গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশ বের করুন ২ মিনিটে

প্রিয় পাঠক আপনার নিশ্চয়ই গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে আজকের পোস্টটিতে এসেছেন। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই আজকের এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদের জন্য গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করব। 
গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশ
পোস্টসূচিপত্রঃআমাদের বিভিন্ন সময়ে পুরাতন গাড়ি কিনতে হয়। আর এই পুরাতন গাড়ির যদি ডিটেলস জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এর তথ্য জানার জন্য মালিকের নাম বের করতে হবে। আর এজন্যই আপনাদের অবশ্যই গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে হবে যা আমরা এই পোস্টে আলোচনা করার চেষ্টা করছি।

সূচনা

আমাদের মধ্যে অনেকেই পুরাতন গাড়ি কিনে থাকে। তাদের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই গাড়ি তথ্য জানা সম্ভব হয় না। আর গাড়িটি যদি অবৈধ হয়ে থাকে তাহলে আপনি পুলিশের ঝামেলায় পড়তে পারেন আর এজন্যই আপনাদের যে কোন গাড়ি কেনার আগে সেই গাড়ি সম্পর্কে তথ্য ও মালিকের নাম জানা উচিত। অনেক সময় পুরাতন গাড়ি কেনার সময় গাড়ির কাগজপত্র দিলেও আপনি যদি কাগজটি সঠিক কিনা সেটা চেক করতে চান তাহলে অবশ্যই গাড়ির ডিটেলস সম্পর্কে জানতে গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম জানতে হবে। 
আর এই জানার জন্য একটি পদ্ধতি রয়েছে সেটি হলো গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশ। অর্থাৎ গাড়ির নাম্বার দিয়ে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমেই গাড়ির সম্পর্কে সকল ডিটেলস জানতে পারবেন। আর এ সম্পর্কে আমরা আজকের পোস্টটিতে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করছি তাই শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকুন। তাহলে আপনি গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বের করতে পারবেন সাথে তথ্যগুলো জানতে পারবেন।

গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশ

আপনারা নিশ্চয়ই গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশ এই গুরুত্বপূর্ণ অংশটি পড়তেই আজকের এই পোস্টটিতে এসেছেন। এই গাড়ির মালিকের নাম বের করতে শুধুমাত্র গাড়ির নাম্বার প্রয়োজন হবে। আর সেটি হলে আপনি গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বের করতে পারবেন। তাহলে জানতে পারবেন গাড়িটি কার নামে রেজিস্ট্রেশন আছে এবং সেটি বৈধ কিনা। তুলনার কথা না বাড়িয়ে আমরা এবার জেনে নেই গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশ বের করার নিয়ম।

স্টেপ ১ঃ গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বের করতে হলে প্রথমেই আপনাকে মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার এর যেকোনো ব্রাউজার এ গিয়ে "bsp brta" সার্চ করতে হবে। সার্চ করার পর আপনার সামনে অনেকগুলো ওয়েবসাইট আসবে এর মধ্যে থেকে প্রথম ওয়েবসাইটটিতেই প্রবেশ করবেন।

স্টেপ ২ঃ এবার দ্বিতীয় স্টেপ এর কাজ হচ্ছে আপনার ওই ওয়েবসাইটটিতে যদি আপনার একাউন্ট আগে না থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই নতুন একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এখন খোলার জন্য উপরের কর্নারে নিবন্ধন নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করুন। 

এবার আপনার সামনে একটি ফ্রম আসবে যেখানে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী নাম , জন্মতারিখ ইত্যাদি বসিয়ে নিজের মোবাইল নাম্বার অথবা ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে নিবন্ধন করুন অপশনটিতে ক্লিক করুন। তাহলেই হয়ে গেল একাউন্ট খোলা।

স্টেপ ৩ঃ এবার আপনি যদি একাউন্ট সঠিকভাবে খোলা হয়ে থাকে এবার তার পাশে আপনি প্রবেশ করুন অপশনটিতে ক্লিক করবেন। এবার আপনাকে যেই ইমেইল বা নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে একটু আগে একাউন্ট খুলেছিলেন সেটি দিয়ে অ্যাকাউন্টটি লগইন করুন। আইডি পাসওয়ার্ড সকল কিছু দেয়া হয়ে গেলে লগইন অপশনে ক্লিক করুন। আপনাদের সুবিধার জন্য একটি ছবি দেওয়া হলঃ
গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশ

