে আশা করছি আপনারা এতক্ষণে বুঝে গেছেন ফার্মের মুরগির ডিম ও ফার্মের মুরগির মাংস আপনার জন্য কতটা ক্ষতিকর।

ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক

আপনারাতো হয়তো এতক্ষণে ফার্মের মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক জেনে গেছেন তবে আপনাদের এবার জানা উচিত বয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিকগুলো। আপনারা কি জানেন বলার মুরগির ডিমে আপনার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও ডিম পুষ্টি সমৃদ্ধ। তবুও এসব ডিমের উপকারিতা পাশাপাশি কিছু ক্ষতিকর দিকে রয়েছে যেগুলো আমরা এখন জেনে নেব। বয়লার মুরগির মাংস খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এছাড়াও এই মুরগিতে অতিরিক্ত চর্বি থাকার কারণে রক্তে কোলেস্ট্রলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। 

এর অন্যতম কারণ হলো বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এসব বয়লার মুরগিকে সঠিকভাবে খাবার দেয় না। তারা বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিয়ে মুরগিগুলোকে বড় করে। এছাড়া এসব মুরগি সঠিক খাবার না পাওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের ধাতু খেয়ে থাকে যার ফলে এইসব মুরগির মাংস খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ক্যান্সারের সৃষ্টি করতে পারে। তাই বয়লার মুরগির মাংস বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। তবে আপনি যদি সঠিক বয়লার মুরগি পান তাহলে সেটি আপনার জন্য ভালো। 

কারণ এখনো অনেক খামারিয়া সঠিকভাবে বয়লার মুরগি লালন পালন করে থাকে। তাই অবশ্যই আমাদের বয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকারক দিকগুলো জেনে অবশ্যই বয়লার মুরগির ডিম খেতে হবে। এসব মুরগিতে চর্বিযুক্ত ফিড খাওয়ানো হয় যার কারণে এসব মুরগির ডিমে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের সাথে অধিক পরিমাণে চর্বি থাকে। তাই খাওয়ার আগে দেখেশুনে আপনার শরীরের অবস্থা দেখে খাবেন।

ব্রয়লার মুরগির মাংসের ক্ষতিকর দিক

চলুন আমরা এবার বয়লার মুরগির মাংসের ক্ষতিকর দিকগুলো জেনে নেই। বয়লার মুরগি সাধারণত কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করা হয়। যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে চর্বি ও ফ্যাট। যা আমাদের দেহের কোলেস্টরেলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। বয়লার মুরগি পোল্ট্রি ফার্মে পালন করা হয়। আর ফার্মে বয়লার মুরগিকে বড় করার জন্য ও বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। এর ফলে বয়লার মুরগির মাংস খাওয়া হলে আমাদের দেহে এসব ক্ষতিকর পদার্থ গিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। 
এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে বয়লার মুরগির মাংস খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া বয়লার মুরগিতে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় যাতে মুরগিগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এসব কেমিক্যাল আমাদের দেহের ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশেষ করে যারা অসুস্থ থাকেন বা অসুখ-বিসুখ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বয়লার মুরগির মাংস খাওয়া একদমই ঠিক নয়। 
এছাড়াও বয়লার মুরগিতে এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই তাই বয়লার মুরগি রান্না করার সময় যদি ঠিকমতো ধুয়ে রান্না না করা হয় তাহলে এটিতে থাকা ব্যাকটেরিয়া আপনার ফুড পয়জনিং ঘটাতে পারে। তাই অবশ্যই বয়লার মুরগির মাংস খেতে হলে বয়লার মুরগীকে ভালোমতো ধুয়ে গরম পানি দিয়ে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করে নিবেন।

ব্রয়লার মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে

আপনারা অনেকেই আমাদের এই প্রশ্নটি করে থাকেন যে ব্রয়লার মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে। এই প্রশ্নটির উত্তর সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ এলার্জি এমন একটা রোগ যেটা ক্ষেত্র বিশেষে হয়ে থাকে। এক একজনের একেক খাবারে এলার্জি হয়ে থাকে। তবে কার কোন খাবারে এলার্জি রয়েছে এটা বলে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ এলাজি মূলত মানুষ ভেদে হয়ে থাকে। তবে বলা যায় বলের মুরগির ডিমে কোন এলার্জি নেই। 

