এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম কি - এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

বর্তমানে আমাদের বিভিন্ন কারণে শরীরে এলার্জির বা চুলকানি হতে পারে। আপনার অনেকেই এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের কাছে প্রশ্ন করে থাকেন এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম কি ও চুলকানি ট্যাবলেট এর নাম কি? তবে চিন্তা কোন কারণ নেই আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর আমরা আজকের পোস্টটিতে এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম কি ও চুলকানির ট্যাবলেট কোনটি এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম কি - এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়
পোস্টসূচিপত্রঃযদি আপনি এলার্জি কমানোর বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে ধারণা পেতে চান। তাহলে এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। তাহলে আশা করি এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন।

ভূমিকা 

বর্তমান সময়ে প্রায় অনেক মানুষেরাই এলার্জির সমস্যাই ভোগেন। সাধারণত এলার্জি হচ্ছে আমাদের শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম এর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি সমস্যা। যেটাকে সাধারণত আমরা অ্যালার্জি বলে থাকি। বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাক এর মাধ্যমে অ্যালার্জি ছড়ায়। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি এলার্জি কমানোর উপায় ও এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম সম্পর্কে আলোচনা করব। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।

এলার্জি কত ধরনের

সাধারণত অনেক ধরনের এলার্জি হয়ে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো,
  • ফুড এলার্জি
  • ডাস্ট এলার্জি
  • এবং পোলেন এলার্জি

এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

প্রথমত যেই খাবারগুলোতে এলার্জির পরিমাণ বেশি আছে অথবা যে খাবার গুলো খেলে আপনার অ্যালার্জি হতে পারে সেই খাবারগুলো একদমই না খাওয়ার চেষ্টা করবেন। খাবারগুলো থেকে সব সময় দূরে থাকবেন। কারণ ওই খাবারগুলো খেলেই আপনার শরীরে দেখা দিবে এলার্জি। সাধারণত অনেক ধরনের এলার্জি হয় তার মধ্যে অন্যতম, ফুড এলার্জি, ডাস্ট এলার্জি এবং পোলেন এলার্জি ইত্যাদি। সাধারণত ডাস্ট হচ্ছে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া।
যেটি আমাদের শরীরে মৃত চামড়া অথবা কোষ গুলো খেয়ে বেঁচে থাকি। আপনার গায়ে থেকে মৃত চামড়া গুলা এর বিছানায় পড়তে পারে। যার কারণে এই ডাস্ট গুলো বাসা বাঁধতে পারে।তাই আপনারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার আপনার বিছানা গুলো গরম পানিতে দিয়ে দিবেন। সাধারণত এলার্জি হলে আমাদের গা চুলকাতে শুরু করে। তার জন্য আপনি চুলকানো জায়গাটাতে একটু ঠান্ডা বরফ দিয়ে শেখ দিতে পারেন।

একটা তোয়ালেতে বরফ পেঁচিয়ে এই কাজটি করতে পারেন। মানসিক চাপ এলার্জির জন্য খুবই ভয়াবহ। তার কারণ হচ্ছে মানসিক চাপ থাকলে অ্যালার্জি আরো খারাপ হতে পারে। তাই যারা এলার্জি সমস্যায় ভুগছেন তারা মানসিক চাপ দূর করার চেষ্টা করুন। তার জন্য আপনি ব্যায়াম করতে পারেন।

এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম

আপনারা হয়তো এতক্ষণে এই অংশের জন্য অপেক্ষা করেছেন। অর্থাৎ এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতেই আজকের পোস্টটিতে এসেছেন। আমরা এই অংশে এখন এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।, আমাদের বিভিন্ন কারণে এলার্জি হতে পারে। তবে এলার্জি হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই আপনারা কিছু অ্যালার্জি ওষুধের ব্যবহার করার মাধ্যমে এলার্জি দূর করতে পারবেন অর্থাৎ চুলকানি দূর করতে পারবেন। এর জন্য অবশ্যই চুলকানি ওষুধের নাম সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন আমরা এখন এলার্জির চুলকানি ওষুধের নামগুলো জেনে নেই।
  • ক্লোরফেনিরামিন 4mg
  • ফেক্সোফেনাডিন 60mg, 120mg, 180mg
  • Loratadine 10mg
  • রুপাটাডিন 10 mg
  • ডাইফেনাহাইড্রামিন
  • সিটিরিজিন
  • Cetirizine 10 mg
  • ডেসলোরাটিডিন
উপরোক্ত ওষুধগুলো আপনারা এলার্জি ওষুধ হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। এই ওষুধ গ্রহণ করার আগে অবশ্যই ফার্মাসিস্ট অথবা ডাক্তারের নিকট পরামর্শ করে নিতে হবে। এমনি নরমাল ডাক্তারের নিকট দেখিয়ে ওষুধগুলো গ্রহণ করবেন। তাছাড়া আরো কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করা উচিত নয়। চলুন সেই এলার্জির ওষুধ গুলোর নাম জেনে আসি।
  • অ্যালারনেক্স 120mg
  • গ্লেনফাইন 120mg
  • হিস্টাকাইন্ড 120mg
উপরোক্ত ওষুধগুলো অবশ্যই ডাক্তারে পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে কারণ এগুলো অনেক উচ্চ মানের এলার্জির ওষুধ যেগুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়। কেবলমাত্র ডাক্তারকে দেখিয়ে আপনার এলার্জির ধরন দেখে এই ওষুধগুলো প্রেসক্রিপশন করে থাকে।

চুলকানির ট্যাবলেট এর নাম

আপনারা অনেকে আমাদের কাছে চুলকানির ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকের এই অংশ আমরা সেই সম্পর্কেই বিস্তারিত আলোচনা করব। চুলকানি ট্যাবলেটের সাথে সাথে মলম পাওয়া যায় যেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারবেন এবং অতি সহজে চুলকানি সেরে যাবে। চুলকানির মলম হিসাবে রয়েছে পেভিসোন মলম। যেটি ব্যবহারে দশ মিনিটের মধ্যেই আপনার চুলকানি সেরে যাবে। তবে এটি খাবার ফলে আপনার কিছু সময় ঘুম ঘুম অনুভব হতে পারে। চলুন আমরা কিছু এখন চুলকানি ট্যাবলেট এর নাম জেনে নেই।
  • Darma50
  • Sendno
  • Desloratadine
  • Frxofenadin
  • Oradin
  • Alatrol
  • Diphenhydramine
  • Loratadine
তাছাড়াও চুলকানির মলম হিসাবে আপনারা বিভিন্ন ধরনের মলম ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনারা চুলকানি ট্যাবলেটের পাশাপাশি চুলকানি মলম ব্যবহার করবেন চলুন সেই মলম গুলোর নাম জেনে আসি।
  • Antifungal Cream
  • Fungidal-HC
  • Fungin-B
  • Pevisone
  • Fungin
আশা করি আপনারা চুলকানির মলম গুলোর নাম জেনে গেলেন।

এলার্জির ঔষধ নিমপাতা

আমরা সকলে জানি নিম পাতাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুনসম্পন্ন কার্যকারিতা। যেটি ব্যবহার করলে আপনারা বিভিন্ন ধরনের উপকার পাবেন। এর ঔষধি গুণের জন্য নিমপাতা বিখ্যাত। বিশেষ করে গায়ে যদি চুলকানি বা এলার্জি হয়ে থাকে তাহলে নিমপাতা ব্যবহার করলে অতি সহজেই অ্যালার্জি দূর হয়ে যায়। গায়ে এলার্জি দূর করতে নিম পাতা খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নিমপাতা বেটে পেস্ট তৈরি করুন এবং সেই পেস্টটি এলার্জির স্থানে ভালোভাবে মালিশ করে লাগিয়ে রাখুন। 
চুলকানি হওয়ায় স্থানে লাগাতে হবে। এভাবে ব্যবহার করুন আপনার এলার্জি অনায়াসে দূর হয়ে যাবে। এছাড়া অনেকভাবে নিম পাতা ও গরম পানির সাথে মিশিয়ে গোসল করতে পারেন যার ফলে শরীরের ব্যাকটেরিয়া গুলো দূর হয়ে যাবে। এখানে আপনারা নিমপাতা কে গরম পানির সাথে জাল দিবেন এবং গরম পানি হালকা গরম কমে গেলে তখন তার সাথে ঠান্ডা পানি মিশিয়ে গোসল করে নেবেন। এভাবে আপনারা সকল ব্যাকটেরিয়া দূর হবে এবং এলার্জি থেকে রক্ষা পাবেন।