স্টেপ ৪ঃ সাধারণত এবার লগইন করা হয়ে গেলে আপনাকে একটি নতুন ওয়েব পেজে নিয়ে যাবে। যেখানে আপনি অনেক ধরনের অপশন দেখতে পাবেন। আমরা যেহেতু গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বের করবো সেজন্য আমাদের মোটরযানের তথ্য নামে একটি অপশন খুঁজে বের করতে হবে। উক্ত অপশনটিতে ক্লিক করলে আপনি নিচের দিকে মোটরযান সংযুক্ত করুন এ ধরনের অপশন পাবেন। ওখানে ক্লিক করলে আপনার সামনে একটি নতুন ফর্ম আসবে। ফ্রমে তথ্য দিয়ে আপনাকে পূর্ণ করতে হবে।

স্টেপ ৫ঃ আপনার সামনে যে ফর্মটি আসলো সেটি সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করুন। এখানে আপনাকে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিতে হবে। আপনাকে অবশ্যই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নাম্বারের শেষ ৪ ডিজিট বা নম্বর দিতে হবে। মূলত আপনাকে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিতে হবে। তাহলেই আপনি যে কোন গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম জানতে পারবেন।
স্টেপ ৬ঃ তথ্যগুলা সঠিক নিয়মে পূরণ করতে হবে। এখানে আপনাকে গাড়ির উৎপাদনের সাল দিতে হবে যেটি সাধারণত গাড়ির ট্যাক্স টোকেন কাগজে লেখা থাকে। সেটি লিখে তথ্যগুলো পূরণ করে অনুসন্ধান নামক অপশনটিতে ক্লিক করবেন। তাহলে আপনার সামনে উক্ত গাড়ির সম্পর্কিত সকল তথ্য চলে আসবে। যেটি আপনি দেখতে পারবেন।

তাহলে আপনারা বুঝতে পারলেন কিভাবে গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম দেখবেন। আর এটি হল গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বের করার নিয়ম। যার ফলে আপনি অতি সহজেই যে কোন গাড়ি কেনার আগে সেই গাড়িটি সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবেন অনলাইন এর মাধ্যমেই।

বিআরটিএ গাড়ির কাগজ চেক

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা কি পুরাতন গাড়ি বা মোটরসাইকেল কিনতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেই গাড়িগুলোর সম্পর্কে তথ্য জানতে হবে। অবশ্য জানতে হবে এই গাড়িটির প্রকৃত মালিক কে এবং গাড়িটির কোন খারাপ ইতিহাস আছে কিনা অর্থাৎ বলতে গেলে গাড়িটির নামে কোন মামলা আছে কিনা সেটা জানতে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে বিআরটিএ গাড়ির কাগজ চেক করার মাধ্যমে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে এবার শুরু করা যাক বিআরটিএ গাড়ির কাগজ চেক করার নিয়ম।

ধাপ ১ঃ সর্বপ্রথম আপনাকে মোবাইল ফোনের যেকোনো ব্রাউজারে প্রবেশ করতে হবে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় গুগল ক্রোম ব্রাউজারে প্রবেশ করলে। মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে "bsp.brta.gov.bd" লিখে সার্চ করবেন যেই ওয়েবসাইটি আসবে সেটিতে প্রবেশ করবেন। এরপর আপনাকে উক্ত ওয়েবসাইটটিতে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। আর এই অ্যাকাউন্ট আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ীর নাম ও জন্ম তারিখ দিয়ে এবং নিজের নাম্বারও ইমেইল আইডি দিয়ে খুলবেন।

ধাপ ২ঃ আপনার একাউন্টে যদি সফলভাবে খোলা হয়ে থাকে। তাহলে আপনি এখন আপনার ইউজার নেম এবং অ্যাকাউন্ট পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিবেন। লগইন করা হয়ে গেলে এবার আপনার সামনে মোটরযান তথ্য নামে একটি অপশন আসবে সেটিতে ক্লিক করবেন। ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটি তথ্য আসতে পারে যে তথ্য পাওয়া যায়নি। এরপর আপনি মোটরযান সংযুক্ত করুন নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন সেটাতে ক্লিক করবেন।