তবে আপনার যদি ক্ষেত্র বিশেষে নির্দিষ্ট ভাবে বয়লার মুরগির ডিমের এলার্জি থাকে তাহলে আপনার এই ডিমে এলার্জি রয়েছে। সেটি আপনি নিজেই এই ডিম খেয়ে বুঝতে পারবেন। অ্যালার্জি মূলত ত্বকের সমস্যা। প্রত্যেক মানুষেরই কোন না কোন খাবারে এলার্জি রয়েছে। তেমনি ভাবে আমার আপনার সকলের যেকোনো খাবারে এলার্জি হতে পারে। তবে আপনার বয়লার মুরগির ডিমের এলার্জি আছে কিনা তা আপনি খেয়ে দেখে পরীক্ষা করে নিতে পারেন।

ব্রয়লার মুরগির ডিমের উপকারিতা

বয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিকের সাথে সাথে এই বয়লার মুরগির ডিমের উপকারিতা রয়েছে। যদি আপনি বয়লার মুরগি ডিম খান এতে উচ্চ পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। প্রত্যেক খাবারই পুষ্টি উপাদানের সাথে কিছু ক্ষতিকর বা অপকারিতা রয়েছে। তেমনিভাবে বয়লার মুরগির অপকারিতা সাথে সাথে উপকারিতা হয়েছে অর্থাৎ ভালো দিক রয়েছে। চলুন আমরা এবার জেনে নিই বয়লার মুরগির ভালো দিক অর্থাৎ বয়লার মুরগির ডিমের উপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক।
  • দেশি মুরগির ডিম থেকে বয়লার মুরগির ডিমে অধিক পরিমাণে পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। বিশেষ করে যদি বয়লার মুরগীকে সঠিক খাবার দেওয়া হয় তাহলে এটি অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ ডিম দেয়।
  • বয়লার মুরগির ডিমে পুষ্টি উপাদান হিসেবে রয়েছে  ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন, ফলাফল, ওমেগা-৩ ফ্যাট, এবং অন্যান্য পুষ্টি উৎসগুলি অধিক পরিমাণে রয়েছে।
  • এছাড়াও বয়লার মুরগির ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যা মূলত প্রোটিনের অন্যতম উৎস। এটি আমাদের মাংসপেশী গঠনে সহায়তা করে ও শিশুদের ক্ষেত্রে মানসিক বিকাশ ও দৈহিক বিকাশ গঠনে ভূমিকা রাখে।
  • বয়লার মুরগির ডিমের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে যেমনঃ ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২, ফোলেট, আয়রন, জিংক, সিলেনিয়াম ইত্যাদি যা আমাদের দেহের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
  • বয়লার মুরগি ডিমে থাকা ইটস, জিংক ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা আমাদের চুল ও ত্বকে স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
  • এছাড়া বয়লার মুরগির ডিমে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাট যার হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে।
  • বয়লার মুরগির ডিমের সাদা অংশে থাকে অধিক পরিমাণে জৈব আমিষ যা আমাদের দেহের বিভিন্ন শরীরবৃত্তীয় কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে।
  • গবেষণা জানা গেছে বয়লার মুরগির ডিমে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রোটিন যা শিশুর দৈহিক বৃদ্ধির সাথে সাথে বুদ্ধিরও বিকাশ এতে সহায়তা করে।
  • যেই ডিমই খান না কেন সকল ডিমে পুষ্টি উপাদান রয়েছে। আর বিশেষ করে বয়লার মুরগির ডিমে বেশি পুষ্টি উপাদান থাকে কারণ বয়লার মুরগিকে অধিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় ও বিভিন্ন ধরনের ফিডস খাওয়ানো হয়।
মনেরাখা উচিত সকল জিনিসেরই ভালো ও খারাপ দুটো দিকই রয়েছে। এটি নির্ভর করে আপনি কেমন ভাবে ব্যবহার করছেন এবং কি মাত্রায় ব্যবহার করছেন। তেমনিভাবে এই ডিম সঠিক পরিমাণে খেলে ভালো পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া যায়। তবে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ এর অতিরিক্ত গ্রহনে উপকারের চেয়ে অপকারিতাই বেশি হবে। সকল কিছুই অতিরিক্ত মাত্রাই খেলে পুষ্টি পাওয়া যায় না বরং অপকার পাওয়া যায়। তাই আপনারা নিয়মিত সঠিক মাত্রায় এবং সঠিক পরিমাণে ডিম খেতে পারে।

