গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধাগুলো কি জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন। অথবা আপনি কি গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজারের বেতন কত এই সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহী। তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারন আজকের এই আর্টিকেলে গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই এই সম্পর্কে জানতে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধাগুলো
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য হলো ছোট ছোট ঋণ প্রদানের মাধ্যমে দেশের দরিদ্রতা বিমোচন করা। তাই এই ব্যাংক বিশ্বের প্রায় ৬৪ টির বেশি দেশে এই প্রকল্পটি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

ভূমিকা

আমরা সকলেই জানি গ্রামীণ ব্যাংক হল বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করার সংস্থা। এই ব্যাংক কোন উপকার জানানো ছাড়াই যে কোন ব্যক্তিকে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করে থাকে। এই ব্যাংকের প্রধান উদ্যোক্তা প্রফেসর মোঃ ইউনুস ১৯৭৬ সালে এই প্রকল্পটির উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যাতে করে দেশের দরিদ্র দূর হয়। গ্রামীণ ব্যাংকগুলো সুযোগ সুবিধা গুলো দিয়ে আসছে গ্রাহকদের। যার ফলে সকলেই গ্রামীণ ব্যাংকে সুযোগ সুবিধা নিতে পারছে।

আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকেন তাহলে আপনি গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান কে? গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা কয়টি, এর কার্যাবলিগুলো কি কি, গ্রামীণ ব্যাংক কি সরকারি নাকি বেসরকারি এই সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই আপনি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান কে?

আমরা যারা গ্রামীণ ব্যাংকের পরীক্ষা দিতে যাই তাদের সকলের কাছে এটি একটি অনেক কমন একটি প্রশ্ন। যেটা সম্পর্কে আমাদের মধ্যে অনেকেই জানি না। আপনি যদি এই সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার জানা উচিত। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যানের নাম হলোঃ ড. একেএম সাইফুল মজিদ। তিনি হলেন একজন অধ্যাপক, ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর। তিনি চেয়ারম্যানে পদে যোগদান করেন ২৪-০৩-২০২২ তারিখে।

গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান পরিচালক দুইজন। প্রথম জনের নাম হল জনাব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন। আর তিনি সচিব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঢাকা। আর দ্বিতীয় জনের নাম হল জনাব মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। তিনি হলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) জনতা ব্যাংক লিমিটেড; প্রধান কার্যালয়, ঢাকা।

তিনি ব্যাংকের পরিচালক পদে যোগদান করেন ২৫-১০-২০২১ তারিখে। সেই সময় থেকে এখন তারা বর্তমানে দায়িত্বরত রয়েছেন।

গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা কয়টি

গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা আসলে কতগুলো রয়েছে এই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া খুব একটা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের দেশের প্রায় এখন প্রতিটি গ্রামে গঞ্জে এই ব্যাংকে শাখা রয়েছে। গ্রামীন ব্যাংক কোন উপকার জানানো ছাড়াই স্বল্প বৃত্তদের ও ঋণ প্রদান করে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে এই গ্রামীণ ব্যাংক।
তবে আপনি যদি জানতে চান তাহলে আপনি গ্রামীণ ব্যাংকের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। তাহলে সেখানে আপনি নির্দিষ্ট জেলা এবং জন অনুসারে সেখানে কতগুলি গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা রয়েছে তার তালিকা আপনি জানতে পারবেন।

গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যাবলি

গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের কার্যাবলী করে থাকে।গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিবছর প্রতিবছর অনেকগুলো কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে। এখন প্রশ্ন হল কি কি কার্য সম্পাদন করে থাকে এই সম্পর্কে আমরা জানবো কিভাবে। চলুন তাহলে আজকে আমরা গ্রামীণ ব্যাংকের চারটি কার্যাবলি নিয়ে আলোচনা করব। যেগুলো সকলের কাছে প্রায় অনেক পরিচিত এবং অনেক ভালো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

কর্মসংস্থান প্রকল্পঃ প্রতি বছর গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান তৈরি করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক অনেকগুলি কর্মসূচি হাতে নাই। যেমন স্বকর্মসংস্থান, কুটির শিল্প, প্রশিক্ষণ প্রদান, এছাড়াও আরও অনেক কাজের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংক দেশের গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে।

আবার যে সকল ছেলেপেলেরা স্কুলে পড়াশোনা করে তাদের জন্য শিক্ষা নেবে প্রদান করে। যাতে করে তারা লেখাপড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়। আবার তাদের জন্য যেন তারা বাড়িতে বসে হাতে কলমে কিছু কর্মসংস্থান জাতীয় কাজ করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