এলার্জি চুলকানি দূর করার ওষুধের দাম কত

আমরা কিন্তু অনেক আগেই এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম সম্পর্কে জেনে এসেছি। এখন আপনার অনেকেই এলার্জি চুলকানির করার ওষুধের দাম জানতে চেয়েছেন। এটির সাধারণত বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন রকম দাম হয়ে থাকে। অর্থাৎ বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ ভিন্ন ভিন্ন দাম হয়। তবে ক্ষেত্রে আপনারা যদি সাধারণভাবে ফেনাডিন,ফেক্সো,অ্যালাট্রল এই চুলকানির ওষুধগুলো কথা ধরেন তাহলে এগুলোর দাম তিন টাকা পিস। আর সর্বোচ্চ আপনি ১০০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে এলার্জির ওষুধ পেয়ে যাবেন। বিভিন্ন দামের এলার্জির ওষুধ হয়ে থাকে তাই আপনি বাজারে গিয়ে যেকোনো ফার্মেসির দোকানে এলার্জির ওষুধের সঠিক দাম জানতে পারবেন।

এলার্জি চুলকানির ঔষধ খাওয়ার করার নিয়ম

এলার্জি চুলকানির ওষুধ খাওয়া কিছু নিয়ম রয়েছে। যেটি মেনে আপনাকে ওষুধ গুলো খেতে হবে। এলার্জির ওষুধ সাধারণত সকালে একটা , দুপুরে একটা আর রাতে একটা করে খেতে হয়। তবে অনেক এলার্জির ওষুধ আছে যেগুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না। ডাক্তার আপনাকে আপনার এলার্জির ধরন ও এলার্জির কারণ বুঝে ওষুধ প্রদান করবে এবং নিয়ম বলে দেবে সেই অনুযায়ী আপনাকে ওই ওষুধগুলো খেতে হবে।

নাকের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

নাকের এলার্জি হলে সাধারণত আমাদের নাক বন্ধ থাকে এবং নাক দিয়ে পানি পড়ে। এছাড়াও হাচিঅথবা কাশি হয়। তার সাথে সাথে চোখ লাল এবং চোখ চুলকাতে পারে। নাকের এলার্জি দূর করতে আপনি মধু খেতে পারেন। নাকের এলার্জি দূর করতে মধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ মধুতে রয়েছে আন্টি মাইক্রোবিয়াল এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি যা আমাদের নাকের এলার্জি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আপনি চাইলে হালকা গরম পানির সাথে এক চামচ মধু খেতে পারেন। এটি দুই থেকে তিনবার খেলে অ্যালার্জি দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনি চাইলে ভিটামিন সি এবং এসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন নাকের এলার্জি দূর করতে। তবে মনে রাখবেন এগুলা শুধু ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার করবেন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া একদমই ব্যবহার করবেন না। আপনি এলার্জি দূর করতে নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন।

কারণ নিম পাতায় রয়েছে পেরিনাল এলার্জি রায়না ইটিশ। এলার্জি দূর করতে নিম পাতা হলো অন্যতম। তাই আপনি চাইলে নিমপাতা পিষে মধুর সাথে খেতে পারেন। অথবা নিম পাতার ট্যাবলেট বানাতে পারেন। এলার্জি দূর করতে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গুলো খেতে পারেন।

রক্তে এলার্জি কমানোর উপায় - রক্তের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

সাধারণত রক্তে এলার্জি কমাতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম সেই খাবারগুলো খুঁজে বের করতে হবে যেই খাবার গুলো খেলে আপনার শরীরে চুলকানি শুরু হয় অর্থাৎ এলার্জি শুরু হয়। সেই খাবারগুলো খুঁজে বের করে ফেলার পরে সেই খাবারগুলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ যে খাবারগুলো খেলে আপনার এলার্জির উপশম দেখা দেয় সেই খাবারগুলো থেকে দূরে থাকুন। এলার্জির পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে আপনি বিভিন্ন ঔষধ খেতে পারেন।

তবে হ্যাঁ একটা সতর্কতা মনে রাখবেন যে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খাবেন না অথবা ব্যবহার করবেন না। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি আপনি চাইলে ভ্যাকসিন দিতে পারেন। ভ্যাকসিন হচ্ছে একটি অন্যতম চিকিৎসা এলার্জি দূর করার জন্য। তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই এই ভ্যাকসিনটি ব্যবহার করবেন।