ফার্মের মুরগির ডিমের উপকারিতা

আপনার অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ফার্মের মুরগির ডিমের উপকারিতা কি। এখানে উপকারিতা বলতে গেলে সব একই রকম। কিন্তু কিছু আলাদা রয়েছে সেটি হল ফার্মের মুরগি ডিমের উপকারিতা বেশি পাওয়া যায় অর্থাৎ বলতে গেলে ফার্মের মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ অধিক কারণ ফার্মের মুরগিকে খাবারের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন খাওয়ানো হয় যার ফলে তারা অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ ডিম দিয়ে থাকে। এর ফলে ফার্মের মুরগির ডিম গুলোর পুষ্টিগুণ বেড়ে যায়। আর উপকারিতা বলতে আমরা বয়লার মুরগির মত ও দেশি মুরগির মত উপকারিতা গুলো পাব। যা আমরা উপরের অংশে আলোচনা করেছি। তবে চলুন আমার কিছু মুরগির ডিমের উপকারিতা গুলো জেনে নেই।
  • আপনি যদি নিয়মিত ডিম খান তাহলে আপনার ওজন কমতে শুরু করবে।
  • এছাড়াও মুরগির ডিম খেলে শরীরের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • আমাদের দেহের হাড় গঠনে ও মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
  • এছাড়াও জানা গেছে মুরগির ডিম খেলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
  • এছাড়াও আপনি যদি প্রতিদিন ডিম খান তাহলে আপনার চোখের দৃষ্টি শক্তি বেড়ে যাবে।
  • ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে আপনি নিয়মিত ডিম খেতে পারেন। সে ডিম হতে পারে যে কোন মুরগির ডিম।
  • চুল পড়া রোধ করতে আপনি মুরগির ডিম খেতে পারেন বিশেষ করে ফার্মের মুরগির ডিম খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
  • এছাড়াও ফার্মের মুরগি ডিম আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।

কোন মুরগির ডিমে পুষ্টি বেশি

আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন কোন মুরগির ডিমে পুষ্টি বেশি। এটা বলতে গেলে প্রায় একই ধরনের পুষ্টি রয়েছে দেশি মুরগি আর ফার্মের মুরগির মধ্যে। দেশি মুরগি সাধারণত আমাদের দেশে ছেড়ে দেওয়া অবস্থায় লালন পালন করা হয়। এই সময় মুরগিগুলো তাদের আশেপাশে থাকা খাবার যেমন পোকামাকড় , ঘাস , কেঁচো ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য খেয়ে থাকে। 

যার ফলে পুষ্টিকর করে ডিম দেয়।আর অন্যদিকে ফার্মের মুরগির ক্ষেত্রে খাবার তালিকা একটু ভিন্ন। এখানে মুরগিগুলোকে ফার্মে রেখে খাবারের সাথে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় যার ফলে মুরগিগুলো অধিক পুষ্টি পায় এবং অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ ডিম দিয়ে থাকে। তাছাড়া ফার্মের মুরগিগুলো দেশি মুরগির তুলনায় বড় বড় ডিম দিয়ে থাকে। 

ফার্মের মুরগি খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন দেওয়া হয়। তাদের খাদ্য হিসাবে খৈল,লবণ , শামুকের গুঁড়া,শুটকি মাছের গুঁড়া, ভুষি ,গম, ভুট্টা দেওয়া হয়ে থাকে যার ফলে তারা পুষ্টিকর ডিম দেয়। তাহলে এর থেকে বোঝা যাচ্ছে দেশি মুরগির ডিমের তুলনায় ফার্মের মুরগির ডিমের বেশি পুষ্টি থাকে।

শেষ কথা

আশা করছি আপনার এতক্ষণে ফার্মের মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক ও ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কিত সকল কিছু জানতে পেরেছেন। জেনে যখন গেছেন তাহলে সঠিক নিয়মে খাবেন। কারণ সকল কিছু খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। তাই আপনি নিয়ম মেনে বয়লার মুরগি খাবেন ও তাদের ডিম খেতে পারেন। আশা করছি পোস্টটি ভাল লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের বয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকারক দিক জানাতে পোস্টটি শেয়ার করুন এবং এ ধরনের নতুন নতুন তথ্য সম্পর্কে জানতে ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

বিজ্ঞাপন