ধাপ ৩ঃ এরপর আপনার সামনে মোটরযানের তথ্য দেওয়ার জন্য এটি ফ্রম আসবে। এখানে আপনি আপনার গাড়ির বা মোটরযানের রেজিস্ট্রেশনের শেষের চার সংখ্যার নাম্বার দিতে হবে।

ধাপ ৪ঃ এরপর ফর্মটিতে দেখতে পাবেন গাড়ির উৎপাদনের তারিখ ও বছর চাইবে যেটি আপনাকে সঠিক দিতে হবে। এভাবে সকল তথ্য দেওয়া হয়ে গেলে অনুসন্ধান অপশনটিতে ক্লিক করুন। এবার আপনার সামনে ওই গাড়িটি সম্পর্কে সকল তথ্য চলে আসবে। উক্ত গাড়িটির সকল তথ্য সহ মালিকের নামও দেখতে পারবেন।

ধাপ ৫ঃ এবার যদি আপনি ওই গাড়িটি সম্পর্কে কোন মামলা আছে কিনা সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনাকে উক্ত পেজের সংযুক্ত করুন অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনি আবারো মোটরযান তথ্য নামে অপশন দেখতে পাবেন সেটিতে ক্লিক করবেন। এবার আপনার সামনে গাড়িটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চলে আসবে। যেখানে আপনি উক্ত গাড়ির নামে মামলা আছে কিনা সেগুলো দেখতে পারবেন।

এভাবে আপনি গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম জানতে পারবেন সাথে সাথে গাড়ি সম্পর্কে সকল বিস্তারিত তথ্য যাচাই করতে পারবেন। এছাড়াও গাড়ির নামে কোন মামলা রয়েছে কিনা সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যায় ওই ওয়েবসাইটটিতে নেটওয়ার্কের কারণে লোডিং হতে টাইম লাগে তাই আপনারা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবেন। সেটি তিন চার সেকেন্ড পর্যন্ত সময় নিতে পারে।

গাড়ির নাম্বার প্লেট যাচাই

আপনার অনেকেই নতুন অথবা পুরাতন গাড়ি কেনার পর গাড়ির নাম্বার প্লেট যাচাই করতে চান। তাদের ক্ষেত্রে আমরা উপরের গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশ অংশটিতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যার ফলে আপনারা আপনার পুরাতন গাড়ি হোক আর নতুন গাড়ি হোক যে কোন গাড়ির নাম্বার প্লেট যাচাই করতে পারবেন এবং গাড়ির মালিকের নাম জানতে পারবেন। সেই সাথে গাড়ি সম্পর্কিত বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই অবশ্যই উপরের অংশটি ভালো করে পড়ে নিবেন তাহলে আপনি যে কোন গাড়ির নাম্বার যাচাই করতে পারবেন।

গাড়ির কাগজ চেক করার সফটওয়্যার

আপনার অনেকেই আমাদের কাছে প্রশ্ন করে থাকেন গাড়ির কাগজ চেক করার সফটওয়্যার কোনটি। আজকের এই অংশে আমরা এই সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা অনেকেই পুরাতন বা নতুন যে গাড়ি কিনে থাকি অনেক সময় গাড়ির কাগজ চেক করার প্রয়োজন পড়ে। আপনি অতি সহজেই BRTA ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গাড়ি কাগজ চেক করতে পারবেন তাছাড়া আরেকটি মাধ্যম হলো গাড়ি কাগজ চেক করার জন্য সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। যেটি আমার এখন আলোচনা করব।

গাড়ির কাগজ চেক করার সফটওয়্যারটি হল CarInfo। আপনি আপনার মোবাইল ফোনে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে CarInfo লিখে সার্চ করবেন। আপনার সামনে এই সফটওয়্যারটি চলে আসবে সেটি আপনি ইন্সটল করবেন। উক্ত সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনি গাড়ির কাগজ চেক করতে পারবেন এছাড়া নতুন গাড়ি ক্রয় এবং বিক্রয় করতে পারবেন। উক্ত মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আপনারা সমস্ত যানবাহনের সকল তথ্য জানতে পারবেন। এসব গাড়ির বীমা করতে পারবেন এই অ্যাপের মাধ্যমে।