দারিদ্রতা দূরীকরণঃ আমরা প্রায় সকলেই জানি গ্রামীণ ব্যাংকের একটি অন্যতম প্রধান কাজ হল, গ্রামের দুস্থ, অসুবিধাগ্রস্ত সকল মানুষদের তাদের দুর্দশা অবস্থা থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসা। যার জন্য তারা প্রায় সকলকে এই প্রক্রিয়া থেকে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থান তৈরি করার জন্য সাহায্য করে।

গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ অনেক সহজে পাওয়া যায়। এখানে অন্যান্য সকল ব্যাংকের মতো ঝামেলা পোহাতে হয় না। তারা যাতে সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে তাদের নিজের জন্য ভালো কিছু করতে পারে এজন্য গ্রামীণ ব্যাংক অনেকদিন বিবেচনা করে এই সুবিধাটি প্রদান করে।

বনায়ন কর্মসূচিঃ সমাজের বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ গ্রামীণ ব্যাংকের অন্যতম আরো একটি কার্যক্রম। বাংলাদেশে অসংখ্য পরিমাণে অনাবাদি জমি পড়ে রয়েছে। আর এই অনাবাদি জমিকে ব্যবহার করার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে হাত রাখতে গ্রামীণ ব্যাংক এ কর্মসূচি প্রতিবছর গ্রহণ করে থাকে।

যার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক বিভিন্ন গাছের চারা সরবরাহ করে। যেমন আম গাছ, মেহগনি গাছ, কৃষ্ণচূড়া, লিচু গাছ, নারিকেল গাছ এছাড়াও অনেক বিভিন্ন প্রজাতির চারা রোপন করে থাকে প্রতি বছর গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যরা। গ্রামীণ ব্যাংকের নিজস্ব নার্সারিতে উৎপাদন করা হয়। আর সেগুলো খুবই সহজে দেশের মানুষের কাছে হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়।

ধানকল স্থাপনাঃ আমাদের দেশে অসংখ্য দরিদ্র মহিলা রয়েছে। আর তাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য সহায়তা করতে ধানকল স্থাপনা প্রকল্প হাতে নেয় এই ব্যাংক। এটি হলো গ্রামীণ মহিলাদের স্বাবলম্বী করার জন্য অন্য আরেকটি কার্যক্রম।

তাহলে বুঝতে পারতেন গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা কেমন এবং এটি দেশের কতটা কাজে লাগে।এছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংকের আরো অনেকগুলো কর্মসূচি রয়েছে। যেমন বন্যায় ত্রাণ কর্মসূচি, ডিপোজিট পেনশন স্কিম, অগভীর নলকূপ স্থাপনা, ঋণ গ্রহণকারীদের জন্য পেনশন স্কিম ইত্যাদি। ২০০৯ সালের মার্চ মাসের দেওয়া গ্রামীণ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২,৫৬২টি শাখার মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংক তাদের সকল কার্যক্রম 83 হাজার 498 গ্রামে বিস্তৃত করেছে।

গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রায় অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। সেখান থেকে আমরা নিম্নে মাত্র কয়েকটি সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করব। কারণ একটি আর্টিকেলের মাধ্যমে সবগুলো গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা আলোচনা করতে গেলে আপনাদের বুঝতে অসুবিধা হবে। তো তাহলে চলুন এখন আমরা গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেই।
গ্রামীণ ব্যাংকের সকল সুবিধা গ্রামীন এলাকার মানুষদের জন্য আর্থিক জীবনকে অনেক সহজ ও সুবিধা জনক করে তোলার জন্য প্রদান করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের কিছু সুযোগ সুবিধা গুলোর মধ্যে রয়েছে কিস্তি সুবিধা, ঋণ সুবিধা, মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা, ব্যাংক ওভারড্রাফট সুবিধা ইত্যাদি। নিম্নে এগুলো সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

মৌলিক ঋণ সুবিধাঃ গ্রামীণ ব্যাংকের মৌলিক ঋণ সুবিধা হল একটি প্রাথমিক পর্যায়ে ঋণ সুবিধা। এই সুবিধাটি প্রদান করা হয় গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন সদস্যদের। তবে এই ঋণের পরিমাণ সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে এই ব্যাংক ঋণ প্রদান করে থাকে সেই ব্যক্তিটির ঋণ পরিশোধ ক্ষমতা কতটুকু সেটির উপর নির্ভর করে।

কিস্তি সুবিধাঃ গ্রামীণ ব্যাংক তাদের সকল গ্রাহকদের জন্য ঋণের কিস্তি সুবিধা প্রদান করে থাকে। এই সুবিধার মাধ্যমে ব্যাংকের লোনের গ্রাহকরা তাদের কিস্তির টাকা ভেঙে ভেঙে ছোট ছোট আকারে দিনে দিনে পরিশোধ করার সুযোগটা পায়। তাতে তাদের ঋণ আস্তে আস্তে কমে যায় এবং ঋণ প্রদান করা অনেক সহজ হয়।

মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধাঃ মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা হল গ্রামীণ ব্যাংকের অন্যতম আরো একটি ব্যাংকিং সুবিধা। এই সুবিধার মাধ্যমে ব্যাংকের গ্রাহকেরা মোবাইল ফোনে তাদের সকল ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারে। এটি গ্রাহকদের অনেক সহজ একটি ব্যাংকিং অভিজ্ঞতার সৃষ্টি করে।

পশুসম্পদ ঋণ সুবিধাঃ এই ঋণ সুবিধাটি গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যগণ তাদের জন্য গবাদি পশু কেনার জন্য এবং গবাদি পশু মোটা তাজা জাতকরণের জন্য নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ সর্বনিম্ন 10 হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে এখানে এই ঋণের জন্য বার্ষিক সুদের হার ২০% হারে প্রদান করতে হয়। তবে এই ঋণটি আপনার সক্ষমতার ওপর আপনি চাইলে প্রতি সপ্তাহিকভাবে এক বছরের জন্য ঋণ নিতে পারেন।

সার্ভিস একাউন্ট সুবিধাঃ গ্রামীণ ব্যাংক তাদের সকল গ্রাহকদের সার্ভিস একাউন্ট সুবিধা প্রদান করে থাকে। এই একাউন্ট এর মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের গ্রাহকগণ তাদের আয়োজিত অর্থ সঞ্চয় করতে পারে। আবার এই সঞ্চিত অর্থ তারা নির্দিষ্ট লাভ অনুসারে ব্যাংকের কাছে থেকে উত্তোলন করে নিতে পারে।

ব্যাংক ওভারড্রাফট সুবিধাঃ গ্রামীণ ব্যাংক তাদের সকল গ্রাহকদের জন্য ওভারড্রাফট সুবিধা প্রদান করে থাকে। এই সুবিধার মাধ্যমে ব্যাংক এর থেকে তার গ্রাহকরা তাদের জমার অতিরিক্ত পরিমাণে টাকা উত্তোলন করে নিতে পারে। এটি একটি গ্রাহকের জন্য অনেক বড় সুবিধা প্রাপ্তি ব্যাংক থেকে। কারণ সকল ব্যাংক এই সুবিধা প্রদান করেনা।

গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজারের বেতন কত

আমরা সকলেই প্রায় গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরির সার্কুলারের জন্য অপেক্ষা করে থাকি। আর ম্যানেজার পদে সার্কুলার দিলে তো কোন কথাই নেই। তবে আমরা অনেকে এটা জানে না যে গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজার এর বেতন কত। আপনিও যদি এই সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এখনি জেনে নিন।

একটি ব্যাংকের ম্যানেজারের বেতন কত সেই সম্পর্কে ক্লিয়ার ভাবে সেই ব্যক্তি জানে অন্য কেউ তেমনভাবে জানেন না। কারন প্রায় সকল ব্যাংকের বেতন গুলো গোপন রাখা হয়। তার জন্য সরাসরি বেতন কাঠামো জানা হয়ে ওঠে না। ব্যাংকের বেতন কাঠামোতে উল্লেখ করা হয় বছরের দুই বার অর্থাৎ ছয় মাস পর পর ইনক্রিমেন্ট যুক্ত করা হয়। তাহলে বুঝতে পারছেন গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করার সুযোগ সুবিধা গুলো।

এই দুটো বেসিক ইনক্রিমেন্ট ছাড়াও আরো তো ইনক্রিমেন্ট রয়েছেই। একজন ম্যানেজারের কাজের পারফরমেন্সের উপর ডিপেন্ড করে প্রতিবছর অনেক বড় একটি ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়। তাই যদি হিসাব করা হয় তাহলে দেখা যায় একজন ব্যাংক কর্মকর্তা প্রতিবছরে আজ থেকে ছয়টি ইনক্রিমেন্ট তার বেতনের সাথে যুক্ত করতে পারে।

এই ধারণা থেকে আমরা বলতে পারি গ্রামীন ব্যাংকের একজন ম্যানেজারের বেতন সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে অনেক সময় এর তারতম্য দেখা যায়। আশা করছি আপনাদেরকে ক্লিয়ার ভাবে এই বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা দিতে পেরেছি।

গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার কত

গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার বিভিন্ন ধরনের লোন এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এটি মূলত নির্ভর করে লোনের প্রকার, লোনের মেয়াদ, গ্রাহকের সম্মতি অনুযায়ী। গ্রামীণ ব্যাংকের কোন লোনের সুদের হার কেমন সেই সম্পর্কে আপনাদের এখন ধারণা প্রদান করা হবে। আর যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণে সুদের হার জানতে চান তাহলে, গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা অথবা গ্রামীণ ব্যাংকে গিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