এলার্জি দূর করার খাবার

  • কলাঃ সাধারণত কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগণ। সাধারণত এলার্জির উপশম দেখা দিলে অথবা এলার্জি হয় এমন খাবার খেলে যদি আপনার এলার্জি হয়। তাহলে কলা খেলে এলার্জির উপশম অনেকটাই কমে যায়। কলা খেলে যে এলার্জি সমস্যা পুরোপুরিভাবে ভালো হয়ে যাবে এমনটি না। তাৎক্ষণিকভাবে এলার্জি দেখা দিলে কলা খেলে এলার্জি সমস্যা বৃদ্ধি পায় না। আর এই কলা এলার্জি বৃদ্ধি হওয়াকে বাধা দেয়।
  • ভিটামিন সি জাতীয় ফলঃ সাধারণত আমাদের শরীরে প্রোটিনের খাবার আদিখ্য হলে আমাদের শরীরে এলার্জি দেখা দিতে পারে। তার জন্য প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে। তাহলে এই উপশমটা কমে যাবে।
  • লেবুঃ সাধারণত লেবু এলার্জি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি নিয়মিত লেবু পানি পান করেন। তাহলে এটি আপনার শরীর থেকে টক্সিক পদার্থ গুলো বের করতে সাহায্য করে। যার কারণে আপনার এলার্জি সমস্যা দূর হয়ে যায়।
  • গাজরের রস এবং শসাঃ গাজরের রস এবং শসা একসাথে মিশিয়ে খেলে এটি এলার্জির উপশম কমিয়ে দেয়। সমস্যা এবং গাজরের রয়েছে এন্টি অ্যালার্জিক পদার্থ। যা আমাদের শরীরের এলার্জি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • আদা চাঃ আদাতে রয়েছে গ্যাসটাইনটেস্টাইনাল এটি এলার্জি দূর করতে খুবই উপকারী। সাধারণত আদা খেলে আমাদের শরীরে বমি বমি ভাব, মাথা ঘুরানো এবং হজমের সমস্যা গুলোকে দূর করে দেয়। এলার্জির ক্ষেত্রেও এটি খুবই কার্যকরী।
  • গ্রিন টিঃ আমরা সবাই জানি যে গ্রিন টি ওজন কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু গ্রিন টি ওজন কমানোর পাশাপাশি এলার্জি দূর করতেও সাহায্য করে।

ঠান্ডা এলার্জি দূর করার উপায়

সাধারণত ঠান্ডা এলার্জির কারণ হল, বিভিন্ন পশু পাখির নাম, রাস্তার ধুলাবালি, গাড়ির ধোয়া এবং বিভিন্ন এলার্জি জাতীয় খাবার এর কারণে ঠান্ডা এলার্জি হতে পারে। ঠান্ডা এলার্জির লক্ষণ হলো নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং বারবার হাচি হওয়া। এছাড়াও চোখ ফুলে যাওয়া অথবা চোখ লাল হয়ে যেতে পারে। আমরা সবাই জানি যে এলার্জি সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে আপনাকে প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে কি কারনে আপনার এই এলার্জি টা হয়েছে। তারপর আপনার করণীয় হবে যেই কারণে এলার্জির উপশম টি দেখা দিয়েছে।

সেই বিষয়টি এড়িয়ে চলা। এই বিষয়টি এড়িয়ে চলতে হবে। আর যে খাবারগুলো খেলে আপনার এলার্জির উপশম দেখা যায়। সেই খাবারগুলো একদমই খাওয়া যাবে না। এলার্জি বেড়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। আপনি বিভিন্ন প্রকার ধুলাবালি, বিভিন্ন যানবাহনের ধোয়া এবং বিভিন্ন পশু পাখির লোম এইগুলা জাতীয় পদার্থ থেকে একদমই দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। কারণ ঠান্ডা আসলেই বেড়ে যায় ধুলোবালি। আর এই ধুলাবালি থেকেই শুরু হয় এলার্জি। তাই অবশ্যই এগুলা থেকে দূরে থাকবেন।

শেষ কথা

এলার্জি সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আশা করি এলার্জি কমানোর বিভিন্ন উপায় ও এলার্জি চুলকানি ঔষধের নাম সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

বিজ্ঞাপন