তবে বলতে গেলে গাড়ির কাগজ চেক করার জন্য বিস্তারিত তথ্য পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই BRTA এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দেখে নিতে হবে। কারণ উক্ত সফটওয়্যারটির মাধ্যমে তেমন বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় না। মূলত গাড়ির কাগজ চেক করার সফটওয়্যার বলতে তেমন নির্দিষ্ট সফটওয়্যার নেই। যেটি আপনাকে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারবে। তাই আপনারা সকল যানবহন বা গাড়ি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে বিআরটিএ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেখতে পারবেন।

গাড়ির কাগজ করতে কত টাকা লাগে

আপনারা অনেকেই জানতে চান গাড়ির কাগজ দিতে কত টাকা লাগে। আপনি এটি মূলত বিআরটিএ ওয়েবসাইটে গিয়ে চেক করতে পারবেন। উক্ত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি সকল ধরনের তথ্য জানতে পারবেন। তাও আপনাদের ধারণা দেওয়ার জন্য গাড়ি কাগজ করতে কত টাকা লাগে তা সম্পর্কে বলা হল।

গাড়ি বা মোটরযান

গাড়ির ওজন

মেয়াদকাল

টাকার পরিমান

মটর গাড়ি

১০০ সিসি -৯০ কেজি

১০ বছর 

১২৩৯০ টাকা 

মোটর গাড়ি

১০০ সিসি ৯০ কেজি+

১০ বছর 

১৭৩৯০ টাকা

মোটর গাড়ি

১৫০ সিসি -৯০ কেজি

১০ বছর 

১৩৭৯০ টাকা

মোটর গাড়ি

১৫০ সিসি ৯০ কেজি+

১০ বছর

১৮৭৯০ টাকা

সকল ধরনের গাড়ির জন্য আপনাকে সরকারিভাবে ভ্যাট ১৫% দিতে হবে।

গাড়ির কাগজ চেক করার নিয়ম

আপনারা যখন কোন গাড়ি বা মোটরযান কিনতে যায় তখন আপনাদের অবশ্যই গাড়ি কেনার আগে তার কাগজ চেক করে নিতে হবে। এটি হলো সর্বপ্রথম কাজ। তা না হলে আপনি পরবর্তীতে গাড়ি নিয়ে ঝামেলায় পড়তে পারেন যদি না গাড়ির কাগজ ঠিক না থাকে। তাই আপনাদের গাড়ির কাগজ ঠিক রয়েছে কিনা সেটা জানতেই কাগজ চেক করার নিয়ম জানতে হবে। এখন আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন যে কিভাবে গাড়ি কাগজ চেক করব। 

এ সম্পর্কে আমরা আজকের পোস্টটিতে আলোচনা করেছি। গাড়ির কাগজ চেক করার জন্য আপনাদের অবশ্যই গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে তাহলেই আপনি গাড়ির কাগজ সম্পর্কিত বিস্তারিত জানতে পারবেন আর এই সম্পর্কে আমরা উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করে এসেছি। তাছাড়া আরও আলোচনা করেছি যা আপনারা সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে বুঝতে পারবেন।

অনলাইনে গাড়ির কাগজ চেক

আপনারা অনেকেই জানতে চান অনলাইনে গাড়ির কাগজ চেক করার নিয়ম। আপনি যদি অনলাইনে গাড়ি কাগজ চেক করতে চান তাহলে আপনাকে আর বিআরটিএ এর সরকারি অফিসে যেতে হবে না। এখন আপনি অনলাইনের মাধ্যমেই গাড়ির কাগজ দেখতে পারবেন। নিম্নে নিয়মাবলী গুলো দেওয়া হলঃ
আপনি গাড়ির কাগজ চেক করার জন্য ফোনের মেসেজিং করার মাধ্যমে গাড়ির কাগজ চেক করতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে স্মার্টফোনের মেসেজ এপ্লিকেশন ওপেন করে মেসেজে গিয়ে DL < Space>Reference number লিখতে হবে এবং ২৬৯৬৯ নাম্বারটিতে মেসেজটি পাঠাতে হবে। এরপর কিছুক্ষণ পর আপনার কাছে একটি মেসেজ আসবে যেখানে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের সকল তথ্য দেওয়া থাকবে। যেখানে আপনি গাড়ির কাগজের স্ট্যাটাস পেয়ে যাবেন।