লোনের প্রকারভেদ

সেদের হার

মৌসুমি লোন

৪%-৭%

কৃষি লোন

৪%

বাড়ি নির্মাণ লোন

৮%-১০%

শিক্ষা লোন

৮%-১০%

গরু ক্রয় লোন

১০%-১২%

বিঃদ্রঃ এখানে ব্যাংকের লোনের সুদের হার উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ক্ষেত্র বিশেষ সুদের হার পরিবর্তন হতে পারে। তাই সঠিক সুদের সার জানার জন্য ব্যাংকে সরাসরি সাক্ষাৎ করুন।

গ্রামীণ ব্যাংকের পেনশন হিসাব

বাংলাদেশের প্রায় সকল চাকরির ক্ষেত্রে পেনশনের হিসাব একই রকম।গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধার মধ্যে এটি অন্যতম, যেখানে আপনি যদি চান আপনার পেনশনের হিসাবে টাকা আপনি নিজেই গণনা করে নিতে পারবেন। তবে তার জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম জানা উচিত জানা থাকতে হবে। কারণ বাংলাদেশের সকল চাকরির পেনশন হিসেবে টাকা এই নিয়ম অনুসারে প্রদান করা হয়ে থাকে।

তাই গ্রামীণ ব্যাংক এই নিয়মের বহিরভূত নয়। তাহলে চলুন এখন আমরা গ্রামীণ ব্যাংকের পেনশন হিসেবে নিয়মটি সম্পর্কে জানি।

গ্রামীণ ব্যাংকের পেনশন হিসাব হলোঃ
{চাকরির মাসিক বেতন (গুণ) মাসিক সর্বশেষ বেতন}/২ = মোট পেনশনের টাকা।

গ্রামীণ ব্যাংক কি সরকারি

গ্রামীণ ব্যাংক একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান নাকি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই সম্পর্কে আমরা অনেকে অবগত নয়। তাই আমরা বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সঠিক উত্তরটি পায় না। তাহলে চলুন এখন আমরা সঠিক উত্তরটি জেনে নেই।

যদি প্রশ্ন করা হয় গ্রামীণ ব্যাংক সরকারি ব্যাংক কিনা তাহলে এক কথায় উত্তর হবে না। গ্রামীণ ব্যাংক কোন সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান নয়। তবে এই ব্যাংকটি একটি নিজস্ব মালিকানা প্রতিষ্ঠা স্বাধীন ব্যাঙ্ক। যেটি জাতীয় দেশের জাতীয় আইন দ্বারা অনুমোদিত।

এই গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান মালিক ঋণ গ্রহীতারা। যারা এই ব্যাংকের ৯৭% শেয়ার করে। আর যে রইল ৩% । এইট বাকি ৩% ক্রয় করে দেশের সরকার। আশা করছি আপনাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছি।

গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

প্রশ্নঃ গ্রামীণ ব্যাংক কি ধরনের প্রতিষ্ঠান?
উত্তরঃ গ্রামীণ ব্যাংক হলো ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান কারী আর্থ সামাজিক প্রতিষ্ঠান।

প্রশ্নঃ গ্রামীণ ব্যাংকের এর মালিক কে?
উত্তরঃ গ্রামীণ ব্যাংকের এর মালিক হলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস।

প্রশ্নঃ গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান এমডির নাম কি?
উত্তরঃ গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান এমডির নাম মো. আবদুর রহিম

প্রশ্নঃ গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে?
উত্তরঃ গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৩ সালের অক্টবর মাসে।

প্রশ্নঃ গ্রামীণ ব্যাংক কি ধরনের লোন দেয়?
উত্তরঃ গ্রামীণ ব্যাংক বিভিন্ন ধরণের ঋণ প্রদান করে থাকে। যেমনঃ
  • কৃষি লোন
  • ব্যবসা লোন
  • পশুসম্পদ ঋণ
  • উদ্যোক্তা ঋণ
  • শিক্ষা লোন
  • হাউজিং লোন
  • গৃহস্থালি লোন
  • ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান ব্যাক্তি কে?
উত্তরঃ গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান ব্যাক্তি হলেন ডাঃ মোহাম্মদ ইউনুস।

শেষ কথা।গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা

আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিলো গ্রামীণ ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে। আশা করছি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন। এই রকম তথ্যবহুল আর্টিকেল প্রতিদিন ফ্রীতে পড়তে তামাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ। রাকিব।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

বিজ্ঞাপন