মেসেজ উদাহরণস্বরপঃ DL DM 3M0D5

এভাবেই আপনি চাইলে মোটরসাইকেলের রেজিস্টেশন চেক করে নিতে পারবেন মোবাইল ব্যবহার করে। মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন চেক করার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে NP<Space>DRC লিখে ২৬৯৬৯ নাম্বারে মেসেজটি পাঠিয়ে দিবেন। কিছুক্ষণ পর আপনার কাছে একটি মেসেজ আসবে যেখানে আপনার মোটরসাইকেলের সকল তথ্য দেওয়া থাকবে।

গাড়ির নাম্বার চেকিং বাংলাদেশ ।গাড়ির নাম্বার চেক অনলাইন

আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন গাড়ির নাম্বার চেকিং বাংলাদেশ ও গাড়ির নাম্বার চেক অনলাইন কিভাবে করে। এ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত এই অংশ আলোচনা করব। কারণ আপনার হয়তো এতক্ষণে গাড়ির নাম্বার দিয়ে গাড়ি সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পেরেছেন। তবে এটি করা যায় দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে। আপনি যদি গাড়ির নাম্বার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনাকে দুটি পদ্ধতিতে বের করতে পারবেন সেটি হলঃ
  • পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট BRTA থেকে গাড়ির নাম্বার চেকিং করা
  • পরিবহন অ্যাপ ব্যাবহার করে গাড়ির নাম্বার চেকিং করা
চলুন আমরা এখন পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট BRTA থেকে কিভাবে গাড়ির নাম্বার চেকিং করবে তার নিয়ম জেনে নেই। এজন্য প্রথমে আপনি কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন থেকে যেকোনো ব্রাউজার ওপেন করে সেখানে পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য vahan.parivahan.gov.in লিখে সার্চ করুন এবং প্রবেশ করুন।

ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনি এখন Information Details নামক অপশন পাবেন সেটিতে ক্লিক করবেন। তারপর আপনার সামনে Know Your Vehicle Details নামক অপশন আসবে সেখানে ক্লিক করবেন। এরপরে আপনি ওয়েবসাইটটিতে একাউন্ট তৈরি করে নিবেন যেটি আপনারা আগেই জেনে এসেছেন গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বাংলাদেশ অংশটিতে। 

এবার আপনার অ্যাকাউন্ট করা হয়ে গেলে, সেই অ্যাকাউন্টটির username আর password দিয়ে একাউন্টটিতে লগইন করুন। এবং আপনার গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের নাম্বার দিয়ে সার্চ করুন। আপনার সামনে একটি হিউম্যান ক্যাপচা আসবে সেটি সল্ভ করে সার্চ করবেন এবং আপনার সাথে কিছুক্ষণ পর আপনার গাড়ির কাগজ সম্পর্কিত তথ্য চলে আসবে।

আমরা এখন জানব পরিবহন application ব্যবহার করে কিভাবে আপনি গাড়ির নাম্বার চেক করবেন। এর জন্য সর্বপ্রথম আপনি আপনার মোবাইল ফোনে থাকা গুগল প্লে স্টোরে ঢুকবেন এবং সার্চবারে এম পরিবহন(M poribohon) লিখে সার্চ করবেন। এবং অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল করবেন। ইন্সটল করা হয়ে গেলে অ্যাপ্লিকেশনটি ওপেন করুন। 

এরপর আপনার যদি একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে সেটি দিয়ে লগইন করুন আর যদি একাউন্ট না থাকে তাহলে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিবেন। আপনার নাম্বার ও ইমেইল আইডি দিয়ে একাউন্ট তৈরি করতে পারেন। একাউন্ট তৈরি করার সময় আপনাকে একটি ওটিপি পাঠানো হবে যেটি সাধারণত ৬ ডিজিটের হয় উক্ত ওটিপি বক্সে বসিয়ে এখন তৈরি করে নিবেন এবং আপনার অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড সেট করবেন। 

এরপর এপ্লিকেশনটিতে ওপেন করে আপনার একটু আগে খোলা একাউন্টটি লগইন করে নিবেন। এবার আপনি আপনার গাড়ির নাম্বার দিয়ে সার্চ করবেন এবং একটু পর আপনার গাড়ি সম্পর্কে সকল তথ্য সামনে দেখতে পারবেন। এভাবেই আপনি দুইটি পদ্ধতিতে গাড়ির কাগজ চেক করতে পারবেন।

গাড়ির নাম্বার দিয়ে ফিটনেস চেক

আপনি যদি গাড়ি কিনতে চান তার আগে অবশ্যই গাড়ির নাম্বার দিয়ে ফিটনেস চেক করতে হবে। যদি আপনি খুব সহজেই গাড়ির নাম্বার দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে গাড়ির ফিটনেস চেক করতে পারবেন। এই সম্পর্কে আমরা এই অংশে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করব। আপনি এখন অতি সহজেই মেসেজ অপশন ব্যবহার করে গাড়ির ফিটনেস চেক করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে এক্সট্রা করে আর অনলাইনে যেতে হবে না।
গাড়ির সকল কিছু বিস্তারিত তথ্য জানতে আপনি অতি সহজে মেসেজের মাধ্যমে জানতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে যেতে হবে। মেসেজ অপশনে গিয়ে VR<Space>Registration Number লিখে মেসেজটি ০১৫৫২১৪৬২২২ নাম্বারে পাঠাতে হবে।

মেসেজ উদাহরণস্বরূপঃ আপনার গাড়ির নাম্বার যদি DHAKA METRO-TA-15-2050 হয় তাহলে মেসেজ পাঠানোর নিয়ম অনুযায়ী VR DHAKAMETRO-TA -15-2050 লিখতে হবে। কিছুক্ষণ পরে আপনি একটি মেসেজ পাবেন মোবাইলে। যেখানে আপনার গাড়ির সামগিক তথ্যসহ গাড়ির ফিটনেস সম্পর্কে লেখা থাকবে।

গাড়ির সিরিয়াল নাম্বার - গাড়ির নাম্বারপ্লেটে বাংলা বর্ণমালার অর্থ

আমরা সকলে জানি বিআরটিএ বাংলাদেশের সকল ধরনের গাড়ি চলাচলের জন্য অনুমতি প্রদান করে থাকে। আর গাড়ি চলাচলের সময় একটি নাম্বার প্লেট দিয়ে থাকে। সাধারণত গাড়িকে এই নাম্বার প্লেট অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের শ্রেণীতে ভাগ করা হয়ে থাকে। চলুন তা আমরা জেনে নেই।
  • (ক) এটি সাধারণত ৮০০ সিসি প্রাইভেট কারের নাম্বার প্লেটে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • আর ১,০০০- ১,৩০০ এর মধ্যে প্রাইভেট কার গুলোতে (খ) ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • তাছাড় ১,৫০০ থেকে ১,৮০০ সিসি মধ্যে প্রাইভেট কার গুলোতে (গ) নম্বর ব্যবহার করা হয়।
  • (ঘ) এই বর্ণটি সাধারণত জিপ কার এ ব্যবহার করা হয়।
  • মাইক্রোবাস গুলোতে (চ) বর্ণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে নাম্বার প্লেটে।
এছাড়াও আরো নাম্বার রয়েছে যা আমি উল্লেখ করে নেই। আপনার এগুলো ইন্টারনেটে সার্চ করে বিস্তারিত নাম্বার গুলো জানতে পারবেন। আমি শুধুমাত্র কিছু কিছু গাড়ির ক্ষেত্রে নাম্বার প্লেটে বর্ণগুলো তুলে ধরেছি।

গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ 100 সিসি মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ফি কত?
উত্তরঃ সাধারণত ১০০ সিসি মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ফি ৪২০০ টাকা।

প্রশ্নঃ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করতে কত টাকা লাগে?
উত্তরঃ গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করতে সকল গাড়ির জন্য ৫০০ টাকা চার্জ দিতে হয়।

শেষ কথা 

আশা করছি প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণে গাড়ির নাম্বার দিয়ে মালিকের নাম বের করার উপায় গুলো জেনে গেছেন। এখন আপনি অতি সহজেই গাড়ি কেনার আগে তার কাগজপত্র অনলাইনের মাধ্যমেই চেক করতে পারবেন। এর ফলে আপনি অতি সহজেই গাড়ি কেনার আগে সাবধান হতে পারবেন এবং কোন ঝামেলায় পড়বেন না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করুন। এবং এ ধরনের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

বিজ্ঞাপন